Tag: প্রকল্প অনুমোদন

  • রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় একনেকে ৩,৪৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় একনেকে ৩,৪৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩ হাজার ৪৪৯.০৫ কোটি টাকার ফিজিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্প আজ অনুমোদন করেছে।

    রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, আজ ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এতে অনুমিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭.৭৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৪ হাজার ৪৩৯.৮৬ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এবং বাকী ৭.৯০ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। অনুমোদিত ৬টি প্রকল্পের মধ্যে ৫টি নতুন এবং ১ টি সংশোধিত প্রকল্প।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি এন্ড ফিজিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেম সেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মি হেডকোয়াটারস, জিএস সেকশন (কোঅর্ডিনেশন) ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
    এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধাপে ধাপে সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেট (ডিবিটি) অথবা ডিবিটি’র বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবেলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশনের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

    গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকলের অধীনে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

    পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুততার সাথে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাশপাশি প্রধানমন্ত্রী পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) এর সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘যাতে করে বড় ঠিকাদাররা বারবার সরকারি কাজ না পায়, বরং অন্যান্য ঠিকাদাররাও যাতে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিডিংএ অংশ নিতে পারে এবং সুস্থ প্রতিযোগিতা করতে পারে।’

    প্রধানমন্ত্রী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রামীণ এলাকায় সেতু নির্মাণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেন। কারণ, এই সেতুগুলো পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করে।

    প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সতর্কতার সাথে নতুন নতুন সড়কগুলো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কারণ, বর্তমান সরকার সকল আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ককে চার-লেনে উন্নীত করতে আগ্রহী।

    অন্যান্য যে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো-৩৬৬ দশমিক ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর (রাজারহাট)-মনিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ৭১ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৯১ দশমিক ৩৪ মিটার মুহুরী সেতু ও ৫০ দশমিক ১২ মিটার ফজিলাঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৩৬১ দশমিক ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের একতাবাজার থেকে বিএনএস শেখ হাসিনা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, প্রথম সংশোধিত ৭৯ দশমিক ০১ কোটি টাকা ব্যয়ে আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবন নির্মাণ প্রকল্প এবং ১২০ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিলেট জেলার সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দশগ্রাম, মাহতাবপুর ও রাজাপুর পরগণা বাজার এলাকা সুরমা নদীর উভয় তীরের ভাঙ্গন হতে রক্ষা প্রকল্প।

  • একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    তিনি বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পে সরকার অর্থায়ন করবে ৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান ২৬৭ কোটি টাকা, আর ঋণ ২ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা।

    আজকের একনেক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অন্যতম জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা।

    বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- বাংলাদেশে চারটি মেরিন একাডেমি স্থাপন প্রকল্প (৩য় সংসোধিত)। কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-টোক জেলা মহাসড়কে উন্নীতিকরণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৯ কোটি টাকা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৮ কোটি টাকা। স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

    রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে পরমাণু শক্তি কমিশনের রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে। পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্প-৩। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় চরআত্রা এলাকা রক্ষা প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৫৫৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩২ কোটি টাকা।