Tag: পুলিশ

  • রাখাইনে ৪০ পুলিশ-সেনাকে অপহরণ

    রাখাইনে ৪০ পুলিশ-সেনাকে অপহরণ

    মিয়ানমারে একটি টহলরত নৌযানে হামলা চালিয়ে ৪০ পুলিশ ও সেনা সদস্যকে অপহরণ করেছে দেশটির জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির এক রিপোর্টে একথ বলা হয়েছে।

    এ ঘটনায় মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এই রাজ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে রাখাইনে।

    জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা রাজ্যের অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।
    সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অপহরণের ঘট্নার পর সেনারা আরাকা আর্মির ঘাঁটি গুড়িয়ে দিতে অভিযান শুরু করেছ।

    মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ্য মিন তুন বলেন, শনিবার সকালের দিকে রাখাইনের রাজধানী সিত্তের উত্তরাঞ্চলে নৌযানে কর্তব্যরত পুলিশ ও সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে নদীর তীর থেকে গুলি ছোড়ে বিদ্রোহীরা।

    তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর ১০ জনের বেশি সদস্য, ৩০ জন পুলিশ ও কারা বিভাগের আরও দুই কর্মী ওই নৌযানে ছিলেন। পরে ৪০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের অবস্থান শনাক্ত করতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার আশপাশে বিদ্রোহীদের বিশাল ঘাঁটি শনাক্ত করা হয়েছে।

  • বস্তিভর্তি ইলিশ মাছসহ ৩ পুলিশ জনতার হাতে আটক

    বস্তিভর্তি ইলিশ মাছসহ ৩ পুলিশ জনতার হাতে আটক

    নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিকার করা বস্তাভর্তি মা ইলিশসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে শরীয়তপুরের স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

    বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনের সামন থেকে তাদের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন- এএসআই মন্টু হোসেন, কনস্টেবল সঞ্জিত সমাদ্দার ও হৃদয়।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা শহরের সদর হাসপাতালের সামনে দিয়ে ৪টি মোটরসাইকেলে আরোহীদের ইলিশ মাছ নিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়রা। এরপর স্থানীয় জনতা তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাইনের সামনে গেলে ২টি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দুই বস্তা ভর্তি ইলিশসহ পুলিশের ৩ সদস্যকে আটক করে স্থানীয় জনগণ। সে সময় অন্য দুই মোটরসাইকেলসহ পুলিশের বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। আটক পুলিশ সদস্যদের পুলিশ লাইনে নিয়ে যান তারা।

    পরে পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, আটক ৩ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই ‘মাদক কারবারি’ নিহত

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই ‘মাদক কারবারি’ নিহত

    কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ এর তথ্যমতে তারা মাদক কারবারি।

    নিহতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্চরপাড়া এলাকার সামশুল আলমের ছেলে জিয়াবুল হক জিয়া প্রকাশ বাবুল এবং বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার কেফায়েত উল্লাহ ছেলে আজিম উল্লাহ।

    বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়াপাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ান, উপ-পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ, কনেস্টবল রাইসুল ইসলাম আসাদ ও শুক্কুর।

    টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল বুধবার বিকালে টেকনাফের হ্নীলা বাজার এলাকা থেকে কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি জিয়াবুল হক বাবুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ানের নেতৃত্বে টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহাসহ একদল পুলিশ টেকনাফের হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়া পাহাড়ের পাদদেশে তাদের গোপন আস্তানায় অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে যায়।

    পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে বাবুলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

    বন্দুকযুদ্ধের পর মাদক কারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাবুল ও তার আরেক সহযোগী আজিম উল্লাহকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজারে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে কক্সবাজারে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

    বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি শ্যুটারগান, পাঁচটি এলজি, ৩৬ রাউন্ড তাজা গুলি ও পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • পীরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু,পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত ৫০

    পীরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু,পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত ৫০

    রংপুরের পীরগঞ্জের ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে শামছুল হক (৫৮) নামের এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় তার মৃত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।

    এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা ২৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আধাঘণ্টা ধরে পুলিশ ও উত্তেজিত জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ উদ্দিন ও ভেন্ডাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় জনতা, ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ অর্ধ শতাধিক জনতা গুরুতর আহত হয়েছে।

    জানা যায়, শামছুল হককে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯ টায় পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগা বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে ভেন্ডাবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আটকে রাখা হয়। বুধবার সকাল ৯টায় হাজতে গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

    এদিকে নিহতের পরিবার জানায়, ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামছুল হককে গ্রেফতারের পরে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তার এই দাবির টাকা পূরণ করতে না পারায় তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

    পুলিশের ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ২৫ লিটার চোলাই মদসহ শামসুল ইসলামকে পীরগঞ্জ উপজেলার বড় দরগা ইউনিয়নের ইসমাইলপুর গ্রাম থেকে আটক করে। আটকের পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে। আজ বুধবার সকালে পুলিশ ফাঁড়ির গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ দেখা যায়।

    রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমাদের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার হাফিজসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

    পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টি এ এম মোমিনের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ থানায় শামসুল ইসলামের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ইউএনও জানিয়েছেন, সুরতহালে লাশের দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

    এদিকে আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে উক্ত ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে রংপুর পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে।

    প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের সদস্যার হলেন ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) আমিনুল ইসলাম। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহ আলম, এএসআই হরিকান্ত বর্মণ, এএসআই তাজউদ্দিন ও কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম।

    প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওই সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

  • পুলিশের মারধরের পর আবরারের ভাইয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস

    পুলিশের মারধরের পর আবরারের ভাইয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস

    নিহত বুয়েটের মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে আজ পিটিয়েছে পুলিশ। ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে বুয়েট উপাচর্য সাইফুল ইসলাম ফাহাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে বাঁধা দেন গ্রামবাসী। এ সময় গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে ভিসি ফাহাদের বাড়ি যেতে পারেননি।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে আসে। এতে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ছাড়াও তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন।

    বুধবার বিকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর পর রাতে তাই ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অ্যাডিশনাল এসপিকে নিয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন।

    এতে তিনি লেখেন, আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবি কে মারছে? নারীদের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকারদের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২ মিনিটে জানাজা শেষ করতে বলেন কিভাবে? যেই ছাত্রলীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? আমার বাবাকে হুমকি দেয়া হয়েছে আপনার আর এক ছেলে ঢাকা থাকে আপনি কি চান তার ক্ষতি হোক….. গ্রাম-এ বলা হয়েছে কেউ কিছু করলে ১ সপ্তাহ পর গ্রামের সব পুরুষ জেলে থাকবে। বিচার চাই…আমি বিচার চাই….. নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন বাবা-মা কষ্ট একবারে পাবে।

    প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জেরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

    হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

    এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় ১৪ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায়।

    এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা চকবাজার থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। পাশাপাশি গঠন করেছে একটি তদন্ত কমিটিও।

    এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • আবরারের ভাইকে পেটাল পুলিশ

    আবরারের ভাইকে পেটাল পুলিশ

    বুয়েটের নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোটভাই ফায়াজকে মারধর করেছে পুলিশ।

    বুধবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    এর আগে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

    সেখানে ভিসিকে বাঁধা দেন এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ, তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, বুয়েট ভিসি আবরারের কবর জিয়ারত করতে পেরেছেন। তবে আবরারের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তিনি।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

    কিন্তু গ্রামবাসীর তোপের মুখে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।

    বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান।

    তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে পৌঁছান বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। সেখান থেকে কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান তিনি।

    রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে আবরারের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ভিসির। এ খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আবরারের বাড়ির পাশে ও কবরের আশপাশের এলাকায় অসংখ্য র‌্যাব ও পুলিশ অবস্থান নেয়।

    গত রোববার রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

  • জিসানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে

    জিসানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে

    পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের তালিকাভুক্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

    শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    সোহেল রানা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার উদ্যোগে ও এনসিবি (ইন্টারপোল) দুবাইয়ের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনসিবি দুবাই বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে জিসানকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

    পুলিশ জানায়, দুবাই কর্তৃপক্ষ জিসানকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছিল। সেখানে তার নাম আছে আলী আকবর চৌধুরী।

    ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে ২৩ জন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর’ তালিকা করেছিল, জিসান তাদেরই একজন। এই পলাতক আসামিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

    রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে জিসানের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির একাধিক মামলাও ছিল তার নামে।

    ২০০৩ সালের ১৪ মে ঢাকার মালিবাগে একটি হোটেলে জিসানকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে গিয়ে গুলিতে নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ওই হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।

    এরপর জিসান গা ঢাকা দেন এবং ভারত হয়ে দুবাইয়ে চলে যান বলে ধারণা করা হয়। তাকে ধরতে বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল।

    সম্প্রতি ঢাকায় ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং ঠিকাদার জিকে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিসানের নাম নতুন করে আলোচনায় আসে।

    গত মাসের শেষে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, শামীম ও খালেদকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিসানের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখনই ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে নতুন নামে জিসানের দুবাইয়ে অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

  • তেজগাঁও জোনের ডিসি ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব

    তেজগাঁও জোনের ডিসি ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব

    ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

    আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নামে থাকা সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন তথ্য, বিবরণীসহ পাঠাতে বলা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার তাদের হিসাব তলব করতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    চিঠিতে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক নারী সংসদ সদস্য ফাতেমাতুজ্জহুরা তাদের ছেলে নাফিস তাহিয়াত ও মেয়ে আনিসা ফাতেমার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।

    আনিসুর রহমান বর্তমানে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার স্ত্রী ফাতেমা তুজ্জহুরা দশম জাতীয় সংসদে শেরপুরের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

    এছাড়া বিএফআইইউ অন্য এক চিঠিতে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে তারও সব ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।

    এর আগে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও সদস্য সদস্য নুরুন্নবি চৌধুরী শাওনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।

  • টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলো পিতা

    টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলো পিতা

    মাথার উপর ঋনের বোঝা। ঋণ পরিশোধের চাপের মাঝেই ৫২ হাজার টাকার লোভনীয় প্রস্তাব। তাই ঋণ থেকে মুক্তি পেতে নিজের বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে কিছু টাকার জন্য নিজের ঔরসজাত সন্তানকে বিক্রী করে দিয়ে জন্মদাতা পিতা।

    সন্তানকে বিক্রি করে ক্লান্ত হননি পিতা, কখনো কখনো অভিনয়ের ছলে সন্তানের জন্য ফেলেছেন চোখের পানিও। সামাজিকতা রক্ষায় সাজিয়েছেন ছেলে নিখোঁজের নাটক। কখনো সন্তানের জন্য নিজের বউকে পাঠিয়েছেন বৈদ্য বাড়িতে। ওঝার তাবিজ দোয়ায় সন্তানের খোঁজ মেলে এই আশাতেই মা দৌঁড়ঝাঁপ করেছেন এখান থেকে ওখানে। এভাবেই কেটে গেছে টানা তিনমাস। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সমাপ্তি ঘটে তিনমাস পর পুলিশ ছেলেটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।

    আজ ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে রাউজান থানা কার্যালয়ে সাত বছরের শিশু সন্তান রাব্বিকে যখন তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তখন সেখানে আনন্দ অশ্রুতে ছলছল করে উঠে মায়ের চোখ। সিনেমার গল্পকেও হার মানানো এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে তিনমাস পূর্বে।

    শিশু রাব্বীর নিকট আত্মীয় রহিম বিন হোসেন জানান, শিশু রাব্বির পিতা কুমিল্লা নিবাসী আহসান উল্ল্যাহ পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রাব্বির নানার বাড়ি মহেশখালী শাপলাপুর মিঠাখালী গ্রামে। সেখান থেকে পেশায় দিনমজুর আহসান উল্লাহর পরিচয় ঘটে রাউজানের কচুখাইন এলাকার জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে।

    পরিচয়ের সূত্র ধরে জাকির হোসেন তার বউয়ের বড় বোন বাচু আকতারের জন্য একটি ছেলে সন্তান কেনার আগ্রহ দেখালে টাকার লোভে পড়ে আহসান উল্ল্যাহ নিজ সন্তানকে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রী করেন। এর মাঝে পরিবারে আহসান উল্ল্যাহ তার মেয়ে নিখোঁজের কল্পকাহিনী সাজান। বাচু আকতারের সংসারে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

    টানা তিনমাস সন্তানের জন্য হণ্যে হয়ে এখানে সেখানে ছুটে বেরিয়েছেন তার মা নাছিমা আকতার। দিনে দৌঁড়ঝাপ শেষে রাতে অশ্রুচোখে নিন্দ্রাহীন চোখে তাকিয়ে থাকতেন কখন কোলে ফিরে আসবে বুকের মানিকধন। এভাবে তিনমাস অতিক্রম হওয়ার পর জাকির হোসেন রাব্বির মায়ের কাছে তার সন্তানের খবর জানিয়ে সন্তান ফেরত নিলে ৯০ হাজার টাকা দাবী করেন।

    হত-দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া নাসিমা আকতার উপায়ান্তর না দেখে অবশেষে পুলিশের শরণাপন্ন হন। নিজে স্বশরীরে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহর কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনার আদোপ্যন্ত খুলে বললে ওসি বিষয়টি দেখার জন্য নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ জাভেদ মিয়াকে নির্দেশ দেন।

    ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফোর্স নিয়ে রাতে নগরীর দিদার মার্কেট এলাকা থেকে শিশুকে উদ্ধার করে রাউজান থানা কার্যালয়ে নাছিমা আকতারের হাতে তার সন্তানকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় পিতা আহসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। মায়ের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দেওয়ার সময় থানা চত্বরে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

    টাকার জন্য সন্তান বিক্রীর বিষয়ে পিতা আহসান উল্ল্যাহ বলেন, ঋণের দায়ে তিনি এই কাজটি করেছেন।

    রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, শিশু রাব্বিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।

  • রাজধানীর ৮ থানায় ওসি পদে বদলি

    রাজধানীর ৮ থানায় ওসি পদে বদলি

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ডিএমপি সদর দফতরের এক আদেশে এ বদলি করা হয়।

    আদেশে ভাটারা থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে পল্টন মডেল থানায়, কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খানকে মতিঝিল থানায়, খিলক্ষেত থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমানকে মিরপুর মডেল থানায়, শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমানকে কোতয়ালী থানায় এবং উত্তরা-পূর্ব থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পরিতোষ চন্দ্রকে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পদে বদলি করা হয়েছে।

    এছাড়া বিমানবন্দর থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোক্তারুজ্জামানকে ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ, সবুজবাগ থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজুল আলমকে শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, বনানী থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনকে খিলক্ষেত থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

    একই আদেশে মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওমর ফারুককে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ, মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দাদন ফকিরকে গোয়েন্দা দক্ষিণ এবং কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহিদুর রহমানকে গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

    আরো:: পুলিশ পরিদর্শক সাইফের বিরুদ্ধে হুইপের মামলা, সাময়িক বহিস্কার

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই ইয়াবা কারবারি নিহত

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই ইয়াবা কারবারি নিহত

    কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

    সোমবার রাত ১২ টার দিকে উপজেলার শিলখালী সাপমারা পাহাড়ের পাদদেশে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সেখান ইয়াবা এবং অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিহতরা হলো- শিলখালী এলাকার উলা মিয়ার এর পুত্র মোহাম্মদ আমিন ও নূর মোহাম্মদের পুত্র হেলালুদ্দীন সুমন।

    এই ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। গোলাগুলিতে মোহাম্মদ আমিন ও হেলাল উদ্দিন সুমন গুলিবিদ্ধ হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

    আহত হয় তিন পুলিশ সদস্য। গুলিবিদ্ধ দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

    ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৫হাজার ইয়াবা দুটি বন্দুক ও ৭ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। নিহত দুই জনের বিরুদ্ধে ইয়াবার একাধিক মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান।

  • পুলিশ পিতার পিস্তলে ছেলের আত্মহত্যা

    পুলিশ পিতার পিস্তলে ছেলের আত্মহত্যা

    রাজধানীর রমনা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমানের লাইসেন্স করা পিস্তলে তার ছেলে সাদিক বিন সাজ্জাদ (১৭) আত্নহত্যা করেছেন। সাদিক রাজধানীর সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তো।

    সোমবার সকালে আজিমপুর সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় এই ঘটনা ঘটেছে।

    ডিএমপির লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আসলাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সাদিকের বাবা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান। আজিমপুর সরকারি কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গেই থাকতো সে। ভোরের দিকে বাসায় থাকা তার বাবার লাইসেন্স করা পিস্তলের গুলিতে সে আত্মহত্যা করে।

    ঘটনাস্থলে থাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাবো। তবে আত্মহত্যার কোনো কারণ জানাতে পারেননি তিনি।