Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর

    ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর

    ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে পাঁচ সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ম বিশেষ ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে সম্প্রচারিত ভাষণে (পূর্বে রেকর্ডকৃত) এ পরামর্শ দেন তিনি।

    গত ৯ নভেম্বর থেকে রিয়াদে এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নৃশংস ও নজিরবিহীন আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের আমন্ত্রণে এই শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েল পরিচালিত জঘন্য একতরফা যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে ‘যুদ্ধবিরতি’ দরকার। এই যুদ্ধ অন্যায্য এবং এটি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্মম লঙ্ঘন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা জ্বলছে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতাল ও বেসামরিক অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ করছে এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত বিধ্বস্ত গাজার আটকেপড়া বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের অবিচ্ছিন্ন, দ্রুত এবং নিরাপদ সরবরাহের জন্য অবিলম্বে একটি মানবিক করিডোর খোলার প্রয়োজন রয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘বিরামহীন ইসরায়েলি বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার এ সময়ে মনে হচ্ছে- আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্য দেখে অচল হয়ে পড়েছি। অন্তত একটি নিরাপদ মানবিক করিডোরের জন্য দ্রুত কাজ করা দরকার।’

    শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়ত নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং বর্বর উপায়ে এলাকাগুলো উচ্ছেদ করায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। এই ধরনের জঘন্য কাজের শাস্তি হওয়া উচিত। যেন গাজায় যাদের বাড়িঘর রয়েছে তারা আবারও তাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে।

    তিনি বলেন, চতুর্থত জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোডম্যাপে সম্মত হওয়া সিদ্ধান্তগুলো পুনরায় দেখে নেওয়া এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। যা এই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে স্থায়ী শান্তি আনবে।

    পঞ্চম পরামর্শে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা (ফিলিস্তিনিরা) আমাদের ভাই ও বোন, যারা গত ৫৫ বছর ধরে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং নিজস্ব মাতৃভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এখন সময় এসেছে সবাই একসাথে তাদের পাশে দাঁড়াই।

    এ সম্মেলন আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বৈঠকটি ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ বন্ধের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।’

  • আমার কাছে ক্ষমতা নয়, দেশের স্বার্থই বড় : প্রধানমন্ত্রী

    আমার কাছে ক্ষমতা নয়, দেশের স্বার্থই বড় : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গ্যাস বিক্রির মুচলেকা না দেওয়ায় ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। আমার কাছে ক্ষমতা নয়, দেশের স্বার্থই বড়। দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে— এমন দৈন্যতায় শেখ মুজিবের কন্যা ভোগে না।’

    ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ওই নির্বাচনে হারানোর জন্য শুধু বিদেশিদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের দেশের কিছু জ্ঞানী-গুণীও উঠেপড়ে লেগেছিলেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছিল। ফলে আমরা ওই নির্বাচনে সরকারে আসতে পারিনি।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশে এসেছিলেন। আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে যখন লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন, তার বাড়িতে আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। আমাদের পার্টি থেকে আমি এবং তখনকার সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান আর বিএনপির পক্ষ থেকে ছিলেন খালেদা জিয়া ও মান্নান ভুঁইয়া। সেখানে জিমি কার্টার আসেন দূত হিসেবে। এবারও একই প্রস্তাব। আমি একই কথা বলেছি। বলেছি, আমাকে সার্ভে করতে হবে, আমার দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে হবে, পঞ্চাশ বছরের রিজার্ভ থাকতে হবে, তারপর উদ্বৃত্ত গ্যাস বিক্রির কথা আমি চিন্তা করব।’

    ‘দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে— এমন দৈন্যতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা ভোগে না। আমার কাছে ক্ষমতা বড় না। একবার চিন্তা করেন, সেদিন যদি আমি গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হতাম তাহলে কি আজ এত চমৎকার সার কারখানা আমরা করতে পারতাম?’

    ‘কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। আমার চোখের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার রাষ্ট্রপতি এসে তার পিঠে হাত দিয়ে বাহবাও দিয়েছিলেন। তখন আমি জিল্লুর রহমান সাহেবকে বলেছিলাম, চাচা এখন চলেন। আমি বুঝতে পেরেছি কী হবে? কিন্তু আমি এটা কেয়ার করিনি। আমার কাছে ক্ষমতা বড় না, দেশের স্বার্থ বড়। আমরা সেখান থেকে চলে এসেছিলাম’- বলেন শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন নরসিংদীতে নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন করেন। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কারখানা। এটি সার আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করবে।

    প্রধানমন্ত্রী পলাশ উপজেলায় জিপিইউএফএফ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বার্ষিক নয় লাখ ২৪ হাজার টন সার উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক এ কারখানার উদ্বোধন করেন।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন দশকের পুরানো কারখানাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নতুন করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন এবং প্রকল্পের শুরু থেকেই বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিবহন সুবিধার লক্ষ্যে ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশনের সাথে কারখানার সংযোগের জন্য একটি রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সার কারখানা পরিদর্শন করেন।

    প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম এবং জিপিইউএফএফ উদ্বোধনের দিনটিকে চিহ্নিত করে একটি বিশেষ সিলমোহরও প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

    শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, আনোয়ারুল আশরাফ খান এমপি ও সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি নরসিংদীতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    কারখানার কার্যক্রম শুরু হলে সার আমদানির ওপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। কারণ, দেশের মোট বার্ষিক ২৬ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে স্থানীয় কারখানাগুলো একসাথে ১৯.২৪ লাখ টন সার উৎপাদন করবে।

    স্থানীয় কারখানাগুলো বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ টন উৎপাদন করছে এবং বাকি বার্ষিক চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) জানায়, কারখানাটিতে ৩০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। ১১০ একর জমিতে ১৫,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কারখানাটির দৈনিক সার উৎপাদন হবে ২৮০০ টন।

    মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার ৪,৫৮০.২১ কোটি টাকা দিয়েছে এবং ১০.৯২০ কোটি টাকা জাইকা, এইচএসবিসি এবং ব্যাংক অব টোকিও মিত্সুবিশি ইউএফজে লিমিটেড থেকে ব্যবসায়িক ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছে।

    কারখানার দুটি বাষ্পীয় গ্যাস জেনারেটর ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম এবং প্ল্যান্টটি চালানোর জন্য ২৮ মেগাওয়াট প্রয়োজন। এটি বাংলাদেশের প্রথম সার কারখানা যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্লু গ্যাস থেকে পরিবেশ দূষণকারী উপকরণ আহরণ করা হবে এবং ক্যাপচার করা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে (প্রায় ১০ শতাংশ)।

    এটি দেশে ‘অত্যাধুনিক, শক্তি সাশ্রয়ী এবং সবুজ’ সার কারখানা যা ইউরিয়া সারের আমদানি কমিয়ে দেবে এবং কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে।

  • প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী

    প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী

    দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত।

    শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গিয়েছিলেন। তার আদর্শ বুকে নিয়ে ও পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়শীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছি। সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকেই জয়ী করতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছে। আমাদের হারাবার কিছু নেই। পাওয়ারও কিছু নেই। শুধু একটাই কাজ, বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত থাকে, যেভাবে আমার বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন- ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেই বাংলাদেশই আমি গড়তে চাই। আমার বাবার স্বপ্নটাই আমি পূরণ করতে চাই।

    তিনি বলেন, আমি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছি, আমার কেউ ছিল না। যাদেরকে রেখে গিয়েছি, এয়ারপোর্টে এগিয়ে দিতে এসেছিল আমার ভাইয়েরা, ফিরে এসে আমি তাদের পাইনি। পেয়েছিলাম সারি সারি কবর। বাংলাদেশের মানুষকেই আমি আমার পরিবার হিসেবে নিয়েছি। আপনাদের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ। কাজেই আপনাদের কল্যাণের জন্য, আপনাদের উন্নয়নের জন্য আমি যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত। শুধু আপনাদের কল্যাণ করাটাই আমার একমাত্র কাজ।

    বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে জনগণকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষের মধ্যে যদি মনুষ্যত্ববোধ থাকে তাহলে জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে না। বিভিন্ন জায়গায় জীবন্ত মানুষগুলোকে ওই বিএনপি-জামায়াত পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করছে। গাড়িঘোড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা, সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা এটাই তাদের কাজ। আমরা উন্নয়ন করি, আমরা সৃষ্টি করি, ওরা ভাঙে, ওরা নস্যাৎ করে। ওরা ধ্বংস করতে জানে জনগণের কল্যাণ করতে জানে না। কাজেই ওদের কাছ থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে।

    এর আগে কক্সবাজার জেলায় শেষ হওয়া ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • সমুদ্রের শহরে ট্রেন ছাড়ল প্রধানমন্ত্রীর হুইসেলে

    সমুদ্রের শহরে ট্রেন ছাড়ল প্রধানমন্ত্রীর হুইসেলে

    পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও বিমান পথে এতদিন আসা গেলেও আজ থেকে যুক্ত হলো নতুন এক পথ। বাংলাদেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কে ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। সমুদ্রের শহরে গিয়ে আজ চট্টগ্রাম (দোহাজারী)-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন করেন সেখানে স্থাপিত আইকনিক রেল স্টেশনও।

    দুপুর ১টায় উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ১টা ২১ মিনিটে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে ১টা ২৭ মিনিটে কক্সবাজার থেকে রামুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় একটি ট্রেন। রামুতে পৌঁছে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।

    এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য গর্বের দিন।

    বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারী-চকোরিয়া এবং চকোরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলো।

    এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

  • কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম : প্রধানমন্ত্রী

    কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম : প্রধানমন্ত্রী

    আজকে রেলের সঙ্গে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।

    আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে দোহাজারী- কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত, যেটা বিশ্বে বিরল, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। ৮০ মাইল লম্বা, সম্পূর্ণটাই বালুকাময়।

    এর আগে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা হন তিনি।

    কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে যান আইকনিক রেলস্টেশনে। সেখানে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেল লাইন রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত এবং কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন।

  • কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

    কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা থেকে শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

    কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে বাংলাদেশ রেলওয়ে আয়োজিত কক্সবাজার-দোলহাজারী রেলপ্রকল্প অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন।

    প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর অতিথিদের নিয়ে আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটবেন এবং পতাকা উড়িয়ে হুইসেল বাজাবেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। সেখান থেকে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    এরপর রামু থেকে হেলিকপ্টারে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের উদ্বোধন এবং ১ম টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতারবাড়ি টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন এবং মাতারবাড়ি ১২শ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। যার মধ্যে রেলসহ ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সে লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

    এদিকে জনসভাস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকার আদলে মঞ্চ, যেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভা পরিণত হবে জনসমুদ্রে এমনই বলছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। সমাবেশস্থলে সামিয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে মানুষের কষ্ট না হয় এবং খাবার পানির ব্যবস্থা ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে সেখানে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার আসেন। আর প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াসে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার।

  • কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

    কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

    দেশকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রূপান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রত্যয় নিতে হবে, আজকের বাংলাদেশ যতদূর উন্নত-সমৃদ্ধ হয়েছে, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, এটা ধরে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

    শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিজয় সরণিতে নবনির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার স্বপ্ন ছিল প্রতিটি মানুষের ঘর থাকবে, চিকিৎসা ও শিক্ষা পাবে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রূপান্তর করা হয়েছে।

    সরকারপ্রধান বলেন, সারাদেশে ওয়াইফাই সুবিধা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ আধুনিক সব প্রযুক্তি স্থাপনা করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশের মানুষ। বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে। বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে, বৃত্তি পাচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা দরিদ্র মায়েদের মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিশুরা দেশকে আরও উন্নত সমৃদ্ধ করা যাবে। আজকের শিশুরা আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক, যারা স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে এবং বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। সেভাবেই তোমরা নিজেদের তৈরি করবে।

    এসময় শিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, শিক্ষাই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, কোনো কিছুই সম্পদ না। সম্পদ হচ্ছে একমাত্র শিক্ষা। শিক্ষা যে গ্রহণ করবে ভালো ভাবে, এটি কেড়েও নিতে পারবে না, ডাকাতিও করতে পারবে না। এটি নিজের কাছে থেকে যাবে। আর শিক্ষা থাকলে পরে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করা যাবে।

    তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মায়ের ভাষা বাংলার ভাষার অধিকার যখন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। তখন থেকে তিনি তার প্রতিবাদ করেন এবং আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেখানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। মাতৃভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের পথ বেয়েই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।

    অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী।

    রাজধানীয়র বিজয় সরনির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’-এর মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ নামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য।

    উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ঘুরে দেখেন। পরে তিনি উপস্থিত স্কুল শিক্ষার্থী এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।

  • এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎ-পানির দাম নির্ধারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎ-পানির দাম নির্ধারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    ভর্তুকি থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে এলাকা ও আয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যুৎ ও পানির দাম নির্ধারণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

    প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি মন্ত্রী, আমি পানি বিদ্যুতে যে ভর্তুকি পাই- একই ভর্তুকি যদি একজন দিনমজুর পান তাহলে এটা ঠিক হলো না। তাই প্রধানমন্ত্রী এরিয়া ও ইনকাম ওয়াইজ (এলাকা ও আয়ের ওপর নির্ভর করে) পানি-বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের কথা বলেন।’

    ‘প্রধানমন্ত্রী বলেন ভর্তুকি যেন বিচারসম্মত হয়। আমি যে রেট দিচ্ছি, একজন নিম্ন শ্রেণির (নিম্ন আয়ের) মানুষও একই ভর্তুকি দিচ্ছে- এটা হয় না। ধীরে ধীরে ভর্তুকির ধারণা থেকে বের হতে হবে। এলাকাভিত্তিক পানি ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করতে হবে।’

    এম এ মান্নান বলেন, ‘ঢাকায় উঁচু ভবন নির্মাণে সতর্ক হতে হবে, যাতে এয়ার ফানেলে না পড়ি। রাস্তার পাশে জলাধার খননের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।’

    সভায় দেশব্যাপী সর্বজনীন পেনশন আরও জোরালো প্রচারের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

  • সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    ইসলামে নারীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান ও ওমরাহ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী প্লেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গত রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং মদিনার মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শেখ হাসিনা সেখানে আসরের নামাজের পর ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।

    একই দিন রাতে তিনি মদিনা ত্যাগ করে মক্কায় পৌঁছান। পরে প্রধানমন্ত্রী এশার নামাজের পর মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।

    গত ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘উইমেন ইন ইসলাম’ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন।

    সম্মেলনের ফাঁকে তিনি ওআইসি ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

    সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি শেখ হাসিনা উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশও নেন।

    ৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরব অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সঙ্গে যৌথভাবে সম্মেলনটির আয়োজন করে।

    গত রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন। তাকে বহনকারী প্লেন বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

  • পবিত্র ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    পবিত্র ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোরে পবিত্র মক্কায় তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে কাবাঘর তাওয়াফ করেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।

    পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ ও ওমরার অন্যান্য কর্মসূচি সম্পাদনের পর মসজিদ-আল হারামে নামাজ আদায় করেন তিনি। এসময় দেশ ও দেশের জনগণ এবং মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এ সময় তার সঙ্গে ওমরাহ পালন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ.কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।

    এর আগে মদিনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর সেখানেই মসজিদ-ই নববিতে আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করে বিমানে জেদ্দায় পৌঁছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পরে তিনি সেখান থেকে সড়কপথে মক্কায় এসে পৌঁছেন।

    আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় ইসলামে আন্তর্জাতিক নারী বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • মহানবীর রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মহানবীর রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী

    সৌদি আববের মদিনায় মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার (৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন তিনি।

    রওজা জিয়ারতের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মসজিদে নববীতে আসর এবং মাগরিবের সালাত আদায় করেন।

    ইসলামে নারীবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী বিমান মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    সৌদি আরব সফরের শুরুতে মহানবীর (সা.) রওজা জিয়ারত করতে মদিনায় আসেন শেখ হাসিনা।

    মহানবীর রওজা জিয়ারত এবং মসজিদে নববীতে সালাত আদায় শেষে রাতে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে মদিনা থেকে জেদ্দায় যাবেন। রাতেই তিনি জেদ্দা থেকে সড়ক পথে মক্কা যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন ও মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন।

    এর আগে সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা বিমান ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সৌদি আরবের জেদ্দায় আগামী ৬-৮ নভেম্বর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দার হিলটনে প্রধানমন্ত্রী ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইসলামে নারীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য দেবেন।

    তিনি ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

    সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি তিনি ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন এবং তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী পরে জেদ্দা থেকে মক্কায় যাবেন এবং সেখানে তিনি ওমরাহ পালন করবেন।

    শেখ হাসিনা ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় দেশের উদ্দেশে মক্কা ত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। আগামী ৮ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ৮টায় বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

  • সৌদির উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

    সৌদির উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

    আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

    স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রীর।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সৌদি নারী সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যতম প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    এ ছাড়া মদিনায় অবস্থানকালে সন্ধ্যায় মহানবী (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত এবং ফাতিহা পাঠ করবেন শেখ হাসিনা। আগামীকাল সোমবার সকালে ট্রেনে জেদ্দার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন। সন্ধ্যায় সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে শ্রমবাজার ও বিনিয়োগ গুরুত্ব পাবে।

    সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি তিনি ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন এবং তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন। পরে জেদ্দা থেকে মক্কায় যাবেন এবং সেখানে ওমরাহ পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় দেশের উদ্দেশে মক্কা ত্যাগ করবেন। পরদিন ৮ নভেম্বর সকাল ৮টায় তাকে বহন করা বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।