Tag: পৌরসভা নির্বাচন

  • পৌর নির্বাচন:৪৫টিতে আ.লীগ ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী জয়ী

    পৌর নির্বাচন:৪৫টিতে আ.লীগ ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী জয়ী

    দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ ধাপের ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ৪৯টিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বেসরকারিভাবে মেয়র পদে জয়লাভ করেছেন।

    এছাড়া দলটির চারজন বিদ্রোহী প্রার্থীও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন চারজন। দলটির দুজন বিদ্রোহী প্রার্থীও জিতেছেন।

    এই দুই দলের বাইরে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের একজন করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন দুটি পৌরসভায়।

    শনিবার ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জের একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত থাকায় ওই পৌরসভার ফল ঘোষণা করা হয়নি। এদিন ভোটে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ৪১ প্রার্থী।

    একক প্রার্থী থাকায় ভোটের আগেই চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ধাপে দলটির ৪৯ জন মেয়র নির্বাচিত হলেন। এর আগে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ২৯টিতে, বিএনপি ২টিতে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টিতে জয় পেয়েছিলেন।

    আওয়ামী লীগের মেয়র হলেন যারা : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মোক্তাদের মাওলা সেলিম, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে লতিফুর রহমান রতন ও কেন্দুয়ায় আসাদুল হক ভূঞা, কুষ্টিয়া সদরে আনোয়ার আলী, মিরপুরে হাজী এনামুল হক ও কুমারখালীতে মো. সামছুজ্জামান অরুন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিপার উদ্দিন আহমেদ ও কমলগঞ্জে মো. জুয়েল আহমেদ। মাগুরায় খুরশিদ হায়দার টুটুল, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বিল্লাল হোসেন সরকার ও ফুলবাড়িয়ায় মো. গোলাম কিবরিয়া, নাটোরের নলডাঙ্গায় মনিরুজ্জামান মনির, গুরুদাসপুরে শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা ও গোপালপুরে রোকসানা মোর্তজা লিলি, মেহেরপুরের গাংনীতে আহম্মেদ আলী এবং বান্দরবানের লামায় মো. জহিরুল ইসলাম জয় পেয়েছেন।

    খাগড়াছড়িতে নির্মলেন্দু চৌধুরী, ফেনীর দাগনভূঞায় ওমর ফারুক খান, নোয়াখালীর বসুরহাটে আবদুল কাদের মির্জা, বাগেরহাটের মোংলাপোর্টে শেখ আব্দুর রহমান, গাজীপুরের শ্রীপুরে মো. আনিছুর রহমান, ঢাকার সাভারে হাজী মো. আবদুল গণি, রাজশাহীর কাকনহাটে একেএম আতাউর রহমান ও ভবানীগঞ্জে আবদুল মালেক, সুনামগঞ্জ সদরে নাদের বখত ও ছাতকে আবুল কালাম চৌধুরী এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মতিউর রহমান মতি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    শরীয়তপুর সদর পৌরসভায় পারভেজ রহমান জন, পাবনার ফরিদপুরে খন্দকার মো. কামরুজ্জামান, সাঁথিয়ায় মাহবুবুল আলম ও ঈশ্বরদীতে ইছাহক আলী মালিথা, দিনাজপুরের বিরামপুরে আক্কাস আলী, নওগাঁর নজিপুরে রেজাউল কবির চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ সদরে সৈয়দ আবদুর রউফ মুক্তা, উল্লাপাড়ায় এসএম নজরুল ইসলাম ও রায়গঞ্জে আব্দুল্লাহ আল পাঠান এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কাজী আশরাফুল আজম নির্বাচিত হয়েছেন। নরসিংদীর মনোহরদীতে আমিনুর রশিদ সুজন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সৈয়দ হাসান সরোয়ার মহসিন, কুমিল্লার চান্দিনায় শওকত হোসেন ভূইয়া ও ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সেলিম রেজা জয় পান। এর আগে নারায়ণগঞ্জের তারাব, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙ্গুরা ও পিরোজপুর-এ চারটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

    বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে হবিগঞ্জের মাধবপুরে হাবিবুর রহমান ও নবীগঞ্জে সাবির আহমেদ চৌধুরী, বগুড়ার সান্তাহারে তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ও দিনাজপুর সদরে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

    আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মনিরুজ্জামান বকুল, রাজশাহীর আড়ানীতে মুক্তার আলী, দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মোশাররফ হোসেন বাবুল ও গাইবান্ধার সদর পৌরসভায় মো. মতলুবর রহমান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

    অপরদিকে বিএনপি বিদ্রোহী হিসাবে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আক্তারুজ্জামান আক্তার ও শেরপুরে জানে আলম খোকা মেয়র পদে জয় পেয়েছেন।

    এছাড়া কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের আনোয়ারুল কবির টুটুল ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পার্টির আব্দুর রশিদ রেজা সরকার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

    স্বতন্ত্র হিসেবে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মোহাম্মদ হোসেন ফাকু ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাজ্জাদুল হক রেজা মেয়র হয়েছেন।

  • আলোচিত কাদের মির্জা বিপুল ভোটে জয়ী

    আলোচিত কাদের মির্জা বিপুল ভোটে জয়ী

    আলোচিত নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ১০ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।

    শনিবার বিকালে মোট ৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম।

    আবদুল কাদের মির্জার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ) কামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৮ ভোট। এছাড়া জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোবাইল ফোন) মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫১ ভোট।

    নির্বাচনে জয়ের পর আবদুল কাদের মির্জা ভোটের পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভোটারদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না করা পর্যন্ত বিজয়ের মালা পরব না।

    জানা গেছে, নোয়াখালীতে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে বসুরহাট পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

    সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১নং কেন্দ্র উদয়ন প্রিক্যাডেট একাডেমি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, সকাল ৯টার দিকে ৫নং বসুরহাট এএইচসি কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী ও ৮নং বসুরহাট ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিজেদের ভোট দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

    এছাড়াও নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। পৌরসভাটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ২১ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৬২১ এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১০ হাজার ৪৯৪ জন। ৯টি কেন্দ্রে মোট বুথ সংখ্যা ছিল ৬১টি।

    জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • খাগড়াছড়িতে প্রার্থীদের অভিযোগ দিয়ে পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

    খাগড়াছড়িতে প্রার্থীদের অভিযোগ দিয়ে পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে মেয়র প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

    শনিবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল ৮ টা থেকে ৯ ওয়ার্ডের ১৮ টি কেন্দ্রে একযোগে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ চলছে।

    সকালে ৮ নং ওয়ার্ডের শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলম অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর লোকজন পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তিনি সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

    অন্যদিকে, ৯নং ওয়ার্ডের খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেয়া শেষে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।

    খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। কেন্দ্র ভিত্তিক পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাবের টহল রয়েছে।

    তবে, এবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে খাগড়াছড়ি পৌরসভায়। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন ও সাধারণ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৭ জন। নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭ শ ৩৬ জন এবং পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৩ শ ৫১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু

    দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু

    দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ৬০ পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ভোট নেওয়া হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং ৩১টিতে ব্যালটের মাধ্যমে।

    ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে দিনাজপুরের জেলার বীরগঞ্জ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সান্তাহার, নওগাঁর নজিপুর, রাজশাহীর কাকনহাট ও আড়ানী, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ফরিদপুর, মেহেরপুরের গাংনী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট, মাগুরার মাগুরা, পিরোজপুরের পিরোজপুর, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, ঢাকার সাভার, নরসিংদীর মনোহরদী, নারায়ণগঞ্জের তারাব, শরীয়তপুরের শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, কুমিল্লার চান্দিনা, ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর বসুরহাট, খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি এবং গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায়।

    আর ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, উল্লাপাড়া, সদর ও রায়গঞ্জ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কুষ্টিয়ার সদর, ভেড়ামারা ও মিরপুর, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সদর, দিনাজপুর সদর ও বিরামপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সাথিয়া ও ঈশ্বরদী, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সদর ও ছাতক, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, নাটোরের গুরুদাসপুর ও গোপালপুর, বগুড়ার শেরপুর, বান্দরবান জেলার লামা এবং কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায়।

    দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে গত ২৮ ডিসেম্বর ইভিএমে ভোট হয় ২৪টি পৌরসভায়। দ্বিতীয় ধাপে আজ ভোট হচ্ছে ৬০ উপজেলায়। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট নেওয়া হবে।

     

  • চতুর্থ ধাপে ৫২ পৌরসভায় বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

    চতুর্থ ধাপে ৫২ পৌরসভায় বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

    আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় ৫২টি পৌরসভায় মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।

    শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের দলীয় প্রত্যয়নপত্র নিম্নলিখিত সময় অনুযায়ী রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারনের কার্যালয় থেকে দেয়া হবে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর বিভাগ ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায়।

    রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ ১৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টায়। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ ১৬ জানুয়ারি দুপুর ২টায়।

    যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর শরিফুল ইসলাম শরিফ, রানীশংকইল মাহমুদুননবী, লালমনিরহাট সদর মোশারফ হোসেন রানা, পাটগ্রাম এ কে এম মোস্তাফা সালাউজ্জামান ওপেল, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর আলমগীর চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ওজিউল ইসলাম, রাজশাহীর নওহাটা শেখ মকবুল হোসেন, গোদাগাড়ী গোলাম কিবরিয়া, তানোর মিজানুর রহমান মিজান, তাহেরপুর আবু নাঈম সামসুর রহমান (মিন্টু), নাটোরের বড়াইগ্রাম ইসাহাক আলী, নাটোর সদর জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর শাহাজাহান কবীর, আলমডাঙ্গা মীর মহিউদ্দিন, যশোরের চৌগাছা আব্দুল হালিম বাঘারপাড়া আব্দুল হাই মনা, বাগেরহাট সদর সাইদ নিয়াজ হোসেন, সাতক্ষীরা সদর তাজকিন আহমেদ, পটুয়াখালীর কলাপাড়া হুমায়ুন কবির, বরিশালের মুলাদী আল মামুন, বানারীপাড়া রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, কালিহাতী আলী আকবর, জামালপুরের মেলান্দহ মনোয়ার হোসেন, শেরপুর সদর এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, শ্রীবরদী আব্দুল হাকিম, নেত্রকোনা সদর আব্দুল্লাহ্ আল মামুন খান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর এহেসান কুফিয়া, হোসেনপুর মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, করিমগঞ্জ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম মিজানুর রহমান, নরসিংদী সদর হারুন আর রশিদ, মাধবদী আনোয়ার হোসেন, ফরিদপুরের নগরকান্দা আলিমুজ্জামান মিয়া, মাদারীপুরের কালকিনি কামাল হোসেন, শরীয়তপুরের ডামুড্যা নাজমুল হক সবুজ মিয়া, সিলেটের কানাইঘাট শরিফুল হক, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জয়নাল আবেদীন আব্দু, কুমিল্লার হোমনা মো. আ. লতিফ, দাউদকান্দি নূর সেলিম সরকার, চাঁদপুরের কচুয়া হুমায়ুন কবির প্রধান, ফরিদগঞ্জ ইমাম হোসেন, নোয়াখালীর চাটখিল মোস্তফা কামাল, সোনাইমুড়ি মোতাহের হোসেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি সাহেদ আলী পুটু, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এ জেড এম মঈনুল হক চৌধুরী, পটিয়া নুরুল ইসলাম চন্দনাইশ মাহবুবুল আলম চৌধুরী, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা শাহজালাল (কাজল), রাঙামাটি সদর মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বান্দরবান সদর মোহাম্মদ জাবেদ রেজা।

  • চতুর্থ ধাপে ৫৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

    চতুর্থ ধাপে ৫৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

    চতুর্থ ধাপে নির্বাচনের জন্য ৫৬ পৌরসভার প্রার্থী ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

    বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বোর্ডের সভা শেষে প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়।

    মনোনয়ন পেলেন যারা:

    ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় আঞ্জুমান আরা বেগম, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভায় মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট পৌরসভায় মোফাজ্জল হোসেন, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে রাশেদুল ইসলাম, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, কালাইয়ে রাবেয়া সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহীর নওহাটায় হাফিজুর রহমান, গোদাগাড়ীতে উদ্দিন বিশ্বাস, তানোরে ইমরুল হক, তাহেরপুরে আবুল কালাম আজাদ, নাটোর পৌরসভা চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গায় হাসান কাদের, যশোরের চৌগাছায় নুর উদ্দিন আল মামুন, বাঘারপাড়ায় কামরুজ্জামান, বাগেরহাটে খান হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরায় শেখ নাসিরুল হক, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিপুল চন্দ্র হালদার, বরিশালের মুলাদীতে শফিউজ্জামান, বানারীপাড়ায় সুজন চন্দ্র শীল, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে রফিক-উল-হক, কালিহাতীতে নুরুন্নবী, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুর এ আবদুল কাইয়ুম, করিমগঞ্জে মুসলেউদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ মিরকাদিম আব্দুস সালাম, নরসিংদীতে আশরাফ হোসেন সরকার, মাধবদীতে মোশারফ হোসেন, রাজবাড়ীতে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, গোয়ালন্দে নজরুল ইসলাম, ফরিদপুরের নগরকান্দায় নিমাই চন্দ্র হালদার, মাদারীপুরের কালকিনিতে এফএম হানিফ, শরীয়তপুর ডামুড্ডা কামাল উদ্দিন আহমেদ, জামালপুরের মেলান্দহ শফিক জাহেদী রবিন, শেরপুর পৌরসভা গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, শেরপুরের শ্রীবরদীতে মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ময়মনসিংহের ফুলপুর শশধর সেন, নেত্রকোনায় নজরুল ইসলাম খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তাকজিল খলিফা, কুমিল্লার হোমনায় নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দিতে নাঈম ইউসুফ, চাঁদপুরের কচুয়ায় নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জে আবুল খায়ের পাটোয়ারী, ফেনীর পরশুরামে নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, নোয়াখালীর চাটখিলে নিজামুদ্দিন, সোনাইমুড়ীতে নুরুল হক চৌধুরী, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেজবাহউদ্দিন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মোহাম্মদ জাবেদ, পটিয়ায় আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশে মাহবুবুল হক, সিলেটের কানাইঘাটে লুৎফর রহমান, চুনারুঘাটে সাইফুল আলম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শামসুল আলম, রাঙ্গামাটিতে আকবর হোসেন চৌধুরী এবং বান্দরবনে মোহাম্মদ ইসলাম বেবি।

  • খাগড়াছড়িকে ‘আধুনিক নগরী’ হিশেবে গড়ে তুলতে চান বর্তমান মেয়র রফিকুল

    খাগড়াছড়িকে ‘আধুনিক নগরী’ হিশেবে গড়ে তুলতে চান বর্তমান মেয়র রফিকুল

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : অসমাপ্ত কাজ শেষ করে পরিবেশবান্ধব, যানজট মুক্ত এবংং পরিচ্ছন্ন পর্যটন নগরী গড়তে চান, খাগড়াছড়ি পৌরসভার দু’বারের মেয়র এবং এবার আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ রফিকুল আলম।

    পৌরসভার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা হলে সুপরিসর সড়ক-বাণিজ্যিক-আবাসন অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাগড়াছড়ি শহর ‘আধুনিক নগরী’-তে পরিণত হবার দ্বারপ্রান্তে। ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে যিনিই জিতে আসবেন, তাঁর পক্ষে পৌরসভা পরিচালনা অনেক সহজ হবে।

    শুক্রবার সকালে পানখাইয়া পাড়ায় নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভা জরাজীর্ণ প্রতিষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে উন্নয়নমুখী একটি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা অর্জন করেছে। পরিকল্পিত আধুনিক শহর করতে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়ন কাজ চলছে।

    অন্য প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, পৌর কর আদায়ের হার নিম্নে ৭৫ ভাগের নিচে হলে পৌর পরিষদ বাতিল হয়। তাই বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করেই কর নির্ধারণ করতে হয়। দেশী বিদেশী সকল প্রতিষ্ঠান প্রকল্প দেয়ার আগে পৌরসভার কর আদায়কে গুরুত্ব দেয়।

    ইভিএম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশংকা রয়েছে জানিয়ে প্রশাসনকে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানান তিনি।

    এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হোসেন আহম্মদ চৌধুরী, এডভোকেট আকতার উদ্দিন মামুন, তাজুল ইসলাম বাদল এবং আবদুল মোমিন উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • আর্থিক সামর্থ্য ও এলাকাভিত্তিক পৌরকর নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিলেন বিএনপি প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল

    আর্থিক সামর্থ্য ও এলাকাভিত্তিক পৌরকর নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিলেন বিএনপি প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আর্থিক সামর্থ্য এবং এলাকাভেদে পৌরকর নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি মপ্রার্থী ইব্রাহীম খলিল। বেকারদের কর্মসংস্থানে যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগ নির্ভর সমাজ গঠনে ভূমিকা গ্রহণ এবং অসাম্প্রদায়িক পৌর এলাকা গড়তে দৃঢ় অবস্থানের জানান দিয়েছেন তিনি।

    বিগত সময়ে ১০ বছরে পৌর সভার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকদের চাহিদা মতো উন্নয়নের বিপরীতে মেয়রের ইচ্ছে মতো বিভিন্ন উন্নয়ন এবং নিজের পছন্দের লোকদেও সুবিধা দেয়া অভিযোগও করেছেন বিএনপি প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানে বিএনপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। আহবান জানান।

    এসময় বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, জেলা বিএনপি’র সা: সম্পাদক এম. এন. আফছার, সহ-সভাপতি মংসুথোয়াই চৌধুরী ও হেডম্যান ক্ষেত্রমোহন রোয়াজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, কোষাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি জহির আহম্মদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহাবুবুল আলম সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সা: সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোশারফ হোসেন, পানছড়ি উপজেলা বিএনপি সভাপতি বেলাল হোসেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহেদ সুমনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    ইব্রাহিম খলিল বর্তমান পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে ইঙ্গিত করে বিএনপি প্রার্থী বলেন, ব্যক্তি বিশেষ পৌরসভার উন্নয়নমূলক সকল কাজ নিয়ে যাচ্ছেন। এতে সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বিশেষ মহলের ইন্ধনে পৌর শহর এখন মাদকে সয়লাব। শহরের বাইরে এলাকাগুলোতে তেমন উন্নয়ন নেই। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতাসহ মাদকমুক্ত, জনবান্ধব আধুনিক পৌরসভা গড়া হবে বলে জানান তিনি।

    তিনি ১৬ জানুয়ারির নির্বাচন যদি অবাধ-সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হয় তাহলে নিজের জয়ের বিষয়েও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে কম বয়সী এই প্রার্থী শিক্ষা-দীক্ষা যেমন অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে তেমনি সর্বসাধারণের কাছেও তাঁর অন্যরকম গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • স্বেচ্ছাচারিতার বিপরীতে জবাবদিহিতাপূর্ন পৌরসভা গঠনে সচেষ্ট থাকবো: নির্মলেন্দু চৌধুরী

    স্বেচ্ছাচারিতার বিপরীতে জবাবদিহিতাপূর্ন পৌরসভা গঠনে সচেষ্ট থাকবো: নির্মলেন্দু চৌধুরী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক ও পৌর নির্বাচনে ‘নৌকা’র প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী খাগড়াছড়ি পৌরসভাকে মেয়র রফিক স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের জনগণের আকাঙ্খার সাথে প্রতারণা করেছেন। দফায় দফায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হলেও শহরের অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক অলিগলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারদের পাওনা প্রদানে অহেতুক গড়িমসির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাই জনবান্ধব পৌরসভা গঠন এবং অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পরিবর্তনের বিকল্প নেই।

    বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের নারিকেল বাগান সড়কে জেলা আওয়ামীলীগের নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বর্ষীয়াণ রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ও মেয়র রফিকুল আলম কেন্দ্র থেকে দলের মনোনয়ন ফরম কিনে তা জমাও দিয়েছেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় দলের প্রতীক পাবার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে সাক্ষাতকারও দিয়েছেন। প্রতীক না পেয়ে তিনি নানারকম মিথ্যাচার করছেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেহেতু অবস্থান নিয়েছেন, সেহেতু অতি শিগগির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব ও জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বলেন, রফিকুল আলম পৌর এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্যের আশ্রয় নিয়েছেন। নিজের এবং কাছের মানুষদের সুবিধা দিতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। জোর করে মানুষের রেকর্ডিয় জায়গায় সড়ক নির্মাণ করেছেন। কিন্তু কাউকে কোন ক্ষতিপূরণ দেন নি।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলম ও পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন মোরশেদ খান এবং রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ

  • পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল: আওয়ামী লীগ ১৮, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ৩

    পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল: আওয়ামী লীগ ১৮, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ৩

    প্রথম ধাপে ২৩ পৌরসভায় বেসরকারি ফলাফলে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২৩ পৌরসভার মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ১৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির বিজয়ী হয়েছেন মাত্র দু’জন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র দু’জন এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী একজন প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

    এ নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির।

    সোমবার ২৪ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হলেও বিকালে খুলনার চালনা পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই পৌরসভার ফলাফল স্থগিত রাখা হয়।

    ২৩ পৌরসভায় বেসরকারি ফলাফলে মেয়রপদে জয়লাভ করেছেন : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক ৯ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনির আক্তার খান তরু লোদি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৯০৮৭ ভোট ।

    হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ফরিদ আহমেদ অলি ৪ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি মাহমুদ আলম লিটন (নারিকেল গাছ)। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৫০ ভোট।

    পাবনার চাটমোহর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৮১২ ভোট।

    রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা মার্কায় আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৩৮ ভোট।

    চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৩৩৯।

    পঞ্চগড় পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকিয়া খাতুন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এ পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৬ ভোট।

    বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে বিজয়ী হেেছন আওয়ামী লীগের প্রার্থী লোকমান হোসেন ডাকুয়া। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৪১ ভোট।

    উজিরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বেপারী। ৫ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

    পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনোয়ার হাওলাদার বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৩৩৩।

    রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আব্বাস আলী এবং পুঠিয়ায় বিএনপির আল মামুন খান মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। কাটাখালীতে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে আব্বাস আলী পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট। পুঠিয়ায় ধানের শীষ প্রতীকে আল মামুন খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৯২০ ভোট।

    কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তারিকুল ইসলাম বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এ পৌরসভার নয়টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে তারিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ভোট ৯ হাজার ৩৭২ ভোট।

    কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কাজিউল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১৯ হাজার ৭৭৩।

    মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রমজান আলী জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৮৫ ভোট।

    বরগুনার বেতাগীতে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ বি এম গোলাম কবির। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ১০২ ভোট।

    মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৮ ভোট।

    ঢাকার ধামরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র গোলাম কবির (নৌকা) ২৩ হাজার ১১০ ভোট পেয়ে পুনরায় বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

    চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড পৌরসভায় মেয়র নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম আবারও মেয়র হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১০ হাজার ৭৯০ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

    সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভায় ৫ হাজার ৯১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায়।

    নেত্রকোনার মদন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. সাইফুল ইসলাম সাইফকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪১।

    ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী এস এম ইকবাল হোসেন সুমন জয়ী হয়েছেন। সুমন পেয়েছেন ১২ হাজার ৪১১ ভোট।

  • সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে

    সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সীতাকুণ্ড পৌরসভার নির্বাচন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিপুল নারী ও পুরুষকে ভোট দিতে দেখা গেছে একই সাথে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ করা গেছে। ছোট খাটো কয়েকটি অভিযোগ এর বাইরে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এখনো পর্যন্ত লক্ষ করা যায়নি।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ নির্বাচন। প্রতিটি কেন্দ্রে ভিতরে এবং বাইরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।

    ভোটাররা ইভিএম সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকায় ভোট কাষ্টে তুলনামূলক ভাবে বিলম্ব হচ্ছে। প্রার্থী থেকে ভোটার সবাই খুশি ভোটের সুস্থ পরিবেশ নিয়ে। নির্বাচনের আচরণবিধি দেখাশোনার জন্য মাঠে কাজ করছেন ৯ ম্যাজিস্ট্রেট ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

    এই পৌরসভা।নির্বাচনে নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের ৩৬ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৩ জন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৭ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ৩৪ হাজার ৮১৩জন।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • কাল সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

    কাল সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

    কামরুল ইসলাম দুলু : জেলার সীতাকুণ্ড পৌরসভার নির্বাচন আগামীকাল সোমবার। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটসহ ৯ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। থাকবে ২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতসহ দায়িত্ব পালন করবেন আইন শৃংখলা বাহিনীর ১৬শ সদস্য।

    নির্বাচনে মোট ৩ জন মেয়র পদে প্রতিদন্ধিতা করছেন। এবং ৭০ কাউন্সিলর ও ১৩ সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী।

    মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত (নৌকা) প্রতীকে বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মনোনিত (ধানের শীষ) প্রতীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল মুনসুর এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি থেকে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম।

    এদিকে এবারই প্রথমবারের মতো ইভিএমএ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে উৎসাহ দেখা গেলেও প্রথমবারের মতো ইভিএম এর ভোট নিয়ে ভোটারদের মাঝে রয়েছে শঙ্কা। অধিকাংশ ভোটারই ইভিএম সম্পর্কে সচেতন নয়। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রচারনা চালালেও তাতে তেমন সাড়া মেলেনি। রবিবার নির্বাচন কমিশন মক ভোটের আয়োজন করে তাতেও ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

    সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ১৯৯৮ সালে ১ এপ্রিল ২৮ বর্গমাইল আয়তনের সীতাকুণ্ড পৌরসভা গঠিত হয়। নয়টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩৪ হাজার ৮১৩ জন। নির্বাচন হবে ১৭টি কেন্দ্রে। এবারই প্রথমবারের মতো সীতাকুণ্ড পৌরসভার সব কয়টি ভোট কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল।