Tag: প্রণয় ভার্মা

  • ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

    ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

    বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর বাণী ছিল শান্তির। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করে সেই বাণী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশে মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ হয়। এটা কেবল অহিংস ও শান্তির বাণীর কারণে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে। ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে।

    সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিন দিনের আন্তর্জাতিক যুব শান্তি ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়ায় আমরা গর্বিত। বর্তমানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গান্ধীজির নীতি এখনো প্রাসঙ্গিক। মহাত্মা গান্ধীর আগমনে নোয়াখালীতে মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতিসহ নানা দিকে মিল রয়েছে। গান্ধীজির জীবন ও শিক্ষা এবং নোয়াখালীতে আগমন মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের সেরা উদাহরণ। এর মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কও উন্নয়ন হয়েছে।

    সমাপনী অনুষ্ঠানে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র করার দাবি জানিয়ে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, মহাত্মা গান্ধীর আগমনে নোয়াখালীবাসী গর্বিত। কিন্তু এই গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টে অনেক পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রয়োজন। যেন এটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে। এক্ষেত্রে ভারত সরকার এগিয়ে এলে এই আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

    নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে নোয়াখালী বিখ্যাত জেলা। মহাত্মা গান্ধীর আগমনে এই অঞ্চলে সাম্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে পড়েছে। যার সুফল এখনো বিরাজমান। বর্তমান সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বাংলাদেশ গড়ছেন।

    জানা যায়, মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫তম জন্মজয়ন্তীতে অংশ নিতে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে ভারতের ৬২ সাইক্লিস্ট ও ভারত, নেপাল, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ১৫৫ জনপ্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই মূলত এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়ে আজ সোমবার (২ অক্টোবর) পর্যন্ত এ ক্যাম্পে প্রতিদিন শান্তি সমাবেশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। আজ সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শেষে আন্তর্জাতিক যুব পিস ক্যাম্পের সমাপনী ঘোষণা করা হয়।

    সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় ও গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে ভারতের স্নেহালয়া সংঘের আহ্বায়ক ড. গিরিশ কুলকার্নি, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পরিচালক ও সিইও রাহা নব কুমার, সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাসসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

  • রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ : প্রণয় ভার্মা

    রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ : প্রণয় ভার্মা

    বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, জ্বালানি সহযোগিতা ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ উপাদান’ এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ।

    শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন করার সময় এ কথা বলেন তিনি।

    প্ল্যানটি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ভারত সরকারের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে। এর বেশিরভাগ অর্থ দিচ্ছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।

    প্ল্যান্টটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং অত্যাধুনিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।

    এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ধাপটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা উদ্বোধন করেন এবং ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শেষ হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

    রূপসা রেল সেতু পরিদর্শনে প্রণয় ভার্মা
    গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় হাইকমিশনার রূপসা রেল সেতু পরিদর্শন করেন, যা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র উপ-অঞ্চলের জন্য বাণিজ্য ও যোগাযোগ জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বাংলাদেশ সরকারকে প্রদত্ত ভারত সরকারের রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

    হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আগামী ৩-৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ-ভারত উন্নয়ন অংশীদারিত্বের আওতায় গড়ে ওঠা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।

    রূপসা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এবং সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬৯ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    শুক্রবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, সেতুটি রূপসা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে এবং এর নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্ব, কারণ পাইলিং কাজের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।

    নেভিগেশন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেতুটিতে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড উচ্চ পানির স্তর থেকে ১৮ মিটারেরও বেশি।

    ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। ভারত ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে প্রায় আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এলওসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, সেতুটি ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত।

    রূপসা রেলসেতু ও খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন পণ্য পরিবহনকে ব্যাপকভাবে সহজতর করবে এবং মোংলা বন্দরের সাথে যোগাযোগ ও প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের কৃষিপণ্যসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার উন্নত করবে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন এবং বিশিষ্ট খেলাধুলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশা করা হচ্ছে।