Tag: প্রতীক

  • চট্টগ্রামে প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা, লড়াই হবে আ.লীগ-স্বতন্ত্রে

    চট্টগ্রামে প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা, লড়াই হবে আ.লীগ-স্বতন্ত্রে

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৬ জন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক, ৪ জন কেটলি প্রতীক, ৩ জন ট্রাক প্রতীক, ২ জন ফুলকপি এবং এক জন করে পেয়েছেন তরমুজ ও বেঞ্জ প্রতীক।

    সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রামে বিভাগীয় কমিশন ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম–১ (মীরসরাই) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।

    এ আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের।

    চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন তরমুজ প্রতীক এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।

    এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আবু তৈয়বের।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। এ আসনে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজফুজুর রহমানে সঙ্গে জামাল উদ্দিনের।

    চট্টগ্রাম-৩ (সীতাকুণ্ড): এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় দলীয় প্রতীকই প্রার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। হাটহাজারীর এ আসনটিতে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামকে। শেষ মুহুর্তে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি হওয়ায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হয় তাকে। এ আসনে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বিপরীতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে আভাস মিলছে।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। এ আসনে ৫ জন প্রার্থী হলেও পর পর তিন বার নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিপরীতে শক্ত প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে নেই কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে আছেন মোট ৬ জন প্রার্থী। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। বিভিন্ন দলের ১০ জন প্রার্থী রয়েছে আসনটিতে। জাতীয় পার্টির সোলাইমান আলম শেঠের সমর্থনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর।

    চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করেছেন। কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ না থাকায় অনেকটা খালি মাঠেই গোল দিতে পারেন বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ পেয়েছে কেটলি প্রতীক। এছাড়া এ আসনে সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলম পেয়েছেন ফুলকপি প্রতীক। আসনটিতে ৯ জন প্রার্থী থাকলেও সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলমের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।

    চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) এ আসনের সাত জন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন কেটলি প্রতীক। আসনটিতে আওয়ামী প্রার্থী রয়েছে এম এ লতিফ। অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। পর পর তিন বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে হুইপের দায়িত্বে থাকার পরও দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। এ আসনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নৌকার মনোনয়ন পান। এ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮ জন।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে ৭ প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে নির্বাচন করছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

    চট্টগ্রাম-১৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জাব্বার পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। এ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও আব্দুল জাব্বারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে এলডিপির দূর্গ হিসেবে খ্যাত আসনটিতে।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। সাতকানিয়া এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। এ আসনে নদভীর মূল প্রতিপক্ষ মোতালেব। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু আগেই দুই পক্ষের সমর্থকদের উত্তেজনায় হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ের আভাস মিলছে।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে তিন জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুজিবুল হক সিআইপি। এ আসনের নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হওয়ায় অনেকটাই কোণঠাসা। নির্বাচনের মাঠে মুজিব-মোস্তাফিজের ভোটের লাড়াই দেখার অপেক্ষায় বাঁশখালীর ভোটরা।

    প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে মোট ১৪৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৩২ জনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। ১১৬ জনের মনোননয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাছাইয়ে বাদ পড়াদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পান ১২ জন। আরেকজন উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পান। সবমিলে ১৬ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৯ জন। তাদের মধ্যে থেকে গতকাল ৯ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন ভোটের মাঠে আছেন ১২০ প্রার্থী।

  • জামদানী শাড়ির আদীকথা (১)  ইতিহাস ও বংশপরম্পরার আভিজাত্যের প্রতীক!

    জামদানী শাড়ির আদীকথা (১) ইতিহাস ও বংশপরম্পরার আভিজাত্যের প্রতীক!

    ২৪ ঘণ্টা সংস্কৃতি। জী আমি বাংলার, শুধুই যে বাংলার।।

    লেখিকা তানজিন তিপিয়া : জামদানী, আমার পারিবারের আভিজাত্যের প্রতীক, আমাদের দেশীয় গর্বের প্রতীক। অক্লান্ত দীর্ঘ পরিশ্রমের অপর নাম এবং এই বাংলায় জন্মানো এক প্রাচীন নাম জামদানী। ফার্সিশব্দ হতে আগত দু’টো ধ্বনির পরিপাটি মিশ্রণ।

    জাম মানে ফুল আর দানী মানে পাত্র মোট কথা ফুলদানি। আরো এক ভাবে বলা যায়, জাম মানে জামা আর দানী মানে দানা অর্থাৎ বুটিদার জামা।এটি সব সময়ে বাংলারই ছিল সেই ১৪ শতাব্দী থেকেই।

    অনেক বেশি বিস্তার লাভ করে মোঘল সাম্রাজ্যের আমলে।সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজত্বকে জামদানীর স্বর্ণযুগ বলে আখ্যা দিলেও ভুল হবে না, মোঘল শাসনামলে এর ঐতিহাসিক উৎপাদনের কারণে। যা শুধু মাত্র রাজপরিবারের সদস্যরা এবং রাজ্যে অন্তর্গত অভিজাত ব্যক্তিবর্গরাই পরতে পারতেন, কারণ তখন থেকেই সময় সাপেক্ষ হাতের তৈরি এই কাপড়টি বেশ ব্যয় বহুল ছিলো।

    মসলিন, কার্পাস তুলোয় বোনা একটি সুতিকাপড়। এটি ইরাকের মোসুল শহর হতে আগত সেখানেই প্রথম উৎপত্তি। নামেই শহরটির আভাস পাওয়া যায়।সম্রাট জাহাঙ্গীরের আলমে (১৬০৫-১৬২৭) এইবস্ত্রে তৃতীয় সুতোর মাধ্যমে ফুলবোনা আরম্ভ হয়।

    জামদানী শাড়ির বাকি ইতিহাস পড়তে চোখ রাখুন ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজে। ৪ পর্বের আদিকথার দ্বিতীয় খণ্ডে থাকছে আরো চমকপ্রদ কিছু ইতিহাস।

    জাহাঙ্গীরকে জামদানী পরতেও দেখা গিয়েছে উনার কোমরে যে কাপড়টি জড়ানো হতো ওটা নানা ফুলে ঘন কাজের জামদানী। এ ব্যাপারে স্কটিশ লেখক “জন ফোর্বস ওয়াটসন “১৮৬৬ সনে উনার বইতে মসলিন কাপড়ে আকর্ষণীয় নকশার কথা, ঢাকার তাঁতবুনন পদ্ধতি ও দামি পণ্য বলে উল্লেখ করেছেন। আর এই কারণেই জামদানীর সাথে“আভিজাত্য” শব্দটি যুক্ত হয়ে রবে আজীবন।

    সাধারণত তুলা এবং সোনার সুতোর মিশ্রণে বোনা হতো তখন। সম্ভবত ২০০০ হাজার বছর আগের পদ্ধতি যা আজো বিদ্যমান। ২০১৩ সালে জামদানী বুননের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে তুলে ধরে বাংলাদেশ ইউনেস্কোর অন্তর্গত “ইনটেনজিবল কালচার হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি” তে নিবন্ধন করে। ২০১৬ সালে, বাংলাদেশ জামদানী শাড়ির জন্য ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে মর্যাদা পায়।

    মসলিনের সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায় “পেরিপ্লাস অফ দি এরিথ্রেয়ান সি” বইয়ে এবং আরব, চীন এবং ইতালিয়ান ভ্রমণকারী ব্যবসায়ীদের বিবরণে।

    জামদানী হস্তচালিত বোনা কার্পাসতুলা দ্বারা তৈরি, যা ঐতিহাসিকভাবে মসলিন হিসেবে পরিচিত ছিল। জামদানী বুননের ঐতিহ্য বাঙালি বংশভুত। তাঁতের বুননের সর্বাধিক সময় এবং শ্রম-নিবিড় রূপগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি মসলিনের অন্যতম সেরা জাত।

    বাংলাদেশী তাঁতের অন্যতম শৈল্পিক বস্ত্র হিসেবে বিবেচিত। ঐতিহ্যগত ভাবে ঢাকার সোনারগাঁও, রূপসী নারায়গঞ্জ সেই মোঘল কাল থেকেই জামদানীর জন্য প্রসিদ্ধ স্থান যা আজো অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে যেন বলছে- জী আমি বাংলার, শুধুই যে বাংলার।

    মানুষ পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পান অর্থ, সম্পদ, জায়গা, জমি আর আমি এগুলোর সাথে করেই পেয়েছি জামদানী। নিঃসন্দেহে এটি বংশ পরম্পরায় আমার পারিবারিক বস্ত্র, দৌলত বংশের প্রতীক।

    ২৪ ঘণ্টা/লেখিকা-তানজিন তিপিয়া/ সম্পাদনা-রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রতিদ্বন্ধী ৬ প্রার্থী

    চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রতিদ্বন্ধী ৬ প্রার্থী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আংশিক মিলে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করার জন্য বৈধ ৬ প্রার্থী পেয়েছেন প্রতীক। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।প্রতীক নিলেন মোছলেম উদ্দিন

    নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের হাত থেকে প্রতীক বুঝে নেন প্রার্থীরা। এদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আবু  সুফিয়ান বিএনপি প্রার্থী

    দলীয় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। এ আসনের উপ-নির্বাচনে টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।নৌকা প্রতীকে মোছলেম উদ্দিন আরো খবর : চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি

    এছাড়াও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত কুঁড়েঘর প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হককে আপেল প্রতীক বরাদ্ধ দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।

    উল্লেখ্য : ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল।

    এ নিয়ে তিনি এ আসনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৭ নভেম্ব^র ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে এ আসন শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তাঁর মৃত্যুর পরপরই এলাকার নতুন সংসদ সদস্য কে হবেন তা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়। আরো খবর : উপ-নির্বাচনে নৌকার মাঝি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৩ জানুয়ারি সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৮৯টি কেন্দ্রে ইল্কেট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন, পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়ন, পূর্ব গোমদন্ডী ইউনিয়ন, শাকপুরা ইউনিয়ন, সারোয়াতলী ইউনিয়ন, পোপাদিয়া ইউনিয়ন, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন, আমুচিয়া ইউনিয়ন ও আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লক্ষ ৭৫হাজার ৯শ ৯৬ জন।

    এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯শ ২২জন। মহিলা ভোটার ২লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৪জন। তৎমধ্যে নগরের ৫টি (৩-৭) ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৯শ ৯৬জন। বোয়ালখালী (শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ব্যতীত) উপজেলায় ১ লক্ষ ৬৪হাজার ভোটার।