Tag: পেঁয়াজ

  • ভারতে পেঁয়াজের কেজি ১২ টাকা

    ভারতে পেঁয়াজের কেজি ১২ টাকা

    বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য যখন আকাশচুম্বী তখন ভারতে পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে।

    পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে ভারত সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।

    বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে  সেখানে ভারতের কেজিপ্রতি ৬ থেকে ১০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

    অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১২ টাকাও পড়ছে না প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য।

    বুধবার দেশটির লাসাগাঁও অনলাইন মার্কেটে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০ রুপি দরে বিক্রি হয়েছে।

    ভারতীয়রা বলছেন, এত কমদামে এর আগে কখনও পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি ভারতে। এটিই ভারতে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন দর।

    পেঁয়াজের দাম এমন পানির দরে চলে আসায় বিপুল পরিমাণে লোকসানে পড়েছেন ভারতীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

    এমন দরপতনের জন্য সম্প্রতি চলমান পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞাকে দুষছেন তারা।

    পেঁয়াজে হুট করে ধস নামার পেছনের কারণ হিসেবে তাদের অভিযোগ, পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্থানীয় বাজারের পেঁয়াজ কোথাও যেতে পারছে না। তাই এমন ধস নেমেছে মসলাটির দামে।

    তাই পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছেন দেশটির কৃষকরা।

    ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, ইতিমধ্যে কৃষকদের আন্দোলনে কর্নাটকে উৎপাদিত পেঁয়াজের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে দেশটির হর্টিকালচার কমিশনারের অনুমতি মিলেছে কৃষকদের।

    গত ২৮ অক্টোবর থেকে চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রতি চালানে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করছেন কর্নাটকের কৃষকরা।

    কর্নাটকের পাশাপাশি কলকাতার ব্যবসায়ীরাও পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে তাদের রাজ্য সরকারকে চাপ দিচ্ছেন।

    তারা বলছেন, এখন আর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা রাখার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখছি না আমরা। মহারাষ্ট্রে নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে। আমরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

    প্রসঙ্গত গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এর পর থেকেই বাংলাদেশে পণ্যটির দাম দফায় দফায় বাড়তে থাকে। নিম্নমধ্যবিত্তদের ক্রয়ের নাগালের বাইরে চলে যায়।

    আজ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১২০-১২৩ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১৩০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

  • শীঘ্রই দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    শীঘ্রই দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    শীঘ্রই দেশে পৌছাবে পেঁয়াজের বড় চালান। থাকবে না আর সংকট। কমবে দাম, খুচড়া মূল্য হবে ক্রেতাদের নাগালে। আর এটি সম্ভব হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের কল্যাণে।

    সম্প্রতি মিসর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের বড় চালান আমদানির ঋণপত্র খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগেও ২০১৬ সালে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সচেষ্ট ছিল এস আলম গ্রুপ।

    এদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও গত দেড়মাস ধরে পেঁযাজের বাজার নিয়ে চলমান অস্তিরতার স্থিতিশীল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেঁয়াজের বড় চালানটি শিগগির পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন।

    আজারবাইজানের বাকুতে ন্যাম সম্মেলনে যোগদান শেষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এই সমস্যা সাময়িক। আরও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে।

    জানা যায়, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেই জন্য এস আলম শিল্প গ্রুপটি ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ তুরস্ক ও চীন থেকে আড়াই হাজার টন করে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। এসব পেঁয়াজ দেশে এলে দামের ঊর্ধ্বগতি কমে আসবে মনে করছে সাধারণ মানুষ।

    এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক মো. আখতার হাসান বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর এ পণ্যটির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেড় মাস ধরে বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। পেঁয়াজ সংকটের শুরুতে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা চালায় এস আলম গ্রুপ। তবে বড় চালান না পেয়ে গ্রুপটি মিসরের দ্বারস্থ হয়।

    তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি জন্য ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হয়। ইতিমধ্যে সব কিছু চূড়ান্তও হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী মাসের (নভেম্বর) প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের চালানটি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত জাহাজগুলো।

    ব্যাবসায়িক লাভের উদ্দ্যেশে এসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না জানিয়ে গ্রুপটির বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে, সে জন্য ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনে আমদানির উপর ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই এসব পেয়াঁজ বিক্রি করা হবে।

    তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজের চালানটি বন্দরে আসার সাথে সাথে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বৃহৎ পাইকারী বাজারগুলোতে দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

    সামাজিক দায়বদ্দতা থেকে এমন মহৎ উদ্দ্যেগ নেওয়ার জন্য এস আলম গ্রুপ ছাড়াও দেশের যেকয়টি বড় শিল্প গ্রুপ মিসর,তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে সবাইকে স্বাগত জানিয়েছে চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়িরা।

    তারা মনে করেন এস আলম গ্রুপ ছাড়াও শিল্প গ্রুপ টি কে গ্রুপপ, পিএইচপি গ্রুপসহ চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপগুলো এ ধরনের উদ্দ্যেগ নিয়ে দেশের পেঁয়াজের বাজার সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী মাসের মাঝামাঝি পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি থামবে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা।

    প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর একেবারে আকাশচুম্বিতে উঠে পেঁযাজের দর।

    একলাফে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৯০-৯৫ টাকায় পৌঁছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও নিয়মিত তদারকিতে মাঝে সামান্য দরপতন হলেও ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে পাইকারিতে সেঞ্চুরি পেরিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।

  • মিশর থেকে পেঁয়াজ আসলে দাম কমবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

    মিশর থেকে পেঁয়াজ আসলে দাম কমবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেছেন, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে মিশর থেকে পেঁয়াজ আসলেই দাম কমবে পেঁয়াজের।

    আজ চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি খলিলুর রহমান, সিএমসিসিআই এর পরিচালক ও মেলা কমিটির আহবায়ক আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী ও আব্দুস সালাম প্রমূখ।

    টিপু মুন্সী আরো বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি আমাদের জন্য একটা শিক্ষা। আগামীতে যাতে এ রকম আর না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা এখন খাদ্যে সারপ্লাস করছি। নিজেরা উৎপাদন করতে পারলে ভবিষ্যতে পেঁয়াজ সংকট থাকবে না।

    মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায় পূর্ব ভারতের পাঁচ কোটি মানুষ। এইটা করা গেলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়বে। তাদের এখন এক হাজার ২০০ কিলোমিটার যেতে হয় কলকাতা বন্দর যেতে। চট্টগ্রাম বন্দর হলে অর্ধেক পথে দাঁড়াবে।

    তিনি বলেন, আমি ৫৩ বছর ধরে রাজনীতি করি আর ব্যবসা করি ৪৫ বছর ধরে। কিন্তু আমার চেতনায় রয়েছে বাংলাদেশ। আমি আর আমার বাবা একসাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এইটাই সবচেয়ে বড় গর্বের। ব্যবসা বাণিজ্য আমরা করবো, কিন্তু ইতিহাসটা জানা থাকা দরকার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা শুধু তাকে হত্যা নয়। এর মধ্যে দিয়ে আবার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মাথা তুলেছে।

    মেলায় ২৪০ টি দোকান, চারটি প্যাভিলিয়ন, কিডস জোন, খাবারের দোকান আছে। মাসব্যাপী এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

  • বাড়তি দামে পেয়াঁজ বিক্রি ঠেকাতে পটিয়ায় অভিযান, জরিমানা

    বাড়তি দামে পেয়াঁজ বিক্রি ঠেকাতে পটিয়ায় অভিযান, জরিমানা

    কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদ রেখে বাড়তি দামে পেয়াঁজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়াতেও। বাড়তি দামে বিক্রি রোধ করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। অভিযান পরিচালনা করছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    আজ বুধবার পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে ধরা পড়েছে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়টি। এছাড়া বাজারে ভেজাল ঘি বিক্রির বিষয়টিও পরিলক্ষিত হয়। এসব অপরাধে জরিমানা করা হয় চার দোকানকে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান।

    অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রী করার কারণে এক দোকানদারকে ২ হাজার টাকা ও অপর এক ব্যাসায়িকে ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া ভেজাল ঘি বিক্রির অভিযোগে মদিনা ট্রের্ডাসকে ১০ হাজার টাকা ও আল মারুয়া স্ট্রোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।

    হাবিবুল হাসান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার কারণে দুই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। তাছাড়া ভেজাল ঘি বিক্রয় করার দায়ে দুই দোকানদারকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান।

  • পেঁয়াজ এখন রড সিমেন্টের দোকানে! অভিযানে ৫টন জব্দ

    পেঁয়াজ এখন রড সিমেন্টের দোকানে! অভিযানে ৫টন জব্দ

    কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির আশায় কমদামে পেঁয়াজ নিয়ে কিনে মজুদ করে রেখেছে এক ব্যবসায়ি। এমন অভিযোগ পেয়ে হাটহাজারী পৌরসভার পুড়াহাট এলাকায় আমির হোসেনের মালিকানাধীন একটি রড সিমেন্টের গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।

    ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে হাটহাজারী থানার দক্ষিণ পাশের একটি রড সিমেন্টের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে মিলে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রড সিমেন্টের ব্যবসার আড়ালে এ পেঁয়াজের আড়তের জন্ম হয় মাত্র ৪ থেকে ৫ দিন আগেই। ১৪ টন পেঁয়াজ মজুদ করা হয় এ গোডাউনে।

    এ আড়ৎ থেকে স্থানীয় বাজারে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার তথ্য নিশ্চিত করলেও পাইকারী বাজার থেকে কত করে পেঁয়াজ ক্রয় করেছে তার সঠিক কোন হিসেবে বা নথিপত্র দেখাতে পারেনি আড়তদার। তিনি একবার ৬০ টাকা আবার ৬৫ কিছুক্ষন পর ৬৮ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজগুলো ক্রয় করেছেন বলে ভ্রাম্যমান আদালতকে তথ্য দিয়েছেন।

    ফলে রড সিমেন্টের এ গোডাউন থেকে প্রায় ১শত বস্তা ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ করায় পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।

    আড়তদারের সাথে কথা হলে তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তিনি ৬৮ টাকা কেজি ধরে ১৪ টন পেঁয়াজ কিনেছেন তবে তাকে কোন ধরনের রশিদ দেয়া হয়নি। তিনি বলছেন পেঁয়াজ যিনি আমদানি করেছে এবং এলসি’র মাধ্যমে এসব পেঁয়াজের চালান যার মাধ্যমে কাটা হয়েছে তারা একটি দর ধরে শুধুমাত্র স্কেলে ওজন মেপে মৌখিকভাবে তাদের কাছে পেঁয়াজগুলো হস্তান্তর করেছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্দ্যেশে মজুদ করেছেন ব্যবসায়ি আমির হোসেন। মনিটরিংয়ে এসে তার কাছ থেকে পাওয়া বক্তব্য মোটেও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। কোন ধরনের কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করা হয়েছে।

    হাটহাজারীতে এ ধরনের অসংখ্য গুদামে পেঁয়াজ মজুদ রাখা আছে জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, যারা মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করার মত অসাধু পথ অবলম্বন করবেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিয়ান অব্যাহত রেখে প্রত্যেক অসাধু ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত এবং বাজারেও যথেষ্ট পেঁয়াজ আছে জানিয়ে এ নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে হাটহাজারীবাসির বিভ্রান্তিতে পড়ার কোন সুযোগ নেই।

    জব্দকৃত পেঁয়াজগুলো কি করা হবে এমন প্রশ্নে রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, এ গোডাউন থেকে একশ বস্তা প্রায ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করা হয়েছে। আড়তদার যদি তার পেঁয়াজ ক্রয়ের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারে এবং তা সুলভ মূল্যে বিক্রি করার অঙ্গিকারনামা দিলে জব্দকৃত পেঁয়াজগুলো তাকে পুনরায় ফেরত দেওয়া হবে।

  • পেঁয়াজের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান : সুজন

    পেঁয়াজের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান : সুজন

    পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সকল মহলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে উত্তর কাট্টলীস্থ নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের এক জরুরী সভায় উপরোক্ত মত প্রকাশ করেন।

    তিনি আরো বলেন আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ব্যাক্তিগত পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি যে বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের কোন সংকট নেই। তারপরও একশ্রেণীর অর্থলিপ্সু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট কারসাজি করে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে জনগনের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যা এক প্রকার অনৈতিক এবং গর্হিত কাজও বটে। এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের মতো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি তিনি বিনীত আহবান জানান। তিনি আরো বলেন আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন ঠিক সেই মুহুর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কারসাজির মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে জনগনকে অহেতুক আতংকিত করছে।

    তিনি সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দ্রুত বাজার মনিটরিং শুরু করার আহবান জানান।

    পাশাপাশি র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে অবৈধভাবে পেয়াজ মওজুদ করে রাখা বিভিন্ন গুদামে অভিযান পরিচালনা করার অনুরোধ জানান।

    তিনি আগামী শুক্রবারের মধ্যে পেঁয়াজের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে না আসলে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বর্জন করার জন্য বিভিন্ন বাজারে বাজারে গণপ্রচারনায় নামার ঘোষনা দেন এবং জনসাধারনকে এক কেজির বেশী পেঁয়াজ ক্রয় না করার অনুরোধ জানান।

    তিনি সনাতনী সম্প্রদায়ের আসন্ন শারদীয়া দূর্গাপুজা নির্বিঘ্নে ও সুচারুরূপে সম্পাদনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সেবা সংস্থাসমূহের প্রতি বিশেষ আহবান জানান।

    এছাড়া পূজোয় ব্যবহৃত দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি করে কেউ যেন অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

    তিনি দ্রুততার সাথে নগরীর ভাঙ্গা রাস্তাঘাট সংস্কারের মাধ্যমে জনমনে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে চসিক মেয়রকে অনুরোধ জানান। বিশেষ করে বিজয়া দশমীকে কেন্দ্র করে নগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে কাটগড় পর্যন্ত ভাঙ্গা সড়কগুলো দ্রুততার সাথে সংস্কার করার আহবান জানান।

    এছাড়া শারদীয়া দূর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যাতে কোন প্রকার বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতিও বিনীত আহবান জানান তিনি।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, মোঃ নিজাম উদ্দিন, এজাহারুল হক, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, শেখ মামুনুর রশীদ, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।

    আরো:: পেঁয়াজের সেঞ্চুরি

  • পেঁয়াজের সেঞ্চুরি

    পেঁয়াজের সেঞ্চুরি

    পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এতে করে গত ২৪ ঘণ্টায় রান্নায় নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। এতে করে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে।

    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

    খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, পাইকারি বাজারেও ২৪ ঘণ্টায় ব্যবধানে ১৫-২০ টাকা বেড়ে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    রাজধানীর মুগদার মুদি ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, গত কয়েক সপ্তাহ দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা ও ভারতের পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু কালকে (রোববার) শ্যামবাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখি, সেখানেই বিক্রি করছে ৮০ টাকা। ভারতের রফতানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে খুচরা বিক্রি করি। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না।

    পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও আলহাজ ভান্ডারের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি মাসের ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূ্ল্য তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়। পরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩৫-৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ দাম বেড়ে ৬০-৬৫ টাকায় ওঠে। এতদিন এ দরেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। গতকাল সকালেও ওই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্ত বিকেলে যখন বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর আসল ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে, তারপর থেকেই দাম বাড়তে থাকে।’

    তিনি বলেন, আজকে আমদানি করা পেঁয়াজ (ভারত) পাইকারি বিক্রি করছি ৭৭-৮২ টাকা, বার্মা পেঁয়াজ ৭৫-৭৭ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৮০-৮৫ টাকা। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দাম ২০-২৫ টাকা বেড়েছে বলে স্বীকার করেন এই পাইকারি ব্যবসায়ী।

    খিলগাঁওয়ে পেঁয়াজ কিনতে আসা কবির আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘প্রতিদিনই পেঁয়াজ লাগে। গতকাল শুনলাম ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে। কিন্তু একদিনে এত বাড়বে? আজকে দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা চাচ্ছে।’

    ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ক্রেতা বলেন, ‘কাল ঘোষণা দিল আর আজ ৩০ টাকা দাম বেড়ে গেল? একদিনে এত কেন বাড়ল? সরকার কেন এটির তদারকি করে না?’

    তিনি বলেন, কোনো পণ্যের দাম বাড়লে খরচ বাড়ে আমাদের। কিন্তু আমাদের তো বাড়তি আয় নেই। তাই পণ্যের দাম বাড়লে বিপাকে পড়ি আমরা সাধারণ ভোক্তারা। আমাদের দেখারও কেউ নেই। এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীর খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে পেঁয়াজ বিক্রি কর‌া হচ্ছে। প্রথমে পাঁচটি স্পটে এ কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে তা বাড়িয়ে আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে ৩৫টি ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। একজন ডিলার কেজি ৪৫ টাকা দরে প্রতিদিন এক হাজার কেজি (এক টন) পেঁয়াজ বিক্রি করবে।’

    তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের পাশাপাশি দুর্গাপূজা উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে তেল লিটার ৮৫ টাকা, চিনি কেজি ৫০ টাকা এবং মসুর ডাল ৫০ টাকায় বিক্রি করছে টিসিবি।

    সরকারি হিসেবে দেশে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। আর, দেশে এখন ৩ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে। যা দিয়ে ৫০ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব।।

    এদিকে দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, বাজার অস্থির করা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার বিপরীতে দেশের উৎপাদন হয় ১২-১৩ লাখ মেট্রিক টন। বাকি ১০-১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, যার অধিকাংশই আসে ভারত থেকে।

    বিভিন্ন সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ভারতের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হওয়ায় চলতি বছরে মৌসুমি পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

    ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ বিষয়ক মুখপাত্র সীতাশু কর বলেন, ‘রফতানি নীতির সংশোধন করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানিতে এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’

    ভারত হলো গোটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের বেশকিছু শহরে সবজির মূল্য প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। উৎপাদন কম এবং বছরের শেষে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন। তাই ভোগ্যপণ্য বিষয়ে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

    গত জুনে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করলে সরকার তখন রফতানি ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয়। মূলত আগের বছরের মজুত থেকে এ বছরে পেঁয়াজ সরবরাহের পরিমাণ হ্রাস ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বপনে বিলম্ব হওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশটি।

    পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে এরইমধ্যে মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা দুই জাহাজ পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই এ পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।