Tag: পুলিশ

  • পুলিশকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ

    পুলিশকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ

    গতকাল দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ঘোষণার পর পুলিশের সকল ইউনিটে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জরুরি স্বাস্থ্য বার্তা পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো বার্তায় করোনাভাইরাস সম্পর্কে আতঙ্কিত না হয়ে এ ভাইরাসের যাতে বিস্তার না ঘটে, সে বিষয়ে সচেতন হতে সকল পুলিশ ইউনিটে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুতি রয়েছে।

    পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, সম্প্রতি পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া তার নির্দেশে সকল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালকে কোয়ারেন্টাইন সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।

    জরুরি স্বাস্থ্য বার্তায় বলা হয়েছে, কোনো পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি পুলিশের রয়েছে।

    কোনো পুলিশ সদস্য জ্বর, কাশিসহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে স্থানীয় পুলিশ হাসপাতাল বা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

    এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এ ভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

    আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজনের পরিবারের ৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৩৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।

  • মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ:আইজিপি

    মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ:আইজিপি

    বাংলাদেশে পুলিশের ইন্সেপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ। পুলিশের সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং জনগণের সঙ্গে পুলিশের ব্যবহার হবে মধুর ও আন্তরিক। ইতিমধ্যে অনেক অপরাধ ঠেকিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

    সোমবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মডেল থানা ও পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

    আইজিপি বলেন, সংস্কার কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রের সক্ষমতার ওপর লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে যে ভীতি রয়েছে, তা দূর করতে দেশের সব থানাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। থানায় কর্মরত কর্মকর্তা ও ফোর্সদের মানসিকতার পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে।

    তিনি আরও বলেন, দেশের থানাগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে থানায় কী ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। থানায় থানায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নারী-শিশু-বৃদ্ধ-প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সার্ভিস ডেক্স করে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।

    পুলিশের সংস্কার কার্যক্রমে জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের সংখ্যা যুক্তিপর্যায়ে বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বর্তমানে দেশে সাড়ে ৮০০ জনের মধ্যে একজন করে পুলিশ, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।

    সাইবারক্রাইম বিশ্বব্যাপী বড় সমস্যা মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জেলাপর্যায়ে সেল গঠন করা হয়েছে।

    আইজিপি ভবন উদ্বোধন শেষে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি গাড়ির চাবি তুলে দেন কোটচাঁদপুর থানার ওসি মাহবুবুল আলমের হাতে।

    এর আগে থানা চত্বরে একটি নারিকেলগাছের চারা রোপণ করেন এবং নবনির্মিত ভবন ঘুরে দেখেন তিনি। ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানা ও পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

    এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম খান চঞ্চল, আনোয়ারুল আজীম আনার, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএমসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’

    ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’

    বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, পুলিশ আগের চেয়ে অনেক বেশি জনবান্ধব হয়েছে।

    তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন চেয়েছিলেন পুলিশ বাহিনীকে সেভাবে গড়ে তোলার কাজ চলছে।

    ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে খেলাধূলাসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মে জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

    সোমবার নরসিংদী জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    পুলিশপ্রধান বলেন, একটা সময় সাধারণ মানুষ থানায় বা পুলিশের কাছে যেতে ভীত ছিল, এখন সেই পরিবেশ আর নেই। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে যেমন পুলিশ চেয়েছিলেন আমরা তেমন জনগণের পুলিশ হতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি পুলিশকে সেবার মানসিকতা ও মানবিক পুলিশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। সেবার আধুনিকায়নের সুবাদে গত বছর ৫৮ লাখ জনগণের কাছে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করেছে, মুজিব শতবর্ষে সারাদেশের প্রতিটি থানা জনগণের আস্থায় পরিণত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    সোমবার দিনব্যাপী নরসিংদীর সাহেপ্রতাবস্থ পুলিশ লাইনস্ মাঠে এই সমাবেশ ও ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইজিপি।

    নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। এসময় ঢাকা বিভাগের সকল জেলার পুলিশ সুপারসহ নরসিংদীর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সুধী মহলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • পুলিশের মহানুভবতায় পিতা-মাতার কোলে ফিরল তিন শিশু

    পুলিশের মহানুভবতায় পিতা-মাতার কোলে ফিরল তিন শিশু

    নওগাঁর আত্রাইয়ে হারিয়ে যাওয়া তিন শিশু ফিরল মা-বাবার কোলে। গতকাল রবিবার রাতে তাদের মা-বাবার হাতে তুলে দেয় পুলিশ। সন্তানদের ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা পিতা-মাতাগণ।

    ওই তিন শিশু হলো- বাগমাড়া উপজেলার বীরকয়া গ্রামের মান্নান মণ্ডলের ছেলে শিহাব, একই গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে আসিব হোসেন ও আশরাফ হোসেনের ছেলে মাহফুজ।

    উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ঘুরাঘুরি কালে ছোট্ট তিন শিশুকে আত্রাই থানার ডিএসবি নুরুল ইসলাম দেখতে পায়। পরে তাদের নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তারা কান্নাকাটি করতে থাকে এবং বলতে থাকে তারা ঘুরতে ঘুরতে এ পর্যন্ত চলে এসেছে। পরে তিনি তাদের থানায় নিয়ে যান।

    থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মতর্তা (ওসি) মোসলেম উদ্দিন জানান, হারিয়ে যাওয়া ওই শিশুদের থানায় নিয়ে এসে রাতের খাবার খাওয়ানোর পর তাদের পরিবারে খবর পাঠালে তারা থানায় আসেন। পরে রাতেই সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে তাদের মা-বাবার কাছে তুলে দেয়া হয়। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

  • ভাষা দিবসে ছিন্নমূলদের পেট ভরে খাওয়াল পুলিশ

    ভাষা দিবসে ছিন্নমূলদের পেট ভরে খাওয়াল পুলিশ

    মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গভীর রাতে ছিন্নমূল, গরীব ও অসহায় লোকজনকে পেট ভরে খাবার খাওয়াল জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচবিবি রেলস্টেশন এলাকায় গরীব ও অসহায়দের জন্য এ পিকনিকের আয়োজন করা হয়।

    সেখানে শতাধিক ছিন্নমুল ও অসহায় ব্যক্তিদের খাবার বিতরণ করেন পাঁচবিবি থানার পুলিশ সদস্যরা।

    এসময় থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার এসআই ফারুক হোসেনসহ থানার পুলিশ সদস্যরা তাদের সঙ্গে বসে খান।

    গভীর রাতে অসহায়দের খাবার খাইয়ে প্রশংসায় ভাসছে পাঁচবিবি থানা পুলিশ। গভীর রাতে এই দৃশ্য দেখে এক ট্রেনযাত্রী জানান, ভাষা দিবসে এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাতে এমন কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

    স্টেশন এলাকার হতদরিদ্র মনিরা বেগম বলেন, ‘পুলিশ স্যাররা আমাদের আজ পেট ভরে খাওয়ালেন। আমরা তাদের জন্য ও শহীদদের জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করব।’

    পৌর এলাকার দানেজপুর মহল্লার হোটেল কর্মচারী মান্নান মন্ডল বলেন, ‘এবার পাঁচবিবিতে ভাষা শহীদদের শুধু ফুল দিয়েই শ্রদ্ধা জানানো হয়নি, তাদের রূহের মাগফেরাত কামনায় ওসি শতাধিক গরীবকে পেট ভরে খাইয়েছেন। এমন উদ্যোগ দেশের সব থানার নেয়া উচিত।’

    থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, ‘এসব গরীব-অসহায় লোকগুলো অর্থের অভাবে সব সময় ভালো খেতে পারেন না। এ কারণে থানার সব পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় মুজিববর্ষ ও ভাষার মাসে তাদেরকে একবেলা পেট ভরে খাওয়ানো হয়েছে।’

  • নবজাতক চুরির নেপথ্যের গল্প উদঘাটন করল পুলিশ! নবজাতক উদ্ধার, ৫ গ্রেফতার

    নবজাতক চুরির নেপথ্যের গল্প উদঘাটন করল পুলিশ! নবজাতক উদ্ধার, ৫ গ্রেফতার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চুরি হওয়া এক নবজাতকের মায়ের দায়ের করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে নবজাতক চুরির নেপথ্যের গল্প উদঘাটন করেছে সিএমপির চাঁন্দগাও থানা পুলিশ। 

    এক এক করে ৫ বার হাত বদল হওয়া ৪ মাস বয়সী নবজাতকটি উদ্ধার করার পাশাপাশি নবজাতক চোর চক্রের ৪ সদস্য এবং গল্পের রূপকার শিশুর পিতাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হয়।

    গত ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি রোববার পর্যন্ত টানা চারদিন নগরী ও জেলার রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নবজাতক শিশুটির পিতা মো. ইসহাক (৪০), রোজি, কামাল, নাজমা ও নাসিমা।

    থানা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বরিশাল বাজার এলাকা থেকে চার মাস বয়সী এক নবজাতক শিশু চুরি হওয়ার অভিযোগ করেন শিশুটির মা। অভিযোগটি তদন্ত করতে গিয়ে ওই এলাকা থেকে সংগৃহিত একটি সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় শিশুটির পিতা মো. ইসহাক স্বেচ্ছায় এক মহিলার হাতে টাকার বিনিময়ে নবজাতকটিকে হস্তান্তর করছে।

    পরবর্তীতে শিশুটির পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অভাবের তারনায় নবজাতকটিকে মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রোজি নামে এক মহিলার কাছে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে নেন। এরপর শিশুটির মাকে সান্তনা দিতে মিথ্যে চুরির গল্প সাজায়।

    তার কথা মতে নগরীর চান্দগাঁও থানার এসআই কাজলের নেতৃত্বে একটি টিম রোজির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাঙ্গুনিয়া জেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররের পর রোজি জানায় সে কামাল নামে অন্য এক ব্যাক্তির কাছে শিশুটিকে বিক্রি করে।

    তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ কামালকেও গ্রেফতার করে। কামাল জানায় নাজমা নামের এক মহিলার কাছে নবজাতকটি বিক্রি করেন। গ্রেফতার করা হয় নাজমাকেও। তবে এবারও শিশুটির কোন হদিস মেলেনি। আবারও নাজমার হাত ঘুরে শিশুটি চলে যায় নাসিমা নামের অপর এক মহিলার হাতে।

    অবশেষে জেলার রাউজান থেকে নাসিমাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ৫ বার হাত বদলের পর নবজাতক শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করে।

    এসব তথ্য নিশ্চিত করে অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এসআই কাজল জানায়, শিশুটি চুরি কিংবা অপহরণ হয়নি। শিশুটির পিতাই মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে তার স্ত্রীর কাছে এসে মিথ্যে চুরির গল্প সাজায়।

    তিনি বলেন, আমরা চারদিনের টানা অভিযানে এ গল্পের মূল রহস্য উদঘাটন করি এবং নবজাতক চোর চক্রের ৪ সদস্যসহ শিশুটির পিতাকে গ্রেফতার করি। থানার সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে বললেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

  • চলন্ত সিএনজি থেকে ছুড়ে ফেলা শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিল পুলিশ

    চলন্ত সিএনজি থেকে ছুড়ে ফেলা শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিল পুলিশ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব প্রিন্স : চট্টগ্রামে সাত মাস বয়সী এক শিশু কণ্যাকে চলন্ত সিএনজি অটোরিকশা থেকে কবরের পাশে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে গেছে অজ্ঞাত ব্যাক্তি। তবে এক পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় বেঁচে গেছে এ ছোট্ট শিশুটির প্রাণ।মানবিক পুলিশ ২

    জানা যায়, এসময় ঘটনাস্থলেই কর্তব্যরত ছিলেন নগরীর খুলশী থানার এএসআই হিরণ মিয়া। ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে গিয়ে শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওসি প্রণব চৌধুরীর নির্দেশে নিজের কোলে নিয়ে হিরণ ছুটলেন চমেক হাসপাতাল। বর্তমানে শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ) বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে একটি পোস্ট করা হয়। মানবিক পুলিশ ৩

    পোস্টে হায়রে মানবতা হায়রে মাতৃত্ব শিরোনাম দিয়ে এতে লেখা হয়, আজ দুপুর অনুমান একটার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের আওতাধীন খুলশী থানার পলিট্যাকনিকেল এলাকায় মডেল স্কুলে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব¡ পালন করছিল খুলশী থানার এএসআই হিরন মিয়া।

    দায়িত্ব পালন কালে হিরণ হঠাৎ দেখতে পায় দ্রুতগামী একটি সিএনজিচালিত ট্যাক্সির ভিতর থেকে ছোট বস্তু সদৃশ কিছু একটা ফেলে দিয়ে সিএনজি ট্যাক্সিটি চলে যাচ্ছে। সাথে সাথে হিরন ঘটনাস্থলে এগিয়ে যায় এবং সেখান থেকে অনুমান ৭/৮ মাসের একটি বাচ্চা মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন।

    তাৎক্ষণিকভাবে তিনি অফিসার ইনচার্জ খুলশী থানার সাথে আলোচনা করে বাচ্চাটিকে সুচিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায় এবং উত্তর বিভাগের পক্ষ থেকে বাচ্চাটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলে ধীরে ধীরে বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে ওঠে। বর্তমানে সে হাসপাতালে ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।

    এ.সি.আই হিরনের এই মানবিকতা যেন সকলকে স্পর্শ করে, আর মুজিববর্ষের অঙ্গীকারে আমরা যেন সকলে হয়ে ওঠে মানবতার বাতিঘর।মানবিক পুলিশ ৪

    হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে চমেকের ৮ নং ওয়ার্ডে  ছুটে যান খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, শিশুটির তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়ায় বর্তমানে তার অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে। তিনি আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শিশুটিকে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশাটি শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।

  • চুরি হওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দিলেন পুলিশ

    চুরি হওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দিলেন পুলিশ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক : কক্সবাজারের লালদিঘীর পাড়ের একটি ব্যাচেলর বাসা থেকে চুরি হওয়া (apple macbook laptop) ল্যাপটপ উদ্ধার করে মালিকের হাতে হস্তান্তর করেছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সদর থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শহরের টেকপাড়া এলাকার হাসানের বাড়ি থেকে চোরাই করা ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয়।

    উদ্ধারের পর আদালতের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ল্যাপটপের মালিক মো. শরীফের হাতে হস্তান্তর করেছে সদর থানার এসআই রাজিব পোদ্দার।

    এসআই রাজিব জানান, চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা শফিউল আজমের ছেলে মো. শরীফগেত ২ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন কক্সবাজারের একটি মোবাইল কোম্পানীতে চাকুরীর সুবাধে জেলা সদরের লালদিঘী পাড় এলাকায় ব্যাচেলর বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

    তিনি অভিযোগে বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যাচেলর বাসা থেকে তার গুরুত্বপূর্ণ ল্যাপটপটি চুরি হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সাকের্ল) আদিবুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ শাহজানান কবিরের পরামর্শে ওই এলাকার বেশ কিছু সিসি ক্যামরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। একটি ফুটেজে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।

    পরে বুরিং নামে একজনকে গ্রেফতার করার পর তার দেওয়া তথ্যমতে টেকপাড়ার জনৈক হাসানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয়েছে।

    গ্রেফতার আসামির আদালতে জবানবন্দি নিয়ে এবং সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রকৃত মালিক মো. শরীফকে ল্যাপটপ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

  • আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ১৭২ পরিবারকে মশারি ও মাদুর দিলেন পুলিশ

    আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ১৭২ পরিবারকে মশারি ও মাদুর দিলেন পুলিশ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১৭২ পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে পুলিশ। ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যক পরিবারের মাঝে পুলিশের পক্ষ থেকে ম্যাজিক মশারি ও মাদুর বিতরণ করা হয়।

    পাঁচলাইশ থানার বিট পুলিশ-৫৩ এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যৌথ উদ্যোগে গত রবিবার সন্ধ্যায় থানা এলাকার ডেকোরেশন গলিতে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, পাঁচলাইশ থানার কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সেলিম, পাঁচলাইশ থানার ৫৩-বিট পুলিশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি জসিমুল আনোয়ার খানসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই স্লোাগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার উদ্দ্যেশে এ আয়োজন। পর্যায়ক্রমে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

    তিনি সমাজের প্রতিটি বিত্তবান লোকদের ক্ষতিগ্রস্থ ও দুঃখী মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।

  • কুমিল্লা মহাসড়কে মাতাল চালক সনাক্তকরণে পুলিশের ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’

    কুমিল্লা মহাসড়কে মাতাল চালক সনাক্তকরণে পুলিশের ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’

    মাহফুজ বাবু : মদ বা নেশাজাতীয় কোন দ্রব্য বা পানীয় খেয়ে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো চালকদের সনাক্ত করতে বিশেষ একটি ডিভাইস নিয়ে মহাসড়কে অভিযান শুরু করেছে ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানা পুলিশ।

    শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঝাগুরজুলি আলেখারচর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে খুব সহজে এবং তড়িৎ ফলাফল পেতে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ নামের ওই যন্ত্র দিয়ে অভিযান চালানো হয়।

    এসময় ট্রাক বাস সহ বিভিন্ন পরিবহনের চালকদের ডিটেক্টর দিয়ে পরিক্ষা করা হয়।

    জানা যায়, চীন থেকে আমদানি করা এ যন্ত্রটি সারাদেশের হাইওয়ে পুলিশের কাছেই দেয়া হয়েছে। যাতে দুর পাল্লার বাস-ট্রাক এবং ভারী যানবাহন চালানোর সময় অ্যালকোহল সেবী চালকদের সহজে পরীক্ষা করা যায়।

    শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে কুমিল্লা ঝাগুরজুলি আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ যন্ত্র নিয়ে অভিযানে নামে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই টিপু রয়, এসআই জসিম ও সার্জেন্ট শাহআলম সহ সঙ্গীয় টিম।

    দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে বিশেষ এ অভিযান সম্পর্কে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের এস আই টিপু রয় বলেন, ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে মহাসড়কে অভিযানের খবর শুনে এরইমধ্যে অনেক চালক সচেতন হয়েছেন।

    শুক্রবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৫-৪৫ জন চালক কে পরিক্ষা করা হয়। এসময় অ্যালকোহল সেবী তেমন কাউকে সনাক্ত করা যায়নি।

    টিপু রয় বলেন অনেক মাদকসেবী ও চালক মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ী চালানোর ফলে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনা ঘটে সড়কে। এ অবস্থা রোধে এবং মাদকাসক্ত চালকদের চিহ্নিত করতে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ প্রযুক্তি সংযোজিত করা হয়েছে।

    ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ যন্ত্রটি দেখতে অনেকটাই বড় মুঠোফোন বা ওয়ারলেস সেটের মতো। সামনের দিকে চিকন পাইপের মতো বের হওয়া একটি পাইপের মত অংশ আছে। মাদক পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই যন্ত্রের সামনের পাইপ মুখে দিয়ে ফুঁ দিতে হয় চালকদের। ফু দেয়ার চার সেকেন্ডের মধ্যেই যন্ত্রের মনিটরে ভেসে ওঠে ফলাফল। চালক মদ্যপ হলে শতাংশ সহ ‘ইয়েস’ লেখা ওঠে। আর মদ্যপ না হলে শতাংশ হিসেবে ‘নো’।

    ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, ফলাফল ‘হ্যাঁ’ হলে সে ক্ষেত্রে ওই চালকের নাম, গাড়ির নম্বর, লাইসেন্স নম্বর ও পরীক্ষাকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ব্যাজ নম্বর ও দায়িত্বরত ইউনিটের নাম যন্ত্রটিতে লিখে দিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ওই চালক ও পুলিশ কর্মকর্তার সব তথ্যসহ একটি প্রিন্ট কপি বের হবে।

    যে কাগজ দিয়েই মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে মামলা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এছাড়াও স্পিডগান মিটার সহ আরো উন্নত প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে হাইওয়ে পুলিশে।

  • মেলায় হারিয়ে যাওয়া শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ

    মেলায় হারিয়ে যাওয়া শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ

    মা এবং মামার সাথে ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলায় বেড়াতে আসে ৯ বছরের শিশু তামান্না। বেড়ানোর এক পর্যায়ে সে মা ও মামার নিকট হতে হারিয়ে যায়।

    রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মেলায়া ঘুরার একপর্যায়ে শিশুটি মা ও মামা থেকে আলাদা হয়ে যায়।

    মেয়েটির কান্না ও আর্তচিৎকারে বাণিজ্য মেলায় দায়িত্বরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের টি আই বিপ্লব ভৌমিক ও সার্জেন্ট আলী আহাম্মদ ট্রাফিক কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল রুমে নিয়ে আসেন।

    এ সময় মেয়েটির হারানো সংবাদ ট্রাফিক কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল রুমের মাইকে বার বার প্রচার করা হয়। সংবাদ পেয়ে দশ মিনিটের মধ্যে মেয়েটির মা ট্রাফিক কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল রুমে হাজির হন।

    মেয়েকে ফিরিয়ে পেয়ে কান্নায় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং পুলিশের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

  • লুঙ্গি পরে পুলিশের ‘দুঃসাহসী’ অভিযান

    লুঙ্গি পরে পুলিশের ‘দুঃসাহসী’ অভিযান

    বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের ধরতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসব কৌশল তারা সব সময়ই গোপন রাখার চেষ্টা করেন। তবে আলোচিত ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রমী কৌশল অবলমাবন করেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

    তেমনি একটি আলোচিত ঘটনা ছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ড. সারওয়ার আলীকে হত্যাচেষ্টা মামলা। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা ছিল। কারণ ঘটনার পরে এটিকে জঙ্গি হামলা হিসেবে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল। এ মামলার বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে আসলে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন।

    এই ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।তদন্তের শুরুর পরেই তারা ফরহাদ নামের এক আসামি গ্রেপ্তার করে। কিন্তু এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নাজমুলসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা ছিল তাদের বড় চ্যালেঞ্জ।

    সে কারণে নাজমুলকে গ্রেপ্তারের বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত বুধবার দুপুরে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এ সময় তার অন্য সহযোগী শেখ রনি (২৫),ফয়সাল কবির (২৬) ও মনির হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    লুঙ্গি পরা পুলিশি অভিযানে অবাক সবাই

    পালতক নাজমুলকে গ্রেপ্তারের পিবিআই উত্তরের ছয় সদস্যদের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে যখন তারা আসামির হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ায় তখন আসামিসহ উপস্থিত সাধারণ মানুষরা অবাক হয়ে যায়। কারণ ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে যাওয়া সবাই ছিলেন লুঙ্গি পরা ব্যক্তি।

    সেই অভিযানে অংশ নেওয়া পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আলামিন শেখ। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযানের কৌশল হিসেবে আগে থেকেই লুঙ্গি পরে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলাম। তাই আসামি তো আমাদের উপস্থিতি টের পায় নাই।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এই আসামিকে যখন আমরা গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসি তখন উঁৎসুক অনেক মানুষ আমাদের দেখে নানা ধরনের মন্তব্য করছিলেন।’

    আমার দুঃসাহসী দল-পিবিআই প্রধান বনজ কুমার

    এই ঘটনার পরে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে তিনি ওই অভিযানে অংশ নেওয়া সকল লুঙ্গি পড়া পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের ছবিও দিয়েছেন। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার দুঃসাহসী দল। (অভিযান পরবর্তী সময়) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলীর উত্তরার বাসায় ডাকাতির প্রচেষ্টায় ৭ জনের মধ্যে দলনেতাসহ পাঁচজনকে বাগেরহাট, ত্রিশাল, গাজীপুর ও ঢাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা সকলেই আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ-স্বীকারমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) দলের অভিযানকারী সদস্য ছিলেন যথাক্রমে (বাঁ থেকে) ইন্সপেক্টর জুয়েল মিয়া, ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম, সাব-ইন্সপেক্টর আল আমিন শেখ, ইন্সপেক্টর আশরাফুজ্জামান, সাব-ইন্সপেক্টর ফরিদ উদ্দিন ও ৬.কনস্টেবল সুযন মিয়া।’

    ড. সারওয়ার আলী হত্যাচেষ্টা মামলার আদ্যোপান্ত

    ড. সারওয়ার আলী হত্যাচেষ্টা মামলার পালতক আসামি নাজমুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে কয়েকটি ডায়রি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে উগ্রবাদী কোনো লেখা পাওয়া যায়নি। মূলত ক্ষোভ থেকেই এই হামলা করা হয়। কারণ ২০১৭ সালে সারওয়ার আলীর স্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছে নাজমুল। তার দাবি, তখন মানুষ হিসেবে প্রাপ্য সঠিক ব্যবহার পায়নি সে। ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করাকালীন ডা. সারওয়ার আলীর স্ত্রী ডা. মাখদুমা নার্গিস তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এটি মানতে না পেরেই চাকরি ছেড়ে দেয় নাজমুল। চাকরি ছাড়ার পর থেকেই প্রতিশোধ নিতে নানা পরিকল্পনা করে সে।’

    ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, ‘মূলত এরপর থেকেই ডা. সারওয়ার আলীর পরিবারকে উচিত শিক্ষা দেয়া ও ভয় দেখিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে নাজমুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৫ জানুয়ারি রাতে উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরের বাড়িতে ঢুকে ডা. সারওয়ার আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যারচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। তবে বাসার লোকজন ও প্রতিবেশীদের তৎপরতায় তিনি এ যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান।পরে এই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।’

    পিবিআইর সূত্রে জানা যায়, আসামি নাজমুল ও ফরহাদসহ আরও কয়েক জন ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি রাজধানীর আশকোনা এলাকায় হজ ক্যাম্পের সামনে একটি হোটেলে নাস্তা করে ও হামলার পরিকল্পনা করে। ৫ জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে আশকোনা এলাকার হোটেল রোজ ভ্যালির ৩০৩ নম্বর কক্ষে নাজমুলের নেতৃত্বে ওই ৭ দুর্বৃত্ত হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে।

    ঘটনার মূলহোতা নাজমুল বাসার পরিবেশ, কক্ষ, পার্কিং প্লেস ইত্যাদি সম্পর্কে সবাইকে ব্রিফ করে এবং হামলার সময় কার কী ভূমিকা হবে তা বুঝিয়ে দেয়। নাজমুল অন্যদের জানায় যে, ডা. সারোয়ার আলীর বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।

    ঘটনার দিনে গত ৫ জানুয়ারি রাতে ১০টা ২০ মিনিটে ডা. সারওয়ার আলীর উত্তরার বাসায় স্ত্রী ডা. মাখদুমা নার্গিসসহ রাতের খাবার শেষে টিভি দেখছিলেন। এ সময় বাসার তৃতীয় তলায় বসবাসরত তাদের মেয়ে ডা. সায়মা আলীর বাসার দরজায় অজ্ঞাতনামা ২ দুর্বৃত্ত এসে কড়া নাড়ে। সায়মা দরজা খুলতেই ওই দুই দুর্বৃত্ত অতর্কিত ভেতরে সায়মা, তার স্বামী মো. হুমায়ুন কবির ও নাতনি অহনা কবিরের গলায় ছুরি ধরে। এর পর তাদের মধ্যে একজন তার মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে চতুর্থ তলায় সারওয়ার আলীর বাসায় কড়া নাড়ে। তিনি দরজা খুলতেই জোর করে ঘরে ঢুকে সারওয়ার আলীকে মেঝেতে ফেলে গলায় ছুরি ধরে। ওই সময় তার স্ত্রী চিৎকার করলে তৃতীয় তলার অপর অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত চতুর্থ তলায় আসে। তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া মেজর (অব) সাহাবুদ্দিন চাকলাদার ও তার ছেলে মোবাশ্বের চাকলাদার ওরফে সজিব চতুর্থ তলায় আসে। সাহাবুদ্দিন চাকলাদার দুর্বৃত্তদের একজনকে জাপটে ধরে এবং তার ছেলে সজিব একটি গ্লাস হাতে নিয়ে অপর দুর্বৃত্তকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে। দুর্বৃত্তরা এ সময় দ্রুত বাসা থেকে পালিয়ে যায়। তখন পর ডা. সারওয়ার আলীর মেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে দ্রুত উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ গিয়ে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া একটি মোবাইল সেট, সাতটি চাপাতি, সিমবিহীন একটি মোবাইল, আইপ্যাড, নাইলনের দড়িসহ বিভিন্ন মাল উদ্ধার করে।