Tag: পৌরসভা নির্বাচন

  • জামায়াত- বিএনপি ও হেফাজতের দুর্গে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগের বিজয়

    জামায়াত- বিএনপি ও হেফাজতের দুর্গে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগের বিজয়

    ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াত- বিএনপি ও হেফাজতের দুর্গে বিজয় হয়েছে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগের। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী (নৌকা) প্রতীকের এ কে জাহেদ চৌধুরী বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০ হাজার ১ শত ৮০। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল প্রতীকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার পাশা পেয়েছেন ৭ হাজার ১ শত ৭৪ ভোট।

    বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে আট টায় ফটিকছড়ি উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. তারিফুজ্জামান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

    নাজিরহাট পৌরসভা গঠনের পর প্রথম নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুল হককে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থী সিরাজ উদ দৌলা। পরে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।

    প্রথমবার হারলেও দ্বিতীয়বারের নির্বাচনে এ পৌরসভায় নিজেদের বিজয়ী ছিনিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ বিজয় সম্ভব হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা। ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের বিভাজন ভুলে নির্বাচনের মাঠে সরব ছিলেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ফলে জামায়াত বিএনপি ও হেফাজতের দুর্গখ্যাত এ পৌরসভায় নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন আওয়ামী লীগ। এদিকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়েছে নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচন।

    বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান করেন। সারাদিন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ করা হয়। সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে সকালের দিকে নারী ও বৃদ্ধ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ইভিএমের মেশিনের ধীরগতি ও আঙ্গুলের চাপ না মেলায় ভোটারদের কিছুটা বেগ পেতে হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও দুপুরের দিকে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড বাবুনগর মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধাঁ প্রদানের অভিযোগ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। যার তাৎক্ষনিক তীব্র প্রতিবাদ জানান স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।

    নাজিরহাট পৌরসভার ভোটাররা এই প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দেন। তাই ভোট নিয়ে ভোটারদের মধ্যে বেশ কৌতূহল ছিল। তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রশাসনের কমতি ছিল না। পৌরসভার ২২ টি ভোট কেন্দ্রে ৪৪ হাজার ৭শ’ ৮৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৯শ’ ৩০ জন ও নারী ভোটার ২০ হাজার ৮ শত ৫৬ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন।

    নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে মাওলানা জয়নাল আবেদীন, ২ নং ওয়ার্ডে আমান উল্লাহ, ৩ নং ওয়ার্ডে ওসমান গণি, ৪ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ শাহজাহান, ৫ নং ওয়ার্ডে মোস্তফা কামাল, ৬ নং ওয়ার্ডে মাওলানা ইয়াকুব, ৭ নং ওয়ার্ডে মাওলানা মঞ্জুর মিয়া, ৮ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী, ৯ নং ওয়ার্ডে মো. সোলায়মান নির্বাচিত হয়েছেন।
    এছাড়াও, সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডে ছলিমা আক্তার শিউলী; ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডে রহিমা বেগম এবং ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডে হাসিনা মমতাজ নির্বাচিত হয়েছেন।

  • আজ নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচন

    আজ নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচন

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: আজ নাজিরহাট পৌরসভা দ্বিতীয় নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইবিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ হবে।

    এদিকে ভোট কেন্দ্রের আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহ চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করছে বলে জানিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান।

    জানা গেছে, নাজিরহাট পৌরসভার প্রায় ৪৭ হাজার ভোটার ৯টি ওয়ার্ডের ২২টি কেন্দ্রে প্রথম বারের মত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এটি এই পৌরসভার দ্বিতীয় নির্বাচন। এর আগে ২০১৮ সালে এই পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত হযেছিল।

    নাজিরহাট পৌরসভার দ্বিতীয় বারের এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধীতায় করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ কে জাহেদ চৌধূরী (নৌকা), নাজিরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দীন (নারিকেল গাছ ), আনোয়ার পাশা
    (মোবাইল ফোন)। মোহাম্মদ ইসমাঈল গণী (জগ ) ও জাহাঙ্গীর আলম (চামচ) প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্ধীতা করছেন।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানি বলেন, একটি সুষ্টু ও সুন্দর নির্বাচনের লক্ষে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

  • নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচন: উৎসবমূখর পরিবেশে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমাদান

    নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচন: উৎসবমূখর পরিবেশে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমাদান

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিনে ৫৭ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    রবিবার ব্যাপক উৎসাহ -উদ্দীপনা ও উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুজ্জামানের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রার্থীরা।

    নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪২ সহ ৫৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

    জানা গেছে, মেয়র পদে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে জাহেদ চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশন মনোনীত মোহাম্মদ শাহ জালাল।
    স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,এস এম শফিউল আলম এডভোকেট মো : ইসমাইল গনি ও আনোয়ার পাশা।

    এ ব্যাপারে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: আরিফুজ্জামান বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে সুশৃংখল ভাবে প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন। রবিবার শেষ দিনে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার ও মঙ্গলবার যাচাই বাচাই সম্পন্ন হবে।

  • বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

    বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

    বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : অবশেষে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল বোয়ালখালী পৌরসভায় ভোট।

    গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    পৌর নির্বাচনের মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৯ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ রয়েছে ২৪ মার্চ।

    জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে এই পৌরসভা নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। পৌরবাসী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগ্রহ থাকলেও নানা অজুহাতে সেই ভোটদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন হাজার হাজার ভোটার।

    বোয়ালখালী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ভোটার বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা ছিল। সেটি এখন কেটে গেছে। কিছু ভোটার নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল।

    চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২১ মে। এ সময় বিএনপির প্রার্থী হাজী আবুল কালাম মেয়র নির্বাচিত হন। একই সালের ১৯ জুন প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় এ পৌরসভায়। সে হিসাবে গত বছর ১৯ জুন এ পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারি ভাবে বিজয়ী

    মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারি ভাবে বিজয়ী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামছুল হক ‘নৌকা’ প্রতীকে ৫,৭২৪ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এম জাহাঙ্গীর আলম ‘মোবাইল’ ৩,৭৮০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়া বিএনপি’র শাহজালাল কাজল ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ৩,৬৮৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

    মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই ভোট কেন্দ্রে ভোটটারদের উপস্থিতি ছিলে ব্যাপক। ভোটারদের মাঝে উৎসব মূখর আনন্দ দেখা গেছে।

    মাটিরাঙ্গা পৌর সভায় গোপন ব্যালট এর মাধমে ভোট প্রদানে ধলিয়া কেন্দ্রে মোশারফ নামে এক যুবক জাল ভোট প্রদান করতে চাইলেও প্রশাসনের হাতে ধরা পরে। পরে তাকে আটক করে নির্বাচনের পর সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

    খাগড়াছড়ি নিবার্চন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ জানান, রোববার সকাল থেকে ভোটাররা নিরাপদে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছে। কোন কেন্দ্র অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নয়ন মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের প্রধান ইস্যু, বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় সরকারি দল

    শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নয়ন মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের প্রধান ইস্যু, বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় সরকারি দল

    নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি : আগামীকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উন্নয়নই ভোটারদের কাছে প্রধান ইস্যু। কিন্তু আওয়ামীলীগের ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী এবং বর্তমান মেয়র মো: শামছুল হক’র সাথে বিদ্রোহ করে অপেক্ষাকৃত তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা এম এম জাহাঙ্গীর আলম ‘মোবাইল’ প্রতীকে নির্বাচনে মাঠে নামায় অশান্তির নানা গুঞ্জনও প্রতিদিন ডালপালা ছড়াচ্ছে। তবে ২৫ বর্গকিলোমিটারের এই পৌরসভার প্রায় উনিশ হাজার ভোটারের মধ্যে বিএনপি প্রার্থী মো: শাহজালাল কাজল’র ‘ধানেরশীষ’ প্রতীকের জোরালো সমর্থন লক্ষণীয়।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত বি-গ্রেডের এই পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন। ২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মূল সড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কগুলোর অবস্থা ভালো নয়। মাটিরাঙ্গা বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সাধারণ ভোটাররা এসব ইস্যু নির্বাচনের প্রধান বিষয় হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে।

    এছাড়াও মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন দল, মত, সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার ইস্যুটিও সব সময় প্রাধান্য পায়।

    মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নির্বাচনে উন্নয়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ভোটারদরে মন জয় করতে ব্যস্ত রয়েছেন। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।

    বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এখনো কোন অভিযোগ করেননি। অবশ্য আওয়ামীলীগের পথের কাটা ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’র যত অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই।

    স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমরা সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বলছেন নির্বাচনের পরে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে আমার সমর্থকদের হয়রানি করা হবে। এখনো সময় আছে মোবাইল মার্কার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা করার, কেননা যেই ভোট পায় না কেন ঘোষণা করা হবে নৌকার নাম।

    তিনি আরো বলেন, গত সোমবার ৩১ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় আমি এসব বিষয় মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

    অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হক বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী যেসব অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে মিথ্যাচার করছে দলের এবং আমার বিরুদ্ধে। তিনি দলের বাইরে এমন কোন কর্মকাণ্ড করেননি যে ভোটাররা তাঁকে ভোট দিবে। বরং তাঁর লোকজনই আমার সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। নির্বাচনের পরাজয়ের আশঙ্কায় তিনি নানা ধরনের দোষ চাপাচ্ছেন।

    বিএনপির প্রার্থী শাহ জালাল বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এখনো পর্যন্ত কোন বাধাবিপত্তি আসেনি। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই ভোটাররা তাকে গ্রহন করছে। যদি সুষ্ঠ ভোট হয় তিনিই জয়ী হবেন। তবে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে তিনিও সংশয়ে রয়েছেন।

    জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন প্রার্থী লিখিত ভাবে কোন প্রার্থী অভিযোগ করেননি। আশা করছি সুষ্ঠ ও সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

    উল্লেখ্য, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, ৩টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬ জন, ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এরমধ্যে ৩ নং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মোট ভোটার ১৮ হাজার ৯৬৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৮০৬ জন এবং নারী ভোটার ৯ হাজার ১৫৯ জন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • রায়পুর পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জিলানির স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

    রায়পুর পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জিলানির স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : অতীতের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা চেয়ে আসন্ন পৌর নির্বাচনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাবেক মেয়র এবিএম জিলানি। পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে লক্ষ্মীপুর রায়পুর পৌরসভা নির্বাচন ঘোষিত হয়। এতে করে টানা ১২ বৎসর মেয়রের দায়িত্ব পালনকারী এবিএম জিলানী পৌরবাসীর কাছে সব রকমের সহযোগিতা কামনা করেন।

    শনিবার তার নিজস্ব কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে এবিএম জিলানী বলেন ‘আমার পিছনের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আপনারা আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে আবারো ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমি আপনাদের অতিরিক্ত ভ্যাট হ্রাস করে দিবো, ডাকাতিয়া নদীকে ইজারা মুক্ত করে নদীকে পর্যটনের অংশ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করব।’

    মতবিনিময়কালে তিনি পৌরসভাকে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দেন। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা কামনা করে সাবেক এই মেয়র বলেন- ‘আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন, ধানের শীষ প্রতীকে যেন সাধারণ ভোটাররা নিঃসন্দেহে নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে সহযোগিতা করার আহবান করেন।’

    অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমাকে বলতে হয় গত পৌরনির্বাচনে আমি আমার বাসায় অবরুদ্ধ ছিলাম, আমাকে আমার নিজস্ব ভোটাধিকার দেয়া হয়নি। আমি আপনাদের ভালবাসা ও দোয়ায় এবারও বিএনপি’র মনোনয়ন পেয়েছি। আমি পৌরবাসীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে ও দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এবারও নির্বাচন করছি। আপনারা আমাকে দোয়া করবেন।

    এবিএম জিলানী বলেন-‘আমি মেয়র থাকাকালীন সময়ে রায়পুরে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। জলাবদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাষণের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা হয়েছে। পৌরবাসীর সুপেয় পানির জন্য পানির ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে, রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। কোন গরীব অসহায় মানুষকে কষ্ট না দিয়ে ভ্যাট বাড়ানো হয়নি। আপনারা যদি আমাকে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত করেন তাহলে আমি রায়পুর পৌরসভাকে একটি আদর্শ ও মডেল পৌরসভা হিসেবে রায়পুর পৌরবাসীকে উপহার দেব।’

    মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসেন আহাম্মদ বাহাদুর, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাকির হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভিপি নজরুল ইসলাম লিটন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুনসুর জিলানী নোমানসহ উপজেলা বিএনপি,পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

    রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

    রাউজান(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ১জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রার্থীগণ

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব, সি.সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীকে সাথে নিয়ে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ। এরপর প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী ও দলীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন সংরক্ষিত এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

    মনোনয়ন পত্র জমাদানের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নপত্র জমাদান কারীরা হলেন ১,২,৩ ওয়ার্ডে নাছিমা আক্তার, ৪,৫,৬ জেবুন্নেসা, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি। সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমাদানকারীরা হলেন ১ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আলমগীর আলী, ২নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান, ৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর কাজী ইকবাল, ৪নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শওকত হাসান, ৫নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর জানে আলম জনি, ৬নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত, বিকাশ দাশ গুপ্ত, ৭নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এড. দিলীপ চৌধুরী, ৯নং ওয়ার্ডে রাউজান পৌর আ.লীগের সি.সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন।

    রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ জানান, মেয়র পদে ১জন,কাউন্সিলর পদে ১০জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩জন ছাড়া আর কোনো প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দেননি।

    রিটানিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাই ৪ ফেব্রুয়ারী, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারী, এই পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন করা হবে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা৫০ হাজার ৫ শত ৮৪জন। পুরুষ ভোটার ২৬ হাজার ৪৪৮ জন, নারী ভোটার ২৪ হাজার ১৩৬জন। সর্বশেষ রাউজান পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দফায় দফায় সংঘর্ষ ৫ পুলিশসহ ২০ জন আহত

    রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দফায় দফায় সংঘর্ষ ৫ পুলিশসহ ২০ জন আহত

    অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : পৌরসভার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় সকাল থেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এমনটি জানা গেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয় হয়েছে বলে জানা গেছে।

    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষকারী উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী জিতু দেয়ান ও পাঞ্জাবী প্রতীকের মামুনুর রশিদ আকন্দ সমর্থক।

    শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার পশ্চিম কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় রামগঞ্জ চাটখিল সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে আধা ঘন্টারও বেশী সময় ধরে সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে উটপাখি প্রতিকের সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ১৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরে অবরোধ তুলে দেন।

    এসময় আহত হন, এস আই মুকবুল, এ এস আই আহসান উল্যাহ, তায়েফুর রহমান, খায়রুল বাশার, জোবায়ের ও বাহারসহ কমপক্ষে ১৫ জন।

    লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির জানান, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কত রাউন্ড ফাঁকা গুলি হয়েছে তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি তিনি।
    এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।

  • রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি পারভেজ

    রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি পারভেজ

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও দলের দুঃসময়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা জমির উদ্দিন পারভেজ।

    শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডে রাউজানে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জমির উদ্দিন পারভেজকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।

    কেন্দ্র থেকে জমির উদ্দিন পারভেজকে দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার সংবাদে রাউজান পৌর এলাকাজুড়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে দলীয় নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্থরের জনতাকে। এ সময় খুশিতে একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান কর্মী-সমর্থকরা। দুপুর নাগাদ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও দলীয় নেতা-কর্মীসহ নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন উপজেলা আ.লীগের কার্যালয়ের সামনে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মুন্সিরঘাটা চত্বর । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় অভিনন্দনের জোয়ার।

    উল্লেখ্য, রাউজান পৌরসভায় আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি ইভিএমের মাধ্যমে ১৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন করা হবে। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি,যাচাই-বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি।

    জানা যায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা-৫০ হাজার ৫ শত ৮৪জন। সর্বশেষ রাউজান পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর।

    দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত মেয়র পদ প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, সকল মানুষের আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়ায় আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি দলীয় প্রতীক পাওয়া আমার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও পৌরবাসীর প্রতি আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

  • ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে

    ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে

    তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে।

    এই ধাপের সব পৌরসভায় কাগজের ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হবে।

    নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, পৌরসভায় বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য চাওয়া হয়েছে, সেখানে তা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সহিংসতার শঙ্কা নেই এটা আগেই বলা যাবে না। ঘোষণা দিয়ে সহিংসতা হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    ইসি সূত্রে জানা গেছে, ৬২টি পৌরসভায় গত বৃহস্পতিবার থেকে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। সহিংসতার শঙ্কায় নয়টি পৌরসভায় বাড়তি সদস্য দেয়া হয়েছে।

    এ ধাপের নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশকিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও। তাদের বড় অংশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী।

    এ ধাপে মোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজন মেয়র, নয়জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর রয়েছেন।

    ইসি জানিয়েছে, চূড়ান্ত লড়াইয়ে রয়েছেন মোট তিন হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ২২৯ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৩৬০ জন।

    গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, কুমিল্লার লাকসাম ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    এখন পর্যন্ত পাঁচ ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে কমিশন। প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়। আর তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় আজ ৩০ জানুয়ারি ভোট হচ্ছে।

    তৃতীয় ধাপে যেসব পৌরসভায় ভোট হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে- দিনাজপুরের হাকিমপুর, নীলফামারীর জলঢাকা, কুড়িগ্রামের উলিপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়ার ধুনট, শিবগঞ্জ, গাবতলী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর এবং নওগাঁর ধামইরহাট ও নওগাঁ সদর।

    রাজশাহীর মুন্ডুমালা ও কেশরহাট, নাটোরের সিংড়া, পাবনা সদর, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু ও কোটচাঁদপুর, যশোরের মনিরামপুর, নড়াইলের সদর ও কালিয়া, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, খুলনার পাইকগাছা, সাতক্ষীরার কলারোয়া, বরগুনা সদর ও পাথরঘাট, ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান, বরিশালের গৌরনদী ও মেহেন্দিগঞ্জ এবং ঝালকাঠীর নলছিটি।

    পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী, টাঙ্গাইল সদর, মির্জাপুর, ভূঞাপুর, সখীপুর ও মধুপুর, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, মুন্সীগঞ্জ সদর, রাজবাড়ীর পাংশা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং শরীয়তপুরের নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও জাজিরা, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজার সদর, কুমিল্লার বরুড়া ও চৌদ্দগ্রাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফেনীর হাতিয়া, নোয়াখালীর চৌমুহনী ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ।

  • পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভায় নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি

    পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভায় নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি

    পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।

    তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি।মনোনয়ন বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি এবং প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

    ইসি সচিব বলেন, এ ধাপের সব পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।

    উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে দেশের ২৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে গত ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভার নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি ও চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।