Tag: পুলিশ সপ্তাহ

  • পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ পুলিশ আছে জনতার পাশে’— এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’, চলবে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। করোনা মহামারি কাটিয়ে দুই বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

    প্যারেডের মধ্য দিয়ে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোলা জিপে চেপে প্যারেড পরিদর্শন করেন। প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন। অংশ নেয় সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।

    ২০২২ সালে সাহসিকতা এবং বিরক্তপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ-১৭ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম, ২৫ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পাদক বিপিএম, এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উৎক্ষেপণ অপরাধী নিয়ন্ত্রণ শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসিত অবদানের জন্য ২৫ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম এবং ৫০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম সেবা পদকে ভূষিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন।

  • পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আসলে পুলিশকে জনতারই হতে হবে, জনগণ যেন আস্থা পায়, বিশ্বাস পায় এবং পুলিশের কাছে দাঁড়াতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আগে মানুষের যে একটা অনীহা ছিল সেটা কিন্তু আর নেই। বরং পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে এটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন। কাজেই আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।’

    তিনি নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্যও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা আপনাদের ওপর স্ব-স্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করবেন।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর কার্যালয়ে (পিএমও) ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে একথা বলেন।

    দেশের মানুষের নিরপত্তা প্রদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার আপনারা মুজিব বর্ষে পুলিশ সপ্তাহের যে প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ চালু হওয়ায় মানুষের মাঝে একটা আত্মবিশ্বাস এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘কোথাও কেউ কোন অন্যায় দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করছে এবং পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি যত শক্তিশালী ও মজবুত হবে তত বেশি আমরা আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানকে আরো উন্নত করতে পারবো।’

    তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা আমাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে যাতে উন্নয়নশীল দেশের স্থায়ী স্বীকৃতি অর্জন করতে পারি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পর অনেকের ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ আর জীবনে সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু বাংলার জনগণের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সহায় ছিলেন বলেই এতবড় একটা গুরু দায়িত্ব নিতে পেরেছি এবং দেশটাকে উন্নত করতে পেরেছি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এবং আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

    এছাড়া, অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, খুলনার পুলিশ কমিশনার খন্দোকার লুৎফুল কবির এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

    প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে তাঁর সরকারের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ক্ষুধামুক্ত হয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনও বাংলাদেশে যারা দরিদ্র বা গৃহহীন, কর্মক্ষমতাহীন তাদের প্রত্যেকের জীবনমানটা যাতে উন্নত হয়, তারা কেউ যেন ক্ষুধার কষ্টে না ভোগে, রোগে শোকে কষ্ট না পায়।’

    ‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্য দিয়েই মানুষকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার মূল্যবোধ যেটা আমরা ’৭৫ এর পর হারিয়ে ফেলেছিলাম তা আজকে আবার ফিরে পেয়েছি। মানুষের মনে আজ স্বাধীনতার মূল্যবোধ জাগ্রত। আবার সেই নতুন চেতনা নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

    সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,‘আমাদের স্বাধীনতার মূল্যরোধটা আর যেন হারিয়ে না যায়। এই অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর ব্যাহত করতে না পারে।’ ‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করবো, ’যোগ করেন তিনি।

  • আধুনিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

    আধুনিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক এবং জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর সরকার বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ যেন পুলিশ বাহিনীর থেকে কাঙ্খিত সেবাটা পেতে পারে সেজন্য আমরা পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে আমরা ব্যয় হিসেবে নেই না। আমরা মনে করি জনগণের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে এটা আমাদের এক ধরনের বিনিয়োগ। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক সাজে সজ্জিত এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে জনগণের সেবা যাতে নিশ্চিত করতে পারি তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ আমরা নিয়ে যাচ্ছি।’ ‘যার ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি পুলিশের মাঝেও গুণগত বিরাট পরিবর্তন এসেছে। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের পুলিশ বাহিনী জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী হবে।’

    পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কেক কাটছেন প্রধানমন্ত্রী

    শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।’

    তিনি অনুষ্ঠানে ১১৮ জন পুলিশ সদস্যের মাঝে বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও পুলিশ পদক সেবা এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সেবায় ভূষিতদের মাঝে পদক বিতরণ করেন।

    পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)- সেবা’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)- সেবা’ প্রদান করা হয়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী ও অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মইনুর রহমান চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সিনিয়র পুলিশ সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্য সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে জনগণের পুলিশ হিসেবেই নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মধ্যদিয়ে যেকোন ধরনের অপরাধ দমন করা সহজ এবং সেই দৃষ্টিকোন থেকে আপনারা কাজ করবেন সেটাই আমি আশা করি।

    বর্তমানে দেশে অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকায় বিনিয়োগ আসছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী একে অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি বলেন, ‘দেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। এই বিনিয়োগ যাতে কোনভাবে ব্যহত না হয় এবং দেশের অর্থনৈতিক যাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোন দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়ায় পুলিশ। কাজেই যে কোন প্রয়োজনে পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোটা আমি কর্তব্য বলে মনে করি।

    ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ উদযাপিত হচ্ছে। চলবে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।