Tag: পেঁয়াজ

  • টানা ৫ দিন অপেক্ষার পর দেশে ঢুকছে ভারতীয় পেঁয়াজ

    টানা ৫ দিন অপেক্ষার পর দেশে ঢুকছে ভারতীয় পেঁয়াজ

    ডেস্ক নিউজ : অবশেষে টানা পাঁচ দিন অপেক্ষার পর সাতক্ষীরার ভোমরা, চাঁপাই নবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।

    শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর থেকে ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজের ৩০০টি গাড়ি ঢুকতে শুরু করে। এর আগে শনিবার থেকে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে শ্রমিকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যও বেড়ে যায়।

    তবে সেসব পেঁয়াজের একটি অংশ পচে নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তার আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে থাকা পেঁয়াজবোঝাই ট্রাককে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য শুল্ক বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।

    জানা যায়, আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দর থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজবাহী প্রথম ট্রাক প্রবেশ করে। আজ-কালকের মধ্যে টেন্ডারকৃত আটকে পড়া সব পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করবে।

    সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি ট্রাকে ২৫ মেট্রিক টন করে ৭ ট্রাকে ১৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। আর রপ্তানিকৃত পেঁয়াজ বন্দরে দ্রুত ছাড়করণ করে দেশের অভ্যন্তরীণ পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

    ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, করোনাকালীন ৯০ দিন বন্ধ থাকায় আমরা এমনিতে ক্ষতির শিকার হয়েছি। তার ওপর ৫ দিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় আরও ক্ষতির শিকার হই। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করেছে এটাই আমাদের স্বস্তি।

    গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভার‌তের বা‌ণিজ্য মন্ত্রণাল‌য়ের অধীন ডায়‌রেক্ট‌রেট জেনা‌রেল অব ফ‌রেন ট্রেড ভারত থে‌কে সব ধর‌নের পেঁয়াজ রপ্তা‌নি বন্ধ করার আদেশ সম্বলিত সার্কুলার জা‌রি ক‌রে‌ছিল। এতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে বাংলাদেশে আমদানিমুখী প্রায় ৩০০ গাড়িভর্তি পেঁয়াজ আটকা পড়ে। এরই মধ্যে ওই পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লক্ষীপুরে পেঁয়াজের আড়তে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান,দুই আড়তদারকে জরিমানা

    লক্ষীপুরে পেঁয়াজের আড়তে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান,দুই আড়তদারকে জরিমানা

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে দুই আড়তদারকে জরিমানা করেছে। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ ক্রয়-বিক্রয়ের কোন মেমো দেখাতে পারেননি তারা। এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাদের ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

    ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে লক্ষ্মীপুর পৌর বাজারের রিহান ট্রেডার্সকে ৪ হাজার টাকা ও কবির ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    আজ দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবু ওয়াদুদ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সারমিন আক্তার সুমি।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে বাজার পরিদর্শন কালে দেখা গেছে ব্যবসায়িরা অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রয় করছে এবং পেঁয়াজ ক্রয়ের মোমো দেখতে চাইলে তাও দেখাতে না পারায় রিহান ট্রেডার্সকে ৪ হাজার টাকা ও কবির ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত সপ্তাহ বাজারে পেয়াজের কেজি ২৮-৩০ টাকা। কিন্তু এক সপ্তাহে ব্যবধানে পেঁয়াজের বাজার ৬৮-৭০টাকায় চলে আসছে। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রন রাখতে অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • অভিনব কায়দায় পেঁয়াজ ও তরমুজের ভেতরে ইয়াবা-ফেনসিডিল

    অভিনব কায়দায় পেঁয়াজ ও তরমুজের ভেতরে ইয়াবা-ফেনসিডিল

    নিত্য নতুন অভিনব কায়দায় ভারত থেকে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে দেশের ভেতর পাচার হয়ে আসছে ইয়াবা ও ফেনসিডিল। এর জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে গবাদিপশু, ফল ও সবজি।

    বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলার মতো কুমিল্লা সীমান্ত দিয়েও অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ মাদক।

    দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলার মতো কুমিল্লা সীমান্ত দিয়েও অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ মাদক। মাদক চোরাচালানের পাশাপাশি, কুমিল্লাসহ এর আশপাশের জেলাগুলোতে বেড়ে চলেছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। প্রতিনিয়ত অভিনব সব কৌশল ব্যবহার করে অব্যাহত রাখা হচ্ছে মাদক চোরাচালান।

    মাদক চোরাচালান দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক পাচারে নতুন কৌশল নিয়েছে কুমিল্লায় মাদক চোরাচালানকারীরা।

    ভারত থেকে রাতে আসা গরুর পেটের সাথে বেঁধে আনা হচ্ছে গাঁজা। চোরাচালানীদের ভাষায় এটি হলো ‘ক্যাটল কেরিং’। বড় পেঁয়াজের ভেতরের অংশ ফেলে দিয়ে তার মধ্যে এবং অভিনব পন্থায় আখের ভেতরে ঢুকিয়ে আনা হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। কনডমের মাধ্যমেও ইয়াবা মানুষের মুখ বা পায়ূপথ দিয়ে পেটে ঢুকিয়ে দেশে আনা হচ্ছে।

    এ ছাড়াও কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের মৌসুমী ফল তরমুজ, কাঁঠাল, লাউ, কুমড়ার ভেতর ঢুকিয়ে ভারত থেকে আনা হচ্ছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। ছোট-বড় নানা যানবাহনে করেও বিভ্ন্নি কৌশলে ভারত থেকে মাদক আসছে। যা পরবর্তিতে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

    প্রতিদিনই পরিবর্তিত হচ্ছে মাদক পাচারের ধরন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার হাতে হরহামেশা মাদকের চালান ধরা পড়লেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মূল হোতারা। আর মাদকসহ যারা ধরা পড়ছে, তাদের অধিকাংশই বহনকারী। যারা অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে বহন করছে সর্বনাশা এসব মাদক।

    কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, বিয়ার, বিভিন্ন ধরনের মদ, রিকোডেক্স সিরাপ, সেনেগ্রাসহ নানা প্রকার মাদক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় ইনজেকশান।

    এ বিষয়ে কুমিল্লার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ইয়াবা ট্যাবলেট মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হতো। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে সরাসরি ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে কুমিল্লায় ঢুকছে।’

    কুমিল্লা সীমান্তে মাদক চোরাচালান রোধে বিজিবির পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর কাজ করছে উল্লেখ করে মাঞ্জুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘চোরাকারবারীরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করলেও, আমরাও পাল্টা কৌশল নিচ্ছি। মাদকসহ তাদেরকে আটক করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের প্রয়াস সার্বক্ষণিক থাকবে।’

  • সৈয়দপুরে টিসিবি’র মাধ্যমে খোলা বাজারে মিশরীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি শুরু

    সৈয়দপুরে টিসিবি’র মাধ্যমে খোলা বাজারে মিশরীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি শুরু

    মোঃ জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে টিসিবি’র মাধ্যমে মিশরীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। শহরের শেরে বাংলা সড়কস্থ মেসার্স সাকিল ট্রেডার্স এই পেয়াজ বিক্রি করছে।

    ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে এই পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে শহরের ক্রেতাদের মধ্যে পেঁয়াজ কেনার হিড়িক পড়েছে। বিশেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন এই পেয়াজ কিনতে লম্বা লাইন করে পেয়াজ কিনতে দেখা গেছে।

    পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পর সাধারণ মানুষের মাঝে পেয়াজ কেনা নিয়ে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছিল। সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সৈয়দপুরে। বেশ কিছুদিন পরে নতুন পেয়াজ তথা পাতা পেয়াজ বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমলেও সর্বশেষ স্থানীয় বাজারে পাতা পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি এবং পুরাতন পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা কেজি।

    এমতাবস্থায় টিসিবি’র মাধ্যমে মাত্র ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কেননা বাজারে এই মিশরীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। সেসাথে দেশীয় পুরাতন পেয়াজ বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে যার দাম প্রায় ১৪০ টাকা কেজি। তাই লম্বা লাইন করে পেয়াজ বিক্রির দৃশ্য যেন দেখার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    টিসিবি’র মাধ্যমে পেয়াজ বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে স্বত্বির সৃষ্টি হয়েছে। সে সাথে বাজারে ভারসাম্য ফিরে এসেছে বলে উপস্থিত ক্রেতারা অভিমত ব্যক্ত করেছে।

    এ ব্যাপারে মেসার্স সাকিল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাকিল আহমেদ জানান, আমরা আজ মিশরীয় পেঁয়াজ পেয়েছি তাই সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করছি। আগামীকালও যদি পেঁয়াজ পাওয়া যায় তাহলে বিক্রি অব্যাহত থাকবে। এতে গ্রাহকদের পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে সৃষ্ট ক্ষোভ ও দূর্ভোগ কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

  • পেঁয়াজ কারসাজির অচিরেই বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন-এডিএম

    পেঁয়াজ কারসাজির অচিরেই বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন-এডিএম

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফ স্থল বন্দর হয়ে পেঁয়াজ আমাদানিতে কোন অনিয়ম, কারসাজি তদন্তে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে। পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি এ কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সারাদিন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক ও কাষ্টমস কর্মকর্তা, সিএন্ডএফ এজেন্ট, পেঁয়াজের আড়তদার, ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বক্তব্য গ্রহন করা হয়। একইসাথে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যাংকে খোলা এলসি ও অন্যান্য ডকুমেন্টের সাথে পেঁয়াজ আমদানি, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে সামঞ্জস্য আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সরেজমিনে টেকনাফ স্থল বন্দর ও গুদাম পরিদর্শন করা হয়। এসময় কমিটির আহবায়ক এডিএম মোহাঃ শাজাহান আলি ছাড়াও সদস্য টেকনাফের ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম সাইফ, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নিহাদ আদনান তাইয়ান, সদস্য জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

    শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পেঁয়াজ আমদানিতে সংশ্লিষ্ট সকলের আরো বক্তব্য ও আমদানী সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই বাচাই করা হবে। তদন্ত শেষে কমিটি অচিরেই বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র নিশ্চিত করেছে।

  • শাহজালাল বিমানবন্দরে তরুণীর লাগেজে মিলল ১১ কেজি পেঁয়াজ!

    শাহজালাল বিমানবন্দরে তরুণীর লাগেজে মিলল ১১ কেজি পেঁয়াজ!

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : চীন থেকে দামি প্রসাধনী বাদ দিয়ে বাবা মায়ের আবদার মেটাতে লাগেজ ভর্তি করে ১১ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে দেশে ফিরছেন রিনি রাজীউন তিসা নামের এক তরুণী। ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরতে শাহজালাল বিমানবন্দরে তার লাগেজ খুলে ১১ কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যায়।

    গতকাল শুক্রবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই তরুণীর লাগেজ খুলে পেঁয়াজ দেখে অবাক হয়ে যান বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা।

    তরুণী তিসা মূলত বাবা-মা পেঁয়াজ চাইলেন তাই অন্যসব বাদ দিয়ে চীন থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসার গল্প শুনালেন কাস্টমস কর্মকর্তাদের। তিসা জানিয়েছে সে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। কাজের একঘেয়েমিতা দূর করতে ছুটি পেলেই ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশে। গত ১৪ নভেম্বর ছুটি পেয়ে চীনে গিয়েছিলেন এই ভ্রমণপিপাসু তরুণী।

    তিসা জানালেন, দেশে ফেরার আগে ফোনে বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করি কী আনব তোমাদের জন্য? বাবার জবাব, কিছুই লাগবে না। তবে যদি আনতেই চাও, তো কয়েক কেজি পেঁয়াজ নিয়ে এসো। শুনেছি ওখানে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। ঢাকায় পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা হয়েছে।

    বাবার এমন কথা না মেনে পারলেন না তিসা। ফেরার আগে সোজা চলে যান একটি মুদি দোকানে। গিয়ে দেখেন ১১ কেজি পেঁয়াজ অবশিষ্ট রয়েছে সেই দোকানে। সব পেঁয়াজই কিনে নেন তিনি।

    তিসা জানান, অন্য কোনো উপহার না কিনে বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৩৮ টাকা দরে ১১ কেজি পেঁয়াজ কিনে বাবা-মাকে উপহার দিয়েছি। ঢাকায় বিমানবন্দর কাস্টমসের কর্মকর্তারা সেই পেঁয়াজ দেখে যেমন মুচকি হেসেছিলেন চীনের ওই বিক্রেতাও সেভাবেই হেসেছেন।

    তিসা জানান, চীনের ওই দোকানের বিক্রেতা আমার পেঁয়াজ কেনা অবাক হয়ে দেখেছিল। ১১ কেজি হবার পর একটা পেঁয়াজ বেশি ছিল, সেটাও গিফট হিসেবে দিয়ে দেয় সে। কোনো বিদেশি ভ্রমণে গিয়ে এত পেঁয়াজ কিনেছে এটা নাকি তার প্রথম অভিজ্ঞতা।

    তিসা আরও জানান, দেশের বাইরে ভ্রমণে গেলে সেখান থেকে বাবা-মার জন্য উপহার কিনে এনেছি অনেকবারই। তারা খুশিও হয়েছেন। কিন্তু এবার পেঁয়াজ পেয়ে তারা যতটা খুশি হয়েছেন এতটা খুশি হতে দেখিনি কখনও।

  • বিমানে পেঁয়াজের প্রথম চালান এলো পাকিস্তান থেকে

    বিমানে পেঁয়াজের প্রথম চালান এলো পাকিস্তান থেকে

    বিমানে পাকিস্তান থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে পেঁয়াজের প্রথম চালান। করাচি থেকে ৮২ টনের চালানটি বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বেসরকারি সিল্ক সংস্থার একটিপণ্য পরিবহনকারী উড়োজাহাজে এসে পৌঁছায়।

    আমদানিকারক ঢাকার শাদ এন্টারপ্রাইজের চালানটিতে ৮১ টন ৫০০ কেজি পেঁয়াজ রয়েছে। পেঁয়াজবাহী উড়োজাহাজটি অবতরণের পর চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    ঢাকা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেনন, সিল্কওয়ে উড়োজাহাজের ‘সেভেনএল ৩০৮৬’ ফ্লাইটে পেঁয়াজের প্রথম চালানটি এসেছে। এখন দ্রুত শুল্কায়নের প্রক্রিয়া চলছে।

    এ পর্যন্ত আকাশপথে চারটি উড়োজাহাজে পেঁয়াজের চালান আনার সময়সূচি ঠিক হয়েছে। শাদ এন্টারপ্রাইজ ছাড়াও চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের প্রথম চালান আসবে আজ বুধবার দিবাগত রাত একটায়। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে প্রথম চালানটি এসে পৌঁছাবে।

    আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্সের পণ্যবাহী উড়োজাহাজে দ্বিতীয় চালান আসবে। আগামী শুক্রবার তৃতীয় চালান আসবে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে।

    এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমদানি করা পেঁয়াজ বিমানে আনা প্রথম চালান আজ বুধবার পৌঁছবে। এটি মঙ্গলবার আসার কথা ছিল। পেঁয়াজ লোডিংয়ে সমস্যা হওয়ায় ২৪ ঘণ্টা পিছিয়েছে। বিমানে আনা পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

    এদিকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আকাশপথ ব্যবহারে প্রযোজ্য চার্জ মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

    বুধবার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জনস্বার্থে এই চার্জ মওকুফ করা হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

    বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য জনগণের স্বার্থে যতদিন এভাবে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে ততদিন পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এই চার্জ মওকুফের ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে সর্বতোভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

    আকাশপথে যেকোনো পচনশীল দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা চার্জ প্রদান করতে হয়। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এ চার্জ প্রযোজ্য হবে না।

  • আকাশপথে ৫০ হাজার ও সমুদ্রপথে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

    আকাশপথে ৫০ হাজার ও সমুদ্রপথে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে আকাশ ও সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

    তিনি আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সমুদ্র পথে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজও দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এছাড়া, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। পেঁয়াজের মূল্যও দ্রুত গতিতে কমছে।

    মন্ত্রী বলেন, মিসর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ সৌদি এয়ারলাইন্স-এর একটি উড়োজাহাজ যোগে ঢাকার পথে রয়েছে।

    পেঁয়াজবাহী প্রথম সৌদি এয়ার লাইন্স এর উড়োজাহাজ এসভি ৩৮০২ যোগে মিসরের কায়রো থেকে জেদ্দা হয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২০ নভেম্বর গভীর রাতে পৌঁছাবে বলে তিনি জানান।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এরপর প্রতিদিন প্যাসেনজার ও কার্গো ফ্ল্যাইটে পেঁয়াজ অব্যাহতভাবে ঢাকায় আসবে। এ সকল পেঁয়াজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে। টিসিবি’র ট্রাক সেল এবং নিয়োজিত ডিলারের মাধ্যমে সারাদেশে এ পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।

    তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধির জন্য সরকার শুরু থেকেই আমদানিকারকদের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানির প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে এবং মিয়ানমার পেঁয়াজের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি করলে বিকল্প হিসেবে মিসর ও তুরষ্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সমদ্র পথে পেঁয়াজ আসতে সময় বেশি লাগার কারণে এখন তা আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে। দেশে দৈনিক প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। দেশের মজুত এবং আমদানিকৃত পেয়াঁজ মিলে তা পর্যাপ্ত হবে। এরই মধ্যে দেশীয় পেঁয়াজ পর্যাপ্ত বাজারে আসবে। সামনে কোন সমস্যা হবে না।

    টিপু মুনশি বলেন, আমাদের প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আদানি করতে হয়। এর বেশির ভাগই প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করা হয়। এখন আমদানি নির্ভর না থেকে চাহিদার পুরো পেঁয়াজই দেশে উৎপাদনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য কৃষকদের ভর্তুকি ও উৎসাহ প্রদান করা হবে। এছাড়া, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে পেঁয়াজ সারাবছর সংরক্ষণ করা যায়।

    তিনি বলেন, মৌসুমের সময় পেঁয়াজ আমদানির কারণে যাতে দেশের কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে সময় পেঁয়াজ আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের উপযুক্ত মূল্য পান, তা নিশ্চিত করা হবে।
    এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

  • পেঁয়াজ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছে সরকার-সুফিয়ান

    পেঁয়াজ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছে সরকার-সুফিয়ান

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, পেঁয়াজ মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের এখন দুর্লভ বস্তুতে পরিণত হয়েছে। অকল্পনীয়ভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

    সরকার এ ব্যাপারে নির্লিপ্ত। প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে অবৈধভাবে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করে? প্রশাসনের এ ব্যর্থতা ও নির্লিপ্ততার জন্য নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।

    কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যেও উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ১৮ নভেম্বর সোমবার বিকালে দোস্ত বিল্ডিংস্থ দক্ষিণ জেলা কার্যালয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান’র সভাপতিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সভায় তিনি আরো বলেন, সরকার এখন শুধু পেঁয়াজ নয়, সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তার কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সরকারের এদিকে কোন দৃষ্টি নেই।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাাক আহমেদ খান’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় আহবায়ক আবু সুফিয়ান তার বক্তব্যে বলেন, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ না করে পেঁয়াজ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছে।

    বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকা এবং ব্যর্থতার কারণেই ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ গুদামজাত কওে মূল্য আরো বৃদ্ধি করেছে।

    তিনি আরো বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে শুধু ব্যর্থ নয় আজ দেশ পরিচালনায়ও ব্যর্থ। অতিসত্বর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে বাধ্য করা হবে।

    প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম আহবায়ক মো. আলী আব্বাছ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, আলহাজ্ব এনামুল হক এনাম, মোশাররফ হোসেন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এড. ফোরকান, এস এম মামুন মিয়া, এড. নুরুল ইসলাম, মো. লেয়াকত আলী চেয়ারম্যান, নাজমুল মোস্তাফা আমিন, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান, এড. ফৌজুল আমিন, জসিম উদ্দিন আবদুল্লাহ, ভিপি মোজাম্মেল হক, খোকন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক কে এম আব্বাছ, জান্নাতুল নাঈম রিকু, আবু সেলিম, শহিদুল ইসলাম খান, আফরোজা আকতার জলি, এড. আবু তাহের, জাহাঙ্গীর আলম, হারুন কাকল প্রমুখ।

  • বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ মিলল খাল পাড়ে

    বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ মিলল খাল পাড়ে

    অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা, ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ, আড়তদারদের কারসাজিতে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরগরম সংবাদমাধ্যম। এরই মধ্যে মিশর, তুরস্ক, মিয়ানমার, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমাদানির কথা জানিয়েছে সরকার।

    ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানার পর থেকে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২০০-২৫০ টাকা। অস্বাভাবিকভাবে দাম বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আড়তে বিপুল পেঁয়াজ সংগ্রহে রেখে বেশি দামে বিক্রির আশায় হয়েছে গুঁড়েবালি।

    তবে পেঁয়াজের ‘অস্থির’ বাজার নিয়ে শুরু থেকেই ত্রেতাদের অভিযোগ, আড়তদারদের কারসাজির ফলেই অনিয়ন্ত্রিত পেঁয়াজের বাজার।

    ক্রেতাদের এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলল এবার। যেখানে সারা দেশ পেঁয়াজ সংকটে ভুগছে, সেখানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারের পাশের খালের পাড়ে মিলল প্রায় ১৫ টন পচা পেঁয়াজ। এরইমধ্যে যে ছবি ফেসবুকে ভাইরাল।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মসলা মার্কেট হিসেবে পরিচিত হামিদুল্লাহ মার্কেট, চাঁন মিয়া বাজার এবং মধ্যম চাক্তাই এলাকায় এসব পচা পেঁয়াজ ফেলে যায় আড়তদাররা।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে খাতুনগঞ্জে সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড় থেকে প্রায় ২০ টন পচা পেঁয়াজ সরিয়েছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।

    স্থানীয় খুচরা বিক্রেতারা জানান, দাম আরও বাড়বে সে আশায় নিজেদের গুদামে মজুদ করে রাখায় পেঁয়াজে পচন ধরেছে। সে পচা পেঁয়াজ এখন আড়ত থেকে বের হচ্ছে প্রতিদিন।

    এ নিয়ে ভোক্তারা বলছেন, অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের পাশেই চাক্তাই খাল। সেখানেই এসব পচা পেঁয়াজ ফেলে যায় আড়তদাররা।

    এদিকে, ফেলে যাওয়া পচা পেঁয়াজের বস্তা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষরা খাওয়ার উপযোগী পেঁয়াজ বেছে নিচ্ছেন।

    ব্যবসায়ী আলতাফ মাহামুদ জানান, পেঁয়াজগুলো মিয়ানমার থেকে আমদানি করা। এসব পেঁয়াজ যখন খাতুনগঞ্জে ঢুকছিল, তখন কিছুটা পচা ছিল। আর আড়তে মজুদ করে রাখার ফলে একেবারে পচে গেছে। তবে তিনি পচা পেঁয়াজের আড়তদারের নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি।

    চাক্তাই এলাকার চাল ব্যবসায়ী আবুল হাসেম বলেন, পেঁয়াজ পচলে ব্যবসায়ীদের কোনো অসুবিধা নেই। কারণ যে পরিমাণ পেঁয়াজ পচবে তার ক্ষতি পোষাতে ভালো পেঁয়াজের দাম বাড়াতে থাকবে তারা। এখন প্রতিদিন পচা পেঁয়াজ আড়ত থেকে বের হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এসব আড়তদারকে খুঁজে বের করা।

    আড়তে কারা পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছে, এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

    এমনকি চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহেসান উল্লাহ জাহেদীও পচা পেঁয়াজের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি।

    তিনি বলেন, পেঁয়াজ তো বেশি দিন মজুত করে রাখা যায় না। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের অনেক আড়তে পানি ঢুকেছে। তখন হয়তো আড়তে পানি ঢুকে পেঁয়াজগুলো নষ্ট হতে পারে।

    ট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম জানান, ‘রাতে খাতুনগঞ্জের ময়লার ভাগাড়ে বস্তায় বস্তায় পচা পেঁয়াজ ফেলে যাচ্ছে খাতুনগঞ্জের শ্রমিকরা। কর্ণফুলী নদীর পাড়েও পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ টন ধারণক্ষমতার চারটি গাড়ি দিয়ে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে।’

    এদিকে আজ শনিবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ২৪০ থেকে ২৫০টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

  • বারো মাসি পেঁয়াজের বীজ উদ্ভাবন করেছে গবেষকরা

    বারো মাসি পেঁয়াজের বীজ উদ্ভাবন করেছে গবেষকরা

    মিশর এবং তুরস্কসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিদেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজকে জনগণের নাগালের মধ্যে আনতে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি- টিসিবি সে পেঁয়াজ নেবে এবং বিতরণের ব্যবস্থা করবে। সব জেলায় ট্রাকে করে এই পেঁয়াজ চলে যাবে।’

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে অবহিত করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন আছি। যাতে মানুষের সমস্যা না হয়।’
    ইতোমধ্যে এক মওসুমের পরিবর্তে ১২ মাস যেন পেঁয়াজ হতে পারে গবেষকরা পেঁয়াজের সে ধরনের বীজ উদ্ভাবন করতে সমর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা এটি বাজারজাত করবো এবং তখন আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেতে হবে না। নিজেদের চাহিদা মত আমরা উৎপাদন করতে পারবো।’

    সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে টিসিবি’র মাধ্যমে ৪৫ বা ৫০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রয়ের তথ্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিরোধীদলের এক সংসদ সদস্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের একটি রাজ্যে পেঁয়াজের দাম ৮/১০ টাকা আছে। কিন্তু সেখান থেকে বাইরে পেঁয়াজ যেতে দেয়া হচ্ছে না। তবে, ভারতের অন্যত্র পেঁয়াজের দাম বেশি। সমগ্র ভারতবর্ষে পেঁয়াজ প্রায় একশ’ রুপিতে বিক্রয় হচ্ছে।’

    খাদ্যে ভেজাল প্রসংগে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সম্পর্কে বিরোধীদলের নেতাও বলেছেন, এটা ঠিক। আসলে মানুষের চরিত্র বদলায় না, বারবার অভিযান চালানোর পরেও। তবে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।’

    অতীতে বিএনপি সরকারের সময় চিংড়িতে লোহা ঢুকিয়ে ইউরোপে রপ্তানির প্রেক্ষিতে সেখানে চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বেজাল বন্ধ করে আবারো এই রপ্তানি চালু করেছে। বিএসটিআই’র মানোন্নয়ন করে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিএসটিআই’র টেস্টিং ল্যাব চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    তিনি স্থল ও নদী বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন ‘এন্ট্রি’এবং ‘এগজিট পয়েন্টে’ টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

    শিক্ষকদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই তাঁর সরকার প্রায় আড়াই হাজার স্কুল এমপিওভুক্ত করে অন্য সকল শ্রেণী পেশার সঙ্গে শিক্ষকদের বেতনও বাড়িয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে এমপিওভুক্তির একটি মানদন্ড দেয়া হয়েছে যারা এটা পূরণ করবে বাকি থাকলে তারাও এমপিওভুক্ত হয়ে যাবে।

    তিনি বলেন, ‘৬৫ হাজার ৬২৬ জন হেড মাস্টারকে ১১তম গ্রেড দেয়া হয়েছে। ৩ লাখ ৮২ হাজার সহকারী শিক্ষককে ১৩তম গ্রেড দেয়া হয়েছে। শিক্ষকদেরও আমরা আপগ্রেড করে দিয়েছি। তাদের বেতনের পরিমাণ এখন অনেক বেশি।’
    শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণকালীন ভাতা প্রদান এবং ট্রেনিং গ্রহণ করলে তাঁদের চাকরির আপগ্রেডেশনেরও তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী রেল দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মাথায় ব্যথা থাকলে মাথা কেটে ফেলা বা দু,একটা দুর্ঘটনার জন্য রেল বন্ধ করে দেয়ার মনোভাবের সমালোচনা করেন।
    তিনি বলেন, গাড়িতে তো প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তাহলে কি বিরোধীদলীয় নেতা গাড়িতে চড়া বা বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে কি বিমানে চড়া বন্ধ করে দেবেন?

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা, কাজেই এই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মানুষের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব সেটুকু করতে পারটাই বড় কথা।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার মেট্রো রেল তৈরী করছে। কবে কোথায় মেট্রো রেলে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এটাও তৈরী বন্ধ করে দিতে হবে? তাহলে আমাদের যানজট দূর হবে কিভাবে? স্বল্প সময়ে মানুষ দূর দূরান্তে যাত্রা করবে কিভাবে?

    শেখ হাসিনা দৃঢ়কন্ঠে বলেন, ‘সময়ের গতির সাথে তাল-মিলিয়ে চলতে গেলে আধুনিক প্রযুক্তি আমাদেরকে ব্যবহার করতে হবে। সাথে সাথে দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকেও আমাদের বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে।’

    দেশের রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে এ ধরনের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
    আর এটি নির্মাণের সময়ই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্জ্যটা রাশিয়া নিয়ে যাবে। এ বিষয়ে আমাদের চুক্তিও হয়েছে এবং এই পাওয়ার প্লান্টকে ঘিরে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের রাশিয়া এবং ভারতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ বঙ্গে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার জন্য সরকার জায়গা খুঁজছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনভাবেই সুন্দরবনের পরিবেশ এবং জীব-বৈচিত্রের কোন ক্ষতি করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্লান্ট। এর ছাইও সিমেন্ট কারখানায় ব্যবহার হবে এবং সেটা কেনার জন্যও হিড়িক পড়েছে, টেন্ডারও দেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, এর চিমনি অনেক উপরে রাখায় প্রায় ১৪ কি.মি. দূরে থাকা সুন্দরবনের দিকে কোনভাবেই এর ধোঁয়া যাবে না এবং প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হবে।
    প্রধানমন্ত্রী বুয়েটের ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আবরার নিহত হওয়ার পর পরই ছাত্রদের আন্দোলন শুরুর আগে আইজিপিকে ডেকে ঘটনাস্থলের ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িত সকলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেও পুলিশের ফুটেজ আনায় বাধাদানকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি দুর্নীতি বিরোধী অভিযান এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ প্রসংগে বলেন, ‘এখানে আমি দলমত কোন কিছু দেখবো না। এটা আমার নীতির ব্যাপার। অপরাধী যেই হোক শাস্তি তাকে পেতে হবে। কারণ এই সমাজকে তো দুষ্ট চক্রের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থ কখনো বাংলাদেশের কারো কারো জন্য বড় হয়ে যায় এবং যেটা দুর্ভাগ্যের বিষয়।’

  • অব্যাহত অভিযানেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে : আড়তদারকে জরিমানা

    অব্যাহত অভিযানেও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে : আড়তদারকে জরিমানা

    পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে জড়িত আড়তদারদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অধিক মুনাফায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতিও যেন কোন কাজে আসছে না। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত বুধবারের অভিযানেও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির প্রমান পেয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    বুধবার নগরীর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের মাহিন এন্টারপ্রাইজ নামক একটি আড়তদারকে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

    অভিযান শেষে তিনি জানান, পেঁয়াজের দরে উদ্ধগতি থামাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলও যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

    অভিযানে পেঁয়াজের বাজারের কারসাজিতে জড়িত সিন্ডিকেটের একটি তালিকাও করা হয়। জরিমানা আদায়, প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ কারসাজিতে জড়িত কয়েকজন ব্যবসায়িকে দেয়া হয় সাজা। আরো খবর : পেঁয়াজের দরে কারসাজির তালিকায় অভিযান শুরু

    কিন্তু এরপরও চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। অসাধু ব্যবসায়িরা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি টেকনাফ ও কক্সবাজারে পেঁয়াজের বাজারে নিয়মিত মনিটরিংয়ে অসাধু ব্যবসায়িরা এখন কৌশল পরিবর্তণ করে মিশর ও চীনের পেঁয়াজের দামে কারসাজি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মিশর ও চীনের পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা আমদানি মূল্য হলে পাইকারিতে ৫০ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু বুধবার অভিযানের সময় দেখা যায় মাহিন এন্টারপ্রাইজ নামক এক প্রতিষ্ঠানে এসব পেঁয়াজ অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। আরো খবর : পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট

    এমনকি আমদানি ও বিক্রিত মালামালের সঠিক কোন কাগজ পত্রও তারা দেখাতে পারেনি। ফলে আড়তদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।

    পেঁয়াজের বাজারে যতদিন স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় ততদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

    এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে রেয়াজ উদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজের মূল্যে কারসাজি ও মজুদদারির অভিযোগে ঘোষাল কোয়ার্টার এলাকার জে এস ট্রেডার্সের মালিক মিনহাজুদ্দিন বাপ্পি (২৮) এবং এ হোসেন ব্রাদাসের মালিক আবুল হোসেনকে (৫৫) ১৫ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।