Tag: পেঁয়াজের দাম

  • হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

    হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

    ফের অস্থির দেশের পেঁয়াজের বাজার। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশের পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম।

    রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকায়। আর কেজিতে ১৩০ টাকা বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। কেউ কেউ ৩০০ টাকাও দাম হাঁকছেন।

    শনিবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের খাতুনগঞ্জ, রেয়াজউদ্দিন বাজার, পাহাড়তলী বাজার, বহদ্দারহাট বাজার, কাজির দেউরি বাজার, নয়াবাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

    প্রসঙ্গত, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী মার্চ পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

    ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে। এই নির্দেশনা গতকাল শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

    বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল থেকেই নগরীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজের দাম গিয়ে উঠেছে ২৫০ টাকা। আর ১০৫-১১০ টাকা কেজি দরের ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের এখন দিতে হচ্ছে ২৩০ টাকা।

    খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছেই না। শ্যামবাজারেও ভোরে যে দাম ছিল, সকাল ৯টায় তা মণপ্রতি ১০০০-১২০০ টাকা বেড়ে গেছে। বিকেল নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।

    নয় বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলরাম সাহা বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। পাইকারি বাজারে আমাদের কেনাই বেশি পড়ছে। যে কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাবে পড়েছে। ভোরে খাতুনগঞ্জ থেকে বহু কষ্টে এলসির (ভারতীয়) দুই মণ পেঁয়াজ এনেছি। আমি পাইকারিতে কিনেছি ৮ হাজার টাকা মণ দরে। আনতে খরচ পড়ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। এখন ২৩০ টাকা কেজি না বেচলে তো লস।

    পাইকারি ব্যবসায়ী স্মৃতি বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের মণ এখন ৯ হাজার টাকা। যা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ে ২২০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজের মণ ৮ হাজার টাকা। আর প্রতিকেজির দাম পড়ে ২১০ টাকা। মূলত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণায় এ দাম বেড়েছে। গতকাল সকালেও আমরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ১১০ টাকা বিক্রি করেছি। আজকে সকালে সেটা ২২০ টাকা বিক্রি করছি৷ তবে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে সম্পূর্ণরূপে উঠলে কমতে পারে দাম। আর ফেব্রুয়ারিতে নতুন পেঁয়াজের চাষ শুরু হলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে।

    এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের মেসার্স রাজিব বাণিজ্য ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী প্রদেশ পোদ্দার বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমছে৷ ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে দাম। কিন্তু উৎপাদন স্বাভাবিক থাকার পরও হঠাৎ কেন পেঁয়াজের বাজারে এই অস্থিরতা! জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, ভারত সরকারের বেঁধে দেওয়া রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার মূল্যেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যেই ভারত সরকার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণে দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের দাবি জানান তিনি।

    পাহাড়তলীতে বাজার করতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজির নিচে নেই। আর ভারতের পেঁয়াজ ২২০ টাকা কেজি। দুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা করে। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেল ১৩০ টাকা। এটা কেমন কথা দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা চাওয়া হয়েছে। এভাবে হলে আমরা কীভাবে চলবো!

    কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ড. গোলাম রহমান বলেন, ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নিদারুণ কষ্টে পরিবার নিয়ে সময় কাটছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের। বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে কিনা–সেটি খুঁজে বের করতে বাজার তদারকির বিকল্প নেই। দুর্ভাগ্য, এখনও মাঠ পর্যায়ে কাউকে দেখা যাচ্ছে না।

    এবিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। চলতি মাসে বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠলে দাম কমবে। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতেই নতুন পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘কারসাজি চক্র’ সব সময়ই সুযোগ খোঁজে পণ্যের দাম বাড়ানোর। তবে আমরা বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে কারসাজি বন্ধে অভিযান জোরদার করব।

    বিরূপ আবহাওয়ায় ফলন ভালো না হওয়ায় ভারত নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত ২৯ অক্টোবর প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। তবে কোনো দেশের সরকারের অনুরোধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানির সুযোগ দিতে পারবে বলে দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) আদেশে জানানো হয়েছে।

    এছাড়া, এরই মধ্যে যারা পেঁয়াজ আমদানির এলসি চালু করেছেন, তাদের মধ্যে যারা আদেশ জারির আগেই পণ্য জাহাজিকরণ শুরু করেছেন, তারা এর আওতামুক্ত থাকবেন। এছাড়া শিপিং বিল দপ্তরে জমা দিলে এবং সংশ্লিষ্ট জাহাজ বন্দরে ভিড়লে বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের চালান অনুমোদন করতে পারবে।

    বর্তমানে ভারতের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ রুপির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু রপ্তানি বন্ধের সংবাদে বাংলাদেশে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ২২০ টাকায় উঠে গেছে। যা একদিন আগেও যথাক্রমে দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

    গত কিছুদিন ধরেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরা দর সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায় নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এ দরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। পরে সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এরপরও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

  • এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে হস্তক্ষেপ করবে হাইকোর্ট

    এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে হস্তক্ষেপ করবে হাইকোর্ট

    ‘আপনারা এক সপ্তাহ দেখেন। এর মধ্যে যদি পেঁয়াজ নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে আমরা হস্তক্ষেপ করবো।’

    সাম্প্রতিক পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে করা এক রিট শুনানিতে আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) এই মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

    বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।

    পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রিটে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এই মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়।

  • সৈয়দপুরে পুরাতন পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা নতুন পেঁয়াজপাতা সাড়ে ৩শ’ টাকা পাল্লা

    সৈয়দপুরে পুরাতন পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা নতুন পেঁয়াজপাতা সাড়ে ৩শ’ টাকা পাল্লা

    নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে পেঁয়াজের কেজি শুক্রবারের বাজারে ২২০ টাকা কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সে সাথে নতুন পেঁয়াজপাতা বিক্রি হচ্ছে ৫ কেজির পাল্লা সাড়ে ৩ শ’ টাকায়।

    ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকালে সৈয়দপুর শহরের সবজি আড়তে গিয়ে দেখা যায় পুরাতন পেঁয়াজের বেশ মুজদ রয়েছে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ তথা পাতাসহ পেঁয়াজের আমদানি হয়েছে ব্যাপকভাবে। কিন্ত তারপরও কমেনি পেঁয়াজের দাম। বরং দুই দিন আগের ২ শ’ টাকা কেজির স্থলে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। এর সাথে নতুন মৌসুমের পাতাওয়ালা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৩৫০ টাকায়।

    নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় অধিকাংশ ক্রেতাই সেই পেঁয়াজই কিনছে। তবে পাতার পরিমান বেশি এবং পেঁয়াজ গুটি ছোট থাকায় একেবারে পেঁয়াজ নির্ভর খাদ্যপন্য তৈরী তথা রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পুরাতন পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছে ক্রেতারা। দাম না কমার কারণে রেকর্ড দাম ২২০ টাকা কেজি দরেই পেয়াজ কেনা-বেচা হচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে একজন পেঁয়াজ বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুরাতন পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে দাম সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠার আশংকা রয়েছে বলে জানান তিনি।

    অন্য এক ব্যবসায়ী অবশ্য ভিন্ন মত প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় এ সম্পাহের মধ্যেই পুরাতন পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তবে তিনি জানান, নতুন পেঁয়াজ যে হারে বাজারে আসছে তার চেয়ে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে বাজারে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ আসা মাত্রই তা ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে ট্রাকে করে পাঠিয়ে দিচ্ছে। একারণে নতুন পেয়াজ উঠলেও পেয়াজের দাম কমছেনা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সৈয়দপুরের বাইরে পেঁয়াজ পাঠালে এখানকার বাজার দর কমবে।

    এসময় ক্রেতারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এবার যে পরিস্থিতি দাঁড় করানো হয়েছে তা সরকারের ব্যর্থতার প্রকাশ। বিশেষ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বাজার মনিটরিং বা তদারকি করেননি। তাই চাহিদার সাথে মজুদের চরম হেরফের সৃষ্টি হয়েছে। যা তার অদূরদর্শীতার খেসারত। যার ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।

    সৈয়দপুর পাইকারী সবজি বাজারের আড়ৎদাররা দাম বাড়ার কারণ হিসেবে জানান, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়া বেশি দামে আমদানী করতে হচ্ছে। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে সম্প্রতি বুলবুল এর আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ায় সেখান থেকে পেয়াজ আসছেনা।

    বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া পাইকারী বাজারগুলোতে গেলে আড়ৎদাররা কোথা থেকে পেঁয়াজ আমদানী করা হয়েছে এ সংক্রান্ত চালান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ওজনে কম দেওয়া এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রির জন্য জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে প্রতি কেজি পেয়াজের।

    সৈয়দপুর সবজিবাজার পাইকারী ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, আমদানী করার ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং বা হাতে হাতে টাকা প্রদানসহ চালান ছাড়াই নেয়ার শর্তে ব্যবসা করতে হচ্ছে। তা না হলে যে পরিমান পেঁয়াজ আনা সম্ভব হয়েছে তার সিংহভাগই আনা যেত না। তাহলে পেঁয়াজের দাম আরও অনেক বেশি হতো।

  • আপাতত ১০০ টাকার নিচে নামছে না পেঁয়াজের দাম

    আপাতত ১০০ টাকার নিচে নামছে না পেঁয়াজের দাম

    পেঁয়াজের দাম আপাতত ১০০ টাকার নিচে আসার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

    আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে ইটভাটা মালিকদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সেখানে পেঁয়াদের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি বিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। তবে পেঁয়াজ ১০০ টাকার নিচে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। এ মাসের শেষের দিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমবে। তার আগে হয়তো সম্ভব হবে না।’

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার কথা। সেটা আসলেও দাম একটু কমতে পারে বলে মনে হয়।’

    তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা মূলত পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। সেখানেই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে। আমাদের দেশে আসার পর তা ১০০ টাকা দর পড়ে যাবে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আপাতত কোনো লাভ নেই।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পিঁয়াজের বাজার মনিটারিং করার জন্য মন্ত্রণালয়ে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

  • রাউজানে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রী : চার বিক্রেতাকে অর্থদণ্ড

    রাউজানে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রী : চার বিক্রেতাকে অর্থদণ্ড

    চট্টগ্রামের রাউজানে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় চার ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরের ফকিরহাট বাজারে অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ।

    এ সময় অতিরিক্ত দামে পিঁয়াজ বিক্রি করায় ব্যবসায়ী নেপালকে ২ হাজার টাকা, সজল দাশকে ৫ হাজার টাকা, স্বপন চৌধুরীকে ১০ হাজার টাকা বাপ্পা দে’ কে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।

    এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ।

  • খাতুনগঞ্জে এক ঘন্টায় পেঁয়াজের দাম কমলো ২০ টাকা

    খাতুনগঞ্জে এক ঘন্টায় পেঁয়াজের দাম কমলো ২০ টাকা

    ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার কারণে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেন ভারত। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গুদামে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ থাকা স্বর্ত্তেও পেয়াঁজের দাম বাড়িয়ে দেন পাইকাররা। অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় উৎসবে মেতেছে খুচরা ব্যাবসায়িরাও।

    পেয়াঁজের দর অস্বাভিক বৃদ্ধিতে বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ ও অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাঁচা বাজার রেয়াজুদ্দিন বাজারে চলে এ মনিটরিং।

    এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম।

    অভিযানের এক ঘন্টা আগে একাধিক আড়তে পেঁয়াজের মূল্য তালিকা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা টাঙ্গানো হলেও অভিযানের খবর পেয়ে এক ঘন্টার মধ্যেই মূল্য তালিকায় দাম লেখা হয় কেজিতে ৬০ টাকা।

    অভিযানের সময় বাজারের বৃহৎ পাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন নথিপত্র বিশ্লেষন করে দেখা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর যে পেঁয়াজের দর মাত্র ৪২ টাকা ছিলো একই পেঁয়াজের গতকাল পর্যন্ত পাইকারী দর উঠেছে ৯০ টাকা।

    গত ২০ দিনে দফায় দফায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভ্রাম্যমান আদালতের পর্যালোচনায় নথিপত্রে উল্লেখ থাকা মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পেঁয়াজ যে দামে তারা পেঁয়াজ ক্রয় করেছে তার দ্বিগুন দামে বিক্রি করা হয়েছে।

    খাতুনগঞ্জের পাইকারী পেঁয়াজের আড়ৎ মেসার্স অছিউদ্দিন ট্রেডার্স, মেসার্স আবদুল আউয়াল ট্রেডার্স, শাহজালাল ট্রেডার্স, বাগদাদী করপোরেশন, এসএন ট্রেডার্স ও খাজা ট্রেডার্সসহ অধিকাংশ আড়তেই একই অবস্থা।

    তবে অভিযানের প্রথমদিনে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সত্যতা মিললেও কাউকে জরিমানা করেনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়। ক্রয়মূল্যের সাথে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে স্বাভাবিক দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য আড়তদারদের কাছ থেকে মুচলেখা নিয়ে প্রত্যেককে সতর্ক করে দেয়া হয়। তাছাড়া একটি আড়তে মূল্য তালিকা না টাঙ্গানোর অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ম্যাজিস্ট্রেট।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম অস্বাভিকভাবে বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে খাতুনগঞ্জ ও রেয়াজউদ্দিন বাজারের পেঁয়াজের বৃহৎ আড়তগুলোর মনিটরিং করা হয়।

    তিনি বলেন, অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, এক ঘন্টা আগে যেসব আড়তে পেঁয়াজের দর টাঙ্গানো ছিলো ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। অভিযানের খবরে এক ঘন্টার মধ্যে তা বদলে লেখা হয় ৬০ টাকায়। একই ঘটনা বিভিন্ন আড়তে। পরে এসব আড়তের নথিপত্র দেখে কমদামে পেঁয়াজ আমদানি করেও বেশি দামে বিক্রি করার সত্যতাও মেলে।

    তবে প্রথমদিনের অভিযান হিসেবে বাজারের আড়তদার সমিতির নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে গত ২৯ তারিখের আগে থেকে পেঁয়াজের যে বাজার মূল্য ছিলো সে অবস্থায় বাজার দর ফিরিয়ে আনার জন্য এবং পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখার ‘অঙ্গীকার’ নেওয়া হয় আড়তদারদের কাছ থেকে।

    তিনি বলেন এম এন ট্রেডার্স নামে একটি আড়তাকে মূল্য তালিকা না টাঙ্গানোর অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির জন্য আমদানিকারকদেরকেই দুষছেন। তিনি বলেন, প্রায় ২ শতাধিক পাইকারী পেঁয়াজের আড়ৎ রয়েছে খাতুনগঞ্জ বাজারে। তবে আমদানিকারক আছে মাত্র ১০ জন।

    যারা মিয়ানমার ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে পেঁয়াজ আমদানি করে তা কমিশন ভিত্তিতে খাতুনগঞ্জ আড়তদারদের কাছে বিক্রি করে। এখান থেকে খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দ্যেশে পেঁয়াজ ক্রয় করে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ব্যবসায়িরা।

    হাত বদল হতে হতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হয়ে যায় বলে মত প্রকাশ করে তিনি আমদানিকারকদের সাথে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান।

    চট্টগ্রাম বন্দর ও অন্যান্য পথে আসা পেঁয়াজের চালনগুলো আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে খালাস হলে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আমদানিকারকরা।