Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • ন্যাম সম্মেলন শুরু,যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাম সম্মেলন শুরু,যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

    আজারবাইজানের বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ১২০টি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে দুদিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

    আজ শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন।

    পরে সন্ধ্যায় হেয়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন তিনি।

    আর আগামীকাল যোগ দেবেন সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে। এছাড়াও, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চ ও সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের সফরে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

    আজারবাইজানে চার দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী রবিবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বাকু হেইদার আলিয়েব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

    ন্যাম বিশ্বের ১২০টি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি ফোরাম, যা বড় কোনও পাওয়ার ব্লকের সঙ্গে বা বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত নয়। জাতিসংঘের পর এটি বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রগুলোর বৃহত্তম গ্রুপিং।

    ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসিপ ব্রোজ টিটোর উদ্যোগে ১৯৫৫ সালে বানডং সম্মেলনে সম্মত নীতিমালা প্রণয়নের পর ১৯৬১ সালে যুগোস্লাভিয়া বেলগ্রেডে ন্যামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ভেনেজুয়েলার মারগারিটা দ্বীপে ২০১৬ সালে ১৭তম ন্যাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো হলেন চলতি ন্যাম সম্মেলনের চেয়ারপারসন।

  • আজারবাইজানের পথে প্রধানমন্ত্রী

    আজারবাইজানের পথে প্রধানমন্ত্রী

    ১৮তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

    ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে আজারবাইজানে রাজধানী বাকুর হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

    আগামীকাল বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সরকারপ্রধান।

    পরে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রতিনিধি দলের প্রধানদের জন্য দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

    সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন।

    এছাড়া সম্মেলনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। সফর শেষে আগামী রোববার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী

  • আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক হচ্ছে বিমান ভ্রমণ : প্রধানমন্ত্রী

    আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক হচ্ছে বিমান ভ্রমণ : প্রধানমন্ত্রী

    বিমান ভ্রমণ আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আধুনিক ও পেশাদার বিমানবাহিনী গঠনে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিউইর্য়ক, টরেন্টো ও সিডনিতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় বিমান বাংলাদেশ।

    বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেফটি সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন করতে দেশের বিমানবন্দরগুলোকে আধুনিকায়নের কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার কাজ চলছে, যেন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও যেন তা ব্যবহার করতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আকাশপথে বিশ্বের দূরবর্তী গন্তব্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার। এজন্য আরও দুটি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, বিমান বাহিনীকে সবদিক থেকে সচ্ছল বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এর জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ক্রয়সহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজও চলছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচলে ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বিমান বাংলাদেশেরও উন্নয়ন করা হচ্ছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, সামরিক কৌশলগত দিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও পেশাদার বিমান বাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে ১৯৭৩ সালে সে সময়ের সব থেকে আধুনিক মিগ ২১ সুপারসনিক ফাইটার বিমানসহ পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, এয়ার ডিফেন্স, রাডার ইত্যাদি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছিল।

    প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও জানান, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন পুনরায় সরকার গঠন করে, তখন আবার আমরা বিমান বাহিনীকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি। এবং সেসময় আমরা চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান মিগ ২৯, ইয়ার ১৩০, আধুনিক পরিবহন সি ১৩০ সহ আরও বেশ কিছু বিমান বাহিনীতে সংযোজন করি।

    শেখ হাসিনা জানান, ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করি। তখন আমরা বিমান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি রক্ষাণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জনের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিই। আমরা ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু এরোনোটিক্যল সেন্টার স্থাপন করেছি। নিকট ভবিষ্যতে এই সেন্টারে যুদ্ধ বিমানসহ বর্তমানে ব্যবহৃত বেসামরিক বিমানও মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আশা রাখি।

    এসময় তিনি আরও বলেন, বিগত পৌনে ১১ বছরে বিমান বহরে আমরা বোয়িং কোম্পানির চারটি অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি বিমান সংযুক্ত করেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আকাশ পথে স্থাপন করতে চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি, নিউইয়র্ক, টরেন্টো, সিডনির মতো দূরবর্তী গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারব। এ লক্ষ্যে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটিকে ক্যাটাগরি ১ এ উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে।

    এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের যৌথ ব্যবস্থাপনায় তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেইফটি সেমিনার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ঢাকায় শুরু হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সেমিনার উদ্বোধন করেন।

    এ সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য নিরাপদ উড্ডয়ন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ, তদন্ত, উড্ডয়ন ঝুঁকি হ্রাসকরণ এবং সর্বোপরি নিরাপদ উড্ডয়নের ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময় এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করা।

    উড্ডয়ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, স্বাগতিক বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সৌদি আরব, মিসর, ওমান, মরক্কো, নাইজেরিয়া এবং জিম্বাবুয়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

    সেমিনারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্ট গার্ড, এমআইএসটি, বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশন, পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লি., ফ্লাইং ক্লাবসহ নভোএয়ার, ইউএস বাংলা, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ, মেঘনা এভিয়েশন গ্রুপ, আর অ্যান্ড আর অ্যাভিয়েশন, স্কয়ার প্রমুখ সংস্থা বাংলাদেশে বিদ্যমান সরকারি বেসরকারি সব এয়ারলাইন্স অংশগ্রহণ করে।

  • মাশরাফিকে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাশরাফিকে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ক্রিকেটারদের মাঝে চলমান সংকট নিরসনে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এমপিকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার বিকেলে বেতন-ভাতাদি বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন ক্রিকেটাররা। দাবি-দাওয়া না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

    এ অবস্থায় মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মঙ্গলবার তলব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটের চলমান সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে।

    মাশরাফি এখনও অফিসিয়ালি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। ক্রিকেটের যে কোনো সংকটকালে তার অগ্রণী ভূমিকা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। যদিও তাকে ছাড়াই দাবি-দাওয়া আদায়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ আছে তার, সাকিবদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সমর্থনও দিয়েছেন তিনি।

    এ বিষয়ে বিসিবির সহ সভাপতি মাহাবুবুল আনাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ডেকেছিলেন। তার কাছ থেকে ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেছেন। এরপর মাশরাফিকে দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটারদের মাঠে ফিরে আসার বার্তা দিতে।’

    আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের কাছে এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিসিবি আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পেয়ে ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরে আসবেন। জাতীয় লিগ এবং ভারত সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তারা।

    আপাতত তাই বিসিবি ও ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নিতে চলেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি।

    সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে কথা বলে আজ একটা সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা।

    বোর্ড কর্মকর্তারা এখন চেয়ে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার দিকে। কয়েক মাস ধরে মাশরাফি নিজেই ক্রিকেট থেকে কিছুটা দূরে আছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আবারও চেনা আঙিনায় ফিরতে হচ্ছে তাকে। ক্রিকেটারদের বোঝাতে হচ্ছে দেশের স্বার্থে ফিরে আসতে হবে মাঠে।

  • ‘নিয়মের বাইরে গাড়ির সাইজ বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ’

    ‘নিয়মের বাইরে গাড়ির সাইজ বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ’

    নিয়মের বাইরে গিয়ে গাড়ির সাইজ বা ট্র্যাকের সাইজ যারা বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০১৯ উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পথচারী ও যারা গাড়িতে চড়েন তাদেরও দায়িত্ব আছে, যারা চালান তাদেরও দায়িত্ব আছে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালক দায়ী নয় উল্লেখ করে তা প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। উপজেলা পর্যায়েও চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাস্তা যখন তৈরী করা হয়, সেখানে কত ফিট রাস্তায় কত সাইজের গাড়ি চলবে, দুটো গাড়ি চলতে গেলে কি সাইজের গাড়ি চলতে পারে এগুলো কিন্তু সাইন্টিফিক্যালি হিসেব করে তৈরী করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা দেখি যখন একটা বাস তৈরী করা হয় তাতে আরও ৪টা সিট বাড়ানোর জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বাড়ানো হয়।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যখন একটা ট্রাক তৈরী করা হয় তখন লোহার ক্ল্যাম্ব দিয়ে দু’পাশ বাড়িয়ে দেয়া হয়, যাতে বেশি মাল নিতে পারে। তাতে রাস্তার যতটুকু দখল করার কথা তার থেকে বেশি দখল করে নেয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়গুলো আমি সব সময় সড়ক পরিবহন মন্ত্রালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের জানিয়েছি। যেহেতু এখানে মন্ত্রী সচিব আছে সবাইকে বলছি, আবার কেউ যদি এ ধরনের নিয়মের বাইরে গাড়ির সাইজ বা ট্র্যাকের সাইজ বাড়ায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় চালকদের প্রশিক্ষণের দিকেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

    অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, সাবেক নৌ মন্ত্রী শাজাহান খানসহ সড়ক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।

    এ সময় নিরাপদ সড়কের জন্য ‘ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্যাটিজিক অ্যাকশন প্ল্যান-২০১৭’ বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এছাড়া এ সময় তিনি সরকারের অন্যান্য পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।

    সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু চালক ও রাস্তার দোষ দিলে হবে না এমন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটওভার ব্রিজ আছে, তরুণরা তা ব্যবহার না করে রাস্তা পার হয়। তার যদি দুর্ঘটনা হয়, সেটার জন্য আমি চালককে দায়ী করবো কিভাবে। গাড়িতে বসে বাসের বাইরে হাত ঝুলিয়ে রাখা যাত্রীদের নিয়ম না। কাজেই দয়া করে কেউ বাসের জানালা দিয়ে হাত ঝুলিয়ে রাখবেন না। এমন করলে দুর্ঘটনা হবেই। তার জন্য অন্যকে দায়ী করলে কোন লাভ হবে না।

    তিনি বলেন, চালকরা বেশি সময় গাড়ি চালানোর কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সচেতন হওয়া আমার মনে হয় একান্তভাবে দরকার। চালকদের ‘ওভার টেকিং’য়ের অসুস্থ্য প্রতিযোগিতার কারণেও দুর্ঘটনা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় ফিটনেস বিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সরকার চালকদের বিশ্রামের জন্য বিশ্রামাগার তৈরীর ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই ৪টি জায়গায় নির্দ্দিষ্ট করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশেই ‘বিশ্রামাগার’ করে দেন। যারা গাড়ি চালক তারা যেন বিশ্রাম নিতে পারে সেই সুযোগ থাকবে। সেখানে চালকদের জন্য সুবিধা থাকবে। সেখানে গাড়ির তেল নিতে পারবে, যাত্রীরা নামতে পারবে এবং টয়লেটেরও ব্যবস্থা থাকবে।

    এ সময় চালকদের প্রশিক্ষণের দিকে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন যারা চালক আসবে তাদের জন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমি দেখেছি, যেখানে স্কুল ও বেশি সংখ্যায় মানুষ রাস্তা পারাপার হয়, সেখানে ওই প্রতিষ্ঠান বা স্কুলের একজন শিক্ষক কিংবা প্রতিনিধি যে কেউ থাকে, সঙ্গে ট্র্যাফিক পুলিশের থাকে। তারা রাস্তা পারাপারে সাহায্য করে। এভাবে ছেলে মেয়েদের পার করে দেয়। ঠিক এভাবে কারখানাসহ যেখানে অধিক সংখ্যাক লোক চলাচল করে তাদের পারাপারের ব্যবস্থাও করে দিতে হবে।

  • ইডেনে বেল বাজাবেন প্রধানমন্ত্রী,প্রথম টেস্টের সবাই আমন্ত্রিত

    ইডেনে বেল বাজাবেন প্রধানমন্ত্রী,প্রথম টেস্টের সবাই আমন্ত্রিত

    ভারত-বাংলাদেশ ইডেন টেস্ট নিয়ে বেশ উৎসাহ কলকাতায়। নভেম্বর বাংলাদেশ দল ভারত সফরে যাওয়ার কথা। ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের কারণে সেই সফর শঙ্কায় পড়লেও ভারত বাংলাদেশের সফর নিয়ে বেশ আশাবাদী।

    শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারত সফরে গেলে কলকাতায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ঐতিহাসিক মুহূর্তের অবতারণ হবে। ২২ নভেম্বর কলকাতায় শুরু হবে স্বাগতিক ভারত ও সফরকারী বাংলাদেশের মধ্যকার ইডেন টেস্ট। ঐ টেস্টে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত থাকার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত। আমন্ত্রণ করা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও।

    ইডেনে দুই দলের প্রথম টেস্টে ভেন্যুটির ঐতিহাসিক বেল বাজিয়ে ম্যাচ শুরু করবেন শেখ হাসিনা। নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেখ হাসিনার সাথে থাকার কথা রয়েছে।

    ২০০০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল ভারতের বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি, দলের নেতা হিসেবে যা ছিল তার প্রথম টেস্ট।

    সৌরভ কদিন আগেই ছিলেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) প্রধান, এখন আবার তিনি ভারত ক্রিকেটের অভিভাবক তথা বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট। ইডেন টেস্ট স্মরণীয় করে রাখতে তার চেষ্টার কমতি নেই। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সৌরভের অভিষেক ম্যাচে অর্থাৎ বাংলাদেশ-ভারতের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে যারা খেলেছিলেন, তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে ইডেন টেস্টে।

    ইডেন টেস্ট শুরুর দিন শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানাবে সিএবি। এছাড়া সম্মাননা জানানো হবে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের সদস্যদেরও, যারা সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারতের মাটিতে টাইগারদের ইতিহাসের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন।

  • আজ প্রধানমন্ত্রীর সাথে যুবলীগ নেতৃবৃন্দের বৈঠক

    আজ প্রধানমন্ত্রীর সাথে যুবলীগ নেতৃবৃন্দের বৈঠক

    আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে যুবলীগের নীতিনির্ধারণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

    তবে এ বৈঠকে থাকছেন না যুবলীগের আলোচিত সমালোচিত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

    গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চতি করেছেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। বৈঠকে যুবলীগের কাউন্সিল ও সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

    আজ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে এ বৈঠক করবেন তিনি।

    এর আগে ৯ অক্টোবর যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের চার সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

    ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    যুবলীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল সাত বছর আগে। ২০১২ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় তিন বছর মেয়াদি সর্বশেষ সম্মেলন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এরপর ২০১৫ সালে পরবর্তী সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মূলত সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের অনীহার কারণেই নির্ধারিত সময়ের পরও সম্মেলন করা যায়নি বলে অভিযোগ কয়েকজন যুবলীগ নেতাদের।

  • সাংসদ বুবলীকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    সাংসদ বুবলীকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলীকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আলোচনা-সমালোচনার মুখে শনিবার বুবলীকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রসঙ্গত, উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট লাভের আশায় প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নেন নরসিংদীতে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী।

    নিজে পরীক্ষা না দিয়ে পর পর ৮টি পরীক্ষায় অংশ নেয় তার পক্ষে আটজন প্রক্সি পরীক্ষার্থী। বিএ পরীক্ষার শেষ পরীক্ষা দিতে গিয়ে হলে হাতেনাতে ধরা পড়েন এশা নামে এক শিক্ষার্থী। তাই তাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    একই সঙ্গে জালিয়াতির বিষয়টি অনুসন্ধানে কলেজের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহিলা এমপি বুবলীর এই জালিয়াতির খবর বেরিয়ে আসলে এলাকায় নিন্দা সমালোচনার ঝড় উঠে।

    জানা গেছে, নরসিংদী ও গাজীপুর আসনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী। তিনি নরসিংদী পৌরসভার প্রয়াত মেয়র ও সাবেক শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের স্ত্রী।

    তার দেবর কামরুজ্জামান কামরুল নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপর দেবর শামীম নেওয়াজ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

    হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুবলী এইচএসসি পাস। উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট লাভের আশায় তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি হন। এ পর্যন্ত চারটি সেমিস্টারের ১৩টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

    অভিযোগ রয়েছে ১৩টি পরীক্ষার একটিতেও স্বশরীরে অংশ নেননি তিনি। তার পক্ষে একেক সময় একেকজন অংশ নিয়েছে। আর এমপির প্রক্সি প্রার্থীকে সুবিধা দিতে পরীক্ষাকে কেন্দ্রসহ হল পাহারায় থাকতেন এমপির লোকজনসহ ক্যাডার বাহিনী। তাই ভয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেউই মুখ খুলতে পারে না। সর্বশেষ শুক্রবার পরীক্ষা দিতে এসে প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশা হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।

    প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশা নিজেকে তামান্না নুসরাত বুবলী হিসেবে দাবি করেন। তবে ছবি সংবলিত প্রবেশপত্র দেখাতে পারেনি। এমপি তামান্নার পরীক্ষা কিভাবে দিচ্ছেন তা জানতে চাইলে তার কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেনি প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশা।

    ভুয়া বা প্রক্সি পরীক্ষায় অংশ নেয়া একজন পরীক্ষার্থীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার বিধান থাকলেও এর কিছুই করেননি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। অনেকটা বীরদর্পেই হল থেকে বেরিয়ে যায় ওই পরীক্ষার্থী।

    নরসিংদী সরকারি কলেজ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/হল ইনচার্জ প্রফেসর শফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার্থীর ছবি সংবলিত প্রবেশপত্র ছিল না। প্রবেশপত্র নাকি হারিয়ে গেছে। তাই থানার জিডি কপি নিয়ে পরীক্ষা হলে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসছে। তাই আমরা চিনতে পারিনি।

    বিষয়টি জানার পর প্রক্সি পরীক্ষার্থী এশাকে আটক করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দায়িত্বে ছিল একজন পুলিশ সদস্য। তাই কথা বলার ফাঁকে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে পরে অনেক পুলিশ সদস্যই কলেজে এসেছেন।

    এ সব বিষয়ে নরসিংদী সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি তামান্না নুসরাত বুবলীকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন রেখে দেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ব্যস্ত পাওয়া যায়।

    নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান আকন্দ বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেয়া তামান্না নুসরাত বুবলীর সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তাকে পরীক্ষা থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জালিয়াতির বিষয়টি অনুসন্ধানে কলেজের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

  • রাসেলের স্মৃতিচারণায় অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী

    রাসেলের স্মৃতিচারণায় অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ছোট ভাইয়ের স্মৃতি হাতড়ে কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে রাসেল বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অনেক কিছু করত বলেও আফসোস করেন প্রধানমন্ত্রী।

    শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ রাসেল সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগঘন কণ্ঠে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আজকে ৫৪ বছর বয়স পূরণ করেছে রাসেল। আজ তাকে দেখতে কেমন লাগতো? আমার ভাইকে দেখতে কেমন লাগতো? আজকে রাসেল আমাদের মাঝে নেই। আমি আমার রাসেলকে হারিয়েছি। কিন্তু লাখো রাসেলকে পেয়েছি।’

    বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘রাসেলের জন্ম হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। ঠিক যেই মুহূর্তে রাসেল জন্মায় তখন আব্বা খুব ব্যস্ত। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ফাতেমা জিন্নাহ প্রার্থী। তিনি সেই নির্বাচনে প্রচারণার কাজে চট্টগ্রামে ছিলেন। অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন। রাসেলের জন্ম হওয়ার পর আমরা তাকে খবর দিই।’

    রাসলকে স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চার ভাই-বোন উদ্বিগ্ন হয়ে বসে ছিলাম এই ছোট্ট শিশুটির জন্ম মুহূর্তটা এবং তারপর তাকে কোলে নেয়া। তাকে লালন-পালন করা তার পাশে থাকে। জাতির জনক ৬৭ সালে যখন কারাগারে গেলেন রাসেলের বয়স তখন দুই বছরও হয়নি। তখনই সে বাবার স্নেহ বঞ্চিত হলো।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কারাগারে যেতাম আব্বার সঙ্গে দেখা করতে। রাসেল কিছুতেই আসতে চাইতো না। সে বাবাকে ছাড়া আসবে না। বাবাকে নিয়ে ঘরে ফিরবে। সেই সময় আমার বাবা বলতে বাধ্য হলেন, এটা আমার বাড়ি। আমি আমার বাড়িতে থাকি। তুমি তোমার মায়ের বাড়িতে যাও। তখনও সে ভালো করে কথাও বলতে পারে না। তারপরে সে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করত। তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে আসতে হতো।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে দিন আমরা জেলখানায় দেখা করতে যেতাম সেই দিন সে খুব অস্থির থাকত। ঘুমাতে চাইতো না, খেতে চাইতো না। অনেক সময় মধ্য রাতে উঠে বসে থাকতো, আমাদের সবাইকে ডাকতো। আমরা সব ভাই-বোন গিয়ে তার কাছে বসতাম। সে কিছু বলতে পারছে না। সে তার মনের ব্যথাটা জানাতে পারছে না। কিন্তু তার বেদনাটা আমরা বুঝতে পারতাম।’

    ১৯৭৫ সালে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী, তিন পুত্র দুই পুত্রবধূসহ মোট সাতজনকে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়িতে হত্যা করা হয়। দেশের বাইরে থাকা বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে রক্ষা পান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দরিদ্র মানুষের সঙ্গে নিজের খাবার ভাগ করে খেতেন। তিনি সব সময় তা করতেন। ঠিক সেই গুণটি রাসেলের মধ্যেও ছিল। গ্রামে গেলে দরিদ্র শিশুদের যে কিছু দিতে হবে তা সে চিন্তা করতো। রাসেলের খুব শখ ছিল বড় হয়ে সে আর্মি অফিসার হবে। সে কাঠের বন্দুক বানাতো। সেটা নিয়ে খেলা করতো।’

    ‘শিশুদের প্রতি তার দরদ ছিল। শিশুদেরকে সে কিছু না কিছু দিতো। বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারতো রাসেল। কিন্তু ঘাতকরা একজন ছোট্ট শিশুকেও বাঁচতে দেয়নি।’

    ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম নেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় রক্ষা পাননি শিশু রাসেল। তখন তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

  • বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকিতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকিতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর তদারকিতে কঠোরভাবে নিয়মকানুন অনুসরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘আইনের বাইরে যাবেন না এবং দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকি করার ক্ষেত্রে নিয়মগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করুন।’

    ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে গেলে শেখ হাসিনা তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিয়মের বাইরে যাবেন না। যথাযথভাবে নিয়ম মেনে চলবেন।’

    পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আইন কার্যকরের মাধ্যমে ইউজিসিকে শক্তিশালী করা হবে জানিয়ে কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অধিভুক্ত কলেজগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য ইউজিসিকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    এর আগে দেশের উচ্চ শিক্ষা বিশেষ করে সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীকে ইউজিসির কর্মকাণ্ড ও উন্নয়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

    অধ্যাপক শহীদুল বলেন, দেশে বর্তমানে ১৫৫টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
    তিনি বলেন, তারা এরমধ্যে অন্তত ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন।

    এত বিপুল সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যবেক্ষণে ইউজিসির জনবল আগের মতোই রয়েছে। ব্যাপক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে দেখভালের জন্য জনবল বাড়ানোর প্রয়োজনের কথাও জানান তিনি।

    ড. শহীদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে আরও অবহিত করেন যে, ইউজিসি ইতিমধ্যে গবেষণা নীতিমালা প্রস্তুত করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মতো (বিপিএটিসি) শিক্ষকদের জন্যও একটি প্রশিক্ষণ একাডেমির তাগিদের কথাও জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।

    প্রেস সচিব জানান, সাক্ষাতে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ঠিকমতো আইন-কানুন অনুসরণ করছে কিনা, সেটা নজরদারি করতে ইউজিসি ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিহ্নিত করেছে।’

    ইউজিসি কঠোরভাবে বিদ্যমান আইন-কানুন অনুসরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে কাউকেই প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।’

    এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

  • রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি বিশেষ করে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও পরবর্তীতে ভারত সফর নিয়ে আলোচনা করেন।’

    তিনি বলেন, সরকার প্রধান রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফর সম্পর্কে অবহিত করেন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এ সংক্রান্ত দু’টি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী গত ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে ৪ দিনব্যাপী ভারত সফর করেন। এ সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

    এর আগে ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে ৮দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।

    প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি হামিদ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফরকালে তিনটি মর্যাদাবান পুরস্কার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

    যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সফল টিকাদান কর্মসূচি ও যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।

    গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এন্ড ইমিউনাইজেশন প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়া তাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ পুরস্কারও প্রদান করা হয়।

    পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লীতে আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার-২০১৮’ লাভ করেন। এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা নয়াদিল্লীর তাজমহল হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করে।

    প্রেস সচিব বলেন, বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পরস্পরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

    প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম এক তোড়া ফুল দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

    প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপতিকে একটি ফুলের তোড়া উপহার দেন।

  • ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন

    ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন

    কুড়িগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এর ফলে যাতায়াতে দীর্ঘদিনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলছে উত্তরের এই জেলার বাসিন্দাদের।

    বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সবুজ পতাকা নেড়ে ও বাঁশিতে হুইসেল দিয়ে নতুন ট্রেনটির উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

    ট্রেনটি উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কুড়িগ্রামকে আমি মজা করে বলতাম কুইড়্যা গ্রাম। এখন আর কুইড়্যা গ্রাম নেই। অনেক উন্নত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিটাও প্রয়োজন। আর যেন উত্তরবঙ্গবাসীকে মঙ্গা শব্দটা শুনতে না হয় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষ করে কুড়িগ্রোমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘ও কি গাড়ি ভাই’ ভাওয়াইয়া গান পরিবেশ করা হয়। গান শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রেলের উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এতে এলাকারও উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রামের আগামী অনেক উন্নয়ন হবে। ও কি গাড়িয়াল ভাই গানের রেশ ধরেই আমি বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে।’

    ট্রেনটি আজ উদ্বোধন করা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনের। কুড়িগ্রামবাসী প্রথমবারের মতো নতুন এই আন্তঃনগর ট্রেন পাওয়ায় জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

    জানা গেছে, ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতি বুধবার ছাড়া ছয় দিনই সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ১৪টি বগি নিয়ে যাতায়াতে রংপুর-বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর-জয়পুরহাট, সান্তাহার-নাটোর, মাধনগর-টাঙ্গাইল, মৌচাক-বিমানবন্দর এই ১০টি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামায় বিরতি থাকবে।

    রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাত হোসেন জানান, ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা-কুড়িগ্রামের ২৮৬.৮ মাইল পথ পাড়ি দেবে। কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাত্রাকালে মোট ৬৫৭টি আসন সুবিধা এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাত্রাকালে ৬৩৮টি আসন সুবিধা থাকবে। শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৮০৪ টাকা আসন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে।