Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • বাংলাদেশে বিনিয়োগের উত্তম পরিবেশ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশে বিনিয়োগের উত্তম পরিবেশ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

    দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ বিরাজ করছে জানিয়ে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের প্রতি শিক্ষা, অটোমোটিভ শিল্প ও হাল্কা প্রকৌশল শিল্পে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।

    বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে বাংলাদেশের ওপর কৌশলগত আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

    শেখ হাসিনা বলেন, এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষা, হাল্কা প্রকৌশল শিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প, অটোমোটিভ শিল্প, কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করার সময়।

    তিনি বলেন, আজ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি স্বাধীন ও উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরদের জন্য আইনি সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেস্ট্রিকটেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাবার সুবিধাসহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।

    বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ১২টি অঞ্চল ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। দুটি অঞ্চলকে ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবণী প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক প্রস্তুত করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশর এই ব্যাপক উন্নয়নের জন্য সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রশংসা করে বলেন, ‘অনেকেই বাংলাদেশকে ৩ কোটি মধ্য ও উচ্চবিত্ত মানুষের একটি বাজার’ ও ‘অলৌকিক উন্নয়নের’ হিসেব দেখে থাকেন।

    তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের প্রধান শক্তি হচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের প্রতি মানুষের আস্থা। সাম্যতা, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি আমাদের নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা।

    ৪০টি দেশের ৮০০ প্রতিনিধি দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। আগামীকাল সম্মেলন শেষ হবে। সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • দিল্লীর পথে প্রধানমন্ত্রী

    দিল্লীর পথে প্রধানমন্ত্রী

    চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সকাল ০৮টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০৩০ ভিভিআইপি ফ্লাইটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে তিনি রওনা হন।

    এ সফরকালে আগামী ৩-৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    সফরকালীন আগামী ৫ অক্টোবর (সোমবার) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এছাড়া দিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিট’-এর প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সামিটে বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি ডায়ালগে যোগ দেবেন তিনি।

    এদিকে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর প্রসঙ্গে ভারতের বহিঃসম্পর্ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই সফরকালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতা আলোচনা করবেন দু’দেশের দুই সরকার প্রধান, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হবে মিত্র রাষ্ট্র দু’টির দ্বিপাক্ষীক সম্পর্ক আরো জোরদার করার প্রসঙ্গটিতে।

    এছাড়া এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যৌথভাবে তিনটি নতুন দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পেরও শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

    প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জনমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এটাই হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম ভারত সফর।

    ভারতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্ধারিত সফরসূচির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মাঝে রয়েছে, আগামী ৫ অক্টোবর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত।

    এ ছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন শেখ হাসিনা।

    এর আগে সামিটের সমাপনী দিনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ হাই কমিশনের মৈত্রী হলে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজে অংশ নেবেন।

    প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সফর সংক্রান্ত ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য মতে, ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। একইদিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিময় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে।

    এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) ভারতের তিনটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন। পাশাপাশি ভারত সফররত সিঙ্গপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেঙ সোয়ে কীট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা যায়।

    সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউজে আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় যোগ দেবেন এবং পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করবেন।

    এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের দায়িত্ব প্রাপ্ত, ভারতের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গেছে।

    ৪ দিনের এই সফর শেষে আগামী ৬ অক্টোবর (রোববার) দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নসরুল এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

  • প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী থেকে হুইপপুত্র শারুন বাদ

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী থেকে হুইপপুত্র শারুন বাদ

    অডিওকাণ্ডে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরসঙ্গী থেকে বাদ পড়েছেন সরকার দলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

    জুয়া ও চলমান অভিযানে বিরুদ্ধে পিতার অবস্থান, মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারার হুমকির অডিও ও একে-৪৭ রাইফেল কাণ্ডই কাল হলো তার।

    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার পক্ষে পিতা সামশুল হক চৌধুরীর অবস্থান এবং শারুনের নিজের বিতর্কিত অডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় তুলেছে। এই তথ্য সরকারি নীতি-নির্ধারকদের কাছে পৌঁছালে হুইপপুত্র শারুনকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের তালিকা থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে শারুন বলেন, ‘এটি বোগাস খবর। আমাকে কে বাদ দিয়েছে নাম বলতে বলুন। চট্টগ্রাম চেম্বার অনেকের নাম দিতে পারে। ফাইনাল সিদ্ধান্ত দেয় এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআইয়ের চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম ছিল না। তাছাড়া আমার বাবাকে এই অবস্থায় রেখে আমার দেশের বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সরকারের ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী। এরই মধ্যে পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরীর একটি অডিও গণমাধ্যমে আসে।

    অডিওটিতে শারুন নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে চড় মেরে দাঁত ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। এই অডিওটি চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে শুটিংয়ের একটি ভিডিও চিত্রও নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়েন নাজমুল করিম চৌধুরী।

    একইসঙ্গে হুইপের বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে জড়িত থাকা এবং হকার থেকে কোটিপতি বনে যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। এর প্রেক্ষিতে সারাদেশেই শারুনকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

  • উন্নয়নের উইপোকা ধ্বংসের দৃঢ় প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

    উন্নয়নের উইপোকা ধ্বংসের দৃঢ় প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তাঁর সরকার দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ উইপোকায় ধ্বংস করা থেকে রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

    প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার দেশের প্রথম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর মাধ্যমে সকল দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলের বাণিজ্যিক ট্রান্সমিশনের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা চলতি বাজেটে ১৭৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ উইপোকাড়া উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকালে অর্থ লুটে নিচ্ছে। দেশের উন্নয়নের জন্য জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের প্রতিটি পয়সার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য আমাদের ওইসব উইপোকাকে আটক করতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যহত রাখব। এই সব অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলে দল, পরিবার নির্বিশেষে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। আমি দেশের দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।’

    প্রধানমন্ত্রী কোন ধরনের প্রপাগান্ডা বা অপপ্রচার না করার জন্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, অপপ্রচারগুলো সরকারের বিরোধিতার নামে মানুষের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।
    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে আরেকটি আবেদন রাখতে চাই। আপনারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরুন যাতে করে দেশবাসীর মনে সরকারের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি হয় এবং তারাও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারে।’

  • বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক সেবা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক সেবা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের বাণিজ্যিক সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সম্প্রচারের ফলে কমে যাবে টেলিভিশনের প্রচার ব্যয়।

    এসময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল। আমি বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী, ডিজিটাল শব্দটি আমি জানতাম না। এটা আমাকে দিয়েছিল সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আজ আমি খুবই আনন্দিত যে দেশের সব টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যকম শুরু করেছে। এতোদিন আপনা দেশের বাইরে টাকা পাঠাতেন। এখন আপনাদের অনেক টাকা বেঁচে গেলো।

    এর আগে গত ১৯ মে বিসিএসসিএল বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল সময় টিভি, যমুনা টিভি, দীপ্ত টিভি, বিজয় বাংলা, বাংলা টিভি ও মাই টিভির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার নিয়ে একটি চুক্তি করে। পাশাপাশি বিটিভির চারটি চ্যানেল অনুষ্ঠান সম্প্রচারে এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে।

    এ বিষয়ে বিসিএসসিএল কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে টেলিভিশনগুলোর সঙ্গে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। দেশের সকল টিভি চ্যানেলের তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর ৫টি ট্রান্সপন্ডারের সামর্থ্য প্রয়োজন হবে। এছাড়াও বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানি আকাশ ছয়টি ট্র্যন্সপন্ডার ভাড়া নিয়ে ডাইরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ স্যাটেলাইট টিভিতে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।

    টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাটকো) একটি প্রতিনিধি দল গত ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, আগামী ২ অক্টোবর বিএস-১ এর মাধ্যমে সকল বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু করতে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি টিভি চ্যানেল মালিকদের খরচ কমিয়ে আনতে আর্থ স্টেশন স্থাপনের পরিবর্তে এর গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে বিসিএসসিএল সকল টিভি চ্যানেলকে সংযুক্ত করা হচ্ছে।

    ফ্রান্সের প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস গত নভেম্বর মাসে বিএস-১ এর নিয়ন্ত্রণ কর্তৃত্ব বিসিএসসিএল’র কাছে হস্তান্তর করে। ২০১৮ সালের ১২ মে ফ্লোরিডা থেকে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হয়। বিএস-১ এর প্রথম পরীক্ষামূলক সম্প্রচার করা হয়, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) চ্যাম্পিয়ন-২০১৮ অনুষ্ঠান সফল সম্প্রচারের মাধ্যমে।

    পাশাপাশি বিসিএসসিএল আমাদের প্রতিবেশি চারটি দেশসহ ছয়টি দেশে বিএস-১ এর বাজারজাত ও বিক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক কনসালটেন্সি ফার্ম থাইকন দুই বছরের জন্য ভাড়া করা হয়। থাই ফার্মটি বতর্মানে বিশ্বের ২০টি দেশে কাজ করছে। ১১৯.১ পূর্ব জিওস্টেশনারি স্লটে অবস্থিত বিএস-১ সার্ক দেশ সমূহ এবং ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরিগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কিস্তান এবং কাজাখস্তানের কিছু অংশ কাভার করবে। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, শ্রীলংকা নেপাল এবং ভূটান বেশি কভারেজ পাওয়ায় এই ছয়টি দেশ প্রাথমিকভাবে ব্যবসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। টিভি চ্যানেলগুলোর জন্য ডাইরেক্ট টু হোম সাভির্সসহ স্যাটেলাইটগুলো পরিচালিত হবে।

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ১৬ অক্টোবর

    কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ১৬ অক্টোবর

    কুড়িগ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে আগামী ১৬ অক্টোবর ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে প্রথম আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

    ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। সম্ভাব্য কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনটি চালু করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কুড়িগ্রামের বাসিন্দাদের দাবি ছিল। সেই দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি এই ট্রেনটি চালু হচ্ছে।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) হারুন অর রশীদ জানান, ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে কুড়িগ্রাম থেকে নতুন ট্রেন চালু করতে বলেছিলেন। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি।’

    কুড়িগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত এ ট্রেনটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে রেল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ ট্রেনটি ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ নাম হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির নাম চূড়ান্ত করবেন।

    রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা পিটি ইনকা এমজি কোচ সংযোগ করা হবে।

    যাত্রী পরিবহনের জন্য এতে ১১ টি কোচ থাকবে। এই ট্রেনটি চালু হওয়ার পাশাপাশি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত কুড়িগ্রামের শাটল ট্রেনটিও চলমান থাকবে।

    ফলে কুড়িগ্রামবাসী দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা পাবেন। ট্রেনটি কুড়িগ্রাম-রংপুর-পার্বতীপুর-সান্তাহার-ঢাকা রুটে চলাচল করবে।

    সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন ত্যাগ করবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। বুধবার এটি বন্ধ থাকবে।

    প্রস্তাবিত এ ট্রেনটির বিরতি থাকছে (উভয় পথে) রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-মাধবনগর-ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন-ঢাকা।

    কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাত্রাকালীন এতে মোট ৬২৬ টি আসন থাকবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেরার সময় এতে ৫৯৬টি আসন থাকবে। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বার্থ ১৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কুড়িগ্রামের জন্য ৪০ ভাগ আসন এবং রংপুরের জন্য ৩০ ভাগ আসন বরাদ্দ থাকবে।

    রেল অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম-তিস্তা জংশন রেলপথের সিঙ্গারডাবরি থেকে রাজারহাট রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথের পাশ দিয়ে সড়ক বিভাগের রাস্তা তৈরির ফলে রেলপথের এই অংশটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই রেলপথ দিয়ে ট্রেন চালানো নিরাপদ নয়। তারপরও সংস্কার ছাড়াই নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালু হচ্ছে। তবে তিস্তা জংশন-কুড়িগ্রাম রেলপথ সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

  • প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে

    প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দু’দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর এই সফর শুরু হবে।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যোগাযোগ, সংস্কৃতি, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।

    ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৫ অক্টোবর বৈঠকের পর মূলতঃ যোগাযোগ, সংস্কৃতি, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে এ পর্যন্ত ৭ থেকে ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয় নিশ্চিত হয়েছে। তবে, এ সংখ্যা ১০টিতেও উন্নীত হতে পারে।

    হাইকমিশনার বলেন, তিস্তা ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সকল বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোন ধারণা পোষণ করতে পারছি না।

    ভারতের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন (এনআরসি) বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে এনআরসি প্রশ্নে বাংলাদেশকে উদ্বিগ্ন না হতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এটি তাদের ইস্যু, তাদেরকেই এটি হ্যান্ডেল করতে দিন। এনআরসি নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।

    হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ)-এর ভারতীয় শাখা ইন্ডিয়ান ইকোনোমিক ফোরাম-২০১৯-এ যোগ দিতে ৩ অক্টোবর সকালে ৪ দিনের সফরে নয়াদিল্লী পৌঁছবেন।

    ওই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতসহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি তুলে ধরবেন। এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বিগত কয়েক বছরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের ব্যাপক সাফল্যের কথাও উল্লেখ করবেন।

    তিনি ভারতের বড় বড় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাবেন।

    এছাড়া তিনি ভারতের তিনটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড এক্সচেঞ্জ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুক্রবার যৌথভাবে বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

    বিকেলে শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
    এছাড়া সফররত সিঙ্গাপুরের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হেং সুয়ে কেট শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি রোববার ভারতের কংগ্রেস পার্টির প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

    শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে হাইকমিশন আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগ দেবেন।
    এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম ভিত্তিক ফিচার ফিল্ম তৈরির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল রোববার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

    বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজিত বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত চলচ্চিত্র মুজিব বর্ষ ২০২০-২১ শেষ হওয়ার আগে মুক্তি পাবে।

    ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী রোববার বিকেলে দেশের উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লী ত্যাগ করবেন।

    আরো:: রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভয়ানক চ্যালেঞ্জের মুখে-প্রধানমন্ত্রী

  • দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের সরকারি সফর শেষে আবুধাবি হয়ে আজ দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রমুখ।

    এরআগে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (ইওয়াই-১০০) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা, সোমবার) আবুধাবির উদ্দেশে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।

    যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

    প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইট স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা, ৫০ মিনিট) আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। এসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করেন।

  • ওয়ান ইলেভেনের মতো ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান-প্রধানমন্ত্রী

    ওয়ান ইলেভেনের মতো ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান-প্রধানমন্ত্রী

    দেশে ওয়ান ইলেভেনের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির কোন সম্ভাবনা নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং জনগণ যেন উন্নয়নের সুফল পায় সে কারণেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযান চালানো হচ্ছে।

    নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে ৭৪ তম জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বলাই যায় (স্পষ্টত) যে, ওয়ান ইলেভেন পুনরায় ঘটবে না। যদি কোনও অনিয়ম থেকে থাকে, আমি ব্যবস্থা নেব, আমরা ব্যবস্থা নেব এবং সে যেই হোক না কেন, এমনকি তারা আমার দলের হলেও। যদি আমি দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিতে চাই, আমার ঘর থেকেই তা আগে শুরু করতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্প প্রস্তুতি থেকে শুরু করে প্রকল্পের কাজ পাওয়ার জন্য অর্থ বিতরণের সুযোগ নিয়ে কিছু লোক বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন। এই অর্থ চটের বস্তাতেও লুকিয়ে রাখা হচ্ছে এবং ওয়ান ইলেভেনের পট পরিবর্তনের পর আমরা এটা দেখেছি।

    জনগণের জন্যই তার রাজনীতি এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সব সময় জনগণের মঙ্গলের কথাই চিন্তা করি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। ঋণ খেলাপি কমিয়ে আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। বলেন, ‘দেশে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অনেকেই অখুশি, কিন্তু কিছু করার নেই। দুর্নীতি করে কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। এমনকি দলীয় লোক হলেও ছাড় পাবে না। দেশে আর যেন ওয়ান ইলেভেন না হয়, সে কারণেই দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। জুয়া ও ক্যাসিনো সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের আবারও সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) নূর-ই এলাহী মিনা।

  • স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর পাশেই মীর নাছিরের ছবি

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর পাশেই মীর নাছিরের ছবি

    চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশেই এখনো লাগানো রয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতা মীর নাসিরের ছবি।

    হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভাস্থ মীর নোয়াবুল হক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন রেজার কার্যালয়ে এ ছবিটি দৃশ্যমান হয়।

    প্রধান শিক্ষককে ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর একটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

    এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অফিসে দেয়ালে টাঙ্গানো ছবিটি আমিও দেখেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে কেন মীর নাসিরের ছবি টাঙ্গানো হয়েছে এর কারণ জানতে চেয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম উদ্দিন রেজাকে শীঘ্রই শোকজ করা হবে।

  • দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত: প্রধানমন্ত্রী

    দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত: প্রধানমন্ত্রী

    দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফাঁকফোকর কোথায় এবং কারা উন্নয়ন প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

    আর অসৎ দুর্নীতি-অনিয়ম-উচ্ছৃঙ্খলতায় জড়িত থাকলে দলের লোকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

    শনিবার বিকেলে নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য আসে।

    তিনি বলেন, “আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, এই অসৎ পথ ধরে কেউ উপার্জন করলে, অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ কাজে যদি ধরা পড়ে, তবে সে যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও ছাড় হবে না, এর বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যহত থাকবে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ব্যাপকভাবে উন্নয়ন প্রকল্প নিচ্ছি। যে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিচ্ছি, তার প্রতিটি টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যয় হত, ব্যবহার হত, আজকে বাংলাদেশ আরও অনেক বেশি উন্নত হতো পারত।

    “এখন আমাকে খুঁজে বের করতে হবে এখানে কোথায় লুপহোল, কোথায় ঘাটতিটা, কারা কোথায় কীভাবে এই জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”

    চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এক দলীয় সভায় ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এরপর ঢাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তত্ত্বাবধানে ক্যাসিনো চালানোর খবর সংবাদমাধ্যমে এলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ও বারে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অভিযানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

    প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেন, “যারা সৎভাবে জীবন যাপন করতে চায়, তাদের জন্য বা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সৎভাবে জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে যায়, যখন অসৎ উপায়ে উপার্জিত পয়সা সমাজকে বিকলাঙ্গ করে দেয়।

    “কারণ একজনকে সৎভাবে চলতে গেলে তাকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়। আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড, ওই ব্র্যান্ড, এটা সেটা হৈ চৈ,… খুব দেখাতে পারে।”

    শেখ হাসিনা বলেন, “ফলাফলটা এই দাঁড়ায়, একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্মে যারা সৎভাবে জীবন যাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ ছেলেমেয়েরা ছোট শিশু, তারাতো আর এতটা বোঝে না। ভাবে যে ওরা এইভাবে পারে তো আমাদের নাই কেন।

    “এটা স্বাভাবিক, তাদের মনে এই প্রশ্নটা জাগবে। ওত ছোট ছোট বাচ্চারা, তারা সৎ-অসতের কী বুঝবে। তারা ভাবে আমার বন্ধুদের এত আছে, আমাদের নাই কেন? স্বাভাবিকভাবে মানুষকে অসৎ উপায়ের পথে ঠেলে দেবে।”

    সমাজের এই যে বৈষম্য দূর করার জন্য সরকার ইতোমধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরেকটা জিনিস আমি দেখতে বলে দিয়েছি, সেটা হল কার আয়-উপার্জন কত, কীভাবে জীবন যাপন করে, সেগুলো আমাদের বের করতে হবে।

    “তাহলে আমরা সমাজ থেকে এই ব্যাধিটা, একটা অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারব, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারব।”

    দুর্নীতি পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান, সেটাও অব্যহত থাকবে। এই মাদক একটা পরিবার ধ্বংস করে, একটা দেশ ধ্বংস করে। এর সঙ্গে কারা আছে সেটাও আমরা খুঁজে বের করব। বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক দূর করে বাংলাদেশের মানুষকে আমরা উন্নত জীবন দিতে চাই।”

    জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস যে কেবল বাংলাদেশের সমস্যা না, গোটা বিশ্বের জন্যই যে এটি একটি হুমকি, সে কথাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এখন দেশের উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার।

    “জনগণের শক্তিই বড় এবং আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি হয় এবং জনগণ উন্নত জীবন লাভ করে বলেই আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে।”

    শেখ হাসিনা তার সরকারের সময় দেশের শিক্ষাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া এবং বাজেট বাড়ানোর কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

    এত উন্নয়নের পরও দেশে ‘একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী পরশ্রীকাতর’ আচরণ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশের উন্নয়নে যত ভালো কাজই করা হোক, তারা কখনোই ভালো বলবে না।”

    সেই ‘বুদ্ধিজীবীদের’ তিনি বিএনপির-জামায়াতের সময় দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির কথাও বলেন।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একজন রাজনৈতিক নেতা হতে হলে দেশের মানুষের

    কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।”

    ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা ও বাঙালির বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি, পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা ধর্ষণ ও গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের প্ররোচনাতেই ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

    লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেভাবেই হোক সমুন্নত রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি তাদের দেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান এ অনুষ্ঠানে।

    জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    আট দিনের এই সফর শেষে ১ অক্টোবর ভোরে প্রধানমন্ত্রীর দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

  • আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন

    আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ। মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান তিনি।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নব পর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার তিনি। বাঙালির আশা-আকাঙ্খার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথী। বিশ্বরাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনগ্রসর জাতি-দেশ-জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র, বিশ্বনন্দিত নেতা।

    বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ‘নীলকণ্ঠ পাখি’, মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি। আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ-সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সমুদ্র সমান অর্জনে সমৃদ্ধ শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রাজ্ঞতা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আজ সফলতার সাথে টানা তৃতীয় মেয়াদে চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে দেশবাসী আজ সুফল পাচ্ছে। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সকল প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বপ্লোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

    তাঁর শাসনামলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলারে উন্নীত, প্রবৃদ্ধি ৮.১ শতাংশ, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেটাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়া, ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় আনা, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, স্বাক্ষরতার হার ৭৩.৯ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালউত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

    একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতিমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে।

    নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলি তাঁকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ গোটা বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

    তার জন্মদিন পালনে বেশ কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করেছে তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার (মেরুল বাড্ডা) ও সকাল ৯টায় খ্রিস্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) মিরপুর ব্যাপ্টিস চার্চ এবং সকাল ১১টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। একইদিন ঢাকাসহ সারাদেশে সকল সহযোগী সংগঠন র‌্যালি, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। বিকেল সাড়ে তিনটায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।