Tag: পুলিশ সুপার

  • এসপি পদমর্যাদার ৬২ কর্মকর্তাকে বদলি

    এসপি পদমর্যাদার ৬২ কর্মকর্তাকে বদলি

    পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৬২ জন কর্মকর্তাকে নতুন করে পদায়ন ও বদলি করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব সিরাজুম মুনিরার সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    কর্মকর্তাদের মধ্যে ৪৮ জন সম্প্রতি এসপি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তাদের নতুন করে পদায়ন করা হয়েছে। বাকি ১৪ জন এসপিকে বদলি করা হয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • এসপি হলেন ২৩ পুলিশ কর্মকর্তা

    এসপি হলেন ২৩ পুলিশ কর্মকর্তা

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে ২৩ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস সাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    সদ্য পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ সুপাররা হলেন- পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুফিয়ান আহমেদ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজিমুল হক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের বিশেষ শাখা- এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. এস, এম ফরহাদ হোসেন, স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটেলিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নুরুল আমীন হাওলাদার, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ, স, ম শামসুর রহমান ভুঁঞা, রংপুর রিজার্ভ ফোর্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।

    এছাড়া ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জসিম উদ্দীন, র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহরিয়ার আলী, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলাল হোসেন, আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, রংপুর মহানগীর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ, ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন তালুকদার এবং ১০ আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান পুলিশ সুপার হয়েছেন।

    পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে সুদান মিশনে কর্মরত মোহাম্মদ আব্দুল হালিম ও শিক্ষা প্রেষণে অস্ট্রেলিয়াতে অধ্যয়নরত ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বেগম হুমায়রা পারভীনকে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

    এর আগে গতকাল পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে ২৫ পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে রদবদল করে সরকার। এরমধ্যে ১৩ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার দেওয়া হয়েছে।

  • ২৫ পুলিশ সুপারকে বদলি

    ২৫ পুলিশ সুপারকে বদলি

    ১৩ জেলার পুলিশ সুপারসহ এসপি পদমর্যাদার ২৫ জনকে বদলি করা হয়েছে। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে বদলির এই আদেশ দেয়।

    বদলি হওয়া পুলিশ সুপাররা হলেন :

    রাঙামাটির পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবিরকে পুলিশ সদর দফতরে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামকে ঢাকার সিআইডিতে, বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনকে বরিশাল জেলা, কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলামকে ঢাকা মহানগরে, মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদকে কুমিল্লা জেলায় বদলি করা হয়েছে।

    পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামকে পুলিশ সদর দফতরে, কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানকে পাবনা জেলায়, ঢাকার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরাকে কুড়িগ্রাম জেলায় বদলি করা হয়েছে।

    গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খানকে ঢাকার সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে। আর গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি আয়েশা সিদ্দিকা।

    মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজয়ানকে ঢাকার সিআইডিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে মাগুরা জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার মোহা. মনিরুজ্জামানকে ঢাকার স্পেশাল প্রোটেকশন ব্যাটালিয়ন-১ এ, আর ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পেয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

    এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানকে ঢাকার সিআইডিতে, শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিমকে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর ঢাকার পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরীকে শেরপুর জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আরিফকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

    খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার এমএম শাকিলুজ্জামানকে রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    ঢাকার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বেগম তাসমিয়াহ তাহলীলকে পুলিশ সদর দফতরে, কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৬ এর অধিনায়ক মো. হেদায়েতুল ইসলামকে হবিগঞ্জ জেলার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার কমান্ডেন্ট হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

  • ধর্ষণকারীরা সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারেনা:সীতাকুণ্ডে পুলিশিং সমাবেশে পুলিশ সুপার

    ধর্ষণকারীরা সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারেনা:সীতাকুণ্ডে পুলিশিং সমাবেশে পুলিশ সুপার

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : নারী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ডে বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার রশিদুল হক বিপিএম।

    এসময় তিনি বলেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণকারীরা কখনো সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারেনা। এদেরকে আমরা মানুষ বলতে পারিনা। তার পশুর চেয়েও অধম। তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ঘর থেকেই করতে হবে। আপনার ছেলে-মেয়ে কোথায় যাচ্ছে, কি করছে তার মা-বাবাকে খবর রাখতে হবে। ধর্ষণের মতো জগণ্য কাজটি বন্ধ করতে প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক,পুলিশসহ সকলের ভুমিকা। কয়েকদিনের প্রেমে পড়ে একটা ছেলের ডাকে একটা মেয়ে রাতের অন্ধকারে কিভাবে ঘরের বাহির যায় তার মা-বাবা খবর রাখতে হবে।

    বিট পুলিশিং সমাবেশ উপস্থিত সাধারণ জনগণ

    মডেল থানারা ওসি (তদন্ত) সুমন বনিকের সঞ্চালনায় এবং ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিট পুলিশিং সভায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এএসপি সীতাকুণ্ড সার্কেল শম্পা রানী শাহা, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) রাশেদুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জলি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুইয়া, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সুমিত্র চক্রবর্তী, কমিউনিটি পুলিশিং এর অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধা, বিভিন্ন স্কুল,মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম এবং ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ।

    সমাবেশে সংশ্লিষ্ট বিট এলাকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • মধ্যরাতে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ নিয়ে হাজির পুলিশ সুপার

    মধ্যরাতে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ নিয়ে হাজির পুলিশ সুপার

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারী ডিমলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে মধ্যরাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করেছেন নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম পিপিএম)।

    বৃহস্পতিবার(২এপ্রিল)দিনগত মধ্যরাতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ডিমলা উপজেলার দুই শতাধিক অতি দরিদ্র,দিনমজুর,হরিজন সম্প্রদায়,প্রতিবন্ধী ও কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় স্বল্প আয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এ সব খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

    সরেজমিনে দেখা যায়,বিতরণের সময় পুলিশ সুপার পায়ে হেটে উপজেলার বাবুর হাট সদরের সরকারি মহিলা কলেজ পাড়া,টিএন্ডটি মোড়,পোস্ট অফিস মোড় ও দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নিম্ন আয়ের কর্মহীন হয়ে পড়া অতি দরিদ্র ওইসব স্বল্প আয়ের অর্ধশতাধিক বাড়িতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ তুলে দেন এবং মাস্ক পড়িয়ে দিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল নাগরিকদের দায়িত্বের বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করেন।

    এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)জয়ব্রত পাল,ডিমলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মফিজ উদ্দিন শেখ,ওসি(তদন্ত)সোহেল রানা জনি, থানায় কর্মরত বেশকিছু এসআই,এ এসআই, পুলিশ সদস্য,ডিমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম লিটন,সাংবাদিক মহিনুল ইসলাম সুজন, গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

    পরে ডিমলা থানা পুলিশ ডিমলা সদরের এক শতাধিকের মধ্যে অবশিষ্ট অর্ধশতাধিক,উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক পরিবারকে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণের একই প্যাকেট পৌঁছে দেন।

    খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ হিসেবে এতে ছিলো, ৫ কেজি চাল,২কেজি আলু,১কেজি মসুর ডাল,১লিটার ভোজ্য তৈল, পেঁয়াজ,মরিচ,লবন, ১টি কাপড় কাছা সাবান,১টি গোসল করা সাবান।

  • দিনমজুরদের খাদ্য বিতরণ করলেন পুলিশ সুপার

    দিনমজুরদের খাদ্য বিতরণ করলেন পুলিশ সুপার

    অ আ আবীর আকাশ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনাভাইরাস আক্রান্তের ফলে বেকার হয়ে পড়া অসহায় দিনমজুর মানুষদের কথা ভেবে তাদের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার। লক্ষ্মীপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন অসহায় ও দুস্থ্যদের খাবার বিতরণ করছেন পুলিশ সুপার ড. এএইচ এম কামরুজ্জামান।

    রবিবার ও সোমবার দুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে এ খাবারের বস্তা ও মাস্ক পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।

    পুলিশ সুপার জানান, নবেল করোনা ভাইরাস রোধে সারাদেশে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।এতে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তা দিতে এ আয়োজন। এসময় সকলকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বাড়ী চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন পুলিশ সুপার।

    পুলিশ সুপার ডক্টর এএইচ এম কামরুজ্জামান লক্ষ্মীপুরে যোগদানের পর থেকে একদিকে যেমন আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে তেমনি গরীব অসহায় মানুষের পাশে নিঃসংকোচে দাঁড়িয়েছেন। এতে করে তিনি বঞ্চিত অসহায় মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন।

  • সেই ‘রাজকুমারের’ পাশে পুলিশ সুপার

    সেই ‘রাজকুমারের’ পাশে পুলিশ সুপার

    দিনাজপুরের বিরামপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী অসহায় রাজকুমারকে একটি পাকা দোকান ঘর ও নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।

    শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের ঘাটপাড়ে তার হাতে অনুদানের টাকা তুলে দেন তিনি।

    উল্লেখ্য বিরামপুর পৌর শহরের ঘাটপাড় মহল্লার রাজ কুমার শীল ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪০ তম ব্যাচের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ছাত্র থাকা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় ডাক্তারী পড়া শেষ করতে পারেননি।

    বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়লে জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন পরিবারটিকে সহায়তার হাত বাড়ান।

    তারই প্রেক্ষিতে রাজকুমার শীলের বসত বাড়ীর সাথে একটি পাকা দোকান ঘর এবং দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে পরিবারের লোকজন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন রাজকুমার।

    এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজেম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) হাফিজুর রহমান, বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার, বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • ট্রাফিক আইন অমান্য: নিজের গাড়ি চালকের নামে পুলিশ সুপারের মামলা

    ট্রাফিক আইন অমান্য: নিজের গাড়ি চালকের নামে পুলিশ সুপারের মামলা

    ট্রাফিক আইন অমান্য করায় নিজের গাড়ি চালকের নামে মামলা দিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান। এজন্য গাড়ি চালক পুলিশ সদস্য আ. কদ্দুছকে ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা গুণতে হবে। এতে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান।

    জানা যায়, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে বের হন পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান। তার গাড়িটি গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় আসলে গাড়ি চালক ট্রাফিক আইন অমান্য করে রোড ডিভাইডারের উপর দিয়ে গাড়ির দিক পরিবর্তন করেন। এসময় গাড়িতে খোদ পুলিশ সুপার বসা ছিলেন। তাৎক্ষণিক তিনি এ অনিয়মের জন্য চালকের নামে মামলা দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

    পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, আইন সবার জন্য সমান। আইন ভাঙলে শাস্তি পেতে হবে। ট্রাফিক আইন অমান্য করে রোড ডিভাইডারের উপর দিয়ে গাড়ি ঘোরানোয় চালককে মামলা দেয়া হয়েছে। এজন্য তাকে জরিমানা দিতে হবে।

    ট্রফিক আইন ভাঙার জন্য নিজের গাড়ি চালকের নামে পুলিশ সুপারের মামলার বিষয়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

    নিরাপদ সড়ক চাই ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের মুন্না বলেন, এটি একটি শুভ পদক্ষেপ। জেলা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হয়ে তার নিজ গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার তা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
    সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন মোহা. আহমার উজ্জামান।

    যোগদানের পরপরই মাদক নির্মূল ও অপরাধ দমনে ব্লক রেইড, পেট্রোল টহল জোরদার, ব্যাচেলর মেসগুলোতে অবস্থানকারীদের তালিকা ও তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। পুলিশ সদস্যদেরও দিয়েছেন কঠোর বার্তা। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর প্রটোকল ছাড়াই বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে বের হন তিনি।

  • সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামী ভোলা জামিনে মুক্ত!

    সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামী ভোলা জামিনে মুক্ত!

    চট্টগ্রামের আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী এহতেশামুল হক ভোলা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

    কারাগার সূত্রে জানা যায়, ভোলা গত ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গোপনে বেরিয়ে যান।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, সব মামলার জামিনের কাগজপত্র পাওয়ার পর ২৯ ডিসেম্বর ভোলা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

    ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে সাড়ে ৭টায় নগরীর জিইসি এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হয় মাহমুদা খানম মিতু। পরদিন তার স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় তিন জনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।

    মামলার তদন্তে ভোলার নাম উঠে আসে। খুনীদের অন্যতম সহযোগী ও অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে নাম আসার পর ২০১৬ সালের ২৭ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলিসহ ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসি মো. কামরুজ্জামান জানান, মিতু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সহযোগী ও অস্ত্র সরবরাহকরী এহতেশাম ওরফে ভোলা রাজাখালী এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। বাবার নাম মৃত সিরাজুল হক।

    তিনি জানান, ভোলা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালি হাইওয়ে সড়ক সংলগ্ন অবৈধ দখলকৃত বাড়িতে। এখানে তার একটি কলোনি ভাড়া দেয়া আছে। একাধিক খুন ও ডাকাতি মামলার আসামি ভোলা নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।

    পুলিশ জানান, কলোনিতে থাকা শ্রমজীবী মানুষগুলোই তার পুঁজি। যে পিস্তল দিয়ে গুলি করে মিতুর হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে সেটি সরবরাহ করেছিল ভোলা। হত্যার পর খুনিদের কাছ থেকে অস্ত্রটি আবার সে ফেরতও নিয়ে নেয়। মিতু হত্যার মূল নির্দেশদাতা হিসেবে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় থাকা আলোচিত মুছার সঙ্গে অস্ত্রসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার শেয়ার রয়েছে ভোলার।

    ২০১৫ সালের ৫ জুন ও.আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। হত্যাকাণ্ডের ২৩ দিন পর মো. মনির নামে এক সহযোগীসহ ভোলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে ভোলাই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছিল বলে জানা যায়।

    পুলিশ জানায়, বাকলিয়া এলাকার ত্রাস এহতেশামুল হক ভোলার বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির মামলা আছে। তিনি নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।

    তার বিরুদ্ধে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলা, চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা অঞ্জলী রানী দেবী হত্যা মামলাসহ দেড় ডজন মামলা রয়েছে।

  • চট্টগ্রাম জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপার মিনাকে সংবর্ধনা ও নবাগত সুপার রশিদুলকে বরণ

    চট্টগ্রাম জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপার মিনাকে সংবর্ধনা ও নবাগত সুপার রশিদুলকে বরণ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নবাগত পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হককে বরণ করে নিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। একই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) নুরেআলম মিনাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।

    গতকাল ২০ জানুয়ারি সোমবার রাতে নগরীর হালিশহরস্থ জেলা পুলিশ লাইন্সের মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ

    অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজান সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর আসনের সাংসদ এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতার খানম, চবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মো. মাহাবুবুল আলম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ।

    অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এ কে এম এমরান ভূঞা। নিজেদের স্ব স্ব কর্মদক্ষতা ও অনুভুতি প্রকাশ করেন বিদায়ী এসপি নুরে আলম মিনা ও নবাগত এসপি এস.এম রশিদুল হক।

    এছাড়াও জিপিইচ ইস্পাত লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরাজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান

    অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাম পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ফুল দিয়ে নুরে আলম মিনাকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপার এসপি এস.এম রশিদুল হককে বরণ করে নেন। এবং অতিথিবৃন্দদের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, রেপ্লিকা ও ফুল দিয়ে দুজনকে সংবর্ধনা জানানো হয়।

    পরে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় শিল্পী হৈমন্তী রক্ষিত মান ও নাবিলার কণ্ঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত সকলকে মাতিয়ে রাখেন। এসময় রেঞ্জ, মেট্টোপলিটন ও জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন থানার ওসি, পুলিশ পরিদর্শক ও ট্রাফিক পরিদর্শকগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • নীলফামারীতে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা

    নীলফামারীতে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সেবা।

    ১৩ জানুয়ারী সোমবার দুপুর ১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হয়। সমস্যা গুলো সমাধানে পুলিশ সুপারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এসময় জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতার কামনা করেন তিনি।

    পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, সড়ক-মহাসড়কে লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহন বন্ধ করা হবে। সর্বোচ্চ শক্তি ও আন্তরিকতা দিয়ে জেলাকে পর্যায় ক্রমে মাদকমুক্ত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং সন্ত্রাস নির্মূল করা হবে।

    তিনি বলেন, সাংবাদিকরা পুলিশের সদস্য হিসেবে কাজ করবে। কারন যে কোন ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কলম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ-সাংবাদিকদের কাজের মিল রয়েছে। কাঙ্খিত ফলাফল তখনই ভালো হবে, যখন আমরা একত্রিত হয়ে কাজ করবো। প্রয়োজনে টিম নীলফামারী গঠন করা হবে।

    উল্লেখ, গত ১০ জানুয়ারি নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা-পশ্চিম) হিসেবে ও ডিবি পুলিশে ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এবিএম আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সার্কেল) রুহুল আমীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল, সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম।

  • আলেচিত পুলিশ সুপার হারুনকে বদলি

    আলেচিত পুলিশ সুপার হারুনকে বদলি

    নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদকে ঢাকায় পুলিশ অধিদপ্তরে পুলিশ সুপার (টিআর) পদে বদলি করা হয়েছে।

    রোববার (৩ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বদলি করা হয়।

    এর আগে গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার আবুল হাসেমের ছেলে আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেলের গুলশানের বাসভবন থেকে তার স্ত্রী ফারহা রাসেল এবং পুত্র আহনাফ রাসেলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে এসপি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন আম্বার চেয়ারম্যান রাসেল।

    আম্বার চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছিলেন, আম্বার ডেনিম থেকে ৮ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন হারুন অর রশীদ। এই চাঁদার টাকা না পেয়ে গত বুধবার তার ব্যক্তিগত গাড়ি জব্দ করা হয়। পরে ১ নভেম্বর গভীর রাতে তার গুলশানের বাড়িতে ৫০-৬০ জন ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হানা দেন এসপি হারুন।

    রাসেল আরও অভিযোগ করেন, তার বাড়িতে গিয়ে প্রতিটি রুম তছনছ করা হয়। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী ফারাহ রাসেল এবং আনাফ রাসেলকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জে। তার গাড়ি চালক সুমনকে মাদক ও গুলি দিয়ে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আম্বার চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেলকেও আসামি করা হয়।

    এদিকে রাসেলের বাড়িতে মধ্যরাতে অভিযান চালানো এবং সেখান থেকে তার স্ত্রী-পুত্রকে আটক করার ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

    এর আগে ২ নভেম্বর পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার আবুল হাসেম ও তার স্ত্রীকে এসপি অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে বিকেলের দিকে শওকত আজিজ রাসেলের ছেলে ও স্ত্রীকে তাদের হেফাজতে ছেড়ে দিয়ে গাড়ি চালক সুমনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

    এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় শওকত আজিজ রাসেল ও চালক সুমনকে আসামি করে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছিল।