Tag: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

  • যারা সাংবাদিক পেটাবে, তাদের কি গলার মালা দিয়ে বাহবা দেবো? প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

    যারা সাংবাদিক পেটাবে, তাদের কি গলার মালা দিয়ে বাহবা দেবো? প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

    ‘যারা সাংবাদিকদের পেটাবে, পুলিশ মেরে ফেলবে, বাসে-ট্রেনে আগুন দেবে, তাদের আমরা কি গলার মালা দিয়ে বাহবা দেবো?’ বিএনপি নেতাদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এদের শাস্তি অবধারিত।

    বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গণভবনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

    তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কিছু নেতা বলেন, এত হাজার মামলা হয়েছে! মামলা হবে না তো কী হবে? যারা সাংবাদিকদের পেটাবে, পুলিশ মেরে ফেলবে, বাসে-ট্রেনে আগুন দেবে, তাদের আমরা কি গলার মালা দিয়ে বাহবা দেবো? যারা এসব করছে, তাদের শাস্তি তো অবধারিত।

    বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়?

    তিনি বলেন, বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। তাই নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি।

  • বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এ দেশ এখন যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলার সমর্থ রাখে।

    আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমাদের সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থানা আইন-২০১২ প্রণয়ন করেছি। দিন দিন দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা আমরা করেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে প্রতিবন্ধীদের চিন্তা করেও আমরা কাজ করছি। আমরা ডেল্টা প্লান ২১০০ হাতে নিয়েছি। যাতে আজকের শিশুর কথাও বিবেচনা করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ একটি ব-দ্বীপ। এ কারণে আমরা সুদূরপ্রসারি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা কৃষক লীগের মাধ্যমে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করেছি। এতে বনভূমি বৃদ্ধি পেয়েছে।

    নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে নদীভাঙন হবে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’
    তিনি বলেন, নদীগুলোয় পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা সেগুলো ড্রজিং করছি। তাছাড়া ভাঙন রোধে নদীশাসন ও বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন রেডক্রসকে সঙ্গে নিয়ে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সে সময় ৪৫ হাজার ভলান্টিয়ারকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন।

    তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্কাউট, বিএনসিসি, গার্লস গাইডও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে যখন ঘূর্ণিঝড় হয়, তখন আমি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। ওই সময় এক অধিবেশনে সরকার দলীয় নেতা বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিল, তত মানুষ মরে নাই। তখন আমি বলেছিলাম, কত মানুষ মরার কথা ছিল, আর কত মানুষ মরেছে? যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সরকার সজাগ না থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
    সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যখনই সরকারে এসেছি, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপালে ভূমিকম্পের সময় আমরা তাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টটি ব্যবহার করতে দিই। প্রতিবেশী দেশগুলো দুর্যোগের সময় এই বিমান বন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।

    বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আশির দশকে কৃষক লীগের মাধ্যমে সারাদেশে পহেলা আষাঢ় থেকে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়। প্রত্যেকে যেন একটি করে গাছ লাগান সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বনভূমি বৃদ্ধিতে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। চট্টগ্রামের ঝাউবন তৈরির ফলে বিশাল এলাকা জলচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পায়। এ ছাড়া বনভূমি সৃষ্টিতে হেলিকপ্টারে করে আমরা পাহাড় অঞ্চলে বীজ ছিটিয়ে দিয়েছিলাম।’

    তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। যে কোনো মনুষ্য সৃষ্টি দুর্যোগ ও প্রাকৃতিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।’

    প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৪ জেলায় ১০০টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় ঘরের উদ্বোধন করেন।

  • প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, সব দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন?

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, সব দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন?

    সব দাবি মেনে নেয়া নেয়ার পরও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির সবগুলোইতো মেনে নিয়েছেন ভিসি। এরপর আন্দোলন করার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে?

    আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের দ্বিতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন দল কর্মীরা অন্যায় করছে আমরা তা দেখিনি। আমরা খুনিকে খুনি হিসেবেই আমরা দেখি। বুয়েটে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যাকাণ্ডের পর কারো আন্দোলনের জন্য অপেক্ষা করি নাই, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। কারো নির্দেশেরও অপেক্ষা করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।

    এদেরকে গ্রেফতার করা এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা। এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ পড়লো বিপদে। এ ভিডিও ফুটেজ যখন সংগ্রহ করছে তখন তারা বাধা দিয়েছিল। কেন বাধা দিয়েছিল আমি জানি না।’

    তিনি বলেন, ‘আমার কাছে পুলিশের আইজিপি ছুটে আসলো কী করবো? আমি বললাম তারা কী চায়? বললেন, তারা কপি চায়। আমি বললাম কপি করে তাদের দিয়ে দাও। তোমরা তাড়াতাড়ি ফুটেজটা নাও। ফুটেজটা নিলেই তো আমরা আসামি চিহ্নিত করতে পারবো, ধরতে পারবো। কে গেছে না গেছে দেখতে পারবো, ধরতে পারবো।

    বুয়েটের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়েছে। তারপরও না কী তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলন কার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে।’

    ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার সময় তিন চার ঘণ্টা সময় নষ্ট না করলে অপরাধীরা আরও আগে ধরা পরত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো কী না, এটার জবাব ওই আন্দোলন যারা করেছে তারা বলতে পারবে, আমি বলতে পারবো না। আমি কিন্তু এক মিনিটও দেরি করি নাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এই ধরণের অন্যায় করলে কখনো এটা মেনে নেওয়া যায় না।