Tag: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী

  • সিলেট যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    সিলেট যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    আগামী মঙ্গলবার (২১ জুন) সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    রোববার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেট যাবেন তা জানি। তবে এখনো সময় চূড়ান্ত হয়নি।

    টানা ভারী বর্ষণ এবং ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের অনেক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সিলেট-সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। অনেক এলাকার সঙ্গে সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    বন্যার কারণে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আক্রান্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী।

    পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটও বন্যার্তদের উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তায় কাজ করছে।

    অনেক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আটকে আছে। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়।

    হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পানি প্রবেশ করায় সেবাদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শহর ও গ্রামের প্রায় সব সড়ক পানির নিচে ডুবে আছে।

    এন-কে

  • প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার প্রদান

    প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার প্রদান

    জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরিকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করেছে।

    স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার গ্রহণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের জনগণকে এটি উৎসর্গ করছেন।’

    মোমেন সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে (এসডিজি) দ্রুত এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে এ পুরস্কার পাওয়াকে দেশের সফলতার গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেন।

    বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন কৌশলবিদ অধ্যাপক জেফ্রি ডি. সচ’র নেতৃত্বে জাতিসংঘ মহাসচিবের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সালে এসডিএসএন প্রতিষ্ঠা করা হয়।

    টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তব ভিত্তিক সমাধান জোরদারে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানোই এ প্লাটফর্মের লক্ষ্য।

    অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শেখ হাসিনাকে ‘জুয়েল ইন দি ক্রাউন অব দি ডে’ হিসেবে তুলে ধরেন এবং সচ বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালেও এসডিজি প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

    এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কার হচ্ছে এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে জোরালো দায়িত্ব পালনের একটি প্রমাণপত্র।’

    প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে আজ আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের যৌথভাবে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরকার প্রধানদের গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন।

    এন-কে

  • নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

    নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

    জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে যোগ দিতে ফিনল্যান্ড থেকে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বিকেলে ৫টা ২৬ মিনিটে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমান বন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতএম শহিদুল ইসলাম।

    এর আগে নিউইর্য়কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯০১ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

    ফিনল্যান্ডে যাত্রাবিরতি শেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯০২ ফ্লাইটে নিউইর্য়ক যান প্রধানমন্ত্রী। নিউইয়র্কে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী সফরকালীন আবাসস্থল লোটে নিউইর্য়ক প্যালেস হোটেলে যান।

    সোমবার নিউইয়র্ক সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উত্তরের লনে বাগানে বৃক্ষরোপণ ও একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থলে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিকেল পৌনে ৩টায় একই স্থানে বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলির সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল ৪টায় সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

    মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেলে সফরকালীন আবাসস্থলে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সফরকালীন আবাসস্থল থেকে ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: ইন্ডিং দ্য প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।

    দুপুর ১২টার দিকে নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমার সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকার প্রধান। বিকেলে ‘রোহিঙ্গা সংকট: টেকসই সমাধান অত্যাবশ্যক’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) অংশ নেবেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ‘ইভেন্ট অব লিডারস নেটওয়ার্ক অন ডেলিভারিং অন দ্য ইউএন কমন এজেন্ডা: অ্যাকশন টু অ্যাচিভ ইকুয়্যলিটি অ্যান্ড কনক্লুশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    দুপুর ১টায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সভাপতিত্বে ‘ফুড সিস্টেমস সামিট অ্যাজ পার্ট অব দ্য ডিকেড অব অ্যাকশন টু অ্যাচিভ দ্য সাসটেইবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজিএস) বাই ২০৩০’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেবেন তিনি। এদিন দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পর্যায়ক্রমে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি নগুইয়েন জুয়ান ফুতের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুপুরে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। রাত ৮টায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেবেন তিনি।

    শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউইর্য়ক থেকে ওয়াশিংটন যাবেন শেখ হাসিনা। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারল্যান্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০৪ যোগে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছাড়বেন শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৮টায় হেলসিংকির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। পৌনে ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারল্যান্সের বিজি-১৯০৫ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন সরকারপ্রধান। শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় তার দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

    এন-কে

  • জিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি, বাক্স সাজিয়ে ঢাকায় আনা হয়: প্রধানমন্ত্রী

    জিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি, বাক্স সাজিয়ে ঢাকায় আনা হয়: প্রধানমন্ত্রী

    জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। একটি বাক্স সাজিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় আর্কাইভ অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ রহিতকরণ বিলের জনমত যাচাই বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।

    তিনি বলেন, জিয়ার মৃত্যু সংবাদের পর তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায় নি। সাজিয়ে একটা বাক্স নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। জেনারেল এরশাদ আমার কাছে লাশ না পাওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্চের ২৬ তারিখ স্বাধীনতা দিবস। তাহলে ২৭ তারিখ ঘোষণা দিয়ে জিয়াউর রহমান কীভাবে প্রথম ঘোষক হন।

    এসময় সরকার প্রধান স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয়েছে। আমরা পরবর্তী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়েছে সরকার। এবার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৯টি জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া গেছে। কয়েকটি জায়গায় অতিবৃষ্টির কারণে ঘর পড়ে গেছে। ৩০০টি জায়গায় ঘরের কাঠামো ভাঙা হয়েছে। এটা তদন্ত করে বের করা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, পরবর্তীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর কংক্রিটের পিলার আর স্টিল দিয়ে করে দেওয়া হবে, যাতে কেউ ভাঙতে না পারে।

    পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে গ্যাসের লাইন, বিদ্যুৎ লাইন সবই করা হচ্ছে। ২০২২ সালের জুনে সেতু চালু করা সম্ভব হবে। মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান।

    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবারসহ সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    করোনার টিকা প্রসঙ্গে বলেন, দেশে টিকা তৈরি করতে দেশীয় ও বিদেশি কোম্পানির মধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। জায়গা বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে।

    মিথ্যা গুজব নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মিডিয়াতে কী লিখল, টক শোতে কী বলল, সেটা দেখে আমি দেশ পরিচালনা করি না। আমি অন্তর থেকে কাজ করি। কে কী বলল, সেটা নিয়ে হতাশ বা উৎসাহিত হই না।

    এন-কে

  • দীর্ঘ বিরতির পর বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে

    দীর্ঘ বিরতির পর বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে

    নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ২ সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাকালে দীর্ঘ ১৯ মাস পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।

    বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সফরে করোনা মহামারির পর প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি।

    জানা যায়, ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর ফিনল্যান্ডে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন তিনি। ১৯-২৪ সেপ্টেম্বর এ ছয়দিন নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি। নিউইয়র্ক সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে যাবেন, সেখানে ২৫-৩০ সেপ্টেম্বর অবস্থান করবেন। ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে ১ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

    নিউইয়র্কে সীমিত আকারে দুই সপ্তাহব্যাপী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে। অধিবেশনের উদ্বোধন করেন সাধারণ পরিষদের সভাপতি আবদুল্লা শহিদ এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জলবায়ু সংকট, সংঘর্ষ এবং কোভিড-১৯-এর এ চ্যালেঞ্জিং বছর মোকাবিলায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আশা ও ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।

    জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস উদ্বোধনী ভাষণে বলেছেন, যে কোন দিক থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্ব সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। মানব সভ্যতার অদৃশ্য শত্রু মহামারি করোনা। এখন সময় তাকে মোকাবিলা করার।

    এবারের অধিবেশনে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন। ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

    এন-কে

  • ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী

    ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী

    জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি হবে তাঁর জাতিসংঘে ১৮তম ভাষণ।

    জাতিসংঘ সচিবালয় উল্লেখ করেছে যে, এ বিশ্বসংস্থার ইতিহাসে আর কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট/প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাগ্য হয়নি।

    সূত্রটি আরও জানিয়েছেন, জাতিসংঘ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রমে অসাধারণ অবদানের জন্য শেখ হাসিনার মতো আর কেউই এত বেশি অ্যাওয়ার্ড লাভেও সক্ষম হননি। শেখ হাসিনার ঝুড়িতে নেতৃত্বে বিচক্ষণতায় মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে সাফল্য প্রদর্শনের ২৭টির অধিক অ্যাওয়ার্ড রয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ অধিবেশনে ভাষণের পর নিউইয়র্কে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস কনফারেন্সেও শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি মিলিত হবেন। প্রবাসীদের একটি সমাবেশেও ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের নামও ঘোষণা করতে পারেন।

    সূত্র জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগের কথা রয়েছে। সেখানে চিকিৎসার ফলোআপ ছাড়াও মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর ভার্চুয়ালি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

    উল্লেখ্য, করোনার কারণে একেবারেই নগণ্যসংখ্যক প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণ করবেন। বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কে আসার পর স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেবেন তিনি। সেখানে বিশ্বনেতারা সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ পেলেও সদস্য দেশসমূহের ডেস্কেও বসবেন সীমিতসংখ্যক কূটনীতিক/পদস্থ কর্মকর্তারা। গণমাধ্যমকর্মীদের গতিবিধিও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।

    সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে জাতিসংঘের টিভি ফুটেজ ও ওয়েবসাইট থেকে।

    এন-কে

  • ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন ও আমাদের প্রত্যাশা

    ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন ও আমাদের প্রত্যাশা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নুর মোহাম্মদ রানা : সুশাসন, গণতন্ত্র ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ নামে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর।

    ঘোষিত ইশতেহারকে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জাতীয় সনদ আখ্যায়িত করে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের, সংসদ সদস্যদের জবাবদিহি নিশ্চিতের, ফোরজি চালু, দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা-দক্ষতা বাড়িয়ে এর কার্যকারিতা বাড়ানো, প্রভাবমুক্ত প্রশাসন গঠনের এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশনকে সংহত করার।

    সে সঙ্গে রয়েছে আগের বারের ইশতেহার ‘দিনবদলের সনদে’র অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি। সরকারের ধারাবাহিকতা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে উচ্চতর এক সোপানে পৌঁছে দেবে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে দারিদ্র বিমোচনই আমাদের সব কর্মকা-ের মূল লক্ষ্য। কেননা দারিদ্র, অসমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্যানিটেশন, মাতৃমৃত্যু, আয়ু, শিক্ষা প্রভৃতি সামাজিক সূচকে দেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয়েছে।

    তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি তার জিরো টলারেন্স নীতিকে আরও জোরদার করেছেন এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের পাশাপাশি সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার, অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি এবং সঠিক উন্নয়নের অগ্রাধিকার বাংলাদেশকে এক অনন্য উন্নয়নের মডেল করে তুলেছে।

    ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব ও অসাধারণ সাফল্য অর্জন শুরু করে এবং তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে বাংলাদেশ এখন বিস্ময়কর উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য উন্নয়নের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ফলস্বরূপ, বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। শেখ হাসিনার সরকার এখন “ভিশন ২০২১” অর্জনের কাছাকাছি।

    তাঁর সরকার ভিশন ২০২১ অর্জনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দর্শনের উপর ভিত্তি করে, বাংলাদেশে এখন একটি বিশাল আর্থ-সামাজিক রূপান্তর শুরু হয়েছে। ভিশন-২১’র পর এবার উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে তৈরি হচ্ছে ‘রূপকল্প-২০৪১’।

    এজন্য নতুন অর্থনৈতিক রূপরেখা তৈরি করছে সরকার। আগামী ২০৪১ সাল সামনে রেখেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতি কমানো এবং সর্বক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করা।

    মূলত এগুলোকে ঘিরে ভবিষ্যত অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করবে সরকার। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে দিকনির্দেশনা ও এ সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

    বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে যে তারুণ্যের তীর, সেই নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে সম্মেলনে বসেছেন টানা প্রায় ১১ বছর দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন সংসদে আর সংসদের বাইরে আওয়ামী লীগের সামনে বড় রকমের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই; যখন দলকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও দুর্নীতিবাজমুক্ত করার কথা বলে আসছেন দলটির শীর্ষ নেতারা; যখন শুদ্ধি অভিযানের ঝড়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর অনেক পুরনো নেতাকে ঝরে যেতে দেখা গেছে।

    এবারের সম্মেলনে তাই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জও পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে তিন যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এখনও কোনা ‘বিকল্প নেই’। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে এবার নতুন নেতৃত্বে জোর দেওয়া হয়েছে।

    আর সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল গত নির্বাচনে আমাদের নেত্রী দেশ ও জাতির কাছে যে এজেন্ডা দিয়েছেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতি পালনে, আমাদের নেত্রীর ভিশন বাস্তবায়নের উপযোগী শক্তি হিসেবে আমরা আওয়ামী লীগের নতুন পুরাতন মিলিয়ে ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তি মিলিয়ে, একটা ফাইন ব্যালেন্স করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।” নির্বাচনী ইশতিহারের প্রতিশ্রুতিগুলো আওয়ামী লীগ পূরণ করবে। কিন্তু সেজন্য শুধু সরকার শক্তিশালী হলে হবে না। দলকেও শক্তিশালী থাকতে হবে। “দলকে শক্তিশালী করা, সুসংগঠিত করা আধুনিক একটা মডার্ন, স্মার্ট একটা পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে আমরা জনগণের সামনে উপহার দেয়া।”

    জানা গেছে, রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানো হবে। বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপনে জোর দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক এ মূল্যায়ন সরকারের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।

    আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যেই চূড়ান্তভাবে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। গত ২০১২ সালে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করার মধ্য দিয়ে দেশের অতি দারিদ্র্যের হার দ্রুত কমে আসছে।

    জানা গেছে, ২০২১ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুত চাহিদা ২০ হাজার মেগাওয়াট ধরে উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী বছরের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, ২০২১ সালের মধ্যে সব মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা, বেকারত্বের হার বর্তমান ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে কৃষি খাতে শ্রমশক্তি ৪৮ থেকে ৩০ শতাংশে নিয়ে আসা, দারিদ্র্যের হার ৪৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ, বঞ্চনা, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তাঁর এই স্বপ্ন ও আদর্শকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এই অল্প সময়ের মধ্যেই সংবিধান এবং অসংখ্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আইনী রূপ দিয়েছিলেন এবং দেশকে একটি শক্তিশালী আইনি ভিত্তির উপর স্থাপন করেছেন।

    তিনি দেশে নতুন আইন তৈরি করে একটি নব্য-রাজনৈতিক এবং নব্য-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর-দর্শিতায় ও বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। উন্নয়নের রোড মডেলে পরিণত হয়েছে দেশ যা অবাক হয়ে তাকাচ্ছে বিশ্ববাসী। আর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নেতৃত্বের ভার দেওয়ার হয়েছে যোগ্য লোকের হাতেই।

    কেননা আগামী ২০২১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন শেষে ভিশন ২০৪১ এর যেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে সেটা বাস্তবায়িত হবে এই নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে। আমাদের প্রত্যাশা নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গগণ তৃণমূল থেকে দলকে গুছিয়ে নতুন মুখ সৃষ্টি করে এবং সরকারের উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছিয়ে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিবে।

    লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিষ্ট ও সাংবাদিক।

  • সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানে রূপ দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী

    সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানে রূপ দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে নবীন সেনা সদস্যসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানে রূপ দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাহিনীকে আধুনিকভাবে গড়ে তোলার জন্য ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু হয়েছে।

    রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারির বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান ও সুযোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে জাতির পিতা যে মিলিটারি একাডেমির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই সফল বাস্তবায়িত রূপ আজকের এই বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)।

    তিনি বলেন, ভাটিয়ারি মিলিটারি একাডেমিকে অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সকল প্রকার অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে।

    বর্তমানে এই একাডেমিতে বিভিন্ন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি অনার্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাডেটদের কমিশন লাভের সময়কাল দুই বছর থেকে তিন বছরে উন্নীত করা হয়েছে। একটি প্রশিক্ষিত ও আধুনিক সেনাবাহিনী গঠনে এই উদ্যোগ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবকাঠামোগত, কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সেনাবাহিনী দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সকল দেশ থেকে আমাদের বাহিনী প্রশংসা অর্জন করেছে।

    নবীন অফিসারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাহিনীর অর্জিত প্রশংসা ও সুনামগুলো অক্ষুন্ন রেখে আরও এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের মানুষ শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে-এটিই আমার প্রত্যাশা।
    সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে তোমাদের পেশাগত জীবনের প্রধান ব্রত।

    তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এ দেশের সন্তান। জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তোমাদের সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। সুযোগ্য নেতৃত্ব, সার্বিক দিকনির্দেশনা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে তোমাদের দেশের সেবা করে যেতে হবে।

    এর আগে সকালে হেলিকপ্টার যোগে সকালে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী মিলিটারী একাডেমীর প্যারেড মাঠে পৌছান। এসময় সেনা প্রধান তাকে স্বাগত জানান। পরে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সমাপনী এবং রাষ্ট্রপতি প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

    অনুষ্ঠানে মাধ্যমে ২৩৪ জন বাংলাদেশী, ২৯ জন সৌদি, ১ জন ফিলিস্তিনি এবং ১ জন শ্রীলংকান ক্যাডেটসহ ২৬৫ জন কমিশন লাভ করেন। এদের মধ্যে ২৭ জন নারী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে নবীন সেনা সদস্যসহ সকলের প্রতি আহবান জানান।

    এবারের বিএমএ দীঘমেয়াদী কোর্সে সিনিয়র আন্ডার অফিসার সাবির নেওয়াজ শাওন সেরা ক্যাডেট হিসাবে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং বরকত হোসেন সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনা বাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। প্রধানমন্ত্রী কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

    রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    এছাড়াও চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধান, আঞ্চলিক অধিনায়কসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, মন্ত্রী-সংসদ সদস্য, কূটনীতিক ও শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মিডিয়ার ভয়ে অনেকে অন্যায় করতে ভয় পায়-বিপ্লব বড়ুয়া

    মিডিয়ার ভয়ে অনেকে অন্যায় করতে ভয় পায়-বিপ্লব বড়ুয়া

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

    ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সরোয়ার আমিন বাবু, কামাল উদ্দিন খোকন, এস এম রানা, ওমর ফারুক, ইফতেখার ফয়সাল, জয়া শর্মা প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি বিপ্লব বড়ুয়াকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

    উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে। স্বাধীন-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমাদের এক থাকতে হবে। সবাই যে আমার দল করবেন-সেটা আমি প্রত্যাশা করি না। আপনারা যে দলই করুন, যে মতাদর্শের হোন না কেন, আপনারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাত করবেন না। কোন ব্যক্তির হয়ে পক্ষপাত করবেন না। এতে আপনারা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

    তিনি বলেন, আমি দেখেছি, অনেক বড় বড় সাংবাদিক দলের প্রতি অন্ধ হয়ে পড়েন। আমি যদি ভুল করি, আর ভুল থেকে যদি শিক্ষা গ্রহণ না করি, তাহলে আমি নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো না। আমার ভুল করার প্রক্রিয়াটা আপনাদের দেখিয়ে দিতে হবে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গণমাধ্যমে কাজের জায়গাটা আগের চেয়ে অনেক বড় হচ্ছে। আজকে অনলাইন পোর্টাল আছে দুই হাজারের উপরে, ৪০টি টিভি চ্যানেল রয়েছে, পত্রিকার সংখ্যা ১২ শতেরও বেশি। মিডিয়া যত বেশি হবে, ততোই সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার জায়গা অনেক বেশি তৈরি হবে। মিডিয়ার ভয়ে অনেকে অন্যায় করতে ভয় পায়।

    উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অন্য মতকে হয়তো আমি পছন্দ করবো না। কিন্তু অন্যের মত শোনার মত সহনশীলতা আমার মধ্যে থাকতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা মেনে চলি। আপনারা নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক, ঘনিষ্ট সম্পর্ক বজায় রাখবেন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে অন্য পেশার মানুষজন আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী হবে।

    লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার সন্তান বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গ্রামের প্রতি আমার টান রয়েছে। ঘরের মানুষ, পাড়ার মানুষের খোঁজখবর নিতে ও রাজনৈতিক কারণে গ্রামে যেতে হয় প্রায়ই। আমরা যে যেখানে আছি, আমরা যদি আমাদের পরিবার, সমাজ এবং আমাদের আশপাশের মানুষের প্রতি দায়িত্বটুকু পালন করি, তাহলে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, অসম্ভব কিছু নয়। আমাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই বোধ, উপলব্ধি থেকে যদি আমাদের গ্রামে যেতে হবে। কারণ আমাদের শিকড় তো সেখানে।

    সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সমস্যা নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসব বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, এলাকার জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের নিয়ে আসা যায়। এর ফলে এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধান হবে বলেও মত দেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।