Tag: পৌর নির্বাচন

  • বোয়ালখালী পৌর নির্বাচন, ২ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র অবৈধ

    বোয়ালখালী পৌর নির্বাচন, ২ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র অবৈধ

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : জেলার বোয়ালখালীতে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের ৩ প্রার্থীর মধ্যে ২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

    শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাইকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্তমান মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু ও যুবলীগ নেতা মো.ইদ্রিস আলমের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

    এ সময় আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো.জহুরুল ইসলাম জহুরের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়র পদ প্রার্থী হাজী আবুল কালাম আবুর ব্যাংক ঋণ থাকায় ও অপর প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল না করায় তাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।

    তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৪ মার্চ প্রত্যাহার ও ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • বোয়ালখালীতে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ প্রতিদ্বন্দ্বি

    বোয়ালখালীতে পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ প্রতিদ্বন্দ্বি

    বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিন প্রতিদ্বন্দ্বি। এছাড়া মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ প্রার্থী ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) মনোনয়ন ফরম জমাদানের শেষ দিন ছিলো। সকাল থেকে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে প্রার্থীরা ভীড় জমান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম জমা দেন প্রার্থীরা।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.নুরুল ইসলাম জানান, মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তবে জমা দিয়েছেন ৩ প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জহুরুল ইসলাম জহুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্তমান মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু ও তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা মো.ইদ্রিস আলম।

    পৌরসভার ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৯ প্রার্থী। ১-৩ নং ওয়ার্ডে রেবেকা সুলতানা মণি ও ইসতেক জাহান। ৪-৬ নং ওয়ার্ডে সাজেদা বেগম, রুনা দে, জোবাইদা বেগম ও রাশেদা বেগম। ৭-৯ নং ওয়ার্ডে শাহনাজ পারভীন নিলু ও ফারজানা আক্তার।

    এছাড়া পৌরসভার ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৫৭ জন প্রার্থী। ১ নং ওয়ার্ডে ৮জন, ২ নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৩ নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৬জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৫জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৫ জন ও ৯নং ওয়ার্ডে ১০জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

    তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল ১৯ মার্চ বাছাই, ২৪ মার্চ প্রত্যাহার ও ১১ এপ্রিল পৌরসভার ১৮ টি কেন্দ্রে একযোগে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বোয়ালখালী পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন ৫২৮৩৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • বোয়ালখালী পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি জহুর

    বোয়ালখালী পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি জহুর

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : আসন্ন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম জহুর।

    পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, মো. শফিউল আলম, মনছুর আলম পাপ্পী, সাবেক চেয়ারম্যান এম এ ঈছা, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. ওয়াসিম মুরাদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম (জহুর), উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল আলম, যুবলীগ নেতা সেলিম উদ্দিন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান রানা।

    আজ শনিবার (১৩ মার্চ) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পৌরসভার মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভা শেষে বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জহুরকে মনোনীত করা হয়।

    দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জহুর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।

  • মাটিরাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ বিএনপির

    মাটিরাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ বিএনপির

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামীকাল রোববার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সাধারন ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. শাহ জালাল কাজল।

    নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে আওয়ামী লীগ মনোভাবাপন্ন প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শাহ জালাল কাজল অতিনি বলেন, ইতিমধ্যে রিটার্নিং অফিসার বরাবরে আমরা তাদের প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।

    শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    সাংবাদিক সম্মলনে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপিত ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম.এন আফসার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এড. আব্দুল মালেক মিন্টু, মো. মোশাররফ হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর খান, সহ-সভাপতি ললিত বিকাশ ত্রিপুরা, সাধারন সম্পাদক মো. বদিউল আলম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শাহ জালাল কাজল, মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জিয়াউপর রহমান ও মাটিরাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. বাদশা মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপিত ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা করে বলেছেন, ভোটের আগের রাতে বিএনপির পোলিং এজেন্ট ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে শাসকদল মনোনীত প্রার্থী মো. শামছুল হক। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতদের মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সীমান্তবর্তী এলাকায় জড়ো করা হচ্ছে। তাছাড়া ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা কর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করারও অভিযোগ করেন তিনি।

    ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ভোটারদের উপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ করে ওয়াদুদ ভুইয়া বলেন, এবারের নির্বাচনে তার পুনরাবৃত্তি করার ষড়যন্ত্র করছে শাসকদল। তিনি যেনতেন নয়, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ

  • পৌর নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলে : খন্দকার মোশাররফ

    পৌর নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলে : খন্দকার মোশাররফ

    জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, আজকের পৌর সভার নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা সকাল থেকেই আমাদের এজেন্টদের সেন্টারে যেতে দেয়নি, অনেক জায়গায় বের করে দিয়েছে এমন কী বিএনপি সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রের কাছেও যেতে দিচ্ছে না।’

    তিনি বলেছেন, ‘ওরা (ক্ষমতাসীন দল) কাদের সমর্থন পাচ্ছে? প্রশাসনের। তারা গায়ের জোরে ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে। তারা তাদের এমপি বানানো যে কাজ করেছে এখন মেয়র হওয়ার জন্য তারা বলে, এমপি যদি আমরা এভাবে করতে পারি, তাহলে আমরা মেয়র এভাবে হবো না কেন?’

    শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।

    নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার সম্পূর্ণ ধবংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রের অবস্থা কী তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছে। আমি না বলতে চাই না। সত্যিকার ভোট হইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দরজা নাকী খুঁজে পাবে না- এটা তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মুখ থেকে আসছে। আসলে তাই।’

    ইভিএমে ভোট গ্রহণের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এমনিতেই মানুষ ভোট দিতে পারে না। এখন আবার মেশিনে ভোট। এই মেশিনে ভোটে দুরভিসন্ধি আছে।’

    স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে শনিবার সারাদেশে ৬০টি পৌর সভার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। চলবে ৪টা পর্যন্ত।

    ৬০ পৌর সভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএমে এবং ৩১টিতে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

    গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের রজতজন্তরী উদযাপনে সন্মানা বিষয়ক উপ-কমিটির এই বৈঠক হয়। ব্যারিস্টার অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীরোত্তমের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মোঃ আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে ইভিএম এর প্রতিকী ভোট অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে ইভিএম এর প্রতিকী ভোট অনুষ্ঠিত

    কামরুল ইসলাম দুলু : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমেই ভোট দিবেন ভোটাররা। এতে ভোটারদের কিভাবে ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট প্রদান-গ্রহণ করবেন সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে মাঠে কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

    তারই অংশ হিসেবে আজ শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ১৭ টি কেন্দ্রে মক (অনুশীলনমূলক) ভোটের আয়োজনও করা হয়েছে। ইভিএমের প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি মক ভোটের মাধ্যমে ভোট দিতে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

    এসময় কয়েকজন ভোট (প্রতিকী ভোট) দিতে আসা তানজিনা আক্তার বলেন, ইভিএম এ আমি (মক) ভোট দিয়েছি, ইভিএম এ ভোট দেওয়া খুবি সহজ।

    ফারজানা আক্তার বলেন, ইভিএম সম্পর্কে এতোদিন আমি বুঝতামনা। আজ প্রতিকী ভোট দিয়ে বুঝলাম এটি খুব সহজ।

    এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ইভিএম সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা ব্যাপক প্রচারনা চালিয়েছি, বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রজেক্টের মাধ্যমে দেখিয়েছি কিভাবে ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন। এছাড়া আজ মক ভোটের আয়োজন করেছি।

  • খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচন: আ’লীগ-বিএনপি’র মনোনয়নপত্র দাখিল,সরকারি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিক

    খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচন: আ’লীগ-বিএনপি’র মনোনয়নপত্র দাখিল,সরকারি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিক

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদ এর কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক তাঁর সাথে ছিলেন।

    এরআগে বিএনপি‘র মনোনিত প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়াও বিকালে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র রফিকুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে তাঁর সাথে সরকারি দলের উল্লেখযোগ্য কোনই নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।

    মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামীলীগ প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী নিজের জয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পৌর এলাকার ‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সকল সম্প্রদায়ের মধ্যকার শান্তি ও সহাবস্থানকে আরো সুদৃঢ় এবং আধুনিক পৌরশহর বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন।

    বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলমের বিদ্রোহী প্রার্থী হিশেবে মনোনয়ন দাখিলের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তার দায়, তাঁর নিজেরই; দল কোন বিদ্রোহী প্রার্থীর দায় বহন করবে না।

    বিএনপি প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের অনাস্থা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ‘লেভেল প্লেয়িং’ ফিল্ড প্রয়োজন। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে তিনি জয়ী হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    সকালে আওয়ামীলীগের মনোয়ন জমা দেয়ার সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর খন্ড খন্ড মিছিলে পুরো শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। স্বতস্ফুর্ত মিছিল আর শ্লোগানে নেতাকর্মীরা দৃঢ়তার সাথে জানান, স্বেচ্ছাচারিতা ও নীরব লুঠপাটের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে খাগড়াছড়ি পৌরবাসী নির্মলেন্দু চৌধুরী’র মতো সজ্জন নেতাকেই জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ।

    রোববার বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিশেবে মনোনয়ন দাখিলের সময় বর্তমান মেয়র জানান, তিনি আওয়ামীলীগের কেউ নন। তাই বিদ্রোহী প্রার্থী হবার প্রশ্নই উঠে না। দুই মেয়াদে পৌরসভার দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক সেবা বৃদ্ধিতে কাজ করেছি বলে সাধারণ ভোটারদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছি।

    পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাবেদ হোসেন জানান, রফিকুল আলম দলের মনোনয়ন পাবার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা-তদবির করেছেন। তাঁর বড়োভাই জাহেদুল আলম এবং ছোট ভাই দিদারুল আলমকে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি’র কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বিভিন্ন টিভিতে নিজের মনোনয়ন পাবার বিষয়ে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেছেন।

    আওয়ামীলীগ নেতা জাবেদ দাবি করেন, চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেয়ে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
    জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সা: সম্পাদক এম. এ. জব্বার জানান, মো: রফিকুল আলম জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির অন্যতম নির্বাহী সদস্য। গত ৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরসহ জেলার তিন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর প্যানেল তৈরী করতে বিশেষ বর্ধিত হয়েছে। ঐ সভায় খাগড়াছড়ি সদর পৌরসভায় মেয়র পদে ৭ জনের নাম প্রস্তাব আসে। পরে ঐ প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বর্তমান পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

    জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান জানান, অতীতের দুটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী হেরে গেলেও এবার সে সুযোগ নেই। জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রার্থী যথেষ্ট যোগ্য এবং জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তাঁকে জিতিয়ে আনতে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিল পদে লড়ছেন তিন সাংবাদিক

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিল পদে লড়ছেন তিন সাংবাদিক

    কামরুল ইসলাম দুলু : চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে একজন ও কাউন্সিলর পদে ২ জনসহ লড়ছেন তিন সাংবাদিক। সাংবাদিকতার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হিসেবেও সমাজ সেবা করার মনোবাসনা করছেন তারা।

    মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন সন্মিলিত নাগরিক কমিটির ব্যানারে (মোবাইল প্রতীক) সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, তিনি সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি। সাংবাদিক নাছির উদ্দিন অনিক (পানির বোতল প্রতীক) কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ইদিলপুর থেকে। তিনি সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি। এছাড়াও তিনি ৮নং ইদিলপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সমাজ উন্নয়ন সংগঠন শৈলী‘র সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত।

    অন্যদিকে পৌরসভার শিবপুর ৯নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে (পানির বোতল প্রতীক) নির্বাচন করছেন সাংবাদিক দিদার হোসেন টুটুল। তিনি সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সদস্য এবং দৈনিক ইত্তেফাকের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

    নাছির উদ্দিন অনিক বলেন, ৮নং ইদিলপুর ওয়ার্ডটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়ার্ড। এখানে সাধারণ জনগণের আশা- আকাঙ্খা ও দাবি পূরণে গণমানুষের বন্ধু হয়ে কাজ করে যেতে চায়। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডকে বদলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

    দিদার হোসেন টুটুল বলেন, আমি বিজয়ী হয়ে এলাকাবাসীর সেবা করার প্রত্যয়ে সকলের দোয়া চায়। আমার ওয়ার্ডে বিভিন্ন রকমের সমস্যা বিদ্যমান। আমি একজন সমাজ সেবক, এর পাশাপাশি কাউসিন্সল নির্বাচিত হলে মানুষের সেবা করার বেশি সুযোগ সৃষ্টি হবে।

    এদিকে যাচাই বাছাইয়ে মেয়র প্রার্থী সাংবাদিক জহিরুল ইসলামের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে গেলে হাইকোর্টের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রচারণায় নেমেছেন তিনি।

  • সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মেয়র প্রার্থী বদিউল আলমের মতবিনিময়

    সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মেয়র প্রার্থী বদিউল আলমের মতবিনিময়

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আসন্ন সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

    শনিবার বিকেল উপজেলার উত্তর বাজারস্থ চারটায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় মেয়র প্রার্থী বদিউল আলম বলেন, আমি ৫বছর যাবৎ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি। এরপরও পৌরসভার কিছু অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে পৌরসভার জনগনের জীবনমান উন্নত করার জন্য আবারো প্রার্থী হয়েছি। আমি পৌরসভার উন্নয়নে আরো বেশ কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সীতাকুণ্ড কলেজ রোডকে পাহাড়ের প্রাদদেশ ২নং ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা ঢালাই করে পুণঃনির্মাণ করা, সীতাকুণ্ড দৈনিক কাঁচা বাজারকে আধুনিক মার্কেটে পরিনত করা, সীতাকুণ্ড খেলার মাঠকে মিনি স্টেডিয়ামে পরিণত করা, মডেল থানা থেকে পৌরসভা পর্যন্ত বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনসাধারণ চলাচলের জন্য ওয়ার্ক ওয়ে নির্মাণ করা, পানি নিস্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেন নির্মাণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং সেট নির্মাণসহ অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করবো।

    তিনি বলেন, ২০১৫ সালে আমি সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে জনগনের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রাপ্ত প্রায় ৩৩ কোটি টাকার অব কাঠামো উন্নয়নে রাস্তাঘাট সংস্কারের কার্যকরী ভূমিকা রাখি। যেকোন সময়ের চেয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভা এখন বহু উন্নত ও স্বচ্ছল।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিল মাইনুর উদ্দিন মামুন, পৌরসভা আওয়ামীগ নেতা সিরাজদৌলা ছুট্টো, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস আব্দুস সামাদ ও মেয়র বদিউল আলমের বড় পুত্র আইটি বিশেষজ্ঞ মাসুম সামজাদ।

    এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি সুমিত্র চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি স.ম ফোরকান আবু, এম. হেদায়েত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, সদস্য কামরুল ইসলাম দুলু এবং হাকিম মোল্লা।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম

    খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন, বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলম।

    এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাতে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড দলের মেয়র প্রার্থী হিশেবে জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী’র নাম ঘোষণা করা হয়।

    এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান মেয়রের বিদ্রোহী প্রার্থী হবার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রের কাছে জেলা আওয়ামীলীগের প্রেরিত প্রস্তাবিত প্রার্থী তালিকায় মেয়র রফিকের নামও ছিল।

    মেয়র রফিকুল আলম নিজেই শনিবার বিকেলে টেলিফোনে সাংবাদিকদের কাছে মেয়র প্রার্থী হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল(২০ ডিসেম্বর) রোববার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করবো।

    খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য মো: রফিকুল আলম জানান, তিনি জেলা আওয়ামীলীগের কাছে দলীয় মনেনানয়ন পেতে আবেদন করেননি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ডেকে নিয়ে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্যানেলে নাম দিয়েছিলেন। তাই তিনি, দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাত্র। পৌরবাসীদের অনুরোধে অতীতের মত এবারও তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারেই এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন।

    পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাবেদ হোসেন জানান, রফিকুল আলম দলের মনোনয়ন পাবার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা-তদবির করেছেন। তাঁর বড়োভাই জাহেদুল আলম এবং ছোট ভাই দিদারুল আলমকে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি’র কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বিভিন্ন টিভিতে নিজের মনোনয়ন পাবার বিষয়ে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেছেন।

    আওয়ামীলীগ নেতা জাবেদ দাবি করেন, চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেয়ে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
    জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সা: সম্পাদক এম. এ. জব্বার জানান, মো: রফিকুল আলম জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির অন্যতম নির্বাহী সদস্য। গত ৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরসহ জেলার তিন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর প্যানেল তৈরী করতে বিশেষ বর্ধিত হয়েছে। ঐ সভায় খাগড়াছড়ি সদর পৌরসভায় মেয়র পদে ৭ জনের নাম প্রস্তাব আসে। পরে ঐ প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বর্তমান পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

    জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান জানান, অতীতের দুটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী হেরে গেলেও এবার সে সুযোগ নেই। জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রার্থী যথেষ্ট যোগ্য এবং জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তাঁকে জিতিয়ে আনতে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।

    আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, যে কারো প্রার্থী হবার অধিকার রয়েছে। আমিও দেশের প্রাচীনতম একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। যে দল মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে, যে দল পদ্মা সেতু বানিয়েছে; আমি সে দলেরই প্রার্থী।

    তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন, আমি বিশ্বাস করি; শান্তি ও সহাবস্থানের স্বার্থে পৌর এলাকার সম্মানিত ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করবেন।

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকাল ৪টাঢ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ মনোনয়ন চুড়ান্ত হয়।

    রোববার (২০ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়িতে রিটার্নি অফিসারের কাছে প্রার্থীরা মনোনয়পত্র জমা দেবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • শনিবার জানা যাবে খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী কে? কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন কিনেছেন তিনজন

    শনিবার জানা যাবে খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী কে? কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন কিনেছেন তিনজন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। এরিমধ্যে খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি দলের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত তিন প্রার্থী কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলম, এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল।

    জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সা: সম্পাদক এড. আশুতোষ চাকমা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা না করলেও রামগড় ও মাটিরাঙা পৌরসভার জন্যও আগাম প্রার্থী তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। ঢাকায় নমিনেশন বোর্ড চুড়ান্ত একজনের নাম ঘোষণা করবেন।

    জেলা আওয়ামীলীগের একটি সূত্র জানিয়েছেন, রামগড়ের জন্য পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল আলম কামাল, বর্তমান মেয়র কাজী রিপন ও পৌর আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক আব্দুল কাদেরের নাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে।

    একইভাবে মাটিরাঙার জন্য বর্তমান মেয়র মো: শামছুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন মোরশেদ খান এবং তবলছড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া’র নাম।

    তবে সংক্ষিপ্ত প্রার্থী তালিকায় খাগড়াছড়ি ও রামগড় পৌরসভায় বর্তমান দুই মেয়র মো: রফিকুল আলম ও কাজী রিপন এবং মাটিরাঙায় আবুল কাশেম ভূইয়ার নাম প্রেরণ নিয়ে তিনটি পৌরসভাতেই সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

    খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন এবং রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন জানান, যাঁরা দলের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও দলের সিদ্ধান্তের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। নিজেদের স্বার্থে অহেতুক দলের নেতাকর্মীদের হামলা-মামলার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন, তাঁরা দলের মনোনয়ন পেলে অতীতের মতো আবারও একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।

    জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান মনে করেন, দলের ঐক্য-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবেন; এমন প্রার্থীকে সাধারণ নেতাকর্মীরা মন থেকে ভালোভাবে গ্রহণ করবেন না। তাই যাঁরা মনোনয়ন পাবেন, তাঁদেরকে অবশ্যই সম্মান-ভালোবাসার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মন জয় করতে হবে।

    তরুণ রাজনীতিক ও মেয়র প্রার্থী পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল জানান, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিশেবে ছোটকাল থেকে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় যদি ‘নৌকা’র প্রার্থী হতে পারেন, তাহলে পৌর এলাকার উন্নয়ন-কর্মসংস্থান-নাগরিক সেবা এবং আর্থ-সামাজিকতার ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য করা হবে না।

    টানা দুই মেয়াদের সমালোচিত-প্রশংসিত মেয়র মো: রফিকুল আলম ‘নৌকা’ প্রতীক পাবার আগ্রহের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সকলকে নিয়েই এগোতে চাই। অতীতের ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সমৃদ্ধ খাগড়াছড়ি পৌর এলাকা গড়তে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছি।

    জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্ভাব্য প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত এবং বিগত দিনের কমকান্ডের বিশদ বিবরণসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দলের প্রধান অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিক কর্মকান্ডে জড়িতদের বিষয়ে অবগত আছেন। যেহেতু আমি নিজেও একজন প্রার্থী তাই দল যাকে নমিনেশন দেবেন তার পক্ষে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

    খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদায় শরণার্থী টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি জানান, আমরা কেন্দ্রের নির্দেশনা ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক জেলা আওয়াশীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমেই সংক্ষিপ্ত তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করেছি। মনোনয়ন দেয়ার চূড়ান্ত দায়িত্ব কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের। তবে কেউ যদি ব্যক্তি ও প্রার্থী হিশেবে নিজেকে দলের চেয়ে শক্তিশালী ভাবেন, তাহলে চরম ভুল হবে। দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা অতীতেও দলের শৃঙ্খলা বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখান করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন দুই সাংবাদিক

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন দুই সাংবাদিক

    কামরুল ইসলাম দুলু : আসন্ন সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন সীতাকুণ্ডের দুই সাংবাদিক। সাংবাদিকতার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হিসেবেও সমাজ সেবা করার মনোবাসনা করছেন তারা।

    সাংবাদিক নাছির উদ্দিন অনিক (পানির বোতল প্রতীক) কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ইদিলপুর থেকে। তিনি সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি। এছাড়াও তিনি ৮নং ইদিলপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সমাজ উন্নয়ন সংগঠন শৈলী‘র সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত।

    অন্যদিকে পৌরসভার শিবপুর ৯নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে (পানির বোতল প্রতীক) নির্বাচন করছেন সাংবাদিক দিদার হোসেন টুটুল। তিনি সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সদস্য এবং দৈনিক ইত্তেফাকের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

    নাছির উদ্দিন অনিক বলেন, ৮নং ইদিলপুর ওয়ার্ডটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়ার্ড। এখানে সাধারণ জনগণের আশা- আকাঙ্খা ও দাবি পূরণে গণমানুষের বন্ধু হয়ে কাজ করে যেতে চায়। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডকে বদলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

    দিদার হোসেন টুটুল বলেন, আমি বিজয়ী হয়ে এলাকাবাসীর সেবা করার প্রত্যয়ে সকলের দোয়া চায়। আমার ওয়ার্ডে বিভিন্ন রকমের সমস্যা বিদ্যমান। আমি একজন সমাজ সেবক, এর পাশাপাশি কাউসিন্সল নির্বাচিত হলে মানুষের সেবা করার বেশি সুযোগ সৃষ্টি হবে।