Tag: পৌর নির্বাচন

  • কাল খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে আ’লীগের সভা: চমক দেখতে চান নেতাকর্মীরা

    কাল খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে আ’লীগের সভা: চমক দেখতে চান নেতাকর্মীরা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাইয়ে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সভা ডেকেছে আওয়ামীলীগ।

    গঠনতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাসীন দলের এই ফোরামটিই যাচাই-বাছাইয়ের পর দলের মনোনয়ন পাবার যোগ্য এমন প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠান। এবং সে তালিকার বাইরে থেকে টপকে ‘নৌকা’ পাবার নজির খুব একটা নেই।

    খাগড়াছড়ি পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম, এবারও নির্বাচন করতে চান। শুধু তাই নয়, তিনি এবার জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য হবার সুবাদে খোদ ‘নৌকা’র প্রার্থী হতেই বেশি আগ্রহী। যদিও আগেরবারের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীককে অগ্রাহ্য করেছিলেন। এবার বেশ আগেভাগেই তিনি দলের প্রার্থী হতে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র বাসায় বড়-ছোট দুই ভাইকে নিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন।

    এই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য একজন যোগ্য প্রার্থী বাছাই এবং বিজয়ী করার ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলটির বড়ো অংশ।

    দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম সমর্থকদের হাতে দলের এমপি থেকে শুরু করে অনেক সিনিয়র নেতা অপমান-অপদস্ত হয়েছেন। হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। এসব কারণে এবার আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে অবশ্যই বিজয়ী করার ব্যাপারে সজাগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

    আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে চমক আসার সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন তারা। সে হিশেবে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী হতে পারেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী। দল ও দলের বাইরে একজন সজ্জন ও নম্র নেতা হিশেবে তাঁর দারুণ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

    তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে অতটা মরিয়া না হলেও তাঁর প্রার্থীতার গুঞ্জনে পুরো জেলার নেতাকর্মীদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি প্রার্থী হতে না চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বিশিষ্ট আইনজীবি নাসির উদ্দিন আহমেদকে প্রার্থী করানোর ব্যাপারেও সক্রিয় দলের নীতিনির্ধারকরা। এডভোকেট নাসির মানুষ হিশেবে নিরহংকারী ও নাগরিক আন্দোলনের একজন দক্ষ সংগঠক হিশেবে পরিচিত। এই দুইজনের একজন প্রার্থী হলে বিজয়ী হওয়া সহজ হবে। এছাড়া মেয়র পদে সরকারি দলের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরার ছেলে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় দাশ এবং পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন।

    অপরদিকে বর্তমানে স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম আবারও প্রার্থী হবার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই মেয়রকে জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্য করায় হিসেব নিকেশ কিছুটা ব্যত্যয় ঘটতে পারে। তবে বিগত দুই পৌর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে অবস্থান করায় তাঁকে নিয়ে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে বিরোধিতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী করা হবে কিনা সংশয় দেখা দিয়েছে।

    এই অবস্থায় প্রথম শ্রেণী (বিশেষ) মর্যাদার পৌর মেয়রের লোভনীয় পদটি ধরে রাখতে মরিয়া খাগড়াছড়ি’র প্রভাবশালী ‘আলম’ পরিবার। দলের নীতি-নির্ধারকদের কাছে যদি শেষতক মেয়র রফিক সায় না পান তাহলে কী হবে, সেটি এখনো পরিস্কার নয়। তবে তাঁকে ছাড়া অন্য যে কাউকেই মেয়র পদে দলের প্রার্থী হিশেবে দেখতে চান, দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল।

    এ প্রতিবেদক সবস্তরের নেতাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন, মেয়র রফিক তৃতীয়বারেরমাথায় যদি দলের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তাঁর লাগাম টানা যেমন কঠিন হবে তেমনি দলেও অতীতের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে একটি পক্ষ মেয়র রফিকের চেয়ে তাঁর ছোটভাই মো: দিদারুল আলমকেই উপযুক্ত মনে করছেন। জেলা আওয়ামীলীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক একসময় জেলা ছাত্রলীগের সা: সম্পাদক হিশেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের কাছে মেয়র রফিকের চেয়ে মো: দিদারুল আলম অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছেন বলেই মনে হয়েছে।

    খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বলেন, যে বা যাঁদের নেতৃত্বে দলের এমপি থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মী পর্যন্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁদের কাছে দলের মেয়র পদ তুলে দিলে পরিণতি যা হবার তাই হবে।
    জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল; তাঁরা কেউই মুখ খুলে প্রার্থীতার জানান দেননি। তাঁরা বলছেন, নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ ইচ্ছের কারণে হয়তো মনোনয়ন চাইতে পারেন তবে দলের সিদ্ধান্তকইে স্বাগত জানাবেন। তবে পৌর এলাকার ছাত্র-যুবদের মাঝে কম সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠা পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল মনে করেন, এমন প্রার্থীই জয়ী হয়ে আসুক, যিনি অসাম্প্রদায়িক এবং দলীয় শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবেন না।

    দলে আলোচিত-সমালোচিত ‘আলম’ পরিবারের সন্তান মো: দিদারুল আলম বলেন, বড়ো দলে নানা কারণে মতবিরোধ হতে পারে। দিনশেষে আমরা সবাই আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দল মনোনয়ন দিলে অবশ্যই জননেতা ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র হাতকে শক্তিশালী করতে পারবো। আর মনোনয় না পেলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না।

    টানা দুই মেয়াদের সমালোচিত-প্রশংসিত মেয়র মো: রফিকুল আলম ‘নৌকা’ প্রতীক পাবার আগ্রহের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সকলকে নিয়েই এগোতে চাই। অতীতের ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সমৃদ্ধ খাগড়াছড়ি পৌর এলাকা গড়তে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছি।

    জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগ অনেক বেশি সংঘঠিক-ঐক্যবদ্ধ। জননেতা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র দূরদর্শী-অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বের কারণে খাগড়াছড়ি পৌরসভাসহ পুরো জেলায় দৃশ্যমান বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে কাল (শনিবার) খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী নির্ধারণে গঠনতান্ত্রিক সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    তিনি সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রার্থী জহিরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রার্থী জহিরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল

    কামরুল ইসলাম দুলু : সীতাকু্ণ্ড পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী জহিরুল ইসলামের মনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

    আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন পৌরসভা নির্বাচনের সহকারি রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মদ।

    তিনি বলেন, জহিরুল ইসলামের দেওয়া ১০০ সমর্থকের তালিকা থেকে দৈবচয়ন করা ৫ জনের মধ্যে একজন অবৈধ সমর্থক পাওয়া যায়। তাই তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

    একইদিনে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ প্রার্থী মো. মফিজুর রহামনেরও মনোনয়ন বাতিল হয়। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সঠিক না থাকায় মনোনয়নও বাতিল করা হয়। নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।অপর দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামীলীগ মনোনিত বদিউল আলম ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনসুরের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষে বৈধ বলে ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন। এদিকে মনোনয়ন পত্র বাতিল বিষয়ে তাৎক্ষণিক সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন জহিরুল ইসলাম বলেন, ঠুনকো একটি বিষয়ে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন কমিশন আমার মনোনয়ন বাতিল করেছেন। নির্বাচন কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আমি আপিল করবো।

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে মেয়র ৩, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে ৮৪ জনের মনোনয়ন দাখিল

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে মেয়র ৩, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে ৮৪ জনের মনোনয়ন দাখিল

    কামরুল ইসলাম দুলু : সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে ঘোষিত তফসিল অনুযাযী মনোনয়ন দাখিলের শেষ (তারিখ ১ ডিসেম্বর) মেয়র পদে তিনজন কাউন্সিল পদে ৭১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রার্থীরা নিজ নিজ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন কমিশনার বুলবুল আহমদের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    সকাল সাড়ে নয়টা সময় প্রথম মনোনয়ন পত্র জমাদেন নাগরিক কমিটির প্রার্থী সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম। দুপুর আড়াইটা বাজে আওয়ামিলীগ দলীয় মনোনিত ও বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযুদ্ধা বদিউল আলম এবং বিকাল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় মনোনিত প্রার্থী বীর মুক্তিযুদ্ধা আবুল মুনসুর।

    এছাড়া সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে সমর্থকদের নিয়ে ৭১ জন কাউন্সিলর ও ১৩ জন সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। তফসিল অনুসারে ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর।

    দেশের তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে ইভিএমে প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ভোট হবে ওইদিন। চট্টগ্রামে একমাত্র সীতাকুণ্ড পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    ১৯৯৮ সালে ১ এপ্রিল ২৮ বর্গমাইল আয়তনের সীতাকুণ্ড পৌরসভা গঠিত হয়। নয়টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩৪ হাজার ৮১৩ জন। নির্বাচন হবে ১৭টি কেন্দ্রে। এবারই প্রথমবারের মতো সীতাকুণ্ড পৌরসভার সব কয়টি ভোট কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল।

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে আবারো নৌকার মাঝি বদিউল আলম

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে আবারো নৌকার মাঝি বদিউল আলম

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র পদে সাধারণ নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযুদ্ধা মোঃ বদিউল আলম।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া।

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি বিশাল দল। এখানে দলের মনোনয়ন পেতে প্রার্থী বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে দলের হাইকমান্ড বিচার বিশ্লেষণ করে পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলমকে যোগ্য মনে করে পূনরায় উনাকে আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকার টিকিট দিয়েছেন। এখন আমরা যারা আওয়ামীলীগ করি সবার একটাই কাজ আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীকে দলমত নিবিশেষে বিজয়ী করে নিয়ে আসা।”

    জানা যায়, এবার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী মেয়র পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান মেয়র ও সীতাকুণ্ড পৌর আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব বদিউল আলম, সীতাকুণ্ড আ.লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য গোলাম রব্বানী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রোটারিয়ান ও সাপ্তাহিক চাঁটগার বাণী পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, পৌরসভার কাউন্সিলর মাইমুন উদ্দিন মামুন, কাউন্সিলর জুলফিকার আলী শামিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো.শাহজাহান, পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ কামাল চৌধুরী,ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদ চৌধুরী ফারুক ও ভুইয়া সামি আল মুজতবাসহ ১৬জন প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের কাছে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।

    দল যাচাই-বাচাই পরবর্তী ৯ জনের নাম প্রস্তাব পাঠান কেন্দ্রে। কেন্দ্র বিচার বিশ্লেষণ করে বর্তমান মেয়রকে পুনরায় নৌকার মাঝি হিসেবে টিকেট প্রদান করেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় একক প্রার্থী আলহাজ্ব বদিউল আলম বলেন, “আমার গত ৫ বছরের কাজকে দল মূল্যায়ন করেছে। আমিও দলের সুখে-দুখে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। পুনরায় দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আরো বেশি বেশি পৌরবাসির সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছে। আমাকে পুনরায় দলীয় টিকিট দেওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় এমপি দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আল মামুনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞ।

    উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ১ এপ্রিল ২৮ বর্গমাইল আয়তনের সীতাকুণ্ড পৌরসভা গঠিত হয়। এ পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন প্রায় ২৮ হাজারের মতো। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পৌরসভাসহ দেশের ২৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • রাউজান পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পারভেজের সমর্থনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতবিনিময় সভা

    রাউজান পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পারভেজের সমর্থনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতবিনিময় সভা

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা ছিল বিধায় আমি এখনো বেঁচে আছি। দলের দুঃসময়ে নিজের জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে মাঠে থেকেছি। কখনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করিনি।

    রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে করোনা পরিস্থিতিতে সব সময় জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলাম। আমি চাই দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে তার সমর্থনে আয়োজিত রাউজান উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

    মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চে রাউজান উপজেলার সভাপতি বেলাল হোসেন সিফাতের সভাপতিত্বে ও শফিউল হোসাইন সম্রাটের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র-সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানে আলম জনি, দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপ দপ্তর সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু, রাউজান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার এ্যাড. সমীর দাশ গুপ্ত, উপজেলা আ.লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের সহকারি এটর্নি জেনারেল এ্যাড.অপূর্ব ভট্টাচার্য, রাউজান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোজাফ্ফর সালাম মুবিন, রাউজান পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, মুছা আলম খান, রাউজান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ সভাপতি সারজু মোঃ নাছের, রাউজান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো আলমগীর, বিনাজুরী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাচ্চু, রাউজান পৌরসভা যুবলীগের সহ সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদ খান, উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক দিপলু দে দীপু, রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু, রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি (দ.) জাহেদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মো সালাউদ্দিন, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো আসিফ, রাউজান কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোঃ এরশাদ।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, রাউজান উপজেলা সহ সভাপতি মো একরাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবলা বড়ুয়া, মাইকেল বড়ুয়া, অন্তু দে, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদীপ্ত দাশ অন্তু, সাইম উদ্দিন শাহ, বাদশা আলম জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক রিয়াদ হোসেন অন্তর, জিসান, মো আসিফ, মো আলাউদ্দিন, তওহিদ, কুতুব উদ্দিন, ছাত্রনেতা শাহদাত, রাকিব প্রমুখ।