Tag: প্রধানমন্ত্রীর

  • জিআই পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    জিআই পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

    সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

    আলোচ্যসূচির বাইরে প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন যে, জিআই পণ্যগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেখানে তিনি সংশ্লিষ্টদের তৎপর হওয়ার জন্য বলেছেন।

    ‘সবাইকে তিনি তৎপর হয়ে আমাদের যে পণ্যগুলো আছে সেগুলোর বিষয়ে যাতে উদ্যোগ নিয়ে করে ফেলা হয়।’

    এদিকে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই সার্টিফিকেট ও টাঙ্গাইলের শাড়ি হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

    তিনটি পণ্যের জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, সেগুলোর কপি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    ভারত সরকারের টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই নির্দেশক পণ্য হিসেবে সনদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মাহবুব হোসেন।

    তিনি বলেন, এ রকম কনফ্লিকটেড কিছু যদি থাকে, সেজন্য একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে। এরকম কিছু থাকলে আমরা সেখানে যেন সেগুলো উপস্থাপন করি, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • মিয়ানমার ইস্যুতে সেনা ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মিয়ানমার ইস্যুতে সেনা ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও বাংলাদেশের সীমান্তে এর প্রভাব নিয়ে সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনা বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার ওয়াকিবহাল আছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আজ ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনার জন্য এবং তাদের ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় তাহলে অন্য ব্যবস্থা কী করা যায়, সেটাও হবে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারি বাহিনী (বিজিবি) রয়েছে তাদের ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বর্ডারের স্কুলটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

     

  • সীতাকুণ্ডে ঘর পেলেন গৃহহীন চার পরিবার, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা

    সীতাকুণ্ডে ঘর পেলেন গৃহহীন চার পরিবার, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা

    ২৪ ঘণ্টা সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেলেন গৃহহীন দরিদ্র চারটি পরিবার।

    আজ ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের উত্তর মাহামুদাবাদ, মান্দারীটোলা ও ভুলাইপাড়া এলাকার নুরুল আমিন, হাবিবুল্ল্যাহ, কাজলা বিবি ও আবদুর রহিমের কাছে নির্মিত ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্ল্যাহ মিয়াজী।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গ্রামীণ অবকাঠামোর সংস্কার (কাবিকা) কর্মসূচির আওতায় বার লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ চারটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

    ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্ল্যাহ মিয়াজী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এ দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। শেখ হাসিনাই জনগণের দুঃখ বোঝেন। এ কারণেই তিনি নুরুল মোস্তফার মতো অসংখ্য মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও দেবেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওরঙ্গজেব সাবু, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী জহির মাস্টার, খুরশিদ আলম, মোজাহের ইসলাম, ডাক্তার রফিক উল্ল্যাহ, আবু হানিফ, আনোয়ারুল আজীম, আলাউদ্দিন, সফিউল আলম, মুজিব উদ্দিন চৌধুরী ও মুজিবুল হক প্রমূখ।

    এদিকে করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগ মুহূর্তে বাড়ি উপহার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ তার সুস্থতা কামনা করেছেন হতদরিদ্র এ সুবিধাভোগীরা।

    ২৪ ঘণ্টা/কামরুল দুলু/রাজীব

  • প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাশিয়া সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে-সুজন

    প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাশিয়া সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে-সুজন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাশিয়ার সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে মত প্রকাশ করেছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    সুজনের নেতৃত্বে নাগরিক উদ্যোগের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল ২৩শে ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেল ৪টায় জামালখান প্রেসক্লাবস্থ রাশিয়ান অনারারি কনসাল এর দফতরে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাটভ এর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় কালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    এ সময় সুজন বলেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যখন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বিনা উস্কানিতে রাতের আঁধারে মানুষ হত্যা করতে শুরু করে ঠিক তখনই বাংলাদেশের জনগনের পক্ষে জাতিসংঘে অবস্থান নেন রাশিয়া।

    বাংলাদেশের পক্ষে রাশিয়া ছিল বলেই পাকিস্তানের পক্ষে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌ-বহর পাঠানোর সাহস পায়নি যুক্তরাষ্ট্র।বাংলাদেশের বিজয় অনিবার্য দেখে পাকিস্তানের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুললে রাশিয়া সেই প্রস্তাবে ভেটো দেয়।তাছাড়া যুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন ও ধ্বংসাবশেষ অপসারণে রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা ব্যাপক অবদান রাখে।

    কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করেনি বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সরকার প্রধানরা। এতে করে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির সঙ্গে খারাপ আচরণও করা হয়েছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নততর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একের পর এক মেগা প্রকল্পসমূহের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া।

    সুজন কৃতজ্ঞচিত্তে রাশিয়ার ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্বীকার করে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও রাশিয়াকে বাংলাদেশের পাশে থাকার উদাত্ত আহবান জানান।

    রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাটভ সুজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন বাংলাদেশ রাশিয়া সম্পর্ক অনেক দিনের। দুদেশের এ সম্পর্ক রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। রাশিয়া সরকার বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে।

    বর্তমানে দুদেশের মধ্যে অনেক সমঝোতাও চুক্তি হয়েছে। শিল্প বাণিজ্যের প্রসারেও বিনিয়োগ করছে রাশিয়া। ভবিষ্যতে রাশিয়া আইসিটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ শিল্প এবং সামরিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। দুদেশের সুসম্পর্কের মাধ্যমে এসব বিনিয়োগ কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাটভ আরও বলেন রাশিয়া সরকার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। এ দেশের অনেক শিক্ষার্থী রাশিয়ায় গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিচ্ছেন। তারা পরমাণু বিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে গড়ে উঠছেন। ভবিষ্যতে রাশিয়া সরকার এ সুযোগ আরও বাড়াবে।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ান অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, সাইদুর রহমান, নিজাম উদ্দিন, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, রকিবুল আলম সাজ্জী, আশিকুননবী চৌধুরী, এম ইমরান আমেদ ইমু প্রমূখ।

  • প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হলেন চট্টগ্রামের পটিয়ার সন্তান আহমদ কায়কাউস

    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হলেন চট্টগ্রামের পটিয়ার সন্তান আহমদ কায়কাউস

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদণ্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা ড. আহমদ কায়কাউসকে প্রধানমন্ত্রীর নতুন মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব পদ থেকে বদলি করে আহমদ কায়কাউসকে নতুন মুখ্য সচিব নিযুক্ত করেন।

    একই দিনের অপর এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে অবসর দেয়া হয়েছে।

    পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদণ্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা আহমদ কায়কোবাদের ছেলে আহমদ কায়কাউস বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে যোগদানের আগে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (আইএফপিআরআই)-এর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি সাপোর্ট প্রোগ্রামের (প্রএসএসপি) উপ-প্রধান হিসেবে ৩ বছর কাজ করেছেন।

    ড. আহমদ কায়কাউস যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের উইলিয়ামস কলেজ থেকে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইকোনমির ওপর পিএইডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

    তিনি ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি সহকারী কমিশনার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কাজ করেছেন।

    ড. আহমদ কায়কাউস বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা পরিষদের (ইপিআরসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়ামাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগেও কাজ করেছেন আহমদ কায়কাউস।

    ড. আহমদ কায়কাউস ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পেয়ে তিনি একই বিভাগের সচিব হন।

  • দুর্নীতি ও ঘুষের ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    দুর্নীতি ও ঘুষের ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি ও ঘুষের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে এবং দেশের উন্নয়নমূলক কাজে সরকারি অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাসহ সকল সরকারি চাকরিজীবিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

    তিনি আরো বলেন, ‘ঘুষ ও দুর্নীতির ব্যাপারে আপনাদের সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। এই সব ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি অনেক সময় আমাদের সমাজকে ধ্বংস ও উন্নয়নকে ম্লান করে দেয়। তাই আপনাদের এ ব্যাপারে গণ সমচেতনা সৃষ্টি করতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিসিএস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন অ্যাকাডেমিতে ১১৩, ১১৪ ও ১১৫তম বিসিএ প্রশাসন ও আইন কোর্স এর সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের বলবো জনগণের ট্যাক্স এবং কৃষক-শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রমের কল্যাণে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি।’

    তিনি আরো বলেন, ‘তাই তাদের এই পরিশ্রমলব্ধ অর্থের যেন যথাযথ ব্যবহার হয় এবং সুপরিকল্পিত ও সাশ্রয়ীভাবে যেন উন্নয়নমূলক কর্মকা-গুলো সম্পন্ন হয় সেদিকে আপনাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’

    শেখ হাসিনা দেশের আরো উন্নয়নের জন্য দেশপ্রেম ও কর্তব্যপরায়ণতার সাথে কাজ করার জন্য নতুন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘আপনাদের একথা মনে রাখতে হবে যে এ দেশে আমাদের এবং আপনাদের সন্তানরা ভবিষ্যতে এখানেই বাস করবে। তাই আপনাদের এ কথাও মাথায় রাখতে হবে যে আপনারা আপনাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছেন। আপনারা যদি এই চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ লালন করে কাজ করেন, তবে আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যাবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির মূল উৎপাটনের জন্য অভিযান শুরু করেছে এবং এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে নতুন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    তিনি তাদেরকে আরো বেশি উদ্ভাবনীর পরিকল্পনার সাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, তারা তাদের এলাকার পরিবর্তন ঘটাতে পারেন এবং তাদের কাজের মাধ্যমে দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটাতে পারেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি আপনারা প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। এলাকাগুলোর উন্নয়ন আপনাদের কাজের মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে। তাই দেশের জন্য ভালবাসা ও কর্তব্যপরায়ণতার সাথে এই উদ্ভাবনী পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে প্রশাননের নবীন কর্মকর্তাদের স্মরন করিয়ে দেন যে, জনগণই দেশের মালিক।

    তিনি বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, এই জনগণের জন্য আমাদের দায়িত্ব রয়েছে এবং তাদের জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে।

    আমরা যেমন আমাদের পরিবারের জন্য দায়িত্বশীল, এই চিন্তা চেতনা নিয়ে তেমনি দেশের জনগণের জন্যও আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
    শেখ হাসিনা নবীন কর্মকর্তাদের শপথকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেন এবং নিয়মিতভাবে এই শপথ অনুসরন করতে তাদের প্রতি পরামর্শ দেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, শপথের প্রতিটি বাক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি শুধু পাঠ করলেই চলবে না, এটি চর্চাও করতে হবে। আমরা চাই আপনারা তা করবেন।

    তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যখন মাঠ পর্যায়ে বড় দায়িত্ব পালন করবেন, তখন আপনাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে যাবে।

    শেখ হাসিনা দেশের আরো উন্নয়নের জন্য তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নীতির উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার ২০১০-২০২০ সাল পযর্ন্ত মেয়াদে ১০ বছরের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহন করেছে।

    তিনি আরো বলেন, আমরা এখন দেশের আরো উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০ বছর মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা কৌশলপত্র (২০২১-২০৪১) প্রণয়ন করেছি। আজকের তরুন অফিসাররা একদিন সিনিয়র অফিসার হবেন। সে সময়ে তাদেরকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে তাদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
    সততার শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি উল্লেখ করে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ মোকাবেলা এবং চ্যালেঞ্জে বিজয় লাভ করেছে।

    তিনি আরো বলেন, আমরা সৎ পথে ছিলাম বলে এই অভিযোগ আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। অবশেষে সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং কানাডার ফেডারেল কোর্ট রায় দিয়েছে যে, এই অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। আমরা সততার সঙ্গে অগ্রসর না হলে আমরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে পারতাম না।

    এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের কিছু লোকের উস্কানির কারণে বিশ্ব ব্যাংক এসব অভিযোগ এনেছিল।

    তিনি আরো বলেন, যারা বিশ্ব ব্যাংককে দিয়ে এসব অভিযোগ করিয়েছিল, তারা আমার হাত থেকে লাভবান হয়েছিল। আমি তাদেরকে গ্রামীন ফোনের ব্যবসা দিয়েছিলাম। আমি ১৯৮৫-৮৬ সালে গ্রামীন ব্যাংকের পক্ষে প্রচারনা চালিয়েছিলাম এবং আমার সরকার জাতিসংঘে গ্রামীন ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণের ধারনার ওপর প্রস্তাব পেশ করেছিল এবং ১৯৯৬ সালে এটি পাস করতে সাহায্য করেছিল।

    সেই লোকই গ্রামীন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদের জন্য পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন তহবিল বন্ধ করতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন একজন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি একটি ব্যাংকের এমডি পদের জন্য এতোটা লোভী হয়ে উঠেছিলেন কেন?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ি একজন এমডি কেবল ৬০ বছর বয়স পযর্ন্ত তার পদে থাকতে পারেন। অথচ সে সময়ে এই ব্যক্তির বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন অবৈধভাবে পদ আকড়ে থাকায় বাধা সৃষ্টি করলো, তখনি পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল কারণ তিনি ছিলেন হিলারির বন্ধু।

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দু’জন খ্যাতিমান সম্পাদকও সে সময়ে পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থসহায়তা বন্ধ রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি তখন এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। আমি তখন বললাম কোথায় দুর্নীতি হয়েছে, তা প্রমাণ করতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার লক্ষ্যে সরকারের একটি সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বের মানুষের ধারনা বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তারা ধারণা করতে পেরেছে যে, বাংলাদেশ যদি ইচ্ছা করে তাহলে পারে এবং আমরা তাই করেছি।

    শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারিদের কল্যাণে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে এবং বাড়ি ও ফ্ল্যাট কেনার জন্য তাদেরকে সুবিধা দিয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘যারা ভাল কাজ করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করতে আমরা জনপ্রশাসন পদক চালু করেছি। এর উদ্ধেশ্য হচ্ছে, আমরা চাই তারা দেশ ও দেশের জনগণের জন্য বেশি করে কাজ করুক, আমার জন্য নয়।’

    জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হাসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এইচএন আশিকুর রহমান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্ঠানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর কাজী রওশন আখতার শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। রেক্টর অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী তিন কোসের্র তিন তরুন কর্মকর্তা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন।

  • আরব আমিরাতের আরও বড় আকারের বিনিয়োগ বাংলাদেশে প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

    আরব আমিরাতের আরও বড় আকারের বিনিয়োগ বাংলাদেশে প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার পারষ্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক, তথ্য প্রযুক্তি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে ইউএই’র উদ্যোক্তাদের আরও বড় আকারের বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চলে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এবং হাইটেক পার্কে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

    আবুধাবীতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকালীন হোটেল সাংরি-লা’তে তাঁর সম্মানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস সুবিধা এবং একশ’র অধিক অবকাঠামোসহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধাদি প্রদান করছে।

    দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সব থেকে সহনীয় বিনিয়োগ নীতি বিদ্যমান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা তৈরি পোশাক শিল্প, ভবন অবকাঠামো নির্মাণ, নির্মাণ শিল্প, যোগাযোগ, জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, হাল্কা প্রকৌশল, শিল্প পার্ক এবং পণ্য সরবারাহের কেন্দ্র হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারে।’

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

    গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শীর্ষ উদ্যোক্তাগণ এবং ইউএই’র স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং তাঁদের সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    দেশে বিদ্যমান বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নীতিমালার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইন দ্বরা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান, শুল্ক রেয়াত, যন্ত্রাংশ আমদানিতে স্বল্প শুল্ক, যে কোন সময় লাভ এবং আসল সহ প্রস্থানের সুবিধা, যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য।

    তৈরি পোশাকের পরেই আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে কৃষি ভিত্তিক পণ্য উল্লেখযোগ্য আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের কৃষিজাত এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’

    বাংলাদেশ এবং আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই বাংলাদেশ এবং ইউএই’র যৌথ উদ্যোগের জন্য সম্ভাবনাময় বেশ কিছু খাত খুঁজে বের করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আমিরাতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যৌথ উদ্যোগের ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ হবে এবং সম্প্রসারণ ঘটবে।’

    তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যে সম্পর্ক বহুমুখী এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।’

    বাংলাদেশের পণ্য আমদানির জন্য ইউএই’র প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ইউএই ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী, পাট এবং পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, নীটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুড, বস্ত্র, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য এবং প্রকৌশল সামগ্রী আমদানি করতে পারে।’

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউএই সফরের কথা স্মরণ করেন যখন বাংলাদেশ এবং ইউএই’র মধ্যে বন্দর স্থাপন, শিল্প পার্ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, এলএনজি সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সেই সফরকালে আমরা ইউএই’র পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম। ইউএই’র সংস্থা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ এবং সৌরশক্তিসহ জ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।’

    তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা তখন এলএনজি টার্মিনাল এবং বন্দর প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখিয়েছিল। আমরা তখন আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প চালুর প্রস্তাব পেয়েছিলাম।’

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এমিরটেস ইকোনমিক জোন একটি টেকসই অর্থনৈতিক অঞ্চল হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট এবং সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির মূল ভীত যেহেতু কৃষি নির্ভর তাই আমরা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা লক্ষনীয় যে বাংলাদেশ এবং ইউএই’র আর্থসামাজিক এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
    ‘বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ইউএই’র মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। যেটা একমাত্র বাংলাদেশের জনশক্তির ইউএই’তে রপ্তানির এক মাত্রিক সম্পর্কে পরিবর্তিত হয়েছে।’

    তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহমুখীকরণ হয়েছে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি, বিনিয়োগ,অবকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা, ব্যবসায় প্রতিনিধি দল আদান-প্রদান, উন্নয়ন সহযোগিতা।

    তিনি বলেন,‘বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি গুলোর একটি।’

    বাংলাদেশের দ্রুত শিল্পায়নের জন্য গ্যাস এবং বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ইউএই’র সঙ্গে জা¡লানি সম্পর্কিত সহযোগিতা আমাদের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করবে।’

    অনুষ্ঠানে রিলাম ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুলতান আল রাশেদ লোটাহ্, এমিরেট ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি আবদুল্লাহ আল কাশিম ও মালাবার গোল্ড’র এমডি (ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন্স) শামলাল আহামেদসহ আরও অনেক ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

     

  • প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফিফা সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফিফা সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শিমুল হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।

    জানা গেছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ফুটবলের প্রসার ঘটাতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

    অন্যদিকে বাংলাদেশের ফুটবলের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ফিফা সভাপতি।

    জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ফিফার পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা নামাঙ্কিত নীল রংয়ের একটি ১০ নাম্বার জার্সি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

    অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীও ইনফান্তিনোর নামাঙ্কিত লাল সবুজের জার্সি ফিফা সভাপতিকে উপহার দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর হাতে উপহার হিসেবে জার্সি তুলে দেন

    ফিফা সভাপতি সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন বেলা ২টা ২০ মিনিটে। ৩টায় হোটেল থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। বিকেল পাঁচটায় লাওসের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি।

    এর আগে ফিফা সভাপতি হিসেবে জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ এবং সেপ ব্লাটার বাংলাদেশ সফরে এসে ছিলেন। ১৯৮০ সালে জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ আসেন বাংলাদেশ সফরে। তারপর সেপ ব্লাটার প্রথমবার ২০০৬ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১২ সালে বাংলাদেশ সফর করে ছিলেন।

    ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো চলতি মাসে এশিয়ায় তার শুভেচ্ছা সফর শুরু করেছেন। সফরের শুরুটা হয়েছে লেবানন থেকে। তারপর তিনি উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে যান। সেখানে দুই কোরিয়ার মধ্যকার একটি প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করেন। পিয়ংইয়ং সফর শেষে তিনি মঙ্গোলিয়ায় যান। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ঢাকায় পা রাখেন তিনি।