Tag: পেঁয়াজের

  • চট্টগ্রামে মাছ, মাংস ও সবজিতে স্বস্থি, বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম

    চট্টগ্রামে মাছ, মাংস ও সবজিতে স্বস্থি, বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম

    নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে সবজি-মাছ ও মাংসের দাম। তবে কিছুটা দাম কমার পরে সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম।

    শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, রিয়াজউদ্দিন ও কাজীর দেউড়ী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা কমেছে।

    সবজির মধ্যে নতুন আলু ৫৫-৬০ টাকা, পুরনো আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও পুরনো আলু ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা এবং নতুন আলু ৫০ টাকার মধ্যে কেজিপ্রতি কিনতে পেরেছে ক্রেতারা।

    এদিন ফুলকপি ২৮-৩২ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, মুলা ২৮-৩০ টাকা, টমেটো ৬০-৮০ টাকা, বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, শিম ৫৫-৬৫ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ টাকা, গাজর ৬৫ টাকা, কাঁচা পেপে ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫৫ টাকা, শিমের বিচি ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

    এদিকে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছের সরবরাহও বেড়েছে। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় চট্টগ্রামে মাছের বাজারেও দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা কমেছে।

    বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা কেজিতে কমে এখন (আকারভেদে) ২৩৫ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল ১৬৫ থেকে ২৩০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৫০, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ফার্মের কৈ মাছ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।

    অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। বাজারগুলোতে শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছে ১২০ টাকা দরে। তাছাড়া ১৯০-২০০ টাকা কেজি দরে সোনালী মুরগী এবং দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে।

    ৯০-৯৫ টাকায় এক ডজন ফার্মের মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে শুক্রবারের বাজারে। গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।

    দাম বেড়েছে নতুন আলু ও পেয়াজের। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পুরানো দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

    বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, আটাশ চাল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট প্রকারভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরাইশ ৬০ থেকে ৬২ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, খোলা ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ম্যাজিস্ট্রেট দেখলেই দোকানে সাটানো মূল্য তালিকায় ঘষা-মাজা/ অর্থদণ্ড

    ম্যাজিস্ট্রেট দেখলেই দোকানে সাটানো মূল্য তালিকায় ঘষা-মাজা/ অর্থদণ্ড

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট প্রবেশ করতেই অনেক দোকানী তাদের সামনে সাটানো মূল্য তালিকায় দাম কমিয়ে ঘষা মাঝা করছে। আবার অনেকে দোকানের সামনে মূল্য তালিকাও উধাও। কিছু কিছু ব্যবসায়িকে নিজেদের মতো করে দাম নিতে দেখা যায়।

    আজ সোমবার ৭ সেপ্টেম্বর নগরীর আগ্রাবাদের চৌমুহনী বাজার ও ২ নং গেইটের কর্ণফুলী মার্কেটে পেঁয়াজের খুচরা বাজারের চিত্র এটি।

    গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে আবারো মাথা চড়া দিয়ে উঠা পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমাতে পাইকারি বাজারের পর এবার খুচরা বাজারেও অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন।

    পেঁয়াজের মূল্য তালিকায় লাগাম টানতে নগরীর দুটি বাজারে আজ অভিযান পরিচালিত হয়। সোমবার ৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ও মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৯ ব্যবসায়ির কাছ থেকে মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    অতিরিক্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় কর্ণফুলী মার্কেটের হাজা স্টোর, নিউ বিসমিল্লাহ স্টোর, কাশেম স্টোরকে ২ হাজার টাকা করে এবং হাজী স্টোরকে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    অন্যদিকে একই অপরাধে নগরীর আগ্রাবাদ চোমুহনী মার্কেটের নুরে মদীনা স্টোরকে ২ হাজার, সাগর স্টোরকে ২ হাজার, এবং মিলন স্টোর, আরিফুল স্টোর ও আলাউদ্দিন স্টোরকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

    পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে কারা জড়িত তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, আজ খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়, কম দামে পেয়াজ কেনা থাকলেও বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে তারা প্রতি কেজি পেয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি করছে। যার ফলে তাদের অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

    ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেয়াজের মূল্য যাতে বৃদ্ধি না হয় সে লক্ষ্যে আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে। যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী পেয়াজের দামে আগের মতো কারসাজি করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • পেঁয়াজের দরে কারসাজির তালিকায় অভিযান শুরু : আটক দুই, বন্ধ করা হয় প্রতিষ্ঠান

    পেঁয়াজের দরে কারসাজির তালিকায় অভিযান শুরু : আটক দুই, বন্ধ করা হয় প্রতিষ্ঠান

    মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামের কারসাজিতে যুক্ত আমদানিকারক, ব্রোকার ও বিক্রেতাদের তালিকা পাওয়ার পর সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ ভিত্তিক তিন আড়তদারকে চিহ্নিত করে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন। 

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর স্টেশন রোডস্থ নুপুর মার্কেটে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দুজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিসি অফিসে আনা হয়। পাশাপাশি একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার আমরা খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনার সময় বিভিন্ন আড়তদারের কাছ থেকে আমদানি সম্পর্কিত এবং ক্রয়-বিক্রয়ের বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। এসব চালান কপির ভিত্তিতে চট্টগ্রামের কয়েকজন পেঁয়াজ আমদানিকারককে চিহ্নিত করে মঙ্গলবার অভিযান শুরু করি।

    তিনি বলেন, শুরুতে খাতুনগঞ্জ বিভিন্ন আড়ত থেকে সংগ্রহ করা কয়েকটি ইনভয়েসের ঠিকানা ধরে নগরীর স্টেশন রোডের নপুর মার্কেটে যায়। সেখানে ওশাল কোয়ার্টারে অবস্থিত এস কে ম্যানশনের দুটি বার্মিজ পণ্যের আমদানিকারকের দোকানে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দোকান মালিকের ছেলে জিজ্ঞাসাবাদে বার্মিজ পণ্যের সাথে সম্প্রতি তারা পেঁয়াজ আমদানির কথা স্বীকার করেন।

    এসময় দোকান মালিককে না পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানের ম্যানেজার ও মালিকের ছেলেকে আটক করে ডিসি অফিসে আনা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদলের হাতে খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়িরা কারসাজির সাথে জড়িত থাকার যে সিন্ডিকেটের তালিকা দিয়েছেন বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজার টেকনাফের ওই চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে তা চড়া দামে বিভিন্ন আড়তদারের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

    তিনি বলেন, নথিপত্র অনুযায়ী গত ২ নভেম্বর বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠান ঘুরে তা সোমবার বিভিন্ন মার্কেটের আড়তদারের কাছে পেঁয়াজগুলো সরবরাহ করেছে।

  • পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকা!

    পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকা!

    মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামের কারসাজিতে যুক্ত রয়েছে ১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটে রয়েছে টেকনাফ বন্দর, টেকনাফ উপজেলা, কক্সবাজার সদর এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ভিত্তিক পেঁয়াজ আমদানিকারক, সিএন্ডএফ, আড়তদার ও কতিপয় বিক্রেতা।

    এদের যোগসাজশে মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকা দরে আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাইকারী বাজার পর্যায়ে ৯০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়িরা।

    আজ সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে আসে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসব সিন্ডিকেটের তথ্য দেন খাতুনগঞ্জস্থ ব্যবসায়ীরা।

    সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অভিযান শুরুর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন, উপসচিব কর্তৃক জেলা প্রশাসন, কক্সবাজারের নিকট পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত সিন্ডিকেটের তালিকাটি প্রেরণ করা হয়।

    তালিকায় কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার ৪ আমদানিকারক সজিব, মম (মগ), জহির ও সাদ্দাম। কাদের নামে একজন রয়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরের সিএন্ড এফ অ্যজেন্ট এ। টেকনাফের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফোরকান, দালাল শফি, বিক্রেতা গফুর, মিন্টু, খালেক, টিপু দখলে নিয়েছে পেঁয়াজের রাজত্ব।

    এদের সাথে যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আজমীর ভান্ডার, মেসার্স আল্লার দান স্টোর, নগরীর স্টেশন রোড নুপুর মার্কেটের মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজ, ঘোষাল কোয়ার্টার খাজা দস্তগীর ম্যানশনের নিচ তলার এ হোসেন ব্রাদার্স ও কক্সবাজারের টেকনাফ কে কে পাড়ার জেসি হাউজের মেসার্স আলীফ এন্টারপ্রাইজের মালিকরা।

    জানা যায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ ভিত্তিক উপরোক্ত সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আজ সোমবার বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও রিয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের আড়তগুলো পরিদর্শন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপ-সচিব সেলিম হোসেন। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

    আজকের অভিযানে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মাত্রাতিরিক্ত দামে মিয়ানমারের পেয়াজ বিক্রি করার দায়ে খাতুনগঞ্জের গ্রামীণ বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা এবং রিয়াজুদ্দিন বাজারের রুহুল আমিন সওদাগরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্য ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, অভিযানে বিভিন্ন আড়তের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মিয়ানমার থেকে পেয়াজের আমদানি মূল্য কেজি প্রতি পড়ছে ৪২ টাকা। ফলে পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ, মুনাফা ও বিবিধ খরচসহ মিলিয়ে কেজিপ্রতি পাইকারি পর্যায়ে মিয়ানমারের পেয়াজের দাম ৫৫-৬০ টাকা দরে এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশনা দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন।

    অভিযানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, র‍্যাব-৭, এপিবিএন, সিএমপি সদস্যগণ এবং বাজার পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

  • পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে খাতুনগঞ্জে ফের অভিযান : চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

    পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে খাতুনগঞ্জে ফের অভিযান : চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

    পেঁয়াজের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারী পেঁয়াজের বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

    আজ রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

    এসময় আমদানিকারকদের কাছ থেকে ক্রয় মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে খাতুনগঞ্জের চার আড়তদারকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যরাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন।

    জরিমানা আদায় করা আড়তগুলোর মধ্যে মেসার্স খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংকে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স হাজী অছি উদ্দিন সওদাগরকে ৪০ হাজার টাকা এবং বেঙ্গল ট্রেডার্স ও মেসার্স সৌমিক ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। আরো খবর : এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    এছাড়া খাতুনগঞ্জের আরো বেশ কয়েকটি আড়ত পরিদর্শণ করে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার জন্য মুল্য নির্ধারণ করে দিয়ে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেন।

    প্রায় ঘন্টাব্যাপী অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ লক্ষ্য করা গেছে। এরপরও পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে এবং নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দর পাইকারিতে কেজি প্রতি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা করে বিক্রি করছে কিছু আড়তদার। অতচ প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে মাত্র ৪২ টাকা।

    তিনি বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে খাতুনগঞ্জের চারটি আড়তকে মোট এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং প্রতিটি আড়তকে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

    প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

    এরপর একেবারে আকাশচুম্বিতে উঠে পেঁযাজের দর। একলাফে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৯০-৯৫ টাকায় পৌঁছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও নিয়মিত তদারকিতে মাঝে সামান্য দরপতন হলেও ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার।

    বর্তমানে পাইকারিতে সেঞ্চুরি পেরিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।