Tag: পেঁপে চাষ

  • খাগড়াছড়িতে সম্প্রসারতি হচ্ছে বাণজ্যিকি ভিত্তিক উচ্চ ফলনশীল পেঁপে চাষ

    খাগড়াছড়িতে সম্প্রসারতি হচ্ছে বাণজ্যিকি ভিত্তিক উচ্চ ফলনশীল পেঁপে চাষ

    নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে বহু উদ্যোক্তা যেমন আর্থিক উর্পাজনের পথ খুঁজে পেয়েছে, তেমনি বহু মানুষের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি হয়েছে।

    বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পেঁপে চাষ অতীতে খাগড়াছড়িতে হয়নি বললেই চলে। কিন্তু গত চার বছর ধরে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বহু উদ্যোক্তা উচ্চ ফলনশীল পেঁপে চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন।

    খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সুরেন্দ্র মাষ্টার পাড়া ও শিব মন্দির এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি পেঁপে বাগান গড়ে উঠেছে।

    চাষীরা জানান, পেঁপে চাষে অর্থ বিনিয়োগ করলে খুব দ্রুত তা ফিরে পাওয়া যায়। এটি বেশ লাভজনক। অর্থাৎ পেঁপে চাষে অর্থ বিনিয়োগ করলে পাঁচ মাসের পর থেকে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাওয়া শুরু হয়। তার মানে পেঁপে বাগানের পাঁচ মাসের পর থেকে ফলন পাওয়া শুরু হয়।

    এই এলাকার সবচেয়ে বড় বাগানের মালিক হলেন সুজন চাকমা। তিনি জানালেন, তারা তিন বন্ধু মিলে চার একর পতিত জমি, চার বছরের জন্য লিজ নিয়ে পেঁপে বাগান শুরু করেছেন এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। লিজ নেয়া জায়গায় তারা চার হাজার উচ্চ ফলনশীল রেডলেডি জাতের পেঁপে চারা রোপন করেন। আগষ্ট মাস থেকে বাগানে ফলন শুরু হয়। এর আগে তারা পেঁপে চারার সাথে সাথি ফসল হিসেবে খিরা রোপন করেছিলেন। সেই খিরা বিক্রি করে তারা পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন। খিরা থেকে উপার্জিত আয় ও নিজেদের বিনিয়োগ করা অর্থ মিলে তারা এ পর্যন্ত মোট সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন।

    তিনি আরো জানান ইতিমধ্যেই তাদের বাগানের বিনিয়োগ করা অর্থ তুলতে পেরেছেন।
    অক্টোবর মাস থেকে এই বাগানটি তারা এক ব্যবসায়ীর কাছে ৬৫ লক্ষ টাকায় লিজ দিয়েছেন। এই লিজ এর মেয়াদ ৩১ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত। ঐ ব্যবসায়ী বর্তমানে বাগান থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০-১২ টন পেঁপে সংগ্রহ করেন। এই পেঁপে সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনি, কুমিল্লায় সরবরাহ করেন।

    শিব মন্দির এলাকার আরেক চাষী দেবব্রত চাকমা জানান, পেঁপে চাষ লাভজনক তবে চাষীকে চাষের কৌশল জানতে হবে ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।

    কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, খাগড়াছড়ি সূত্রে জানা যায়, এ বছর খাগড়াছড়ি জেলায় ৩৯২ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এই আবাদের পরিমাণ ১২০ হেক্টরের বেশী।

    খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্সি রশিদ আহমদ জানান, পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে সমতল জায়গা গুলোতে পেঁপে চাষ খুবই উপযোগী। ইদানিং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পেঁপে চাষ খাগড়াছড়িতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/প্রদীপ চৌধুরী

  • সীতাকুণ্ডে ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ : কৃষকের মুখে হাসি

    সীতাকুণ্ডে ২৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ : কৃষকের মুখে হাসি

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ডে পাহাড়ে পেঁপে চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এখন পাহাড়ে সারাবছরই চাষ হচ্ছে পেঁপের। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় এখানকার প্রায় দেড় হাজার কৃষকের মাঝে পেঁপে চাষে সচ্ছলতা এসেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রায় সর্বত্রই কমবেশি পেঁপে চাষ করছেন কৃষকরা। তবে সবচেয়ে বেশি পেঁপে চাষ হয় কুমিরা ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায়।

    দেখা গেছে, সোনাইছড়ি পাহাড় এখন পেঁপে বাগানে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিগত জমি ও সরকারি পাহাড় লিজ নিয়ে এখানে বেশ কয়েকটি পেঁপে বাগান গড়ে তুলেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

    এলাকাবাসী জানান, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়ার ফুলতলা পাহাড়ে ইতিমধ্যে পেঁপে চাষের জন্য সুপরিচিতি। পার্শ্ববর্তী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পাহাড়েও উল্লেখযোগ্য পেঁপে চাষ হয়ে থাকে। ফলে এখান থেকে পেঁপে কিনে নিয়ে যেতে প্রতিদিন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারী ব্যবসায়ীরা ভীড় করেন।

    ফুলতলার পেঁপে চাষী মো. নাসির উদ্দিন জানান, তিনি নিজে ৫০ শতক জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে কয়েকদফা পেঁপে বিক্রি করেছি। তিনি জানান, শুধু কুমিরা এলাকাতেই পেঁপে চাষ করে অনেক কৃষক নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন।

    কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, চাষাবাদে সার, কীটনাশক, শ্রমিক মুজুরি ও চারা ক্রয়সহ বিভিন্নভাবে তার যা খরচ হয়েছে তার দ্বিগুণ লাভ করেছি। তিনি জানান, শীত ও বর্ষা সবসময় তারা পেঁপে চাষ করেন। পাহাড়ি এলাকায় পেঁপে চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বর্ষায়ও গাছের গোড়ায় পানি না জমায় তেমন ক্ষতি হয় না।

    কৃষকরা জানান, চলতি বর্ষায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হলেও পেঁপে বাগানগুলোর ক্ষতি হয়নি। ফলে অনেকটা নিশ্চিন্তে চাষাবাদ করছেন তারা। গাছেও ফলন খুব ভালো। প্রতি কেজি পেঁপে পাইকারী দরে ১৫/২০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। তবে সরকারিভাবে পেঁপে চাষিদের তেমন কোনো সহায়তা প্রদান করা হয় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

    যদি সহজ শর্তে কৃষি ঋণসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হত তাহলে কৃষকরা এই ফল চাষে অনেক বেশি আগ্রহী হতেন বলে দাবি তাদের।

    পেঁপে চাষে স্থানীয় চাষিরা স্বচ্ছল হচ্ছেন জানিয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, সীতাকুণ্ডে ২৫০ হেক্টর জমিতে দেড় হাজার কৃষক পেঁপে চাষ করেন। সোনাইছড়ি থেকে ছোট কুমিরার সুলতানা মন্দির পর্যন্ত এলাকায় পাহাড়ে প্রচুর পেঁপে চাষ হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব পেঁপে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।

    আরো:: হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

    ২৪ঘন্টা/কামরুল ইসলাম দুলু/রাজীব.