Tag: পুলিশ

  • কর্ণফুলীর কেইপিজেডে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের সন্ধান চায় পুলিশ

    কর্ণফুলীর কেইপিজেডে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের সন্ধান চায় পুলিশ

    চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানাধীন কেইপিজেডের লেকে পাওয়া অজ্ঞাত এক লাশের পরিচয় জানতে চায় পুলিশ।

    গত সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে পাওয়া লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হলেও এখনো তার পরিচয় সনাক্ত হয়নি।

    এরমধ্যে লাশের ছবিসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছবি প্রকাশিত হলেও কোন ধরনের খোঁজ-খবর কিংবা পরিচয় জানা যায়নি।

    পুলিশ সুত্র জানিয়েছেন, লেকের পানিতে ভাসমান লাশের অনেকাংশ পঁচে গিয়েছিল। মৃত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ২৪ বছর। গায়ের রং কালো, শারীরিক গঠন মাঝারি, উচ্চতা অনুমান ৫ ফুট ৪ইঞ্চি। লাশের পরনে ছিল নীল রঙের অন্তর্বাস এবং বাম হাতে একটি রাবারের ব্রেসলেট ছিল।

    কর্ণফুলী থানা পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে চমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। ছবি দেখে কেউ লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে পারলে কর্ণফুলী থানার ০১৩২০-০৫২৯৭৪, ০১৩২০-০৫২৯৮০, ০১৭৭৭-৫০০৭৭৪ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন শাহমীরপুর জামতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিন।

  • পুলিশ বাহিনী মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ডোপ টেস্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে: আইজিপি

    পুলিশ বাহিনী মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ডোপ টেস্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে: আইজিপি

    পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে মাদকসেবী ও গ্রহণকারী থাকবে না। পুলিশকে পরিচ্ছন্ন করতে চাই। পুলিশ বাহিনী মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ডোপ টেস্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

    আজ দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার সহ কিশোর গ্যাং ডিজিটাল ডাটাবেজ ও হ্যালো আরএমপি অ্যাপ’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ প্রধান।

    এ সময় নগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সীতাকুণ্ডে সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের নাম ব্যবহার করে তারই আত্মীয়কে হয়রানি করছে পুলিশ!

    সীতাকুণ্ডে সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের নাম ব্যবহার করে তারই আত্মীয়কে হয়রানি করছে পুলিশ!

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের নাম ব্যবহার করে তারই এক আত্নীয়ের পরিবারকে পুলিশ চরম হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তুচ্ছ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আমিরাবাদ গ্রামের ভুক্তভোগি দিলীপ কুমার দে জানান, তিনি তার নিজস্ব জায়গায় পুরোনো বিল্ডিং সংস্কার ও সেফটি ট্যাংকি নির্মাণের কাজ শুরু করার পর পাশ্ববর্তী মৃত সন্তোষ কুমার দে’র স্ত্রী তাপসী রানী দে নির্মাণ কাজ বন্ধ ও হয়রানির উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়ের করতে থাকেন।

    এর মধ্যে আদালত দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা খারিজ করে এবং পৌরসভায় দায়েরকৃত অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে পৌরসভা পুনরায় ঘর নির্মাণের অনুমতি দেয়। কিন্তু তাপসী রানী আবারো আদালতে মিস মামলা (নং ৫২৬/২০২০ইং) দায়ের করেন।

    এ মামলায় এসিল্যান্ড তিনবার শুনানীর তারিখ দিলেও বিভিন্ন অযুহাতে বাদীপক্ষই অনুপস্থিত থাকছেন। ফলে এসি ল্যান্ড কোন রায় দিতে পারেননি। এদিকে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে গত ১ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড থানার এস.আই মোঃ সাইফুল হটাৎ এসে বিবাদমান জায়গায় কাজ করার অভিযোগ তুলে দিলীপ কুমার দে (৭৫), প্রদীপ রঞ্জন দে (৬৮)সহ আরো তিন কর্মচারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    এসময় থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, এসময় ভুক্তভোগিরা তাদের সাথে এমন ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, লন্ডন থেকে (অদৃশ্য শক্তি) চাপ আছে এছাড়া শিল্পী কুমার বিশ্বজিতও এ ঘটনার ব্যাপারে চাপ দিচ্ছেন। তাই তাদেরকে চালান দিতে হবে। শেষে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হলেও আদালত এ মামলায় আসামি আটক করায় সংশ্লিষ্ট এস.আইকে তিরস্কারও করেন। শেষে তাদেরকে জামিন মঞ্জুর করেন।

    এভাবে বারবার হয়রানির অভিযোগ তুলে এর প্রতিকারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগি দিলীপ কুমার দে।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দিলীপ কুমার দে’র ছেলে রাজু দে ও ভাই প্রদীপ রঞ্জন দে। এদিকে পুলিশ কুমার বিশ্বজিতের নাম ব্যবহার করলেও এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন দেশ বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিত।

    তিনি বলেন, দিলীপ কুমার দে ও তাপসী রানী দে দুই পক্ষই আমার আত্নীয়। আমি কোন পক্ষের না। দুই পক্ষই আমার কাছে সমান। কিন্তু পুলিশ বা কেউ আমার নাম ব্যবহার করে আমারই আত্নীয়কে কেন হয়রানি করছে আমি বুঝতে পারছি না। এ ধরণের বিষয়ে তার নাম ব্যবহার করে কেউ স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

    সীতাকুণ্ড থানার ওসি বলেন, আমরা দুই পক্ষের বিরোধে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদেরকে আটক করেছি। সব আইন মোতাবেক হয়েছে। তিনি কুমার বিশ্বজিতের নাম ব্যবহারের কথা এবং আটককৃদের সাথে কোনরুপ দুর্ব্যবহারের কথাও অস্বীকার করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • বোয়ালখালীতে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রবাসীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

    বোয়ালখালীতে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রবাসীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে প্রবাসী এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোট অভিযোগ উঠেছে বোয়ালখালী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

    বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদন্ডী মৌলানা নুরুল হকের ছেলে মো. সাদেকের (২৭) সাথে এ ঘটনা ঘটেছে।

    সংঘটিত ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রবাসী যুবক মো. সাদেকের পিতা মৌলানা নুরুল হক বাংলাদেশ মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর প্রতিকার চেয়ে ডাকযোগে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    সাদেকের পিতা মৌলানা নুরুল হক জানান, পূর্ব গোমদন্ডীর বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মো. সাদেক ৮ মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন। করোনা পরিস্থির কারণে সময় মত কর্মস্থলে ফিরতে না পারায় তার ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।

    পরে করোনা পরিস্থিতি একটু শীতিল হলে আবার দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ যাবতীয় কার্যাদি সম্পূর্ণ করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতেই তার জীবনে নেমে আসে এক মহাসংকট।

    এলাকার এক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে দাবী করে একটি মহল ওই নারীকে বিয়ের করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে সাদেককে। তার পরিবার ওই মেয়েকে বউ করতে অনীহা প্রকাশ করেলে সাদেকের বিদেশ যাওয়া আটকাতে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে কুচক্রী মহলের যোগসাজেসে গত ২১ নভেম্বর রাতে পুলিশ দিয়ে আটক করে নিয়ে যায়। পরে সাদেকের হাতে ইয়াবা দিয়ে তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ি বলে স্বীকাররোক্তি আদায় করেন থানা পুলিশ। ৫১ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক বাদী হয়ে মাকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) ধারায় মামলা নং ১১ দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করেন।

    বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. আবদুল করিম বলেন, তদন্তে যদি এ ধরনের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    অভিযুক্ত বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো ওমর ফারুক বলেন, ফাঁসানোর কিছুই নাই। তার কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

    ভুক্তভোগী সাদেকের পিতা মৌলানা মো. নুরুল হক বলেন, তিনি মসজিদের ইমামতি করে জীবিকা নির্বাহ করে সন্তানদের খেয়ে না খেয়ে মানুষ করেছেন। মুলত এক নারীকে বউ হিসাবে মেনে না নেয়ায় প্রভাবশালীরা পুলিশকে ম্যানেজ করে তার ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • মাদকাসক্ত ১০ পুলিশ চাকরিচ্যুত

    মাদকাসক্ত ১০ পুলিশ চাকরিচ্যুত

    ডোপ টেস্টে মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের ১০ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

    রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    ওয়ালিদ হোসেন জানান, গতবছর সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নেয়ার পরই পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার ঘোষণা দেন মোহা. শফিকুল ইসলাম। এ পর্যন্ত ৬৮ জনের মাদক নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৭ জন এসআই, একজন সার্জেন্ট, ৫ জন এএসআই, ৫ জন নায়েক এবং ৫০ জন কনস্টেবল।

    তিনি জানান, মাদকাসক্ত ওই ৬৮ জন পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয় এবং ১৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মামলা নিষ্পত্তি শেষে ওই ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনকেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

    জানা গেছে, শুধু মাদক সেবন নয়; মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা, মাদক দিয়ে জনসাধারণকে ফাঁসানো, উদ্ধার করা মাদক জব্দ তালিকায় কম দেখানোর মতো অভিযোগ রয়েছে এসব পুলিশ সদস্যদের অনেকের বিরুদ্ধে।

  • নিউজিল্যান্ড পুলিশে প্রথম হিজাবি নারী

    নিউজিল্যান্ড পুলিশে প্রথম হিজাবি নারী

    জাইনা আলী নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী পুলিশ সদস্য। সম্প্রতি তিনি সে দেশের পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছেন। দায়িত্বপালনকালে তিনি পুলিশ বাহিনী কর্তৃক অনুমোদিত হেড স্কার্ফ (হিজাব, স্কার্ফ) পরিধানের সুযোগ পাবেন। নিয়োগের পর জাইনা আলী হিজাব পড়ে পুলিশ বাহিনীতে তার কার্যক্রম শুরু করেছেন।

    নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার সময় ‘জাইনা আলী’ একটি বেসরকারি সংস্থার গ্রাহক সেবা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনার পর তিনি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

    পুলিশ কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নকশাকৃত ও অনুমোদিত হেডস্কার্ফ পরিধান করে পুলিশে যোগদান করেন। দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের সহায়তার উদ্দেশ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের মাঝে জাইনা আলী সেদেশের পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী অফিসার।

    ওয়েলিংটনের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এই নারী এখন ইতিহাসের অংশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার অনেক ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ইউনিফর্ম পড়ে আমি সমাজ সেবা করব এবং এর সঙ্গে আমি হিজাবও ব্যবহার করতে পারব। আমি মনে করি, পুলিশ বাহিনীতে হিজাব অনুমোদনের পর মুসলমানেরা পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের জন্য আগ্রহ পোষণ করবেন।’

    ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে জাইনা আলী বলেন, আরও আগে যদি পুলিশ বাহিনীতে অংশগ্রহণ করতাম; তাহলে ওই ঘটনায় হতাহত মুসলমানদের সহায়তা করতে পারতাম।

    এদিকে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীতে দক্ষতাসম্পন্ন সদস্য এবং বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের অনুসারীদের প্রয়োজন। দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকতর সেবা প্রদানের জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বৈচিত্র্য অপরিহার্য।

  • পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে : প্রধানমন্ত্রী

    পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেনযে, মুজিববর্ষে পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে।

    আগামীকাল ‘কমিউনিটি পুলিশিং দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,“আমি আশা করি, মুজিববর্ষে নতুন স্পৃহা ও আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যগণ জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনতার পুলিশে পরিণত হবে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ দেশ ও জাতির সেবায় প্রতিনিয়ত তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একনিষ্ঠভাবে ও সাহসিকতার সঙ্গে পালন করছে।

    জনগণ ও পুলিশের পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও শ্রদ্ধা কমিউনিটি পুলিশিং এর মূলকথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাপনায় জনগণের সাথে প্রাণবন্ত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক সমস্যাদির উৎস উদ্ঘাটনপূর্বক তা সমাধান ও অপরাধ ভীতি হ্রাস করে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পাঁচবছরের মধ্যে ৬০ হাজার ৯১৮টি কমিটির মাধ্যমে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৮০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পুলিশের সঙ্গে একযোগে অংশীদারেত্বের ভিত্তিতে কাজ করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে উল্লেযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, “ইতোমধ্যে, বাংলাদেশে রেলওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং হাইওয়ে পুলিশেও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আগামীতেও নারী নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে সহজলভ্য প্রযুক্তি অপরাধকে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিসরে দ্রুত বিস্তৃত করছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় প্রযুক্তি নির্ভর অপরাধ প্রতিরোধ ও অপরাধ উদ্ঘাটনে পুলিশকে উন্নত প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি জনগণ ও রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে সকলের সহায়তায় একযোগে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে সাইবার ক্রাইম, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, মানিলন্ডারিং ইত্যাদি সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে তার সরকার এন্টি টেরোরিজম ইউনিট, সাইবার ইউনিট গঠনসহ সবধরনের সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

    তিনি আরো বলেন, একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ দেশগড়ার লক্ষ্যে পুলিশের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে জনবল ও বাজেট বৃদ্ধিসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে ।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি সম্প্রীতিময়, শোষণমুক্ত, জঙ্গি, মাদক ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত মানবিক দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী দিনগুলোতে পুলিশের সকল সদস্য আরো আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও ৩১ অক্টোবর ‘কমিউনিটি পুলিশিং দিবস-২০২০’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। তিনি এ উপলক্ষ্যে পুলিশের সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি ‘কমিউনিটি পুলিশিং দিবস-২০২০’ এর সকল আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • রায়হানের ওপর পুলিশের বর্বরতা, শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন

    রায়হানের ওপর পুলিশের বর্বরতা, শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন

    সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া রায়হানের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গেছে। রিপোর্ট বলছে, রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে এনে তার ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪টি ছিল গুরুতর। তার দুটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। আর এমন নির্যাতন চালানো হয় তার মৃত্যুর ২ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে।

    এছাড়া তার শরীরে চামড়ার নিচ থেকে প্রায় ২ লিটার রক্ত পাওয়া গেছে। রায়হানের লাশের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এসব তথ্য উল্লে­খ করা হয়েছে। রিপোর্টটি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।

    সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর রাত ৩টা ৯ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে স্বাভাবিক অবস্থায় রায়হানকে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে আনা হয়। পরে সকাল ৬টা ২৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে ফাঁড়ি থেকে বের করা হয়। ৬টা ৪০ মিনিটে ভর্তি করা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।

    ওই হাসপাতালেই বেলা ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ১৫ অক্টোবর সেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, রায়হানের মৃত্যুর ২ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। সে হিসেবে ফাঁড়িতে আনার পর থেকেই তার ওপর নির্যাতন চলে।

    রিপোর্টে বলা হয়, রায়হানের ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল আর বাম হাতের অনামিকার নখ উপড়ানো ছিল। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ কারণ ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে বলে প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লে­খ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বিকালে বিয়ে বাড়ি থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী রাতে মুক্ত : মামলার পর তৎপর পুলিশ

    বিকালে বিয়ে বাড়ি থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী রাতে মুক্ত : মামলার পর তৎপর পুলিশ

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে অপহরণ হয় মো. সাইফুল (৪০) নামে এক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী। পরিবারের পক্ষ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে অপহরণ করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর রাত দেড়টার সময় তিনি মুক্ত হন।

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় হালিশহর থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলাটি (১৯/২০২০) দায়ের করেন ব্যবসায়ী সাইফুলের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। মামলায় যুবলীগ নেতা নওশাদ, তার ভাই পাপ্পু, মোহাম্মদ মাসুদ ওরফে পাগল মাসুদ, নওশাদের গাড়ি চালক ও বউবাজার ঈদগাঁ এলাকার মুহাম্মদ ইকবাল, সাখাওয়াতসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়।

    থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) নগরীর হালিশহর বউবাজার এলাকার দুলহান কমিউনিটি সেন্টারে আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেতে যান ব্যবসায়ী সাইফুল ও তার পরিবার।

    বিকেল সাড়ে ৪টার সময় দাওয়াত খেয়ে বাসায় ফেরার উদ্দ্যেশে সাইফুল তার ব্যাক্তিগত গাড়িতে উঠতে গেলে প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে মারধর করে সিলভার কালারের একটি নোহা মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

    তার স্ত্রীর দাবি ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে যুবলীগ নেতা নওশাদ ও তার গাড়িচালক ইকবালসহ ১০-১৫ জন মিলে তার স্বামীকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করে গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

    স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন,আমরা আত্বীয়ের বিয়ে বাড়িতে গেলে পূর্ব থেকে বিরোধ থাকা নাওশাদ মাহমুদ রানা ও তার ড্রাইভার ইকবালসহ আমার স্বামীকে মারধর করতে শুরু করে। বাধা দিলে তারা আমার স্বজনদের উপরেও হামলা চালায়। পরে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

    আইনশৃংখলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করার কথা জানিয়ে অপহরণের পর থেকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে হুমকী ধমকি দিয়ে বহু নাম্বার থেকে কল আসছে বলে তিনি জানান।

    হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুলকে অপহরণ করেছে বলে স্বজনরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিলো। অভিযোগ আমলে নিয়ে সাইফুলকে উদ্ধারে অভিযানে চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

    রাত একটার দিকে হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সিনহা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন স্বজনদের কাছ থেকে অপহরণের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করেছি। আশা করি আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।

    এদিকে রাত আড়াইটার দিকে অপহৃত সাইফুলের খালাতো ভাই লুৎফর এহসান শাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টা ৩৮ মিনিটের দিকে একটি মোটর সাইকেল করে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশি অভিযানের পর গ্রেফতার এড়াতে অপহরণকারীরা সাইফুলকে চোখ বেঁধে ছেড়ে দিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন এহসান।

    জানা যায়, অপহৃত সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে নগরীর খুলশী ২ নং রোডের ২৯ নং বাড়ির ৭ নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাস করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ইয়াবা পাচারের বিশেষ কৌশলও ব্যর্থ, পুলিশের কাছে ধরা ৩ কারবারি

    ইয়াবা পাচারের বিশেষ কৌশলও ব্যর্থ, পুলিশের কাছে ধরা ৩ কারবারি

    ২৪ ঘণ্টা নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করে ৩ কারবারিকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, আটক তিনজনই পরস্পরের যোগসাজশে কক্সবাজার থেকে কমদামে ইয়াবা ক্রয় করে সেগুলো চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জে পাচারের চেষ্টা করছিলো।

    গোপনে তথ্য পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাত পৌণে ১১টার সময় নগরীর নতুন রেলস্টেশনের প্রবেশ মুখ থেকে ২ জন এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে খুলশী থানাধীন পশ্চিম বাগঘোনা এ কে খান বাংলোর নিচে ষ্টাফ কোয়ার্টারে অভিযান চালিয়ে আরো একজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার যশোদল নয়াপাড়া পাটধা গ্রামের মৃত মো. কাইয়ুমের ছেলে মো. ছাইকুল ইসলাম (৫০), কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডেও মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকার মৃত মো. জাকিরের ছেলে মো. আইয়ুব (৪১) এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মাদার্শা এলাকার আলী মিয়া বর বাড়ীর মৃত আলী মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৬)।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো.মহসীন তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ইয়াবাগুলো পাচারে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিতে আটক তিনজনই অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। তবে কোতোয়ালি থানা পুলিশের দক্ষতায় তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে যায়।

    তিনি বলেন, আটক ছাইকুল ও আইয়ুব ঝুড়ির তলদেশে, বাংলা সাবানের ভেতর এবং ছাতার ভাঙ্গা হাতলের ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইয়াবাগুলো পাচারের চেষ্টা করেছে।

    তল্লাশীতে বাংলা সাবান থেকে ১ হাজার, ঝুড়ির তলদেশে লুকানো অবস্থায় ৩ হাজার ৮ শ পিস এবং দুজনের হাতে থাকা দুটি ছাতার ভাঙ্গা হাতলে ২শ পিস করে মোট ৫ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়।

    আটকের পর তারা ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

    চখ/আর এস

  • অবশেষে সিনহাসহ তার সহকর্মীদের ডিভাইস ফেরত দিলো পুলিশ

    অবশেষে সিনহাসহ তার সহকর্মীদের ডিভাইস ফেরত দিলো পুলিশ

    অবশেষে আদালতের আদেশে সিনহা ও তার সহকর্মীদের ২৯ ইলেকট্রনকি ডিভাইস র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে রামু থানা পুলিশ। জব্দ তালিকা কেন ৫ দিন পর আদালতে পাঠানো হলো সে বিষয়ে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে রামু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট হেলালউদ্দীন।

    বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে দশটা থেকে ঘণ্টা দুয়েক সময় ধরে ডিভাইসগুলো বুঝে নেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা।

    এর আগে, কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে দায়িত্ব নেয়ার তিনদিন পর ও টেকনাফ থানার ওসি মো. আবুল ফয়সলকে ১০ দিন পর বদলি করা হয়। এদিকে, ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় প্রতিবেদন দিতে আরো সাতদিন সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি।
    গত ৩১ শে জুলাই রাতে শামলাপুরে চেকপোষ্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার নিহত হওয়ার পরপরই নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে রামু থানা পুলিশের জব্দ করা ২৯টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস বুঝে নিল র‌্যাব।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা থেকে ঘণ্টা দুয়েক সময় ধরে ডিভাইসগুলো বুঝে নেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা। এর আগে কক্সবাজার সদর থানা ও টেকনাফ থানার ওসিকে বদলি করা হয়। ওই দিন দুপুরে ডিভাইসগুলো ফরেনসিক পরীক্ষা করতে পুলিশের আবেদন খারিজ করেন আদালত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই নিহত

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই নিহত

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আসামির ছুরিকাঘাতে আমির হোসেন (৩৫) নামে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত আমির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দিয়ারচর গ্রামের মোনতাজ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত মণি শঙ্কর চাকমা নামে থানার আরেক এএসআইকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    পুলিশ জানায়, একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে মামুন মিয়াকে ধরতে সহকর্মী মণি শঙ্করকে নিয়ে অভিযানে যান এসএসআই আমির। চান্দপুর বাজার এলাকায় মামুনকে ধরতে গেলে তিনি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমির ও মণি শঙ্করের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আমিরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ বি এম মুসা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই এএসআই আমিরের মৃত্যু হয়েছে। তার বুকের দুই পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই আমিরের মৃত্যু হয়েছে।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, হঠাৎ করে আসামি মামুন এএসআই আমিরকে ছুরিকাঘাত করেছে। এতে এএসআই আমিরের মৃত্যু হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর