Tag: প্রকল্প অনুমোদন

  • একনেকে ৩৭ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ৩৭ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ ৪৬টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ৩৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকি প্রকল্পগুলো পরবর্তী একনেক সভায় উত্থাপনের জন্য বলেছেন তিনি। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

    অনুমোদন পাওয়া ৩৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২১ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা এবং ২৯ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।

    মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভাপতি শেখ হাসিনা।

    সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

    একনেক কার্যপত্র অনুযায়ী, মোট প্রকল্পের মধ্যে ৪৪টি ও টেবিলে দুটিসহ মোট ৪৬টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প এবং ছয়টি ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির প্রকল্প একনেকে তোলা হয়। এছাড়া, ৩২টি প্রকল্প পরিকল্পনামন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে অনুমোদন দিয়েছেন। যেগুলো একনেক সভায় অবহিত করা হয়েছে।

  • পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধিসহ ১২ প্রকল্প অনুমোদন

    পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধিসহ ১২ প্রকল্প অনুমোদন

    পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধিসহ ১২ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৯ হাজার ৫৯৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৬ হাজার ২৬০ কোটি ৭২ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১৩ হাজার ২০৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

    মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।

    ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনা সাচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকী, একেএম ফজলুল হক, ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান প্রমুখ।

    পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দুটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপন্থাপন করা হলেও তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রকল্প। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- অবকাঠামো নির্মাণ না করে যে অবকাঠামো আছে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার করতে হবে। আমার এলাকায় জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে আর আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখি তারপর নিয়ে আসেন। এ ছাড়া দেশের কারাগারগুলোতে ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপন করতে হবে। যাতে আসামিদের নিয়ে যেতে আসতে কোনো হয়রানি না হয় এবং অতিরিক্ত খরচ কমবে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। এছাড়াও নদী ভাঙন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো জলবায়ু ফান্ড থেকে (আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট ফান্ড) থেকে প্রকল্প নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পটির মোট ব্যয় থেকে ২ হাজার ৪১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, সরকারি ভ্যাট বেড়েছে এখানে একটা বড় অংকের টাকা লাগবে। এ ছাড়া শেষ মুহূর্তে ঠিকাদারদের কিছু অনিষ্পন্ন দাবি থাকে এবং নদী শাসন, যন্ত্রপাতি আমদানিসহ নানা খাতে টাকার প্রয়োজন। এজন্য শেষ মুহূর্তে ব্যয় বাড়ছে।

    একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো- প্রোগ্রাম ফর এগ্রিকালচার রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনিউরশিপস অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ। এ ছাড়া বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স লাভলিহুড ইন ভারনালেবল ল্যান্ডস্কেপস ইন বাংলাদেশ। বরিশাল জেলার সদর উপজেলার চরকাউয়া, চাঁদমারী, জাগুয়া, লামচরি এবং চরমোনাই এলাকা কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা (প্রথম পর্যায়)। ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি স্থাপন। ইমপ্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারী এডুকেশন প্রজেক্ট। ইকোনমিক এক্সিলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর এনইইটি (ইএআরএন) প্রজেক্ট। সেফার সাইবার স্পেস ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ: এনহ্যান্সিং ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ডিজিটাল ইনভেসটিগেশন ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ। ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগহার পুনঃনির্মাণ। বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্প।

  • একনেকে ১০৭০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১০৭০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    ১০ হাজার ৭০২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। এর মধ্যে সরকার দেবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ২৭ লাখ এবং বিদেশি ঋণ ৪ হাজার ২৪২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

    আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

    প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী/সচিবরা একনেক সভায় অংশ নেন।

    একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা কমিশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা।

    তাদের তথ্যমতে, আজ অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ প্রকল্প রয়েছে। এতে খরচ হবে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ’ প্রকল্পে খরচ হবে এক হাজার ৩৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ÔWestern Economic Corridor & Regional Enhancement Program (WeCARE) Phase-I: Rural Connectivity, Market and Logistic Infrastructure Improvement Project (RCMLIIP)Õ প্রকল্পে খরচ হবে দুই হাজার ১৮০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। তার মধ্যে ৬৪৩ কোটি ৬৮ লাখ দেবে সরকার এবং বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে এক হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘উইকেয়ার ফেজ-১: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক (এন-৭) উন্নয়ন’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে চার হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে এক হাজার ৪৮২ কোটি পাঁচ লাখ এবং বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে দুই হাজার ৭০৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন আনা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল এক হাজার ১২৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

    প্রথম সংশোধনে তা বাড়িয়ে করা হয় তিন হাজার ৩৫০ কোটি ৫১ লাখ এবং আজ দ্বিতীয় সংশোধনীতে তা আরও বাড়িয়ে করা হলো চার হাজার ৩৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হলো।

    বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন-১ম পর্যায় (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। এতে খরচ বেড়েছে ৫৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ২৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনে তা বাড়িয়ে করা হলো ৩০৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে করা হলো ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

    সর্বশেষ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৮০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    একনেক সভায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

  • সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে ৫৬০ কোটি টাকার প্রকল্প

    সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে ৫৬০ কোটি টাকার প্রকল্প

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫৬০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ডান তীর ভাঙ্গন হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

    সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, ‘একনেক সভায় ২ হাজার ৪৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮২ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।’

    অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্য দু’টি নতুন ও দু’টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।

    পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্পের বিষয়ে জানান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অক্টোবর ২০২০ হতে জুন, ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

    প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো-যমুনা নদীর ডান তীরে প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত আবাসিক ভবন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট-বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারি বেসরকারি অবকাঠামো, ফসলি ও কৃষি জমি, রাস্তা ঘাট রক্ষাসহ আনুমানিক ৪ হাজার ৩৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পদ নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা।

    জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৬ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ এবং ১ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত নদী তীর সংরক্ষণ কাজ পুনর্বাসন ও শক্তিশালীকরণ।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলা বন্যা হতে রক্ষা পাবে।
    মাছের আহরণোত্তর অপচয় হ্রাস করার লক্ষ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন শুটকি মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে একনেক সভায় ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কক্সবাজার জেলায় শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো-আধুনিক পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন মানসম্পন্ন শুটকি মাছ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার জন্য কক্সবাজারের খুরুশকূলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শুটকি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের শুটকির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা ও ৪ হাজার ৬০৯টি জেলে পরিবারের কর্মসংস্থান তৈরি।

    জাকির হোসেন জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৫’শ বর্গমিটার আয়তনের অবতরণ শেড নির্মাণ, ১৮’শ ৬০ বর্গমিটার আয়তনের ৪ তলা বিশিষ্ট ল্যাব, অফিস, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম ডরমেটরি নির্মাণ, ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজ ,২টি ওয়ে ব্রীজ, ৩৫০টি গ্রীন হাউজ মেকানিক্যাল ড্রায়ার এবং ৩০টি মেকানিক্যাল ড্রায়ার ইত্যাদি স্থাপন করা হবে।

    মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

    একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া অনুশাসনের বিষয়ে পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী নদী খনন ও বড় বড় নদীর নাব্যতা রক্ষায় সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। একইসাথে তিনি নদীতে বালু চর চিহ্নিত করে তা খননের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ারও নির্দেশ দেন।

    তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী বাফার জোন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী আগামীতে একনেকে নদী খনন প্রকল্প উপস্থাপন ও নদী খননের জন্য স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি পুনরায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলেন।

    আসাদুল ইসলাম জানান, সামনের শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে এই আশংকা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ঢেউ মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণ ও মাস্ক পরার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।

    একনেকে অনুমোদিত অন্য দু’টি প্রকল্প হলো-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘দোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়কে একস্তর নীচু দিয়ে উভয় পার্শ্বে পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণ (ডাঙ্গা বাজার-ইসলামপুর লিংকসহ) (১ম সংশোধিত) এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘আমিনবাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • একনেকে ১১৩৬ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১১৩৬ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চলতি অর্থবছরের তৃতীয় সভায় ১ হাজার ১৩৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ১ হাজার ২৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ ও অনুদান ১০৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানান।

    অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘লাঙ্গলবন্দ-কাইকারটেক-নবীগঞ্জ জেলা মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ থেকে মিনার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ (জেড-১০৬১) (ভূমি অধিগ্রহণ) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কুমিল্লা জেলার তিতাস ও হোমনা উপজেলায় তিতাস নদী (লোয়ার তিতাস) পুনঃখনন’ প্রকল্প, ‘গাইবান্ধা জেলার সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গোঘাট ও খানাবাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙন থেকে রক্ষা’ প্রকল্প ও ‘চর ভেডেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন) (বাপাউবো অংশ)’ প্রকল্প এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প।

    রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে একনেক সভায় যুক্ত হন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার করোনা ভাইরাসের মধ্যেও উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তার পরও অন্ততপক্ষে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যে, ধারবাহিকতটা বজায় রেখে উন্নয়নের মূল গতিটা ধরে রাখার। যে কারণে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

    আজ রবিবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত সভার প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ সভার সঙ্গে সংযুক্ত হন।

    প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত ভাষণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর ও পুনরায় গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি বলেন, দেশবাসীকে আমি এই অনুরোধ করবো যে, সবাই স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন। কারণ, জীবন চলতে থাকবে, এটি স্থবির থাকতে পারে না। তার পরও স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সবাইকে আমি আহ্বান জানাব।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই আজ এই সমস্যাটা চলছে। কাজেই এর হাত থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ যাতে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেটাই আমরা চাই।’

    তার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সাংসদসহ দেশে এবং প্রবাসে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি এবং এর কবল থেকে সকলের মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।

    তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা আমাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যসহ দেশে ও প্রবাসে অনেককে হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়া করি, তিনি যেন আমাদেরকে এই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দেন।’

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আজকেন সভায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। করোনার মধ্যেও সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

    সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমরা আজ একনেক সভা ভার্চুয়ালি করেছি। প্রধানমন্ত্রী ও আমি ছিলাম গণভবনে। আমাদের এনইসি ভবনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিবরা ছিলেন। আমরা মোট ১০টি প্রকল্প একনেক সভায় পেশ করেছিলাম। সবই পাস হয়েছে। আজকে পাস হয়েছে ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা। এটি আনন্দের ব্যাপার আপনাদের জন্য, আমাদের জন্যও। সব টাকাই আমাদের নিজস্ব টাকা। কোনো ধারদেনা, তথাকথিত সহায়তা- এগুলো কিছুই নেই।
    একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ প্রকল্প; ‘বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘হাওড় অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ (হরিদাসপুর)-মোল্লাহাট (ঘোনাপাড়া) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘বিএএফও বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ, যশোর (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ভার্চুয়াল একনেকে ১৬২৭৬ কোটির ১০ প্রকল্প অনুমোদন

    ভার্চুয়াল একনেকে ১৬২৭৬ কোটির ১০ প্রকল্প অনুমোদন

    করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হলো। এতে ১৬ হাজার ২৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ১৪ হাজার ৪০১ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ এক হাজার ৮৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার (২ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সাধারণ ছুটির পর প্রথম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    চলতি অর্থবছরের ২৩ তম ও বর্তমান সরকারের ৩২তম এ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

    অনুমোদিন প্রকল্পের মধ্যে ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া সহজ শর্তের ঋণ ৮৫০ কোটি টাকা, বাকি টাকা ব্যয় করা হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্পের আওতায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে নির্বাচিত হাসপাতালে টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো, করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া ‘কোভিড-১৯ ইর্মাজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক রেসপন্স’ নামে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্প। এই প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৮৫০ কোটি টাকা ৯৭ লাখ টাকা আসছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ থেকে, বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

    প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিট দিয়ে সজ্জিত করা, কমপক্ষে ১৯টি পরীক্ষাগারের সক্ষমতা ও গুণগত মানকে কোভিড-১৯ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ডায়াগনস্টিক সুবিধা দিয়ে উন্নত করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতের কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ জন কর্মীকে আধুনিক দক্ষতা এবং জ্ঞানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পিসিআর মেশিন, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ, পিপিই ও মাস্ক কেনার কাজে এই প্রকল্পের টাকা খরচ করা হচ্ছে।

    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ‘প্রাথমিক উপবৃত্তি (তৃতীয় পর্যায়)’ দ্বীতিয় সংশোধিত প্রকল্পটির বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা।

    এছাড়া তিন হাজার ১২৮ কোটি টাকার ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (সপ্তম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প, যা পুরোটাই সরকারি ব্যয়ে হবে।

    করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনলাইন মাধ্যমে তথা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) প্রকল্প, এটি প্রথম সংশোধিত প্রকল্প। ; শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা , ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) প্রকল্প, এটি প্রথমও সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা’ প্রকল্প। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে। মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজতকরণ ও বিতরণ প্রকল্প, এর কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে। সাতক্ষীরা জেলার পোন্ডার ১, ২, ৬, ৮, এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালে। দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প। এটি প্রথম সংশোধিত প্রকল্প যার মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় ধরা হয়েছে ২০২২ সাল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • একনেকে দশ হাজার কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে দশ হাজার কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০ হাজার ৪৬৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৯৬৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে ৪ হাজার ৪২৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে পাওয়া যাবে ৭৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

    একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- ৭৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘জরুরি পানি সরবরাহ প্রকল্প’; এবং ৭৮৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ‘আমিনবাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প’।

    ২৬৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের শেখপাড়া (ঝিনাইদহ)-শৈলকুপা-লাঙ্গলবাঁধ (শ্রীপুর)-ওয়াপদা মোড় (মাগুরা) জেলা মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুতকরণ প্রকল্প’; ৪০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’; ৪৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে খানপুরা এবং কাজিরহাট থেকে রাজধরদিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; ৫৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একই মন্ত্রণালয়ের ‘কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলাধীন ধরলা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ বাম ও ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; ৫৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্প এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’।

  • একনেকে চার হাজার কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে চার হাজার কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

    ভাণ্ডাল জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পসহ ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এই নয়টি (নতুন ও সংশোধীত) প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ৪ হাজার ২৪৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

  • একনেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি জানান, আজকের একনেক সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিসিক শিল্প পার্ক, সিরাজগঞ্জ (তৃতীয় সংশোধনী)’ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘এসআরডিআই-এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিসিবিএস)’ প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন, জামালপুর (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প ও ‘কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা মড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক (আর-১৪৫) ও লক্ষ্মীপুর-চরআলেকজান্ডার-সোনাপুর-মাইজদী (জেড-১৪০৫) সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প এবং ‘ভোলা (পরান তালুকদারহাট)-চরফ্যাশন (জরমানিকা) আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

  • একনেকে ১১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১ হাজার ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আজকের একনেক সভায় ৮টি প্রকল্প তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে ৭টি অনুমোদন দিয়ে একটি প্রকল্প বাদ দেয়া হয়।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘সিংড়া-গুরুদাসপুর-চাটমোহর সড়কের (জেড-৫২০৯) সিংড়া অংশের সড়ক বাঁধ উঁচুকরণসহ পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প; ‘পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক (জেড-৬০০৪) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষার্থে ৩ দশমিক ৭৬৫ কিলোমিটার নদীতীরে স্থায়ী রক্ষাপ্রদ কাজ’ প্রকল্প এবং ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি সেতু এবং আরসিসি সেতু প্রতিস্থাপন (ঢাক জোন)’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্প; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন’ প্রকল্প এবং ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

  • একনেকে তিন হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে তিন হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আশ্রয়ন-৩ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পসহ মোট ৯ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ২২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, এর পুরোটাই বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে।

    মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, জেটি নির্মাণ, জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের জন্য আবাসন ভবন ও কালভার্ট নিমার্ণসহ বেশ কিছু বিষয় নতুন করে যুক্ত হওয়ায় আশ্রয়ন-৩ প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। প্রথম বার সংশোধনী করা এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গেছে ৭৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আজ একনেক সভায় এই অর্থের অনুমোদন দেয়া হয়।

    তিনি জানান, প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এখন মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন,এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরে এক লাখ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বনায়ন করা এবং দ্বীপটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা।

    মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিরও ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এজন্য তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আরবি, ফারসি, জাপানি, স্পানিশসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার বিষয়ে আরো জোর দেয়ার কথা বলেছেন।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেল আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্যুৎ বিল যাতে ঠিকমত পরিশোধন হয়, এজন্য ভবনগুলো প্রিপেইড মিটার লাগানোর প্রয়োজন।

    দেশের জনগণ যদি প্রি-পেইড মিটারে বিল দিতে সক্ষম হোন, তাহলে সংসদ ভবন এটা চালু হবে না কেন। সারাদেশে প্রি-পেইড মিটার দেয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

    একনেক সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-খাদ্যশস্যের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রিমিক্স কার্নেল মেশিন ও ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, এত খরচ হবে ৬৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন খরচ হবে ২৪০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। দিঘলিয়া-আড়–য়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর উপর ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর-ধুনট-শেরপুর এবং সিরাজগঞ্জ-ধুনট মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৮ কোটি কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

    এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেল আনুষঙ্গিক স্থাপনার নির্মাণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।