Tag: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

  • কালবেলা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে

    কালবেলা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে

    বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম ব্যুরোতে দৈনিক কালবেলার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

    সোমবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলো কেক কাটা, সুধীজনদের আলোচনা সভা। এই সময় আগত অতিথিরা ফুল দিয়ে শুভচ্ছো জানান কালবেলাকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক-সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো কালবেলার প্রথম প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত অতিথির স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান সাইদুল ইসলাম।

    কালবেলাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি বলেন, হাজার গণমাধ্যমের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে কালবেলা। কালবেলা অনেক ভালো ভালো সংবাদ প্রচার করেছে অল্প দিনেই। সরকারের উন্নয়ন আরো বেশি স্থান পাবে কালবেলায় এই প্রত্যাশা করি। দৈনিক কালবেলা প্রথম বর্ষপূর্তিতে পুরো টিমকে অভিনন্দন জানান তিনি।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া কালবেলাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে অনেক কাগজ, প্রতিদিন কাগজের ভিড়ে আমরা হারিয়ে যাই, আমরা বিভ্রান্তিতে থাকি কোনটা পড়ব। কিন্তু কালবেলা মাত্র এক বছর পূর্তিতে মানুষের মনে যে জায়গা করে নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে গর্ব করার মতো। কালবেলার সাথে জড়িত সকলকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    তিনি আরও বলেন, কালবেলা উপন্যাসে মূল্যবোধ নীতি-নৈতিকতার বিষয়টি ছিল কালবেলা যেন সে দিকগুলো তুলে ধরতে পারছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় যে ভূমিকা রেখেছেন তা ইতিবাচক সূচক হিসেবে কাজ করছে। আমরা কালবেলার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

    কালবেলার ব্যতিক্রমী সংবাদের প্রশংসা করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কালবেলা এক বছরে মানুষের মনে অবস্থান তৈরি করেছে। আজকের দিনের শুভক্ষণে কালবেলার সম্পাদক, প্রকাশক, সাংবাদিকদের অভিনন্দন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম নগর থেকে যে জিডিপি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে, সেভাবে পত্র-পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হচ্ছে না। বিশেষ করে ক্রীড়াক্ষেত্রে চট্টগ্রাম যেভাবে অবদান রাখছে, তা পত্রিকাগুলোতে ওভাবে উঠে আসছে না। আমি আশা করব, পত্র-পত্রিকায় চট্টগ্রামের সকল সংবাদ উঠে আসবে। তবে এসময় ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ নামে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করায় কালবেলার প্রশংসা করেন জেলা প্রশাসক।

    চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, কালবেলা মুক্তিযুদ্ধ- স্বাধীনতা, দেশের পবিত্র সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে আমার প্রত্যাশা।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ বলেন, কালবেলা পরিবারকে সিএমপি পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দেশ ও জাতি গঠনে কালবেলা ভূমিকা রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করছি।

    বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, আজকের এ দিনে কালবেলা পরিবারকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ছোটবেলা থেকে আমরা পড়ে আসছি দৈনিক পত্রিকা হলো সমাজের দর্পন। দৈনিক পত্রিকায় যদি সমাজের চিত্র প্রকাশিত না হয়, তাহলে সেটিকে দৈনিক পত্রিকা বলা যায় না। আশা করব, কালবেলা সমাজের আসল চিত্রগুলো মানুষের সামনে উপস্থাপন করবে।

    বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম বলেন, কালবেলা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে আমরা আশা রাখছি।
    কালবেলাকে নিয়ে সুধীজনদের আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা সবাই মিলে কেক কাটেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক , সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    চট্টগ্রামে কালবেলাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহের ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়েনর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল খান, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী,বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ , চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়েনর সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সবুর শুভ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, চসিক কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল কাদের, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, নগর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, যুবনেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, হাবিবুর রহমান তারেক, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, মোহাম্মদ ইলিয়াস, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইমরান, কিন্ডারগার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দীন কাদের লাভল, যুবলীগ নেতা শেখ নাসির উদ্দিন, ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ তানজির চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

    এছাড়াও ফুল দিয়ে কালবেলাকে শুভেচ্ছা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ। কালবেলাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে, বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বার, জিপিএইচ গ্রুপ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মহানগর ছাত্রদল ,চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগ, ইউসিটিসি বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডেপেন্ডন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, র‌্যাংকস, শেভরনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও টেলিভিশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এতে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, সাংস্কৃতিক ,রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলার কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

  • অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে উন্নয়ন প্রচারে

    অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে উন্নয়ন প্রচারে

    বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব সরকারের উন্নয়ন প্রচারের মাধ্যমে দিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার গণভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি নেতাদের এ নির্দেশনা দেন। বৈঠককে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এ সব অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে দাঁড়াতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে, সে জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগকে প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের প্রচার ও বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।

    সূত্র জানায়, বিএনপি জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র হরণের জনক, তারাই এ দেশে লুটপাট, হত্যা ক্যু, সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা এ দেশে হ্যাঁ না ভোট ও জালিয়াতি করেছে, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়েছে।

    স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। প্রতিটি এলাকায় এলাকাভিত্তিক তালিকা করতে বলেন। যদি কেউ গৃহহীন থাকে সে তালিকা দিলে তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণের মধ্য দিয়ে যাদের জন্ম তারা (বিএনপি) আবার জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করতে চায়, লুটপাট করতে চায়। দেশের মানুষকে আবার অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, এটা মনে রাখতে হবে।

    ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ও আমাদের ১৪ দলীয় জোট এ দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলাম। মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল বিএনপি। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির অত্যাচার, নির্যাতন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, হাওয়া ভবন তৈরি করে পয়সা খাওয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু বারবার তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

    সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। স্বাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাট-ব্রিজ উন্নত করেছি। বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ যা বিশ্ববাসী স্বীকার করে। তবে এটা চোখে দেখে না কারা, ওই সন্ত্রাসী, লুটেরা দুর্নীতিবাজ বিএনপি। এরা চোখে দেখে না। আর কিছু আছে, যারা বুদ্ধি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে যারা তারা কিছু দেখে না। তাদের আমরা করুণা করতে পারি। সাধারণ মানুষ আমাদের পক্ষে।

    স্মার্ট দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্মার্ট দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলব, সরকার হবে স্মার্ট সরকার, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সরকার পরিচালনা করব, অর্থনীতি হবে স্মার্ট ইকোনোমি, ডিজিটাল ইকোনোমির সঙ্গে সব কিছু জড়িত। স্মার্ট সমাজ হবে।

    স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্দেশে বলেন, শুধু সংগঠন করলে হবে না, আমরা যে উন্নয়ন করেছি তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। দেশ সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের সেবায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতিবিদের ভোগ না মানুষের সেবা ও ত্যাগের মধ্য দিয়েই সবচেয়ে বেশি আনন্দ। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

  • আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

    আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

    মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। দিবসটি উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

    ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।

    ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এ দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন এ সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।

    আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা মনে করেন ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ‘৬২-এর ছাত্র আন্দোলন,’ ‘৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ,’ ‘৬৬-এর ছয়দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি মুক্তির সনদ রচনা এবং’ ৬৯-এর গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি অর্জন দলটিকে মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখন্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।

    রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তুপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

    আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ দল সর্ম্পকে মন্তব্যে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি হচ্ছে গণতন্ত্র ও অসা¤প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারাও। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি এ দলটিকে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, ভাষা, স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা অর্জনের মহত্তম গৌরবে অভিষিক্ত আওয়ামী লীগ কয়েক দশকের অভিযাত্রায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও দিন বদলের লক্ষ্যে অবিচল বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী।

    আওয়ামী লীগ দেশের অন্যতম পুরনো, অসাম্প্রদায়িক, সর্ববৃহৎ ও বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কাজ প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর আগে বঙ্গবন্ধু শুরুতেই পাকিস্তানে একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ভাবছিলেন। তিনি মনে করতেন পাকিস্তান হয়ে যাওয়ার পর সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আর দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে। ভাবলাম, সময় এখনও আসে নাই। তাই যারা বাইরে আছেন তারা চিন্তাভাবনা করেই করেছেন।’

    ইতিহাসবিদ, লেখক ও লোক সাহিত্যিক শামসুজ্জামান খান এই দলকে মূল্যায়ন করে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ ‘পাকিস্তান’ নামের অবৈজ্ঞানিক এবং ভৌগোলিক ও নৃতাত্ত্বিকভাবে এক উদ্ভট রাষ্ট্রের পূর্ব বাংলার বাঙালি জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে অবজ্ঞায়, অবহেলায় ও ঔপনিবেশিক কায়দায় শোষণ-পীড়ন-দমন ও ‘দাবিয়ে রাখা’র বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং গণসংগ্রামের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা বিপুল জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল।

    ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

    পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে এবং সেই থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছে।

    ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও গত ১৪ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।

  • কাল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, নানা কর্মসূচি ঘোষণা

    কাল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, নানা কর্মসূচি ঘোষণা

    আগামীকাল ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। যথাযোগ্য মর্যাদায় আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নামে আত্মপ্রকাশ করে দলটি।

    প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শুক্রবার সূর্যোদয় ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়ানোর মধ্যদিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন।

    এ দিন সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবর সমাধিত শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

    বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতির বক্তব্য রাখবেন।

    দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

     

  • ভাটিয়ারীতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আনন্দ র‍্যালী অনুষ্ঠিত

    ভাটিয়ারীতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আনন্দ র‍্যালী অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যেগে আলোচনা সভা ও আনন্দ র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসাইন তপু।

    ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেক কেটে অনুষ্ঠানের সুচনা করেন। ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এর পরিচালনায় এতে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলান, ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ডা. কুমার বিশ্বজিৎ বিশু, মিরসরাই ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক সোহেল, সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান জীবন, সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সভাপতি নাজিম উদ্দীন, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাবলুসহ উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা হামিদ তুষার , ওসমান, রানা, আজাদ, ইফতি রিমন ফরহাদ, আরমান, ইমন, ফোরকান, পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা অর্প, সাকিব, সাব্বির, রাশেদ, জিল্লু, অরূপ, রাকিন, ফারহান প্রমূখ।

    অনুষ্ঠান শেষে একটি আনন্দ র‍্যালী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রদক্ষিণ করে।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • ‘দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে ন্যায়সঙ্গত দাবি দমিয়ে রাখা যাবে না’

    ‘দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে ন্যায়সঙ্গত দাবি দমিয়ে রাখা যাবে না’

    সরকারকে হুশিয়ার করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।

    জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

    বিএনপির আন্দোলনে সফলতা আসছে না কেন- এমন প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল। তারা জনগণকে ভোটের অধিকার বঞ্চিত করে, জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এবং ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোটডাকাতি করে একটি দখলদারি সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা দমনের মাধ্যমে জনগণের যে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য, তাকে তারা দমন করার চেষ্টা করছে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে– কখনই দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশে কেউ কখনও পারেনি। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি বছর আমাদের জন্য নতুন শক্তি সঞ্চয় হবে এবং ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’কে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হব।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, আকরামুল হাসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকাল ৩টায় রয়েছে ভার্চুয়াল আলোচনাসভা। এতে সংগঠনের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন।

  • রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত যুবলীগের তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে: টিপু সুলতান

    রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত যুবলীগের তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে: টিপু সুলতান

    বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচী ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগ।

    বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় কর্ণফুলী যুবলীগের উদ্যোগে উপজেলার চরলক্ষ্যাস্থ এইচ টি কমিনিউটি সেন্টার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি
    সোলায়মান তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী।

    যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হকের সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ‘৭১ পরবর্তী সময়ে যুবকেরা যাতে বিপদগামী না হয়, সেজন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ গঠন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত যুবলীগের তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।’

    আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চেয়ারম্যান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল মান্নান, দপ্তর সম্পাদক রাজু দাশ হিরু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন পারভেজ, সহ-প্রচার সাইফুল হাসান টিটু, সহ তথ্য ও গবেষণা আবিদ হোসেন, কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শহিদ উল্লাহ, জি এম আনু মিয়া, মোঃ সেলিম, কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের
    যুগ্ম সম্পাদক তারেক হাসান জুয়েল, সিরাজুল ইসলাম হৃদয়, সেকান্দার রানা, দেবরাজ রতন, আলাউদ্দিন মিয়া, আলাউদ্দিন মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মাহবুব, মোঃ ইকবাল।

    এছাড়াও কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগ নেতা আলমগীর খসরু, রাশেদ রানা, আনোয়ার সাদাত মোবারক, রেজাউল করিম, মুহাম্মদ মহিউদ্দীন রানা,জাবেদ উদ্দিন চৌধুরী, ওমর ফারুক বিজয়, লোকমান হাকিম, এয়াছিন আরাফাত, মোঃ ফয়সাল, মোঃ বাদশা, মোঃ খোকন, মোঃ মুছা, জাহাঙ্গীর আলম জয়, সেকান্দার মির্জা, মোঃ আরিফ, জে এ নবীন, জাহাঙ্গীর আলম জাবেদ, জানে আলম দোভাষ, মোঃ আলম, মোঃ হারুন, পেয়ার আহমদ, সেলিম উদ্দিন সানি, আবদুল মালেক রানা, ওয়াহিদ আদনান মুন্না, মোক্তার হোসেন হিরু, ইয়াসিন আরাফাত, আবদুল্লাহ আল মামুন, সালাউদ্দীন সাদ্দাম, নুরুল হক চৌধুরী, মুহাম্মদ সালাুদ্দিন, মোরশেদুর রহমান পাপ্পু,জেলা ছাত্রলীগ নেতা নুর মোহাম্মদ নাঈম, কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাইফুদ্দিন, মোঃ মহসিন, আবদুল্লাহ আল নোমানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বগুড়ায় খসরু-নূর হোসেনের আত্মত্যাগের আর্দশ অনুসরণ করে উন্নত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে

    বগুড়ায় খসরু-নূর হোসেনের আত্মত্যাগের আর্দশ অনুসরণ করে উন্নত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে

    বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে সংগঠনের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগ সদস্য সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবের সভাপতিত্বে এবং মহানগর যুবলীগের সদস্য নঈম উদ্দিন খান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান ফেরদৌস, সাবেক ছাএনেতা দিদারুল আলম দিদার,সুমন দেবনাথ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য খোরশেদ আলম, রহমান, তানভীর আহমেদ রিংকু,সাবেক ছাএনেতা এড; মাহবুবুর রহমান, জসিম উদ্দিন মিথুন, সাবেক ছাএনেতা মীর আবদুর রহমান মামুন, গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য জাবেদুল আলম সুমন,সাখাওয়াত হোসেন সাকু,সাবেক ছাএনেতা তাজউদ্দিন রিজভী, মোঃ সাইফুদ্দিন, জালাল আহমেদ দুলাল, ফারুক চৌধুরী, মাসুদ আকবরী,ফজলে হাসান,এস,এম,নাছির, পিয়ার মোঃ পিয়ারু,আবদুল্লাহ আল মামুন,ফরমান উল্লাহ অপু,আবুল হাশেম কাজল,মোঃ কায়সার,ইশতেহার পারভেজ, সাহেদ হোসেন টিটু,জাহাঙ্গীর আলম,সুমন চৌধুরী, মনজুরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, আজিজ উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, মোঃ আলমগীর টিপু সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    বক্তরা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন মিলনায়তনে যুব কনভেনশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। বঙ্গবন্ধুর আর্দশের আদলে অসাম্প্রদায়িক, গনতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় এ সংগঠন। গত চার দশকের বেশি সনয় ধরে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিনত হয়েছে।

    বক্তরা আরো বলেন, শহীদ মৌলভী সৈয়দ,বগুড়ার খসরু,নূর হোসেনের আত্মত্যাগের আর্দশ অনুসরণ করে উন্নত দেশ গঠনে ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।

    আলোচনা সভা শেষেকেক কাটার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়, পরিশেষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ প্রতিকীরুপে চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সফলতায় ১৫ বছরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট

    গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সফলতায় ১৫ বছরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট

    সংগঠন সংবাদ : গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সফলতায় ১৪ বছর অতিক্রম করে ১৫ বছরে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সারাদেশে ধর্মীয় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির ১৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

    তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে ধর্মীয় বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

    আজ ১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পটিয়াস্থ গৌরাঙ্গ নিকেতনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক ও শিক্ষক সুমন দাশ। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া শাখা

    পরবর্তীতে সংগঠনের মঙ্গল কামনায় শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ, গীতা পুষ্পযজ্ঞ, নাম কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার প্রত্যয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভগবান শ্রী রাম এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়ে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের যে নীতি আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সে নীতি আদর্শ সর্ব যুগে সর্ব সমাজে একান্ত উপযোগী।

    আজকের এই শুভ দিনে আমাদেরকেও শ্রী রামের জীবনী থেকে সংগ্রামের অনুপ্রেরণা নিয়ে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সর্বদা সংগ্রাম করে যেতে হবে।বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট পটিয়া শাখা

    তাছাড়া কোন অশুভ শক্তি যাতে কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ নির্যাতন করে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।

    মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ও সংক্ষিপ্ত ধর্মীয় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাগীশিক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক রুপক শীল, পটিয়া উপজেলা সভাপতি পুলক চৌধুরী, দক্ষিন জেলা অর্থ সম্পাদক মিশন দত্ত সপু, হিন্দু মহাজোট চট্রগ্রাম জেলার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিজন দে মুন্না, দক্ষিণ জেলা যুব মহাজোট এর সহ সভাপতি গৌতম দে পলাশ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রনি চৌধুরী, হিন্দু যুব মহাজোট এর পটিয়া উপজেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি রিটু নন্দী, সিনিয়র সহ সভাপতি সুজন কুমার শীল, সাধারণ সম্পাদক রতন দত্ত, সহ সাধারণ সম্পাদক অ্যডভোকেট অনিক দে যীশু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিমন চৌধুরী, বিপ্লব চক্রবর্তী রিগ্যান, মঠ ও মন্দির বিষয়ক সম্পাদক সৈকত চক্রবর্তী, দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়ন যুব মহাজোট এর আহবায়ক রাসেল দেব নাথ, সজীব শীল, আদিত্য দাশ পার্থ, বিজয় চক্রবর্তী,তন্ময় চৌধুরী,জয় শীল,রাজীব চৌধুরী প্রমুখ। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট পটিয়া

    তাছাড়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ শ্রবণ করেন বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। শেষে মিষ্টি বিতরনের মধ্য দিয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাউজানে পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ

    আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাউজানে পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ

    রাউজান প্রতিনিধি : দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকালে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পক্ষে নেতাকর্মীরা রাউজান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে শ্রদ্ধা জানান।

    এরপরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোয়া ও মোনাজাত শেষে পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সি. সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম,দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, রাউজান পৌর প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, আওয়ামীলীগ নেতা শাহ্ আলম চৌধুরী, শোয়াই খাঁন, তছলিম উদ্দিন, সাদিকুজ্জামান শফি, যুবলীগ নেতা আলমগীর, আবু ছালেক, মঈনুদ্দিন মোস্তাফা রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক নাছির উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

    পরে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ করোনা যুদ্ধে যারা মৃত্যু বরণ করেছে তারদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রানা

  • ‘মীরজাফর মোশতাক ও জিয়ার চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়’

    ‘মীরজাফর মোশতাক ও জিয়ার চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়’

    মীরজাফর মোশতাক ও জিয়ার চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

    আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির দীর্ঘ সংগ্রামের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে যে অর্জন সেটা হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জাতি স্বাধীন হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার যখন দায়িত্ব পেলেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক সে সময় সেই আরেক মীরজাফর মোশতাক এবং জিয়ার চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৭৫৭ সালে ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে সিরাজউদ্দৌলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে যুদ্ধে হেরে যান। সেখানে মীরজাফর আলী খান বেঈমানি করেছিল। তার ফলে কিন্তু এই পতন ঘটে। অর্থাৎ তখন সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলা উড়িষ্যাসহ এই অঞ্চলের শাসক। সেই স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধে আম্রকাননে।’

    ‘আর ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ আবার সেই সূর্য উদয় করে। আওয়ামী লীগের সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, ‘আমি জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে এটুকু বলব- তিনি আজীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। জনগণের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি তার সংগ্রামের পথে অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করেছেন। কিন্তু তিনি ১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা হলো- ‘‘জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বাধীন-মুক্ত মানুষ হিসেবে স্বাধীনভাবে আর আত্মমর্যাদা সম্পন্নভাবে বাস করার নিশ্চয়তা দিয়ে যেতে চাই।’’ তিনি ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাই।’

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার জন্মলগ্ন থেকেই মানবতার সেবা করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, ‘আমরা যদি একটু পর্যালোচনা করি তাহলে দেখব- একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই বাঙালি কিছু পেয়েছে। তখনই বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও আমরা দেখেছি সবসময় এই বাঙালিকে কীভাবে পেছনে টেনে রাখবে সেই প্রচেষ্টাই করা হয়েছে।’

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করার জন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমরা সেটা করতে পারিনি। আজ আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সীমিতভাবে উদযাপন করছি। কারণ লোক সমাগম হোক এ ধরনের কর্মসূচি আমরা বাতিল করেছি জনগণের কথা চিন্তা করে। জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে। কারণ আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

    এ সময় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আ.লীগের ঐতিহ্য : ওবায়দুল কাদের

    সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আ.লীগের ঐতিহ্য : ওবায়দুল কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দেশের যে কোনো সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। গত সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগ সংকটে মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করেছে।

    আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৩ জুন) ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

    ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শৃদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন।

    ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্নে এই সংগঠনের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’।

    সংগঠনটির প্রথম কমিটিতে মাওলানা ভাসানী সভাপতি ও শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলে থাকা অবস্থায় যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর