২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে পাথর নিক্ষেপের পর গ্রেফতার হয়েছেন চট্টগ্রামের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যার আসামি মো, জাহেদুর রহমান জাহেদ। গ্রেফতারের আগে জাহেদেও ছোড়া পাথরের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত (১৮ জানুয়ারী) ১১টার দিকে নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড় এলাকায় পুলিশ ধাওয়া করে আসামি জাহেদকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রতন ও কনস্টেবল মো. মনির।
পাথর নিক্ষেপের ঘটনা এবং জাহেদকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী।
তিনি বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে আমাদের থানা পুলিশের একটি টহল টিম ইস্পাহানী মোড়ে কর্তব্য পালন করছিলেন।
এসময় সন্ত্রাসী জাহেদ তার সহযোগীদের নিয়ে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ করে অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে থানা পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পরে ধাওয়া করে জাহেদকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যান।
ওসি বলেন, গ্রেফতার মো, জাহেদুর রহমান জাহেদ চট্টগ্রামের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। এ হত্যা মামলায় সে আগে গ্রেফতার হলেও পরে সে জামিনে মুক্তি পায়।
জাহেদ লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুদীপ্ত হত্যা মামলায় কারাবন্দি দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আরো খবর : সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুম ফের কারাগারে
উল্লেখ্য : ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার মিজানুর রহমান নামে এক আসামি গত ১২ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তিনি সুদীপ্ত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ‘বড় ভাই’ হিসেবে দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। পিবিআই তদন্ত শুরু করার পর দিদারুল আলম মাসুমসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।