Tag: প্রতিবন্ধী

  • সীতাকুণ্ডে হ্যান্ডিক্যাপ’র আয়োজনে ১৪০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে নগদ টাকাসহ সহায়তা প্রদান

    সীতাকুণ্ডে হ্যান্ডিক্যাপ’র আয়োজনে ১৪০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে নগদ টাকাসহ সহায়তা প্রদান

    সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল এর আয়োজনে কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এবং দুপুর ১২ টায় ১নং বারৈয়ারঢাল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উক্ত সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় দুই ইউনিয়নের ১৪০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে নগদ টাকাসহ সহায়তা প্রদান করা হয়।

    অনুষ্ঠানে ১৪০ জন প্রতিবন্ধীকে নগদ ৪ হাজার টাকা, মহিলাদের মাসিককালীন সুরক্ষার জন্য ৩ প্যাকেট স্যানিটারী ন্যাপকিন, পরিবারের শিশুসহ অন্যান্য সকলের ব্যবহৃত ময়লা কাপড় ও ঋতুকালীন সময়ে ব্যবহৃত কাপড় পরিস্কার ও জীবাণু মুক্ত করার জন্য ব্যবহার করার জন্য কাপড় ধোয়ার ২কেজি গুঁড়া সাবান, পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য ৫ টি বারোমাসি চারাগাছ এবং করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ১০টি মাস্ক প্রদান করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী,বারৈয়ারঢাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু, হ্যান্ডি ক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল বেইজ ম্যানেজার আব্দুর গফুরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • সীতকুণ্ডে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হ্যান্ডিক্যাপের সহায়ক উপকরণ বিতরণ

    সীতকুণ্ডে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হ্যান্ডিক্যাপের সহায়ক উপকরণ বিতরণ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে এনজিও সংস্থা হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টার ন্যাশনাল ও হিউম্যানিটি এ্যান্ড ইনক্লুশন বাংলাদেশের আয়োজনে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মিল্টন রায়।

    সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সঞ্জয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টার ন্যাশনাল এর বেইজ ম্যানেজার আব্দুল গফুর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।

    টেকিং সাকসেসফুল ইনোভেশন টু স্কেল-পাথওয়েজ ফর ডিজ্যাবিলিটি ইনক্লুসিভ গ্র্যাজুয়েশন আউট অফ প্রোভার্টি প্রজেক্ট এর আওয়ায় এদিন প্রতিবন্ধীদের জন্য সহায়ক হুইল চেয়ার (স্ক্র্যাচ), টয়লেট চেয়ার, হাঁটার লাঠি, সাদাছড়ি, টাই সাইকেলসহ মোট ২৩টি উপকরণ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রতিবন্ধী পরিবারকে ৮টি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টার ন্যাশনাল সবসময় প্রতিবন্ধীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজকেও যেসব সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে তা তাদের অনেক কাজে আসবে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/দুলু

  • নিজের সঞ্চিত অর্থ দান করে মানব সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মানসিক প্রতিবন্ধী ফারুক

    নিজের সঞ্চিত অর্থ দান করে মানব সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মানসিক প্রতিবন্ধী ফারুক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান :  রাউজান উপজেলা সদরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোই তার দৈনন্দিন কাজ।

    কার্লভাটের নিচে ঘুমায়। কারো কাছেই হাত পাতে না, কেউ নিজে থেকে দিলে নেয়, কেউ খাওয়ালে খায়। মানসিক প্রতিবন্ধী,নাম তার ফারুক।

    তবে সে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়েও সে অনুধাবন করেছে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কতটা অসহায় মানুষ। আর তাইতো সে তার সকল সঞ্চিত অর্থ দান করে মানবিক কাজে সহযোগীতার প্রয়াসে এগিয়ে এসেছে।

    খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরের মুন্সির ঘাটাস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নিচেই বেশীরভাগ সময় কাটান সে। ফারুক মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও এই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে এক নামেই চেনেন।

    বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের আপনজন, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ খুবই স্নেহ করেন মানসিক প্রতিবন্ধী ফারুককে। পারভেজের গাড়ী দেখলেই ভোঁ দৌঁড়ে তার গাড়ীর কাছে ছুটে যান ফারুক। গাড়ী থেকে নেমেই ফারুকের হাতে কচকচে ১০০ টাকার নোট গুঁজে দিলেই তবেই প্রশান্তি ফারুকের।

    আবার রাউজান সরকারি কলেজ মাঠের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটা অনুষ্টানের আয়োজন করেন জমির উদ্দিন পারভেজ। সেই মঞ্চে জ্বালাময়ী বক্তব্যে সবাইকে মাতিয়ে রেখে এলাকায় আলাদা পরিচিতি লাভ করেন ফারুক। এই কারণেই সবাই খুব পছন্দ করে তাকে।

    তবে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী হয়েও তার ভেতর যে মানবিকতার টান যে আছে সেটি এতদিন অজানা ছিল সবার।

    সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল সমূহে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের রমজান মাসে সেহেরি খাওয়ার কথা অনুধাবন করে নিজে উদ্যোগ নিয়ে ১লা রমজান থেকে প্রতিরাতে দুই হাজার প্যাকেট সেহেরির খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেন রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ফারাজ করিম চৌধুরী।

    ১০ জন বাবুর্চির মাধ্যমে রাউজান দায়ারঘাটাস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে রান্নার কার্যক্রম দেখতে ছুটে যান মানসিক প্রতিবন্ধী ফারুক। সে সময় রান্নার তদারকিতে থাকা নেতৃবৃন্দের কাছে তিনি জানতে চান, খাবারগুলো কি জন্য তৈরী করা হচ্ছে।

    পুরো বিষয় বুঝতে পেরে প্রতিবন্ধী ফারুক নিজের সঞ্চিত অর্থ এই মানবিক কাজে দিয়ে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় তার কথা শুনে উপস্থিত অনেকেই হতবাক হয়ে যান।

    বিষয়টি কারো কারো কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হলেও গত ২৬ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় রাউজান পৌরসভার দায়ার ঘাটাস্থ সেহেরীর খাবার আয়োজনের জন্য প্রস্তুতকৃত রান্নাঘরে নিজের জমানো অর্থ নিয়ে ছুটে যান ফারুক।

    এ সময় রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ ও উপজেলা যুব লীগের সহ সভাপতি সুমন দে’র হাতে জমানো টাকাগুলো তিনি সেহেরি কার্যক্রমের জন্য তুলে দেন।

    সেহেরি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকা পারভেজ ও সুমন গুণে দেখেন ফারুকের প্রদানকৃত ১৯৯০ টাকা। টাকা তুলে দেওয়ার পর দুই হাত তুলে সে মোনাজাতও করেন।

    প্রতিদিন ফারুককে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যে দশ, বিশ টাকা সহযোগীতা করেন সেগুলো থেকে জমিয়ে টাকাগুলো রেখেছিলেন ফারুক। নিজে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও করোনাকালীন সময়ে মানুষের কষ্টটুকু অনুধাবন করে মানবিক কাজে নিজের জমানো সবটুকু টাকাই দিয়ে দিলেন সে।

    মানসিক প্রতিবন্ধী হয়েও এভাবে মানবিক কাজে তার সহযোগীতার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে রাউজানজুড়ে তার মানবিকতার ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে উপজেলার সর্বত্র। এক সময় মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে যারাই ফারুককে নিয়ে ঠাট্টাতামাসা করতো তারাও তার মানবিকতার গল্প শুনে অবাক হয়ে যান।

    অনেকেই ফারুককে নিয়ে তাদের অনুভূতি তোলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ফারুকই যেন হয়ে উঠেন মানবিকতার প্রতিচ্ছবি হয়ে।

    বিষয়টি নিয়ে জমির উদ্দিন পারভেজ ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতির সংকটময় সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে যারা নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন, জাতির সেই গর্বিত সন্তানদের জন্য নিজে উদ্যোগ নিয়ে রাউজানবাসীর সহযোগীতায় রমজান মাসজুড়ে প্রতিরাতে নগরীতে দুই হাজার প্যাকেট সেহেরির খাবার বিতরণের যে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী সেই মানবিক কাজে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী হয়েও ফারুক যে সহযোগিতার দৃষ্টান্ত দেখালেন সেটি অনেকের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।

    রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সুমন দে ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, “ নিজে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী হয়েও মানবিক কাজে নিজের সঞ্চয়কৃত সব অর্থ দিয়ে ফারুক এই সমাজে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। আমরা ফারুককে নিয়ে গর্ববোধ করি।”

    নিজ উদ্যোগে সেহেরী বিতরণ কার্যক্রমে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সহযোগিতা প্রসঙ্গে রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, ” কয়েকদিন আগে ফারুক নামের একজন সমাজের চোখে মানসিক প্রতিবন্ধী (সম্মানের সাথেই বলছি) আমাদের সেহেরীর কার্যক্রম দেখতে এসে চট্টগ্রামের ভাষায় বলেন, “এগিন কি মাইনষুর লাই গইরতে লাইজ্ঞু দে না?” অর্থাৎ, এগুলো কি মানুষের জন্য করছেন? তাকে যখন বলা হল, হ্যাঁ এগুলো মানুষের জন্যই করা হচ্ছে। তখন সে বললো, “আইও কিছু দিয়ুম!” অর্থাৎ, আমিও কিছু (অর্থ) দিবো।

    সে ২৬ এপ্রিল (রবিবার) আমাদের সেহেরীর খাবার তৈরীর রান্নাঘরে এসে তার পলিথিনের থলে থেকে গুণে গুণে ১৯৯০ টাকা দিল। মানসিক প্রতিবন্ধী বলে ফারুকদের সবাই অবজ্ঞা করে, অথচ ফারুকরা কোন প্রতিবন্ধী নয় বরং এরাই দেশের রত্ন।

    কথায় আছে ধনী হতে টাকা লাগে না, প্রকৃত ধনী তারাই যাদের বিশাল একটি মন আছে। ফকির বা গরিব সেই সমাজের ধনীরা, যারা মানুষের এই দুর্দিনেও মানুষের হক মেরে খায়। তাদেরই মানসিক প্রতিবন্ধী বলতে হবে, যারা এই দুর্দিনে মানুষের খাবার চুরি করে।

    ফারুকের জন্য ১৯৯০ টাকা নিশ্চয়ই কম টাকা নয়। আমি চাই আপনারা এই ছবি সকলের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমাদের সমাজের ফারুক নামের এই রত্নকে পরিচয় করিয়ে দিন।”

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরীতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান মেয়রের

    প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরীতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান মেয়রের

    আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স রুমে এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়, স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা কর্তৃক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইনক্লুশন ওয়ার্কস্ প্রকল্প সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ডা: এ কিউ এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো: আরিফুর রহমান এর সঞ্চালনায় সভায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমূহের নির্বাহী ও প্রতিনিধিগণ, কর্পোরেট সেক্টরের প্রতিনিধিগণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তারা তাদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।

    সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান প্রদান করছে। এছাড়া নব নির্মিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভবনটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী প্রতিবন্ধী বান্ধব ভবন নির্মাণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে এবং প্রতিবন্ধী যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরীতে সরকারের পাশাপাশি সকলের সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও এটুআই এর কন্সালটেন্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য্য।

    এতে আরো বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সামসুদ্দোহা, সমাজসেবা চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় পরিচালক নুসরাত সুলতানা, অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর, অধ্যক্ষ বিজয় স্মরনী ডিগ্রী কলেজ, চসিক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দীন, মো: বিজিএমইএ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মো: করিম উল্লাহ চৌধুরী, ওমেন চেম্বার প্রতিনিধি ইফফাত জাহান ।

    এতে উপস্থিত ছিলেন চসিক সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম।

    সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ হেড অব প্রোগাম্স সুবোধ কুমার দাশ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনক্লুশন ওয়ার্কস্ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: আবদুর রাকিব।

    সম্প্রতি ইউকে এইডের অর্থায়নে এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়, ইপসা প্রতিবন্ধী যুবক নারী ও পুরুষদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক র্কমসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি শুরু করেন।

    কর্ম পরিবেশ তৈরী, কর্মে অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় এবং নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রতিবন্ধী-বান্ধব কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষকে উদ্বুদ্ধ করণের নিমিত্তে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করার জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়।

    এছাড়া সভায় উপস্থিত সরকারী বেসরকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এধরণের সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

  • প্রতিবন্ধীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সরকার কাজ করছে

    প্রতিবন্ধীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সরকার কাজ করছে

    প্রতিবন্ধীদের করুণা কিংবা সহমর্মীতা নয়, তাদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

    শনিবার ২৬ অক্টোবর বিকেলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় আয়োজিত প্রতিবন্ধীদের ৮ম কম্পিউটার কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

    বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মো. আব্দুল হান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ মহরম হোসাইন।

    বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার কাউন্সিল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের আইটি ইন্সট্রাক্টর মো. আশরাফ ও প্রতিবন্ধী প্রশিহ্মনার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ৪র্থ বর্ষের ছাত্র আলিফ হোসেন এবং চবি ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী হামিদা আক্তার নিশা প্রমুখ।

    চেম্বার সভাপতি তার বক্তৃতায় আরো বলেন, ভিশন ২০২১ ও টেকসই বাংলাদেশ উন্নয়নে দেশের সামগ্রীক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করাই হল সরকারের কাজ। কারণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল স্রোতধারায় একীভূত না করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

    প্রতিবন্ধী প্রশিহ্মনার্থীরা তাদের বক্তৃতায় বলেন, আপনাদের চোখ দিয়ে আমরা এই সমাজকে দেখবো এবং এই সমাজকে আলোকিত করবো।

    “তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিউরো ডেভোলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার সব ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির হ্মমতায়ন” প্রকল্পের মাধ্যমে কম্পিউটার কাউন্সিল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে জুলাই ২০১৭ জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৫ হাজার জন প্রতিবন্ধী আইসিটির উপর প্রশিহ্মন দেওয়া হবে।

    এ পযর্ন্ত ৮ম ব্যচ শেষ হয়েছে। এতে ১শ ৬০ জন প্রতিবন্ধী আইসিটির উপর ২০দিন ব্যাপী প্রশিহ্মণ নিয়েছেন। প্রতি ব্যাচে ২০জন করে প্রশিহ্মণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিহ্মণার্থীদের গাড়িভাড়া খাবার খরচ সবকিছু বহন করছে সরকার।