Tag: পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি

  • পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না : তথ্যমন্ত্রী

    পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না : তথ্যমন্ত্রী

    পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে।

    সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত দুই সপ্তাহে বেশিরভাগ পণ্যের মূল্য কমেছে। গরুর মাংস আমার এলাকায় ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। যেটি কয়দিন আগেও সাড়ে সাতশ-আটশ টাকা ছিল। শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে। পেঁয়াজের দামটা হঠাৎ করে বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছে সে বিষয়ে আমি একমত। এটি বাড়ার কোনো কারণ ছিল না।

    ভারত আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি করার বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাওয়া আমাদের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়, বলেও মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।

    হঠাৎ করে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এরইমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। তারা জরিমানা করেছে। এতে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও পুরোপুরি আসেনি। যেকোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা এটির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমেও যদি রিপোর্টিং হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। তবে পেঁয়াজের দাম সহসা কমে যাবে। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে।

    ড. হাছান বলেন, ভোক্তাদের একটা ট্রেন্ড আছে কোনো পণ্যের সংকট হচ্ছে এমন গুজব রটালেও আমরা সবাই গিয়ে এক কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি কেনা শুরু করি। এতে করে ব্যসায়ীরা আরো সুযোগ পায়। এটির ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। তবে পেঁয়াজের দাস সহসা কমে যাবে। এবং ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসবে। সবমিলে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তবে বেশিরভাগ পণ্যের দাম গত দুই সপ্তাহে কমেছে।

  • বিমানে আসবে পেঁয়াজ

    বিমানে আসবে পেঁয়াজ

    দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সরাসরি তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো উড়োজাহাজযোগে পেঁয়াজ আমদানি করছে।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজে পেঁয়াজ আনার প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এছাড়া সমুদ্র পথে আমদানিকৃত পেঁয়াজের বড় চালান বাংলাদেশের পথে রয়েছে, যা শিগগিরই এসে পৌঁছাবে। এদিকে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর, চট্রগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ পরিবহনে কয়েকদিন সমস্যা হয়েছিল।

    কম সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে এবং মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

    মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেঁয়াজের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। কেউ পেঁয়াজ অবৈধ মজুত করলে কিংবা কারসাজি করে অতি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করলে বা অন্য কোনো উপায়ে বাজারে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাজার মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজারে অভিযান জোরদার করেছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে।

    উল্লেখ্য, দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। পাশাপাশি মিশর ও তুরস্ক থেকেও এলসি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়।

    মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনেকবার সভা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নিয়মিতভাবে আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিদিনই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করা হয়েছে। স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।

    দেশে পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি জোরদার করা হয়েছে। ৩৫টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা মূল্যে এ পেঁয়াজ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্রয় চলছে। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পেঁয়াজ দ্রুত পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  • ৪৫ টাকায় একটি পেঁয়াজ

    ৪৫ টাকায় একটি পেঁয়াজ

    গৃহস্থালির রান্নার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পেঁয়াজের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড়েই চলেছে। দুদিন আগে যে পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই পেঁয়াজ এখন ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    সারা দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অনেক স্থানে এক রাতেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে ৮০ টাকা। কোথাও কোথাও একটি পেঁয়াজ ৪৫ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

    আজ দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনে গিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেছেন এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমবে কিন্তু বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

    পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় এ নিয়ে আজ সংসদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের সংসদ সদস্যরা।

    লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম মাত্র এক রাতের ব্যবধানে ৮০ টাকা বেড়ে গেছে।

    বুধবার সন্ধ্যায়ও ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সেই পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাজারে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে! আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১৯০ টাকা।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর, রায়পুরসহ জেলার কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে জানা যায়, গত বুধবার পর্যন্ত পাইকারি আড়তগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার দাম বেড়ে ১৯০ টাকা হয়েছে। সকালে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি আড়তগুলো থেকে এর রাতে মণ প্রতি ৪০০ টাকা বেশি ধরে কিনে নিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২১০ টাকায়।

    লক্ষ্মীপুরের একাধিক হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এক পিস পেঁয়াজ কিনছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়।

    তেমনই একটি মুদি দোকানে ২০০ টাকা কেজি হারে ভারতীয় একটি পেঁয়াজ ওজন করে দেখা যায় তার মূল্য ৪৫ টাকা। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

    এক রাতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। আবার কেউ কেউ মাত্র এক পিস পেঁয়াজ কিনতেও দেখা গেছে।

    রায়পুর শহরের রিকশা চালক মনির হোসেন জানান, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের হল রোড থেকে ২০০ টাকা দিয়ে ৪টি পেঁয়াজ কিনেছেন। যার ওজন এক কেজি থেকে একটু কম।

    এ সময় আরও একজন শ্রমিক ২২৪ গ্রাম ওজনেরএক পিস পেঁয়াজ৪৫ টাকা দিয়েকিনেছেন বলে তিনি জানান।

    এছাড়া যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার এক কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ১৪০ টাকা, বুধবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০টাকায়। বৃহস্পতিবার সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকায়।

    হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ১৪০ টাকার পেঁয়াজ এখন ২০০ টাকা। বৃহস্পতিবার চুনারুঘাটের আড়তদাররা পাইকারি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আর খুচরা বাজারে তা ২০০ টাকা।

    ভোলার লালমোহনে পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার লালমোহন বাজার ঘুরে এ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এতে ক্রেতাসাধারণ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে দাম।

    বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে। সকাল থেকে বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১৮০ টাকা। অথচ গত বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাটহাজারীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১১০ টাকা দরে।

  • পেঁয়াজের দাম নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ

    পেঁয়াজের দাম নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ

    সারা দেশে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবার শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদেও।

    আজ বৃহস্পতিবার সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকার ও বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্য (এমপি)। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

    সংসদ অধিবেশনে ‘পয়েন্ট অব অর্ডারে’ দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন সরকারদলীয় জ্যেষ্ঠ এমপি মোহাম্মদ নাসিম। সরকার ও বিরোধী দলের পাঁচ সদস্য এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।

    প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম কেন বাড়ছে, সে প্রশ্ন রেখে নাসিম বলেন, ‘পেঁয়াজের ঝাঁজ বেশি হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে এটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। মানুষের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া হলে সেটা খারাপ হবে। পেঁয়াজের দাম প্রায় ২০০ টাকা হয়ে গেছে।

    নাসিম বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী যখন বলেন ১০০ টাকার নিচে দাম নামবে না, তাহলে ব্যবসায়ীরা তো সুযোগ পেয়ে যায়। বলা হচ্ছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। তাহলে কেন দাম বাড়ছে, এটা বোধগম্য নয়। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে বলেছিলেন, পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়ে গেছে। তিনি ভারতকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ না করতে অনুরোধ করেছিলেন। সংসদে অর্থমন্ত্রী আছেন। বাণিজ্যমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে না। অর্থমন্ত্রীকে বলব, পেঁয়াজের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আরও তৎপর হওয়া উচিত। অর্থমন্ত্রী যদি জবাব দেন, তাহলে আমরা আশ্বস্ত হব।’পরে অবশ্য অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে সংসদে কোনো বক্তব্য দেননি।

    সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর অনেক কর্তব্য রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে পেঁয়াজের দাম একটু হয়তো বেড়েছে। দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে, আজকে পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকা। আমরা কোনো দিনই এটা ভাবিনি।’

    জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘গত পরশু বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ টাকা। ওই দিন এই সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী দেওয়া বক্তব্যে পেঁয়াজের মূল্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে বললেন। এটা বলার পরদিন দাম হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আর আজকে হলো ২০০ টাকা।’

    মুজিবুল হক বলেন, ‘ভারতে পেঁয়াজের দাম না পেয়ে কৃষক কাঁদছেন। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এত ভালো সম্পর্কের পর প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে পদক্ষেপ নিলে এই সংকট থাকত না।’

    পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখারও দাবি জানান মুজিবুল হক।

    তিনি বলেন, অনেক ফেনসিডিল ব্যবসায়ী রাস্তাঘাটে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মরে যায়। পেঁয়াজের মূল্য যারা বাড়াচ্ছে তাদের একটা বন্দুকযুদ্ধে মরে যাক। তাহলে এটা একটা উদাহরণ হবে।

    আওয়ামী লীগের এমপি আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজ আছে। এর দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু গতকাল দাম ছিল ১৫০ টাকা আর আজ ২০০ টাকা।’

    ফিরোজও মনে করেন, পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেছে। এই সময় দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এই কাজ করছে। তিনি এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

    বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন পেঁয়াজ নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

  • পেঁয়াজের কেজি ২০০

    পেঁয়াজের কেজি ২০০

    পেঁয়াজের বাজার কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কাজে আসেনি কোনও পদক্ষেপ। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে এখন কেজি প্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

    বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীতে মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ আর দেশি পেঁয়াজের দাম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।

    পেঁয়াজের এমন লাগামহীন দামে ক্ষোভ ক্রেতাদের মাঝে। পেঁয়াজের বাজার কারা নিয়ন্ত্রণ করছেন সে প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকা দরে পেঁয়াজ কেনার পরেও দেশে কোনও অজুহাতে এত দাম সে প্রশ্নও ক্রেতাদের।
    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান তাদের।

    বিক্রেতাদের দাবি তাদের বেশি দামে কিনতে হয় বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
    চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। গতকালের চেয়ে যা ২০ টাকা বেশি।

    এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ইচ্ছেমতো দাম রাখছেন বিক্রিতারা। তারা বলছেন, দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস তাদের।

  • পেঁয়াজের হালি ১৬ টাকা

    পেঁয়াজের হালি ১৬ টাকা

    গত কিছুদিনযাবত ক্রমাগত দাম বাড়ায় পাত থেকে একরকম উধাও হয়ে গেছে কাঁচা পেঁয়াজ, পেঁয়াজের সালাদ, ছোট-বড় মাছের দো-পেঁয়াজো। অনেকের তরকারি ডালায় যে কয়টা পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে তাও ‘সবে ধন নীলমণি।’ এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পেঁয়াজের বিক্রিতে দেখা গেলো এক নতুন ধারা।

    রায়গঞ্জে পেঁয়াজের হালি এখন ১৬ টাকা। নিম্ন আয়ের ক্রেতারা হালি হিসাবে পেঁয়াজ কিনছেন। আর ওজন করে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এতে প্রতিটি পিঁয়াজের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৪ টাকা। গত সপ্তাহের কেজি প্রতি পিঁয়াজের দাম ১২০ টাকা থেকে আরও এক ধাপ বেড়ে শনিবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকায়। শনিবার উপজেলার চান্দাইকোনা, ধানগড়া, ব্রহ্মগাছা, নিমগাছিসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

    চান্দাইকোনা বাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী রবিউল বলেন এক কেজি পেঁয়াজ গুণে দেখা গেছে সংখ্যায় তা হয় ৩৬ থেকে ৪১টি। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ হালি। তাই যাদের পয়সা কম তারা হালি হিসাবে পেঁয়াজ কিনছেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীমুর রহমান জানান, স্থানীয় বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের অতি মুনাফা লোভীদের বিষয়ে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। কেউ মজুদ করে থাকলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • পেঁয়াজ বর্জন করুন : সুজন

    পেঁয়াজ বর্জন করুন : সুজন

    পেঁয়াজের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বাদ দেওয়ার আহবান জানিয়ে পেঁয়াজ ন খাইয়্যুম পেঁয়াজ ন কিইন্যুম শীর্ষক ব্যতিক্রমী গণপ্রচারনার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ ২০ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ পাইকারী ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ বাজার থেকে গণপ্রচারনার উদ্বোধন শেষে ব্যবসায়ী এবং জনসাধারনের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ভারতের পেঁয়াজ সরবারহকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে অযৌক্তিকভাবে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ যখনই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে তখনই কেবল পেঁয়াজের দামটা ক্ষণিকের জন্য কম থাকে। ম্যাজিষ্ট্রেটগণ অভিযান পরিচালনা করে চলে গেলে পূণরায় সিন্ডিকেট মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়।

    বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের কোন সংকট নেই। তারপরও একশ্রেণীর অর্থলিপ্সু ব্যবসায়ীগণ অহেতুক সিন্ডিকেট কারসাজি করে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে জনগনের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যা এক প্রকার অনৈতিক এবং গর্হিত কাজও বটে।

    তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন আমদানীকারক, বিক্রেতা, সরবরাহকারী সবাই এ দেশের মানুষ কিন্তু তারপরও জনগনের নিত্য ব্যবহার্য্য একটি পণ্যকে নিয়ে কেন এভাবে ছিনিমিনি খেলা করা হবে।

    তিনি আরো বলেন শুধু পেঁয়াজই নয় বিভিন্ন মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সরবরাহের অজুহাতে একেক সময় একেক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে কষ্ট দেয় আর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চক্রান্তে লিপ্ত থাকে। ইতিমধ্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বাদ দেওয়ার জন্য বাবুর্চিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দ আজ হামিদউল্লাহ বাজার থেকে পেঁয়াজ বর্জন করার কর্মসূচী উদ্বোধন করেছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বাজারে আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

    আর জনসাধারনের নিকট অনুরোধ জানিয়ে সুজন বলেন আপনারা নিত্য ব্যবহার্য উপাদান থেকে এক সপ্তাহের জন্য পেঁয়াজকে বাদ রাখুন দেখবেন স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের দাম জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।

    তিনি আগামী তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে না আসলে যে সকল ব্যবসায়ীগণ পেঁয়াজ কারসাজির সাথে জড়িত আছে তাদের নাম গণমাধ্যম এবং উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করার ঘোষনা দেন এবং ঐ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার জন্যও আহবান জানান।

    সুজন এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের মতো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, প্রিন্সিপ্যাল সুকুমার দত্ত, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলম, নগর সৈনিক লীগ আহবায়ক শফিউল আজম বাহার, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আনিসুর রহমান লিমন, জানে আলম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সোলেমান সুমন, কাজী হেলাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, শেখ মামুনুর রশীদ, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, মোজাম্মেল হক মানিক, রাজীব হাসান রাজন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মোঃ শওকত প্রমূখ।

  • খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দর নিয়ে জরিমানা দিল দুই আড়তদার,বিক্রীর দর নির্ধারণ

    খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দর নিয়ে জরিমানা দিল দুই আড়তদার,বিক্রীর দর নির্ধারণ

    চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই আড়তদারকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

    একইসাথে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা দর বিক্রীর দামও নির্ধারণ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    মঙ্গলবার দুপুর থেকে পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমনি আক্তার।

    অভিযানে খাতুনগঞ্জের মেসার্স আজমির ভান্ডার এবং শাহ আমানত ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে আজমির ভান্ডারকে ৪২ টাকা দরে কেনা মিয়ানমারের পেঁয়াজ পাইকারিতে ৭০ টাকা দরে এবং শাহ আমানত ট্রের্ডাসে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমান আদালত।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় ২টি আড়তে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হলেও আড়তদারের নথিপত্র ঘেটে দেখা গেছে এর আমদানি দর পড়েছে মাত্র ৪২ টাকা।

    অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পাইকারী বিক্রেতাদের অধিক দামে পেঁয়াজ বিক্রী না করতে সর্তক করা হয়।

    এসময় তিনি আরো জানান পেঁয়াজরে দাম বৃদ্ধিতে বেশ কয়েকজন কমিশন এজেন্ট ও আমদানিকারকের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া আমরা প্রত্যেকটি দোকানের মূল্য তালিকা পর্যবেক্ষন করেছি এবং সে অনুযায়ী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটাই ভ্রাম্যমান আদালত দেখছে।

    পরবর্তীতে নির্ধারিত মূল্যেও চাইতে কোন আড়তদার যদি বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি কওে তাহলে আড়ত সিলগালা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    এর আগে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।