Tag: প্রতারণা

  • বোয়ালখালীতে এনজিও’র নামে প্রতারণা, নারীসহ ২জন গ্রেফতার

    বোয়ালখালীতে এনজিও’র নামে প্রতারণা, নারীসহ ২জন গ্রেফতার

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এনজিও’র নামে প্রতারণা করার সময় দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন জনতা।

    বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় প্রতারণা মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম।

    ওসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সজল দাশগুপ্ত (৪৫) এবং মুক্তা চৌধুরী (৩০) নিজেদের এলিন নামের একটি এনজিওর কর্মী পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।

    গ্রেফতার হওয়া সজল দাশগুপ্ত উপজেলার সরোয়াতলীর ইউনিয়নের মৃত সমর দাশগুপ্তের ছেলে ও মুক্তা চৌধুরী একই ইউনিয়নের লিটন চৌধুরীর স্ত্রী।

    জানতে চাইলে (ওসি) মো. আবদুল করিম জানান, এনজিও কর্মী পরিচয়ে টাকা তোলার সময় স্থানীয় জনগণ এক পুরুষ ও এক মহিলাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এনজিওর কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেননি।

    স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, সজল ও মুক্তা দুজন অনেক মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করে ক্রেতার সাথে প্রতারণা, জরিমানা গুনল ৩ ফার্মেসি

    ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করে ক্রেতার সাথে প্রতারণা, জরিমানা গুনল ৩ ফার্মেসি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি না করার জন্য ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্সে স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও তা মানছে না চট্টগ্রামের অধিকাংশ ফার্মেসি।

    তাছাড়া অনুমোদনহীন ওষুধে ছেয়ে গেছে নগর। ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তির্ণ ওষুধ। এমন নানা অভিযোগে সঠিক ঔষধ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

    এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নের্তৃত্বে রবিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় নগরীর লালখান বাজারের চানমারী রোড এলাকায়।

    অভিযানের শুরুতে মেসার্স পপুলার মেডিসিন সেন্টারে দেখা যায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত ঔষধের প্যাকেটের মধ্যে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রেখে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাণিজ্যিকভাবে নিষেধ থাকা সর্ত্তেও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন প্রতিষ্ঠানটি।

    তাছাড়াও বিদেশী অননুমোদিত বিপুল ওষুধ পাওয়া যায় ফার্মেসিটিতে। এসব ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

    একই এলাকায় একই অভিযানে মাঝুরী মেডিসিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি ও বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির অপরাধে এ জরিমানা করা হয়।

    ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে লাইসেন্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাইকারীভাবে ওষুধ বিক্রি করে আসছিল। তাছাড়া গুদামের জন্য ঔষধ প্রশাসন এর কোনো অনুমতি না নিয়ে দুটি গুদামে ওষুধ রিজার্ভ করে রেখেছে।

    মূলত খুচরার তুলনায় পাইকারিতে সরকারি বার্ষিক রাজস্ব ফি প্রায় ১০ গুন বেশি হওয়ায় রাজস্ব ফাঁকি দিতেই খুচরা বিক্রির লাইসেন্সে পাইকারী বিক্রি করছিলো প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়।

    একই এলাকার আলম মেডিকেয়ারেও অভিযান চালায় মোবাইল কোর্ট। লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা কর হয় এবং লাইসেন্স করার জন্য ২০ দিন সময় নির্ধারন করে দেওয়া হয়।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান জানায়, নগরীর লালখান বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানীর ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ জব্দ করা হয়।

    জব্দকৃত স্যাম্পল ও বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ বিনষ্ট করা হবে জানিয়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

    অভিযানে ওষুধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • অনলাইন এ প্রতারিত হলে কি করবেন?

    অনলাইন এ প্রতারিত হলে কি করবেন?

    ২৪ ঘণ্টা স্পেশাল : মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটার পাশাপাশি ঘরে বসে ইন্টারনেটভিত্তিক অনলাইন শপিং ব্যবসা আমাদের দেশেও এখন খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। দেশের অভিজাত থেকে মধ্যবৃত্ত এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্তরা বর্তমানে অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসগুলোয় ঝুঁকছেন।

    সম্প্রতি বাহারি পণ্য একেবারে ঘরের দরজায় পৌঁছে দেওয়া ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেমের কারণে খুব দ্রুত অনলাইন কেনাকাটার গ্রাহক, বিশেষ করে তরুণ গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতির কারণে দিন দিন এ ব্যবসা আরো বেড়েছে বহুগুন।

    আবার অনলাইনে শপিং করতে গিয়ে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভুক্তভোগীর সংখ্যাও। অনলাইনে পণ্য কিনে ক্রেতাদের কাছ থেকে সবচেয়ে যে অভিযোগটি বেশি আসছে সেটি হলো ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত ছবির সঙ্গে পণ্যের কোন মিল নেই।

    অনেক অনলাইন ক্রেতাই অভিযোগ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজ, গ্রুপ ও ওয়েভসাইটে চটকদার বিজ্ঞাপনে যেসব পণ্য দেখানো হয়,অর্ডার করার পর ডেলিভারি করার সময় ক্রেতাদের হাতে পৌছানো হয় নিম্নমানের আরেক পণ্য।

    আবার বিভিন্ন অনলাইন পেজে পণ্যের জন্য অগ্রিম টাকা প্রেরণ করে পণ্য না পাওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এ ধরনের অভিযোগ বেশি আসছে মোবাইল হ্যান্ডসেট, হাতঘড়ি, ব্লেজার, শাড়ি প্রভৃতি পণ্য নিয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যথাযথ তদারকি না থাকায় এমন প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।

    কেউ যদি অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হয় সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন কয়েকজন আইনজীবী।

    চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী তপন দাশ বলেন, পণ্য কিনে প্রতারিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়েও দেওয়ানি আদালতে এবং প্রতারণার অভিযোগে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে পারবেন।

    প্রতারিত হলে কিভাবে মামলা করবেন সে বিষয়েও ধারণা দিয়েছেন আরো কয়েকজন আইজীবীর। তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাইট এবং কী ধরনের প্রতারণার শিকার হলেন তা সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে।

    পরবর্তী সময়ে পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার পর সেটার রশিদ বা ক্যাশমেমো দিয়ে জেলা জজ আদালতে অথবা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করতে পারবেন।

    আদালত আপনার অভিযোগ যাচাই-বাচাই করবেন। এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিবেন। যদি আদালতে আপনার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে আদালত অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড দিতে পারেন অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে।

    এ ছাড়া অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করা যাবে। অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার পর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ।

    সেক্ষেত্রে আপনি ভোক্তা অধিকারের কার্যালয়ে গিয়ে অথবা ওয়েবসাইটে দেওয়া মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারবেন। সেই অভিযোগের পরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অনলাইন প্রতিষ্ঠান ও অভিযোগকারীর কাছে পোস্টাল রশিদের মাধ্যমে চিঠি পাঠাবেন।

    দুই পক্ষ থেকে শুনানি শেষে অধিদপ্তর ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে। এ ক্ষেত্রে জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে দেওয়া হবে।

    এদিকে অনলাইন প্রতারণায় করণীয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।

    এতে উল্লেখ করা হয়, ফেসবুকে অসংখ্য অনলাইন শপিং পেজ রয়েছে, যেগুলো নানা রকমের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে লোকজনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে।

    এর মধ্যে কিছু পেজ পাওয়া যায় যেগুলো কখনো কখনো এক ধরনের প্রোডাক্ট দেখিয়ে অন্য ধরনের প্রোডাক্ট বা নিম্নমানের প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিয়ে থাকে। আবার, কিছু কিছু পেজ পাওয়া যায় যেগুলো প্রোডাক্ট অর্ডারের জন্য অগ্রীম মূল্য পরিশোধ করার পরও কোনো প্রোডাক্টই ডেলিভারি দেয় না।

    এক্ষেত্রে, আপনি যদি তাদের চ্যালেঞ্জ করেন তারা আপনার নম্বর বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেবে। এ ধরনের পেজগুলো সাধারণত চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অ্যাকাউন্টটি হঠাৎ করে ডিঅ্যাকটিভেট করে দেয়।

    এক্ষেত্রে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পরামর্শ : সুপরিচিত বা সুপ্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপ ছাড়া অন্য কোন অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। এক্ষেত্রে তাদের কাস্টমার রিভিউগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিতে পারেন। প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করুন।

    প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করার জন্যও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • কারাগারে সাবরিনা/দুই দফা রিমান্ডে মিলেছে প্রতারণার পর্যাপ্ত তথ্য, শিগগিরই চার্জশিট!

    কারাগারে সাবরিনা/দুই দফা রিমান্ডে মিলেছে প্রতারণার পর্যাপ্ত তথ্য, শিগগিরই চার্জশিট!

    ২৪ ঘণ্টা আদালত ডেস্ক : দুই দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে জেকেজি চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হলেও জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

    করোনা টেস্টের নামে জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর দুই দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে সোমবার (২০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয়।

    আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরকে তিনদিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

    এর আগে একইদিন সকাল ১১টার দিকে সাবরিনাকে আদালতে পাঠানোর পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন।

    রিমান্ডে থাকা সাবরিনার কাছ থেকে করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন জানিয়ে ডিএমপি এ-পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তার (সাবরিনা) কাছ থেকে যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছি। তার স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে মুখোমুখি করা হয়েছে। উভয়ের যথেষ্ট সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। এতে দুজনেই অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন।

    এর আগে গত ২৩শে জুন ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া কোভিড রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একই অভিযোগে ১২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও আরিফের স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সাবরিনা আরিফের দুই দফা রিমান্ডে প্রতারণার অভিযোগের পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ মেলায় শিগগিরই চার্জশিট দেয়া যাবে বলে জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • স্মার্টফোনের লোভনীয় অফারের নামে প্রতারণা

    স্মার্টফোনের লোভনীয় অফারের নামে প্রতারণা

    অ আ আবীর আকাশ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে চটকদার বিজ্ঞাপন সাঁটিয়ে একশ্রেণীর প্রতারকরা একাউন্ট বা আইডি খুলে লোভনীয় অফার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।

    তেমনি ফেসবুকে কয়েকটি আইডির সন্ধান মিলেছে এসব প্রতারকের। ফোন কর্ণার শপ (phone conner shop), ব্র্যান্ডস শপ ৯৯ (Brands shop 99), বাইট বিডি শপ (Bite bd shop) নামের ফেসবুক আইডি থেকে স্মার্টফোনের লোভনীয় অফার করে গ্রাহকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

    তারা অফার করে গ্রাহকের কাছ থেকে সমুদয় টাকা বুঝিয়ে নিলেও গ্রাহককে স্মার্ট ফোনের বদলে পুরনো নষ্ট সস্তা একটা বাটন মোবাইল সেট কুরিয়ার করে। কুরিয়ার চার্জ পর্যন্ত গ্রাহককে দিতে হয়। দেখা যায় প্রাপ্ত মোবাইলের মূল্য কুরিয়ার খরচও নয়।

    তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উর্মি রহমান নামের এক কর্মজীবী নারী। তিনি একটি স্মার্টফোনের (অফার মূল্যসাড়ে চার হাজার টাকা) অর্ডার করে পেয়েছেন ৩০০ টাকা দামের বাটন সেট।

    এ প্রতিবেদককে উর্মি রহমান বলেন-‘ দুনিয়াতে বিশ্বাস শব্দটা উঠে গেছে। ফেসবুকে এত সুন্দর অফার দেখে স্মার্টফোনের অর্ডার করেছি, বিনিময়ে একটা পুরনো বাটন সেট পেয়েছি। কুরিয়ার চার্জ দিয়ে তুলেছি, কুরিয়ার খরচ পর্যন্ত হয়নি। পুরোটাই প্রতারণা করেছে। যে নাম্বারে কথা বলেছি, টাকা পাঠিয়েছি সে নাম্বারটা বন্ধ।’

    প্রতারণার বিষয়ে সমাজ বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল বলেন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেরিত কোন অফার, কোন কেনাকাটা, শপিং করা, অর্ডার দেয়া মোটেই ঠিক নয়। জানা নেই, শোনা নেই অপরিচিতদের বিশ্বাস করা উচিত নয়।’

    উর্মি রহমানের মত এরকম বহু নারী-পুরুষ এসব প্রতারকের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এদের রুখতে পারে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাংলাদেশের রেমডেসিভির নিয়ে নাইজেরিয়ানের প্রতারণা!

    বাংলাদেশের রেমডেসিভির নিয়ে নাইজেরিয়ানের প্রতারণা!

    করোনায় আক্রান্ত নাইজেরিয়ার ওয়ো স্টেট গভর্নরের জন্য বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির সংগ্রহ করে আসল ওষুধ রেখে নকল ওষুধ দিয়ে এক ভয়ংকর প্রতারণা করেছেন দেশটির এক নাগরিক।

    জুনের প্রথম দিকে বাংলাদেশে জরুরি বিমান পাঠিয়ে গভর্নর অ্যাবিওলা আজিমোবির জন্য রেমডেসিভির সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু ওই নাইজেরীয় নাগরিক আসল রেমডেসিভির রেখে নকল ওষুধ ধরিয়ে দেয়।

    ওয়ো স্টেট গভর্নর অ্যাবিওলা বৃহস্পতিবার মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তিনি জেনে যেতে পারেননি তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তারই এক স্বদেশী এভাবে ভয়ংকর প্রতারণা করেছেন।

    নিউইয়র্কভিত্তিক অনলাইন নিউজ এজেন্সি সাহারা রিপোর্টার্স শুক্রবার জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার ওয়ো স্টেট গভর্নর অ্যাবিওলা আজিমোবি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি কোমায় চলে যান।

    গভর্নরের অবস্থা খারাপ হতে থাকলে লাগোস হাসপাতাল এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে রেমডেসিভির সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসরত নাইজেরীয় এক নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

    কিন্তু তিনি চেষ্টা করেও মার্কিন প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে ওষুধটি সংগ্রহ করতে না পেরে ৫০ হাজার ডলার ফেরত দিয়ে দেন। এরপরে গভর্নরের জন্য রেমডেসিভির সংগ্রহে তারা বাংলাদেশে যোগাযোগ করেন।

    সাহারা রিপোর্টার্স প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে থাকা ওই নাইজেরীয় ওষুধটি তিনি দিতে পারবেন জানানোর পর জরুরি বিমান আসে বাংলাদেশে। ওষুধটি সংগ্রহে তাকে দেয়া হয় ৫০ মিলিয়ন নাইজেরিয়ান মুদ্রা। তবে ওই নাইজেরিয়ান আসল রেমডেসিভির পরিবর্তে নকল ওষুধ দেয়। ওই ওষুধ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।

    অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করলেও ওই প্রতারণার ঘটনা নাইজেরিয়াতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সাহারা রিপোর্টার্স।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাউজানের সাংসদের এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা : তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

    রাউজানের সাংসদের এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা : তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হ্যালো…আমি সাংসদের এপিএস। স্যারের সাথে একটু কথা বলুন। কখনো এমপির কন্ঠ অনুসরণ করতেন। এভাবে মানুষের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে কৌশলে টাকা পাঠানোর কথাটি বলতেন। পরে তাদের ব্যবহৃত বিকাশ নম্বরে এসে যেতো টাকা। টাকাগুলো বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে উত্তোলন করে নিজেরাই ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিতেন। এভাবেই বেশ ভাল ভাবেই চলছিল প্রতারক চক্রের টাকা আদায়ের কৌশলটা। কিন্তু কথায় চোরের দশদিনতো গৃহস্তের একদিন।

    এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। রাউজানে এসেই ফেঁসে গেলেন এই প্রতারক চক্রের দুজন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে তিনজনকে গ্রেফতারসহ ১০ হাজার টাকা, দুইশ পিস ইয়াবা, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিম ও মোবাইল জব্দ করে তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করেছে রাউজান থানা পুলিশ।

    সোমবার (২২ জুন) দুপুরে রাউজান থানায় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রবিবার রাতে রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া এলাকায় দুই যুবক নিজেদের রাউজানের সংসদ সদস্যের এ.পি.এস পরিচয় দিলে উপজেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটকে রেখে রাউজান থানায় খবর দিলে রাউজান থানার ওসির নির্দেশে নোয়াপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ রাতে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

    আটককৃতরা হলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জাফর আহমেদের ছেলে মো. এহসানুল হক (২৬), চন্দনাইশ উপজেলার কঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মো. নুরুল আলম প্রকাশ সুমন (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতারের পর থানায় পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দুজন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

    পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এহছানুল হক প্রকাশ হাসান আরো জানায়, প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ সুমনের স্ত্রী তারানা নাজ শবনম এর বিকাশ নম্বরে আসে। সেগুলো থেকে কিছু পরিমাণ অর্থের ভাগ পান সুমন ও তার স্ত্রী।

    হাসানের স্বীকারোক্তিমতে নগরীর ডবলমুরিং থানার পানওয়ালা পাড়ার তিন রাস্তার মোড়ে সুমনের ভাড়া বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী তারানা নাজ শবনমের দেওয়া তথ্য মোতাবেক মোতাবেক পটিয়ার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আশাতা গ্রামস্থ হাজী আহমদ সফার বাড়ির এহছানের ঘরের স্টিলের আলমিরায় রক্ষিত প্রতারণার ১০ হাজার টাকা জব্দ করে।

    রাউজান থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক এহছানুল হক গত ১২ জুন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নাম্বারে ফোন করে রাউজানের সাংসদের এ পি এস পরিচয় দেয়। পরে গ্রেফতারের পর এহছানুল হকের কাছ থেকে পুলিশের জব্দ করা সিমের নাম্বারের সাথে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাংসদের এপিএস পরিচয়ে করা ফোন নাম্বারটি মিলে যায়।

    শুধু রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয় এহেছানুল বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে এমপি, কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

    রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ সংবাদ সন্মলনে বলেন, রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ একাধিক সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে তাঁরা মানুষের কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

    ওসি কেপায়েত উল্লাহ আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের টার্গেট করে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের এপিএস সেজে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করাটাই ছিল তাদের নেশা। সম্পর্কে তারা একে অন্যের আত্নীয়। প্রতারক এহসানের বিরুদ্ধে নগরীর সিএমপি’র কতোয়ালী থানা, পাঁচলাইশ মডেল থানা, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সদর থানা, এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানা, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই ও পটিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

    আটককৃত মো. এহসানুল হক, নুরুল আলম (সুমন) ও সুমনের স্ত্রী তারানা নাজ শবনমের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় মামলা রুজু শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঢাকা বাণিজ্যমেলায় একটি কিনে দশটি ফ্রি নামে মিথ্যা প্রতারণা | ২৪ ঘন্টা নিউজ

    ঢাকা বাণিজ্যমেলায় একটি কিনে দশটি ফ্রি নামে মিথ্যা প্রতারণা | ২৪ ঘন্টা নিউজ

    ঢাকা বাণিজ্যমেলায় একটি কিনে দশটি ফ্রি নামে মিথ্যা প্রতারণা | ২৪ ঘন্টা নিউজ

    ‘যে কোনো পণ্য কিনলে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড়! আবার একটি পণ্য কিনলে ১০টি, কোথাও ২০টি পণ্য ফ্রি! পণ্য ভেদে দেওয়া হবে ৫ থেকে ৮ বছরের ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি অথবা রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি ।’

    এমন বিভিন্ন লোভনিয় অফার দিয়ে পণ্য বিক্রির জাল পেতেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার কিছু প্রতারক চক্র। বিক্রি বাড়াতে অফারের নামে তারা ক্রেতাদের সঙ্গে করছেন প্রতারণা। আর অসচেতন ক্রেতারাও না বুঝে এসব পণ্যের দিকে ঝুকছেন। কেউ কেউ পণ্যগুলো কিনে হচ্ছেন প্রতারিত।

    বেশ কয়েকদিন মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু স্টল মালিক ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন ধরনের অফার দিচ্ছেন। কেউ দিচ্ছেন ইলেকট্রিক ওভেন এর সঙ্গে বিশেষ অফার, কেউ টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা ইলেকট্রিক চুলার সঙ্গে। তবে প্রতিটি অফারের আড়ালে রয়েছে কৌশলী প্রতারণা।

    এরশাদুল ইসলাম অপু। থাকেন মোহাম্মদপুরে। মেলার ১৫তম দিনে বাসার প্রয়োজনীয় কিছু কোকারিজ পণ্য কিনতে স্ত্রীসহ বাণিজ্য মেলায় এসেছিলেন। দুজনই অনেকক্ষণ বিভিন্ন দোকানে দাম দর যাচাই করেন। সব শেষে তারা একটি কোকারিজ পণ্যের স্টলে যান। বিক্রেতারা তাদেরকে বিভিন্ন কোকারিজ পণ্য দেখান। পরবর্তীতে একটা ওভেন দেখেন, যেটার মূল্য দেওয়া আছে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা। মিয়াকো কোম্পানির লোগ লাগানো এই ওভেনটি কিনলে আরও ১০টা পণ্য এর সঙ্গে ফ্রি দেওয়া হবে। অথবা ১০টি পণ্যের মধ্যে যেকোনো দুইটি পণ্যের পরিবর্তে একটি এলইডি টেলিভশন দেওয়া হবে।

    মিয়াকোর মতো ইন্টারন্যাশলনাল কোম্পানির এতগুলো জিনিস ফ্রি দেওয়ার অফার দেখে এরশাদুল অপুর স্ত্রী বিচলিত হয়ে ওঠেন। এটা কি করে সম্ভব! বিক্রেতারা তাদের আশ্বস্ত করেন এটা মিয়াকোরই পণ্য।

    তারা আরও জানায়, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় প্রচার করলে বিজ্ঞাপনের জন্য অনেক অর্থ খরচ হতো। ক্রেতারা যদি পণ্যটি সরাসরি স্টেল থেকে কিনে নেন তবে প্রচারের টাকাটাই তারা ফ্রি দেন। মজার বিষয় হচ্ছে- এসব পণ্যের সঙ্গে এক থেকে ৮ বছরের ওয়ারেন্টিও দেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে প্রতিষ্ঠানটি রিপ্লেসমেন্টের সুবিধাও দেওয়ার অফার দেয়। একপর্যায়ে ওই দম্পত্তি একটি অফার নিয়ে নেন। পণ্যের সঙ্গে ওয়ারেন্টি কার্ড ও হোম ডেলিভারীও দেন প্রতিষ্ঠানটি।

    কিন্তু পণ্যগুলো বুঝে পাবার পর তাদের মনে পণ্যের মান নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। এরপরের দিন তারা মেলার বাইরে বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে পণ্যগুলোর দাম ও মান নিয়ে যাচাই শুরু করেন। ঠিক সে সময়ই জানতে পারেন যে, তাদের সঙ্গে প্রতারণরা করা হয়েছে।

  • আনোয়ারায় প্রবাসির কাছ থেকে টাকা নিতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা ২ প্রতারক

    আনোয়ারায় প্রবাসির কাছ থেকে টাকা নিতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা ২ প্রতারক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে দুই প্রতারক। র‌্যাব সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এক প্রবাসীর কাছ থেকে টাকা আদায়কালে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয় এ দুই প্রতারককে।

    বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়ার বাসিন্দা নুরুল আলম টিপু (৩১) ও বৈরাগের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন (৩৬)।

    র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মাশকুর রহমান জানান, গত ১ ডিসেম্বর কাতার থেকে দেশে ফিরেন বরুমছড়া এলাকার এক প্রবাসী। এরপর থেকে র‌্যাব সদস্য পরিচয়ে নাজিম ও টিপু তার বিরুদ্ধে র‌্যাবের কাছে ৪টি অভিযোগ রয়েছে দাবি করেন এবং চাঁদা দাবি করেন। এ বিষয়ে প্রবাসী ব্যাক্তিটি র‌্যাবকে অবহিত করেন।

    বুধবার বিকেলে র‌্যাবের পরামর্শে ওই দুই প্রতারককে উপজেলার চাতরি চৌমুহনী বাজারে এসে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন প্রবাসি। এসময় আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেওয়া র‌্যাবের একটি টিম দুই প্রতারককে হাতে নাতে গ্রেফতার করে।

    র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে টিপুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। সে চিহ্নিত চাঁদাবাজ। এর আগেও র‌্যাব পরিচয়ে টেলিফোন করে কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিল।

  • সচিবের আত্মীয় পরিচয়দানকারী আজিজের প্রতারণা ফাঁস, গ্রেফতার

    সচিবের আত্মীয় পরিচয়দানকারী আজিজের প্রতারণা ফাঁস, গ্রেফতার

    মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নিকটাত্মীয় ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে একাধিক লোকের সর্বনাশ করেছে পটিয়া উপজেলার মনসারটেক এলাকার নুরুল আলমের ছেলে আজিজুর রহমান আজিজ। নারীদের সাথেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিয়ের কথা গোপন রেখে একাধিক বিয়েও করেছেন এ প্রতারক। 

    তার প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী নাহিম হাসানের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর প্রতারক আজিজের প্রতারণার নানা কৌশল ফাঁস হয়। মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সকালে বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকা থেকে প্রতারক আজিজকে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে, মুখ্য সচিবের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক, পুলিশের এস.আই পদে ও কাস্টমসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এমবিবিএস পরিচয়দাকারী ভূয়া চিকিৎসক আজিজের বিরুদ্ধে।

    ওয়েলফুড কোম্পানীর খুলশী শাখায় কর্মরত নিরাপত্তা প্রহরী নাহিম হাসান (২২) এ ধরনের একটি অভিযোগ নিয়ে বাকলিয়া থানায় লিপিবদ্ধ করেন।

    তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন তাকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিকস্থ আরোহী ট্রেডার্স নামক একটি দোকান বসে নগদ দুইলক্ষ টাকা গ্রহন করেন আজিজ। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও চাকরি দিতে না পারায় আজিজের কাছে তার টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে উল্টো সে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ধমকি দেন। প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন আজিজ।

    ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আজিজকে গ্রেফতার করতে গেলে সে পুলিশকেও তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করে।

    এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আজিজ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ভুক্তভোগীরা চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দিতেন। এছাড়া নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক দাবী করে বিভিন্ন নারীর সাথে সম্পর্ক তৈরি করে এবং নিজের বিয়ের কথা গোপন রেখে এক আইনজীবিকে বিয়ে করারও অভিযোগ পাওয়া যায়।

    এসব অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি নেজাম উদ্দিন।

  • ৬০তম স্ত্রীর কাছে ধরা খেলেন প্রতারক আবু বক্কর

    ৬০তম স্ত্রীর কাছে ধরা খেলেন প্রতারক আবু বক্কর

    বিয়ে করাই ছিল তার পেশা ও নেশা। বিয়ে করতে নিজেকে কখনো ব্যবসায়ী, রিপ্রেজেন্টেটিভ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার দেশের বিভিন্ন জেলায় একে একে ৬০টি বিয়ে করেন তিনি।

    তবে শেষ রক্ষা হয়নি, মাস্টার্স পড়ুয়া ৬০তম স্ত্রী রোজী খানম ধরে ফেলেন তার প্রতারণা।

    অবশেষে তার দায়ের করা মামলায় শনিবার রাতে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চর ইউনিয়নের সভারচর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আবু বক্কর(৪৫) কে গ্রেপ্তার করে পূর্বধলা থানা পুলিশ। তাকে আটকের পর বেরিয়ে আসে প্রতারক বক্করের আসল রূপ। সে সভারচর গ্রামের বাদশা মিয়ার পুত্র।

    পুলিশ জানায়, অসহায় মেয়েদের বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল বক্করের নেশা, পেশা ও ব্যবসা। বহুবিয়ের ধারাবাহিকতায়, সবশেষে নেত্রকোণার পূর্বধলায় রোজী বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। ৬০তম এ স্ত্রীর মামলায় ধরা পড়েন প্রতারক বক্কর।

    জানা যায়, শেষ স্ত্রী রোজীর এক আত্মীয়ের সাথে আবু বক্কর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ওই এলাকায় যাতায়াত করতেন। বক্কর একটি ওষুধ কোম্পানির জেলা এরিয়া ম্যানেজার ও অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে জামালপুরের একটি ভূয়া ঠিকানা দিয়ে চলতি বছরের আগস্টে রোজীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর রোজীর বাড়িতেই বসবাস করতে থাকেন বক্কর।

    মাঝে রোজির পরিবার থেকে যৌতুকের টাকা দাবি করে না পেয়ে আবু বক্কর কৌশলে শ্যালককে ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে স্ত্রী রোজীর পরিবার খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন বক্কর।

    এ ঘটনায় রোজী বেগম প্রতারক বক্করের বিরুদ্ধে নেত্রকোণার পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

    রোজী খানমের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বধলা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় ওই উপজেলার সভারচর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বক্করকে আটক করে। আটক আবু বক্কর ওই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে।

    আটক আবু বক্কর জানান, তিনি ৬০টি বিয়ে করলেও তার সন্তান রয়েছে সাতটি। শুধু টাকার লোভে এতোগুলো বিয়ে করেছেন। সব জায়গায় টাকা পাওয়ার পরই ফেলে এসেছেন স্ত্রীদের।

    তবে নিজ উপজেলা ইসলামপুরের ঠিকানা তিনি কখনোই ব্যবহার করতেন না। রোজীদের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে নিজের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী সাজেদা বেগমসহ দুই স্ত্রী ও সাত সন্তানের সাথে ছিলেন।

    পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাওহিদুর রহমান জানান, প্রতারণার মাধ্যমে আবু বক্কর ৬০টি বিয়ে করার কথা নিজে স্বীকার করেছে।

    ওসি জানান, রোজী খানমের মামলায় ইসলামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করে নেত্রকোণার পূর্বধলা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

  • বিমানবালায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা : এনএসআই’র জালে আটক ২ প্রতারক

    বিমানবালায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা : এনএসআই’র জালে আটক ২ প্রতারক

    সিলেটের এক নারীকে ফেসবুকের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবালায় চাকরির লোভনীয় অপারের ফাঁদে ফেলে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে দুই প্রতারক। তবে টাকাটা হাতিয়ে নেয়ার আগেই জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই)’র জালে আটকা পড়ে দুই প্রতারক।

    বিমানবালার চাকরির নিয়োগপত্রের নামে প্রার্থীর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিজেদের কব্জায় নেয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পৌছে যায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখার বিমানবন্দর টিম।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে বিমানবন্দর এলাকা থেকে চাকরি প্রার্থীর পিতার হাত থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় দুই প্রতারককে হাতেনাতে আটক করে এনএসআই সদস্যরা।

    আটককৃত দুই প্রতারক হলেন, নোয়াখালীর চরজব্বারের মো. জাকির সোহাগ (২৯) ও বাগেরহাটের দীঘির পাড়ের রুবেল হাওলাদার (২৭)।

    জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এ দুই প্রতারক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানবালা পদে চাকরির লোভনীয় অপার দিয়ে চাকরি প্রত্যাশী বিভিন্ন প্রার্থীর সাথে চ্যাটে কথা বলেন। ভুয়া পরীক্ষাও নেয়া হয় অনেকের কাছ থেকে। সর্বশেষ নিয়োগপত্র প্রদানের জন্য দেড় লাখ টাকা দাবি করে।

    তাদের এ লোভনীয় অপারে পা রেখেছেন সিলেটের হবিগঞ্জ এলাকার রেশমিনা বেগম (২৩)। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় এসে পরীক্ষাও দিয়ে গেছেন তিনি। দেড় লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকায় রাজি হলে মঙ্গলবার চুড়ান্তভাবে নিয়োগ পত্র সংগ্রহ করতে বাবার সাথেই বিমান বন্দর এলাকায় আসেন রেশমিনা।

    এ খবর গোপনভাবে পেয়ে এনএসআই সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে টাকা লেনদেনের সময় দুই প্রতারককে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে।

    বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিমানবালার চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় দুই প্রতারককে আটক করে এনএসআই। আটক দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।