Tag: পেঁয়াজ

  • ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আনবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

    ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আনবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

    রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নিজ বাসভবনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

    বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগে চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ক বেশি ছিল। শুল্ক যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে আনা যায় সে ব্যাপারে এনবিআরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সেই সঙ্গে ভারত থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হবে। এছাড়া ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশ থেকে তেল চিনি আসছে।’

    আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমদানিকারক, লোকাল উৎপাদক, কৃষি বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, রমজান উপলক্ষে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য আমাদের মজুত আছে। এছাড়াও আগামী তিন মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত আছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুসারে কেউ মজুত করে কৃত্রিমভাবে যেন দাম বৃদ্ধি না করতে পারে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাজারে নজরদারি শুরু হয়েছে। আন্তমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। উদ্যোক্তা থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া এক কোটি মানুষকে টিসিবির কার্ড দিয়ে রমজানে পাঁচটি পণ্য দেওয়া হবে।’

    এ সময় দেলুদয়ার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     

  • অতিরিক্ত মুনাফায় পেঁয়াজ বিক্রি করায় বাঁশখালীতে ৭ দোকানির জরিমানা

    অতিরিক্ত মুনাফায় পেঁয়াজ বিক্রি করায় বাঁশখালীতে ৭ দোকানির জরিমানা

    অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে বাঁশখালীতে সাত দোকানিকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারীর নেতৃত্বে টাইম বাজার, চাম্বল ও প্রেম এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা ক্রয়মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভোক্তা অধিকার আইনে মূল্যতালিকার চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগে এ জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • পেঁয়াজ ইস্যুতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    পেঁয়াজ ইস্যুতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠ পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হঠাৎ দাম বৃদ্ধির পেছনে দায়ী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি।

    সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচ্য সূচির বাইরে আলাদা করে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।

    বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    সচিব বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) ক্যাবিনেটে না, আলাদাভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বলেছেন। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন- মাঠ পর্যায়ে এখন ক্লোজ মনিটরিং হচ্ছে এবং আজকে তার কিছুটা ইম্প্যাক্ট পাওয়া যাচ্ছে, এটা দেখতে পাচ্ছেন তো আপনারা, পাচ্ছেন না? গতকাল যে ট্রেন্ড ছিল আজকে সে ট্রেন্ড নেই।

    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সুনির্দিষ্টভাবে কী ছিল— জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানো। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের দিকে নজরদারি বাড়ানো এবং যারা অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা।

    নির্দেশনা পাওয়ার পর মাঠপর্যায়ে টিম কাজ করছে বলে জানান সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

    প্রসঙ্গত, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের অজুহাতে দেশে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। একদিনের ব্যবধানে দাম কেজিপ্রতি দিগুণ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবরে বেড়ে যায় দেশি পেঁয়াজের দামও। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। হঠাৎ করে আমদানি বন্ধ এবং দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

  • যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির অনুরোধ চট্টগ্রামের ডিসির

    যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির অনুরোধ চট্টগ্রামের ডিসির

    ১২০-১২৫ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলার আমদানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

    জেলা প্রশাসক বলেন, এখন থেকে চট্টগ্রামের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে যেসব গোডাউন রয়েছে সব গোডাউনের তথ্য নেওয়া হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবো।

    তালিকা ছাড়া কোনও গোডাউনে মালামাল পেলে সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে জব্দ করবো। শুধু পেঁয়াজের ক্ষেত্রে নয়, চিনির ক্ষেত্রেও আমরা সব তথ্য চাইবো।
    সব কাগজে কলমে থাকবে হবে। কাগজপত্রহীন কোনও কিছুই আমরা ছাড় দিবো না।

    তিনি আরও বলেন, গোডাউনে মালামাল যতই থাকুক না কেন, আমরা সেটির রশিদ চাইবো। রশিদ ছাড়া কোনও মালামাল পাওয়া গেলে সেগুলো আমরা নিলামে ন্যায্যমূল্যে জনসাধারণের মাঝে বিক্রি করে দিবো। বর্ডারে কারা এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিবো।

    চট্টগ্রামের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদেরকেও একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক সঙ্গে ১০ কেজি কিংবা ৫ কেজি কিনে নিয়ে যাবেন-এটি কাম্য নয়। অন্যজনকে সুযোগ করে দিন। তাহলে বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকবে।

    চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ স্বপন বলেন, দুই-একজন ব্যবসায়ীর জন্য ব্যবসায়ী সমাজ কলঙ্কিত হবে না। তাদের অপকর্মের দায় আমরা নিব না।

    ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, পেঁয়াজের বাজার বর্ডারকেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ হয়। সেখানে আমাদের হাত থাকে না৷ বর্ডার থেকে সে সিদ্ধান্ত আসে সে অনুযায়ী আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করি। বর্ডারে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী যাদের ভালো সম্পর্ক, তারাই এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার চাইলেই তাদের এ সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে।

  • অস্থির পেঁয়াজের বাজারে জেলা প্রশাসনের অভিযান

    অস্থির পেঁয়াজের বাজারে জেলা প্রশাসনের অভিযান

    ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খাতুনগঞ্জ এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

    এ সময় মূল্য তালিকা না থাকা এবং ক্রয় বিক্রয় রশীদ অসংরক্ষনের মতো অনিয়ম এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে মেসার্স মেহের আলী ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স মোহাম্মদ আলি আহম্মদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    ব্যবসায়ীদের দাবি বেশি দামে কেনার কারণে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি তাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পাইকারি বাজার থেকে।

    পাইকারি দোকান থেকে সংগ্রহ করা রশিদে দেখা যাই সৌমিক ট্রেডার্স , আবুল বশর এন্ড সন্স, মেসার্স মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন , মেসার্স জান্নাতুল মাওয়া এই আড়তগুলো থেকে কেজিপ্রতি ১৭৫-১৯৮ টাকায় পাইকারি দোকানে বিক্রি হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আড়তদারদের জরিমানা পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করে দেন।

    অস্বাভাবিক মূল্যে পেঁয়াজ সহ ভোগ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করার পাশাপাশি মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও সরবরাহ কমার অজুহাতে যাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পরে সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হবে জানা গিয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

    জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কোনো আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুদ কিংবা এসব পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ালে জেলা প্রশাসন মজুদ করা পণ্য জব্দ করতে পারে। আড়ত এবং বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা, পণ্য জব্দ, আড়ত-দোকান সিলগালাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সাথে বসে তাদের মতামত, পরামর্শ, যুক্তি উপস্থাপন করবে।

  • মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত

    মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত

    অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

    ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করে পেঁয়াজের চালান রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।

    ১. এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই যেসব পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

    ২. যেখানে শিপিং বিল জমা দেওয়া করা হয়েছে ও পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজগুলো এরই মধ্যে বার্থিং বা পৌঁছে গেছে এবং ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে ও এই বিজ্ঞপ্তির আগে তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর ও বার্থিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পরেই এই ধরনের জাহাজে লোড করার অনুমোদন জারি করা হবে।

    ৩. যে ক্ষেত্রে এই বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ও তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে/যেখানে পেঁয়াজের চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে শুল্ক স্টেশনে প্রবেশের তারিখ ও সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে।

    এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। আর এর মধ্যেই এবার আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

  • সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

    সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

    আগামীকাল সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

    রোববার (৪ জুন) বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

    এতে বলা হয়, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়ন করছে রোডম্যাপ। এতে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দুই বছর আগে যেখানে উৎপাদন হতো ২৫ লাখ টনের মতো, এখন উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ লাখ টনের মতো।

    রোববার (৪ জুন) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয় সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য সব সময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

    পেঁয়াজের উৎপাদন ও বিপণনের বর্তমান চিত্র

    ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০ শতাংশ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪.৫৩ লাখ টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮-৩০ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬.৬৫ লাখ টন।

    এদিকে, বাজারে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ৮০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় পেঁয়াজের দাম নেমে ফের আবার ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। মূলত পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে আমদানির কথা বলা হয়েছিল কিছুদিন আগে। তখনই ৮০ টাকা থেকে নেমে প্রতি কেজি বিক্রি শুরু হয় ৭৫ টাকায়। কিন্তু আমদানির কোনো কার্যকারিতা খুচরা বাজারে না আসায় ফের পেঁয়াজের দাম ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় ঠেকেছে। এ অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির ঘোষণা দিলো কৃষি মন্ত্রণালয়।

  • খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তে অভিযান, ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

    খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তে অভিযান, ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

    চট্টগ্রাম নগরীর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে অভিযান চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    আজ রোববার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।

    অভিযান শেষে উমর ফারুক বলেন, ক্রয়মূল্যের চেয়ে বিক্রয়মূল্য বেশি হওয়া এবং দোকানে মূল্য তালিকা না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে বার আওলিয়া ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা, ফরিদপুর বাণিজ্যালয়কে ৩ হাজার টাকা এবং জাহেদ নামে এক বেপারিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

    উমর ফারুক আরও বলেন, পাইকারি বাজারের পাশাপাশি গত কিছুদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম অস্থির হয়ে উঠেছে। এর কারণ খুঁজতে অন্যান্য বাজারেও অভিযান চালানো হবে। অস্বাভাবিক দামে পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

    বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

    দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় আরও দুই-তিনদিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

    রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যম আয়ের, সীমিত আয়ের সব মানুষেরই কষ্ট হচ্ছে। ৮০ টাকা কেজি তো পেঁয়াজ হতে পারে না। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে… আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি।’
    তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ পর্যায়ে, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করেছি। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইনশাআল্লাহ দুই-তিনদিনের মধ্যে আপনারা সিদ্ধান্ত পাবেন- যে আমরা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবো কি না।’

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি। সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে। গত বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু আড়ৎদারের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পঁচে গেছে।

    তিনি বলেন, আমাদের মোট ভূখণ্ডের মোট ৬০ ভাগ জমি আবাদ করা হয়। আবার একই জমিতে একাধিক ফসল হচ্ছে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে যোগ হচ্ছে। আমরা দানাদার খাদ্যতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার কারণেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেশি।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা হওয়াও কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিষয়টা মনিটরিং করছি। আমাদের অফিসারদের মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, কৃষকদের ঘরে পেঁয়াজ থাকলেও দাম বাড়াবে- এমন আশায় তারা অনেকেই মজুদ করে রেখে দিচ্ছেন। এতে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। ধান কিংবা সরিষা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে ওজন কমে যায়, তখন দাম অনেক কমে যায়।

    আবদুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজের শেলফ লাইফ কম। আলুর মতো না। তবে আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়। যদি শেলফ লাইফ বাড়ান যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।

    এর আগে শুক্রবার রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, দাম না কমলে দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা লক্ষ্য রাখছি। আপাতত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদি দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

    চিনির দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রভাব এখনো পড়েনি। সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার কাজ করছে। আশা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাঁচাবাজারের সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি খুব যে খারাপ তা কিন্তু নয়। দুটোতেই একটুখানি ঝামেলা হয়েছে। গতানুগতিকভাবে গ্লোবাল মার্কেটে দাম বেড়েছে, যেমন ডালের দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের দাম কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে।

  • ‘দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার’

    ‘দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার’

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। একইসঙ্গে চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রভাব এখনও পড়েনি। সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার কাজ করছে।

    শুক্রবার (১৯ মে) সকালে দুই দিনের সফরে রংপুর এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটি আমার দায়িত্বে নেই। কাঁচাবাজারের সব কিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না, এর জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব একটা খারাপ নয়। কাঁচাবাজার ওঠা-নামা করে, কখনও শাকসবজির দাম বাড়ে আবার কমে।

    তিনি আরও বলেন, শুধু পেঁয়াজ এবং চিনি নিয়ে একটু ঝামেলা চলছে। এটাও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। চিনির দাম বৈশ্বিকভাবে ওঠা-নামা করায় তার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে সরকার নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নে চেষ্টা করছে।

    টিপু মুনশি বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি করা পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বৈশ্বিক বিবেচনায় আমরা ভালো আছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের তা সহ্য করতে হবে। বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, পীরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদি হাসান সিদ্দিকী রনি, সাবেক যুবলীগ নেতা মহসিনুল বারী শিমুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

  • রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

    রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

    রাজধানীতে হঠাৎ করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

    বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজ ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা।

    কাওরানবাজারে ব্যবসায়ী শাসমুদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ৪৫ টাকা কেজি পাইকারি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু, এক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। এ ছাড়া খুচরা বাজারে দোকানিরা ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন পেঁয়াজ। তিনি বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এ কারণে ফরিদপুরের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। তাই, আমাদের এখন বাড়তি দামে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।

    শনির আখড়ার ব্যবসায়ী রজমান আলী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এক দিনে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা। আমার পেঁয়াজ আগে কেনা, তাই ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আজ পেঁয়াজ ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করার সুযোগ নেই।’

    বেড়েছে মুরগির দামও

    এদিকে, বাজারে পেঁয়াজের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা। আর, চলতি মাসের শুরুর দিকে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।

    এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। গত মাসের শুরুর দিকে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে, সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম নতুন করে বাড়েনি।

    সবজির বাজার

    সবজির বাজারে সবচেয়ে দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। এক কেজি গাজর ১২০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এ ছাড়া শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, ঝিঙে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, ঢ়েঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকার কেজি , বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও মুলার ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    মাছের বাজার

    বাজারে রুই মাছের কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, কাতল মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, কই ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, নদীর চিংড়ি ৬০০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৭০০ টাকা কেজি, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা কেজি, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

    এন-কে

  • মায়ানমার থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান চট্টগ্রামে

    মায়ানমার থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান চট্টগ্রামে

    মায়ানমার থেকে আমদানি করা দুই কনটেইনার পেঁয়াজ চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে।

    চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে দেশে এলসি হওয়া পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি। পাইপ লাইনে আছে পাকিস্তান, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ।

    আজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান কায়েল স্টোর।

    এরআগে সোমবার ৫৮ মেট্রিক টন মায়ানমারের পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঙ্গ নিরোধ কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল জানান, পেঁয়াজের প্রথম চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এ সব পেঁয়াজ এসেছে মায়ানমার থেকে। এর পরপরই পাকিস্তান থেকে এসেছে আরও ১১৬ টন পেঁয়াজ। এছাড়াও তুরস্ক, নেদারল্যান্ড ও মিসর থেকেও পেঁয়াজ পাইপ লাইনে আছে।

    চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঙ্গনিরোধ কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৪ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৩২২টি অনুমতিপত্র (আইপি) নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজের সংকট মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কাস্টম হাউসের অভ্যন্তরীণ ‘গ্রূপ-১’ শাখায় পেঁয়াজের চালান খালাসের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। গ্রূপ-১ এর দায়িত্বে থাকা একজন সহকারী কমিশনার বলেন, পেঁয়াজের চালান খালাসে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

    এদিকে বন্দরে পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্বস্তি ফিরেছে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে।

    এখানকার পেঁয়াজ রসুন আদার বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, পেঁয়াজ সংকট শুরুর পর ভারতের বিকল্প দেশের মধ্যে সাগর পথে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রথম ঢুকছে মায়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ। সোমবার রাতে ২ কনটেইনার পেঁয়াজ ঢুকেছে বিভিন্ন আড়তে। এ পেঁয়াজের আকার, রং ও স্বাদ দেশি পেঁয়াজের মতো হওয়ায় দামও ভালো পেয়েছেন আমদানিকারক।

    ২৪ ঘণ্টা