Tag: প্রতিমন্ত্রী

  • প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিন বিশেষ সহকারী নিয়োগ

    প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিন বিশেষ সহকারী নিয়োগ

    প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করবেন। এ জন্য তাঁদের ওই সব মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

    রোববার রাতে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিনজন বিশেষ সহকারী হলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খোদা বকশ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক সায়েদুর রহমান এবং অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

    খোদা বকশ চৌধুরী স্বরাষ্ট্র, সায়েদুর রহমান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহযোগিতা করবেন।
    খোদা বকশ চৌধুরী ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন।

    চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান গত ২৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক।

    অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তিনি ২০০২ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০০৬ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশেষ সহকারী পদে থাকাকালে তাঁরা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা পাবেন।

    এর আগে রোববারই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হয়েছেন তিনজন উপদেষ্টা। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তাঁদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। যে তিনজন উপদেষ্টা হলেন শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

  • জুলাই থেকে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ: প্রতিমন্ত্রী

    জুলাই থেকে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ: প্রতিমন্ত্রী

    আগামী জুলাই মাস থেকে অবৈধ বা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

    অবৈধ বা অনিবন্ধিত ফোন কবে থেকে বন্ধ হবে- জানতে চাইলে পলক বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে, আমাদের ৫ মাস সময় লাগবে টেকনোলজি ডেভেলপ করা, টেস্টিং করা এবং এটা অপারেশন করতে। হঠাৎ করে আমরা এমন কোনো নীতি চাপিয়ে দিতে চাই না, যাতে করে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়।’

    তিনি বলেন, ‘এ কারণে আমরা প্রথম থেকে বলছি যে, অবৈধ পথে কেউ যেন ফোন না নিয়ে আসে। অবৈধ পথে কেউ যেন ফোন ক্রয় না করে, যাতে করে পরে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেজন্য আমরা একটা রিজেনেবল টাইম দিচ্ছি, আগামী তিন মাসে আমরা টেকনোলজি ডেভেলপ করবো, পরে দুই মাসে টেস্টিং করবো। আমাদের প্রত্যাশা জুলাই মাসের মধ্যে এটা অপারেশনাল করবো। সুতরাং এসময়ের মধ্যে যাতে সবাই সতর্ক থাকে এবং এ অবৈধ পথ পরিহার করে সঠিক পথে কেনেন।’

    অনিবন্ধিত ফোনগুলো রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্যই দেরি হচ্ছে যে, নতুন ফোনের রেজিস্ট্রেশন করা আর সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের নাম ট্রান্সফার করা।

    তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছে অনিবন্ধিত ফোন যাতে মার্কেটে না আসে, চোরাই পথে না আসে, স্মাগলিং হয়ে না আসে। আমরা চেষ্টা করছি, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমাদের স্থানীয় শিল্পের প্রটেকশন দেওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে।’

    ৫০০ পোস্ট অফিসে হবে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট
    দেশের ৫০০ পোস্ট অফিসে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে আমাদের ৫০০ পোস্ট অফিস আছে, যেগুলো খুবই চমৎকার অবস্থানে। সেখানে সরকারের পোস্ট অফিসের সেবার পাশাপাশি আমরা স্মার্ট পয়েন্ট স্থাপন করবো। সেখানে সরকারি ও বেসরকারি সেবাদানকারী হিসেবে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট করতে চাই। ৫০০টি পয়েন্টে এ সেবা দেওয়া হবে। যেটা মাত্র ৪৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প।

    জন্মনিবন্ধনে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিভিন্ন প্রস্তাব ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, ‘এখন যেহেতু নতুন করে সরকার গঠন করা হয়েছে, আমরা স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে বসবো। আমাদের প্রস্তাব ও পরামর্শের ফলোআপ করে আবার চেষ্টা করবো।’

    তিনি বলেন, ‘একটি হচ্ছে, দ্রুত সেবা দেওয়া, আরেকটি হচ্ছে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দুটোর ব্যাঘাত ঘটেছিল। দ্রুতই বিষয়টি নিয়ে বসবো।’

  • ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন

    ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন

    সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নেওয়া ঘুষের প্রায় ১০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি জাকির হোসেন। রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে মন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠজন ভুক্তভোগী আবু সুফিয়ানের কাছে টাকা ফেরত দেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    সূত্র জানায়, গত ৭ ডিসেম্বর ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে পাওনাদারদের প্রতিমন্ত্রীর বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। ওইদিন ভুক্তভোগী তিনজনের মধ্যে দু’জন মন্ত্রীর বাসা থেকে নির্যাতিত হয়ে পালিয়ে যান। আবু সুফিয়ান নামে একজন প্রাণ বাঁচাতে মন্ত্রীর বাসার দেয়াল টপকে ডিবি কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তাঁকে আটক করেন ডিবি সদস্যরা।

    এ নিয়ে গত শুক্রবার সমকালে ‘প্রতিমন্ত্রী জাকিরের এ কেমন নির্মমতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে সেদিন তা অস্বীকার করেছিল মন্ত্রণালয়।

    জানা গেছে, ওই সংবাদ প্রকাশের পর গত শুক্রবার আবু সুফিয়ানকে ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনরা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। পরে আবু সুফিয়ানের কাছে যে পরিমাণ টাকার ডকুমেন্ট রয়েছে, তা প্রতিমন্ত্রী ফেরত দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। দেনদরবার শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে এক কর্মকর্তার রুমে যান মন্ত্রীর দু’জন প্রতিনিধি। তাদের মধ্যে একজন উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাও ছিলেন। আবু সুফিয়ান সেখানে প্রবেশ করার পর ওই কর্মকর্তা দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে যান।

    কিছু সময় কথা বলার পর ডিবির ওই কর্মকর্তা মন্ত্রীর অন্য প্রতিনিধিকে আবু সুফিয়ানের টাকা বুঝিয়ে দিতে বলেন। এর আগে একটি কালো রঙের কাগজের শপিং ব্যাগে সাড়ে ৯ লাখ টাকা সেখানে টেবিলের ওপর রাখেন মন্ত্রীর প্রতিনিধি। পরে ওই ব্যাগ আবু সুফিয়ানের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

    টাকা লেনদেনের পর আবু সুফিয়ানকে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে বলা হয়। তখন উপস্থিত অন্যদের সামনে ‘আমি পাওনা টাকা বুঝিয়া পেলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন আবু সুফিয়ান।

    তবে টাকা দেওয়ার পর আবু সুফিয়ানকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যজনকে চলে যেতে বলেন ওই ডিবি কর্মকর্তা। দুপুর ১২টার দিকে তিনি বের হয়ে যান। তবে চাকরি পেতে যারা টাকা দিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফেরত দেওয়া টাকা ডিবি কার্যালয়ে রেখে যেতে বলা হয়। ওই টাকা ডিবির ওই কর্মকর্তার জিম্মায় রেখে আবু সুফিয়ান বের হয়ে যান।

    এ বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ ফজলে এলাহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যারা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে টাকা দিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে এবং তারা যেন টাকা বুঝে পান সেটা নিশ্চিত করা হবে। আবু সুফিয়ানকে ওইসব ব্যক্তির নাম ও ফোন নম্বর দিতে বলা হয়েছে।

    এ বিষয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, ডিবি কর্মকর্তারা তাঁকে দু-এক দিন পরে এসে টাকা নিয়ে যেতে বলেছেন।

    জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রতিমন্ত্রীর আরও কয়েক স্বজন বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন। সেই ভুক্তভোগীরাও এখন টাকা ফেরত পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

  • রড দিয়ে পিটিয়ে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই মন্ত্রীর পাল্টা অভিযোগ

    রড দিয়ে পিটিয়ে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই মন্ত্রীর পাল্টা অভিযোগ

    ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় বাসায় ডেকে তিনজনকে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। এবার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীর সরকারি বাসায় আবু সুফিয়ানসহ অজ্ঞাত তিনজন হামলা করে এবং মন্ত্রীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (৭ ডিসম্বের) রমনা থানায় দেওয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, থানায় অভিযোগটি করেছে মন্ত্রীর অফিস সহায়ক মো. মমিন।

    তিনি অভিযোগে দাবি করেন, ‘সকাল ১১টায় আসামি মো. আবু সুফিয়ান বিশ্বাসসহ অজ্ঞাত ৩ জন বাসভবনের গেটে জোরে ধাক্কা দিলে মো. রাসেল পকেট গেট খুলে পরিচয় জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জোরপূর্বক তাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। রাসেল প্রতিবাদ করলে আবু সুফিয়ান তার ইউনিফর্মের কলার ধরে কিল-ঘুষি দেওয়া শুরু করে এবং অজ্ঞাতরা তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আসামি আবু সুফিয়ান তাকে বলে তোর মন্ত্রিকে খবর দে আমাকে ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।

    আসামিরা রাসেল নিরাপত্তা কর্মীর সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ ভীতি প্রদর্শন করে। তাদের হামলা অবস্থায় মো. রাসেলের ডাক চিৎকারে উল্লিখিত সাক্ষীরা বাসভবনের ভেতর থেকে ছুটে গেলে অজ্ঞাত আসামিরা পালিয়ে যায় এবং সাক্ষীদের সহায়তায় ধাওয়া দিলে আবু সুফিয়ান ডিবি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ভেতর ঢুকে পড়লে, ডিবি নিরাপত্তা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়। আবু সুফিয়ান বর্তমানে ডিবি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আটক রয়েছে।’

    অভিযোগের বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন বলেন, ঘটনার পর আমাদের খরব দেওয়া হয়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অভিযোগটি এখন তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।

    ঘটনার বিষয়ে জানতে গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য সুপারিশ করতে যান ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ’-এর আবু সুফিয়ান বিশ্বাসসহ কয়েকজন। আবু সুফিয়ান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও খুলনা জেলার সভাপতি। ২০২২ সালের ৮ জুন মাসে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বাসায় ওই মিটিং হয়।

    আবু সুফিয়ান জানান, ওই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ৪৮ জনকে নিয়োগের জন্য ৬ কোটি টাকায় রফা হয়। মন্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে লিটন ও ড্রাইভার মোমিনকে টাকা বুঝিয়ে দিতে বলেন। তখন অগ্রিম হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোলের উপস্থিতিতে লিটন ও মোমিনের কাছে ৪৮ জন চাকরি প্রার্থীর জন্য ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন আবু সুফিয়ান ও নাছির হাওলাদার নামের এক চাকরি প্রার্থী। তবে ওই ৪৮ জনের কেউই চাকরি পাননি।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অগ্রিম টাকা দেওয়ার পরও চাকরি না হওয়ায় ১১ জুন প্রতিমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে দেখা করেন আবু সুফিয়ানসহ অন্যরা। এ সময় মন্ত্রী তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

    কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত পাননি ভুক্তভোগীরা। ফলে গত ১৪ মে ৪৮ জনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন আবু সুফিয়ান। এতে ক্ষুব্ধ হন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

    সম্প্রতি ঘোষিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি জাকির হোসেন। এতে ক্ষুব্ধ হন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের ওপর। বৃহস্পতিবার তাদের টাকা ফেরত নেওয়ার কথা বলে মন্ত্রীর বাসায় ডাকেন ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোল। কল্লোলের কথামতো সকাল ১১টায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডেরে ১১ নম্বর বাসায় যান আবু সুফিয়ান, নাছির হাওলাদার ও জাহিদ হাসান নামের তিনজন।

    ওই তিনজন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোলের রুমে ঢোকার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওপর থেকে ওই রুমে চলে আসেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী তার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাসার নিরাপত্তায় থাকা ৭ থেকে ৮ জন ওই রুমে প্রবেশ করে। এ সময় রুমের দরজা আটকে দিয়ে তিনজনকে পেটাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মন্ত্রী নিজেও রড দিয়ে পেটাতে থাকেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছোটাছুটি করে রুমের দরজা খুলে ফেলেন ভুক্তভোগীরা। তিনজন থেকে নাছির হাওলাদার ও জাহিদ হাসান প্রধান ফটক দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আবু সুফিয়ান পার্শ্ববর্তীর দেওয়াল টপকে ডিবি কার্যালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন। পরে ডিবি কার্যালয়ের নিরাপত্তায় থাকা সদস্যরা তাকে আটক করে বলে জানিয়েছেন জাহিদ হাসান।

    মন্ত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর জাহিদ হাসান ও নাসির হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও তার ব্যক্তিগত সহকারী কল্লোলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন কল দেওয়া হলেও দুজনের কেউ কল রিসিভ করেননি। পরে দুজনেরই মোবাইল নম্বরে ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

    এদিকে আবু সুফিয়ান এখন কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছেন তা ডিবি কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

  • যশোরে ভবদহে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন

    যশোরে ভবদহে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে। তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে ভবদহের জলাবদ্ধতার আর সমস্যা থাকবেই না। বর্তমানে ভবদহ বিস্তার এলাকায় নদীতে পলি জমে বিলের পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না।

    যার কারনে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এলাকার জনসাধারণ চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিন জীবনযাপন করছে। চাষীদের ফসল ও মৎস ঘেরে মাছ ভেসে যাওয়াসহ বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এগুলো মাথায় নিয়ে সরকার ভবদহের স্থানীয় সমাধানের জন্য যা করণিয় তা দ্রুত করবেন বলে জানান।

    প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার রাতে মণিরামপুর হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে মুক্তেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের হলরুমে মণিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার সূধীজনের সাথে ভবদহের সমস্যা বিষয় প্রল্পে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথা বলেন।

    অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধীর কুমার পাঁড়ের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির সভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র এনামুল হক ফরাজী বাবুল।

    এই সময় হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির লিটনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মুক্তেশ্বরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার মল্লিক,কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায়,অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস,প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মফিজুর রহমানসহ ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ সূধীজন।

    ২৪ ঘণ্টা/আসাদ

     

  • মণিরামপুরে কোন অন্যায়কারিকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

    মণিরামপুরে কোন অন্যায়কারিকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি:এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছে, কোন অন্যায়কারিকে ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের এই পরিস্থিতিতে আইন-শৃংখলা ঠিক রাখতে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে বলা হয়েছে ।

    উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, যারা দলের মধ্যে থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।

    সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজি মাহমুদুল হাসান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম,সাধরন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক,ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজি জলি আক্তার,সাবেক চেয়ারম্যান জিএম মজিদ, বণিক সমিতির সভাপতি অরুণ কুমার নন্দন প্রমূখ।

    সভায় উপস্থিত সদস্যরা গত (৪ এপ্রিল) পুলিশর হাতে আটক চাল কোন প্রকল্পের এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেছেন, এই চাল ত্রাণের নয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদও একই কথা বলেছেন।।