Tag: পুলিশ কর্মকর্তা

  • এসপি হলেন ২৩ পুলিশ কর্মকর্তা

    এসপি হলেন ২৩ পুলিশ কর্মকর্তা

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে ২৩ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস সাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    সদ্য পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ সুপাররা হলেন- পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুফিয়ান আহমেদ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজিমুল হক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের বিশেষ শাখা- এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. এস, এম ফরহাদ হোসেন, স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটেলিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমীন হাওলাদার, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ, স, ম শামসুর রহমান ভুঁঞা, রংপুর রিজার্ভ ফোর্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।

    এছাড়া ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জসিম উদ্দীন, র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহরিয়ার আলী, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলাল হোসেন, আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, রংপুর মহানগীর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ, ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন তালুকদার এবং ১০ আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান পুলিশ সুপার হয়েছেন।

    পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে সুদান মিশনে কর্মরত মোহাম্মদ আব্দুল হালিম ও শিক্ষা প্রেষণে অস্ট্রেলিয়াতে অধ্যয়নরত ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বেগম হুমায়রা পারভীনকে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

    এর আগে গতকাল পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে ২৫ পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে রদবদল করে সরকার। এরমধ্যে ১৩ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার দেওয়া হয়েছে।

  • ওরশ বন্ধ করতে বলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর,আটক ২২

    ওরশ বন্ধ করতে বলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর,আটক ২২

    বগুড়ায় করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাষা সৈনিক মরহুম গাজিউল হকের বাড়িতে ওরশের আয়োজন করা হয়। নিষেধ করায় ভক্তরা দরজায় তালা দিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স সেখানে গেলে ভক্তরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপরও চড়াও হন।

    বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় পুলিশ ওরশ অনুষ্ঠানের আয়োজক গাজিউল হকের ছেলে রাহুল গাজিসহ ২২-২৩ জনকে আটক করেছে।

    কয়েকজন ভক্ত, সাবেক কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীরা রাহুল গাজিকে আটকের দাবি করলেও সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান অস্বীকার করেছেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মরহুম ভাষা সৈনিক গাজিউল হকের বাবা পীর সিরাজুল হক চিশতির মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিবছর ভক্তরা বাড়িতে থাকামাজারের পাশে নাচ, গানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকেন।

    মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওরশে বুধবার বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষ ভক্ত আসেন।

    করোনাভাইরাসের কারণে যে কোনো জনসমাগম নিষেধথাকার পরও এ আয়োজন করায় পুলিশ দুদফা নিষেধ করে যায়।

    এরপরও ভক্তরা অবস্থান করায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নান্নু খান ও এএসআই জাহিদুল ইসলাম আসেন। আবারও অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করায় ভক্তরা দরজা বন্ধ করে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেদম মারপিট করেন।

    খবর পেয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বিপুল সংখ্যক ফোর্স নিয়ে গাজিউল হকের বাড়িতে আসেন।দরজা খুলতে বললে ভক্তরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। পরে পুলিশ প্রধান দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর তারা বিভিন্ন ঘরের সিটকি ও হ্যাজবল্ড ভেঙে পিটুনি দেয়ার পর ২২-২৩ জনকে আটক করে।

    এছাড়া বেশ কয়েকজন নারী ভক্তকে স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু ও তরুণ চক্রবর্তীর জিম্মায় দেন।

    বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম নয়ন, কয়েকজন ভক্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ কয়েকটি ঘরের দরজা ভেঙে মারপিটের পর রাহুল গাজি, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আমিন নুরুসহ বেশ কয়েকজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে।

    রিতা পারভিন নামে এক ভক্ত জানান, পুলিশ ঘরের দরজা ভাঙচুর করার পর তার ‘পীর বাবা’ রাহুল গাজিকে মারপিট করে ধরে নিয়ে গেছে।সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীকে ভাষা সৈনিক গাজিউল হকের ছেলে রাহুল গাজিকে আটকের কথা বললে তিনি তাকে চেনেন না বলে জানান।

    সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ক্ষুব্ধ কণ্ঠে জানান, ২২ জনকে আটক করা হলেও এর মধ্যে রাহুল গাজি নেই।

    নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশিরা দাবি করেন, পুলিশ ওরশের আয়োজক রাহুল গাজিকে আটক করলেও পরে অজ্ঞাত কোনো চাপবা তদবিরের মুখে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

  • চট্টগ্রামের মিনা ও শ্যামলসহ অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৮ পুলিশ কর্মকর্তা

    চট্টগ্রামের মিনা ও শ্যামলসহ অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৮ পুলিশ কর্মকর্তা

    বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৮ পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

    আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়।

    এর মধ্যে চট্টগ্রামের রয়েছে দুজন। এরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ।

    এছাড়াও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পাওয়া অন্য জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, যশোর জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক পিপিএম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার টি,এম, মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান পিপিএম, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন খান বিপিএম (বার) ও পিপিএম এবং ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন বিপিএম।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কমর্র্কতাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ বরাবর যোগদানপত্র দিতে অনুরোধ করা হয়।

  • ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা

    ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা

    রংপুরের বনানীপাড়ায় ভাড়া বাসায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে আটক সদ্য পুলিশ সুপার পদে নিয়োগ পাওয়া কামরুল হাসান অবশেষে ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন।

    গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাশে একটি হোটেলে তাদের বিয়ে হয়। তবে কাজির খাতায় রেজিস্ট্রি দেখানো হয় ২১ অক্টোবর।

    কামরুল নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম দলিরাম মাগুড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তার প্রেমিকা রংপুরের মিঠাপুকুরের বালারহাটের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে রেকাসানা পারভীন স্মৃতি।

    তারা দুজনেই স্নাতক। ২০১৬ সালে কারমাইকেল কলেজে ইংরেজি বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেন স্মৃতি। আর সম্প্রতি বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার পদে নিয়োগ পান কামরুল। তাদের মধ্যে দু’বছর ধরে প্রেম চলছিল।

    সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তারা রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করতেন। গত ৩ মাস আগে বনানীপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নেন তারা।

    এরই মধ্যে ৩৬তম বিসিএসে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি পেয়ে সদ্য প্রশিক্ষণ শেষ করেন কামরুল। আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার কথা তার।

    সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে এতে অস্বীকৃতি জানান কামরুল। একপর্যায়ে স্মৃতি মহিলা পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন।

    এদিকে মঙ্গলবার কামরুল বনানীপাড়ার ওই বাসায় গেলে স্মৃতি মহিলা পরিষদের নেতাদেরকে তার আসার বিষয়টি জানান। পরে মহিলা পরিষদের নেতারা বনানীপাড়া গিয়ে কামরুলকে দেখার পর পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সেখান থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুমানা জামান জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নগরীর বনানীপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় রাত ৩টার দিকে হোটেল তিলোত্তমায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫১ লাখ ১ হাজার ৫৩ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ে দেয়া হয়। তবে কাবিননামায় ২১ অক্টোবরের তারিখে রেজিস্ট্রি করানো হয়।

  • ডিআইজি হলেন ৮ পুলিশ কর্মকর্তা

    ডিআইজি হলেন ৮ পুলিশ কর্মকর্তা

    বাংলাদেশ পুলিশ’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদমর্যাদার ৮ পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

    প্রজ্ঞাপন

    আজ (২৪ অক্টোবর’১৯) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখা-১ এর উপ সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।