Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • ‘নির্বাচনে যাকেই প্রার্থী করি, তাকে বিজয়ী করতে হবে’

    ‘নির্বাচনে যাকেই প্রার্থী করি, তাকে বিজয়ী করতে হবে’

    নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যাকেই প্রার্থী করি, সেটা কানা-খোঁড়া যেই হোক তাকে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

    শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ মাঠে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় আসলে এদেশকে টিকতে দিবে না। সেইজন্য জনগণের কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একমাত্র নৌকা মার্কাই পারে স্বাধীনতা দিতে, নৌকা মার্কাই পারে উন্নয়ন দিতে। ঢাকাবাসী যেন এ কথা মনে রাখে।

    তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে, তফসিল যেকোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী নির্বাচনে যাকেই প্রার্থী করি, সেটা কানা-খোঁড়া যেই হোক তাকে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। এদেশের মানুষ যেন আরও উন্নত জীবন পায় সেটাই চাই। আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়া। আমি জনগণের সেবা করতে চাই। জনগণের সেবা-ই করে যাচ্ছি। আমি চাই এ দেশের মানুষ সুখে থাকবে।

    উন্নয়নের অনেক পরিকল্পনা আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দারিদ্রের হার আমরা কমিয়েছি, যা খালেদা জিয়ার আমলে ছিল ৪১ শতাংশ। সেটাকে আমরা ১৮.১৭ ভাগে নামিয়েছি। হতদরিদ্র ২৫.১ ভাগ ছিল। সেটাকে আমরা ৫ ভাগে নামিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, যেখান থেকে মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা নিতে পারে।’

    বিএনপির সহিংসতার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আমরা কি দেখলাম, মানুষকে হত্যা করা। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা। এটিই তাদের কাজ।’

    এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জনসভার মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতারা। সকাল থেকেই জনসভায় যোগ দিতে দলে দলে জড়ো হন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা।

     

  • প্রধানমন্ত্রীর মেট্রোরেল যাত্রায় একঝাঁক তারকা

    প্রধানমন্ত্রীর মেট্রোরেল যাত্রায় একঝাঁক তারকা

    মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সবুজ পতাকা উড়িয়ে এ অংশের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বেলা পৌনে তিনটায় মেট্রোরেলের দ্বিতীয় পর্বের যাত্রী হিসেবে ১০ নম্বর কোচটিতে চড়েন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার সফরসঙ্গীরা সবাই ট্রেনে ওঠেন। এই উদ্বোধনী যাত্রায় দেখা গেছে এক ঝাঁক তারকাকে।

    এসময় উদ্বোধনী যাত্রায় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে পাশাপাশি বসে গল্প করতে করতে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। অন্য আসনে রিয়াজ, গাজী রাকায়েত, শহীদুল আলম সাচ্চুসহ আরও অনেককে দেখা গেছে।

    আজ উদ্বোধন করা হলেও আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে এটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে তিনটি স্টেশন চালুর মাধ্যমে এ অংশের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। স্টেশনগুলো হলো-মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট।

    ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল শুরুতে শুধু মাত্র চার ঘণ্টা চলবে। আর স্টেশন খোলা থাকবে তিনটি। আস্তে আস্তে সময় ও স্টেশন বাড়ানো হবে।

    বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ গত বছরের ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার।

     

  • যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ধরে সেই আগুনে ফেলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ধরে সেই আগুনে ফেলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    সম্প্রতি দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা আগুন দেবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ধরে সেই আগুনে ফেলতে হবে।’

    শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ মাঠে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়া। আমি জনগণের সেবা করতে চাই। জনগণের সেবা-ই করে যাচ্ছি। আমি চাই এ দেশের মানুষ সুখে থাকবে।

    উন্নয়নের অনেক পরিকল্পনা আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দারিদ্রের হার আমরা কমিয়েছি, যা খালেদা জিয়ার আমলে ছিল ৪১ শতাংশ। সেটাকে আমরা ১৮.১৭ ভাগে নামিয়েছি। হতদরিদ্র ২৫.১ ভাগ ছিল। সেটাকে আমরা ৫ ভাগে নামিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, যেখান থেকে মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা নিতে পারে।’

    বিএনপির সহিংসতার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আমরা কি দেখলাম, মানুষকে হত্যা করা। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা। এটিই তাদের কাজ।’

    এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জনসভার মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাকরা। সকাল থেকেই জনসভায় যোগ দিতে দলে দলে জড়ো হন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা।

     

  • জঙ্গিবাদ ও আগুন সন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করবে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী

    জঙ্গিবাদ ও আগুন সন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করবে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস করে তাদেরকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। জনগণও তাদের প্রত্যাখান করবে’।

    শনিবার (৪ নভেম্বর) মেট্রোরেলে ওঠার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যেভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা সেভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।’

    এ সময় মেট্রোরেলের নির্মাণ শ্রমিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এই মেট্রোরেলের কাজে নিয়োজিত ছিল আমি তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। করোনার সময় তারা এই কাজ করে দিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের পরিশ্রমের জন্য এই অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।’

  • আগারগাঁও থেকে ২১ মিনিটে মতিঝিল গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    আগারগাঁও থেকে ২১ মিনিটে মতিঝিল গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ২টা ৩৪ মিনিটে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন। এ সময় নিরাপত্তার জন্যে উদ্বোধনী ট্রেনটি চলে যায়।

    এরপর ২টা ৪২ মিনিটে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে মেট্রোরেলে চড়েন প্রধানমন্ত্রী।

    এ মেট্রোরেলটি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মাত্র ২১ মিনিটে পৌঁছায় মতিঝিল স্টেশনে। প্রধানমন্ত্রী যখন মতিঝিল স্টেশনে পৌঁছান তখন বিকেল ৩টা ০৩ মিনিট।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পথ হারায়নি। মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে সবাই যেন যাতায়াত করতে পারে, কর্মঘণ্টা বাঁচে। আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন বর্ধিত করছি। জাপান সরকার ধন্যবাদ বিনিয়োগ করায়। মেট্রোরেল নির্মাণে যারা জড়িত তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

    এরপর তিনি বিকেল ৪টায় মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন।

    এর আগে ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রো রেলের উদ্বোধন করা হয়। সে সময় মেট্রো রেলের প্রথম অংশ উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ১০ মাস পরে এসে আজ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধন করা হল।

    ২০ কিলোমিটার দূরত্বের উত্তরা-মতিঝিল রুটে কর্মব্যস্ত দিনে লেগে যায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। যানজটের শহরে জাদুর মেট্রোরেল এ পথ অতিক্রম করবে মাত্র ৩১ মিনিটে।

    আর আধুনিক এ গণপরিবহন আগামীকাল(৫ নভেম্বর) থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।

  • অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়: প্রধানমন্ত্রী

    অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়: প্রধানমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সকল সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবরোধের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়। যদি কেউ আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই আগুনেই তাকে ফেলতে হবে, হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতই পোড়াতে হবে। তাহলে এরা সোজা হবে, নাহলে সোজা হবে না। কারণ, যে যেমন তার সঙ্গে তেমনই করতে হবে।

    শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীর লাফালাফিতে নির্বাচন বানচাল হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে নানাভাবে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করবে। সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    এ সময় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দিতে হবে। আর মানুষের জানমালের সুরক্ষা দিতে হবে। এটাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। আমাদের আর কোনো কিছু নাই, আমাদের কোনো মুরুব্বি নাই। দেশের জনগণই আমাদের সব। শেখ হাসিনা বলেন, এটা ভুললে চলবে না যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। অনেক দেশ বিপক্ষে ছিল কিন্তু বাংলাদেশে জনগণই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে।

     

  • যোগাযোগ খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য সর্বমহলে প্রশংসিত: প্রধানমন্ত্রী

    যোগাযোগ খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য সর্বমহলে প্রশংসিত: প্রধানমন্ত্রী

    দেশের যোগাযোগ খাতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যে সাফল্যের সাক্ষর রেখেছে তা সর্বমহলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বুধবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে উন্নত, দক্ষ ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার খাত হিসেবে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, সুগম ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে সড়ক ও রেলপথের সম্প্রসারণ এবং সংস্কার চলমান রয়েছে। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথ যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি (রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১) সামনে রেখে তা বাস্তবায়নে কাজ করছে।

    আওয়ামী লীগদলীয় আরেক সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে আমি ১৫তম ব্রিকস সামিটে যোগদান করি এবং গত ২৪ আগস্ট ‘ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ অ্যান্ড দ্য ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ’ এ বক্তব্য প্রদানকালে ব্রিকসকে বহুমুখী বিশ্বের বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার আহ্বান জানাই।

    সরকারপ্রধান বলেন, প্রথমত আমাদের অবশ্যই চলমান খাদ্য, জ্বালানি এবং নারী ও কন্যাশিশুদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার আর্থিক সংকটের কারণে উদ্ভূত বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত: আমাদের মেয়েদের স্কুলে ধরে রাখার জন্য, তাদের সাইবার অপরাধ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিভাজন কমানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

    তৃতীয়ত নারীদের লাভজনক কর্মসংস্থান, শালীন কাজের সুযোগ, মজুরির সমতা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ বাড়াতে হবে। চতুর্থত ক্রমবর্ধমান জলবায়ু প্রভাবের কারণে সুরক্ষা এবং সহনশীলতা নিশ্চিতকরণে নারীদের প্রয়োজনীয়তার দিকে আমাদের গভীরভাবে নজর দিতে হবে। পঞ্চমত আমাদের অবশ্যই নারীদের জন্য টেকসই ও সক্রিয় রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গঠনের একটি সুষম প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র গড়ার প্রচারণা চালাতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ব্রিকসের অর্থনৈতিক বাতায়ন নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্যপদ লাভ করে। ব্রিকসের চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা কর্তৃক আয়োজিত এ সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল: পার্টনারশিপ ফর মিউচুয়ালি অ্যাকসেলারেটেড গ্রোথ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ মাল্টিল্যাটারালিজম।

    তিনি জানান, ব্রিকস সম্মেলন চলাকালে ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিই।

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার বক্তব্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা তুলে ধরি। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে এদেশে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, সেসব চিত্র তুলে ধরে তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানাই। বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন- ডলার অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য আমাদের যে যাত্রা, সেখানে তাদের সম্পৃক্ত হওয়ারও আহ্বান জানাই।

  • চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

    চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়ান আরাফির সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, তাকে ছাড়া হচ্ছে না। আমি তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। তার খোঁজ করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কেন এ রকম প্রতারণা করল?

    মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নির্বাচন নিয়ে শর্তহীন সংলাপে বসার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী?

    জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ? বিরোধী দলের সঙ্গে। কোন বিরোধী দল? বিরোধী দলটা কে? সংসদীয় নিয়মে বিরোধী দলের একটা ব্যাখ্যা আছে। বিরোধী দল হচ্ছে, সেই দল যাদের সংসদে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। এর বাইরেরগুলো পরিগণিত হয় না। আমেরিকায়ও হয় না। ট্রাম্পকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কী বলবে? যদিও আমরা তাদের মতো সরকার ব্যবস্থায় নেই। এটা মাথায় রাখতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক। খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের আলোচনা? যারা মানুষের সম্পদ নষ্ট করেছে, যারা আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নষ্ট করেছে। সে বসে বসে ডিনার খাক (মার্কিন রাষ্ট্রদূত), ডায়ালগ করুক। এটা আমাদের দেশ, আমরা স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে।

    তিনি বলেন, আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এ কথাটা মনে রাখা দরকার। খুনিদের সঙ্গে সংলাপ এটা আমাদের বাংলাদেশের মানুষও চাইবে না। বরং বাংলাদেশের মানুষ এখন বিএনপি-জামায়াতকে ঘৃণা করে। তারা যেটুক অর্জন করেছে, সেটাও তারা হারিয়েছে। এখন মানুষের কাছে তারা ঘৃণার পাত্র, দুর্নীতিবাজ।

  • এলডিসি উত্তরণে ৬ বছরের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান

    এলডিসি উত্তরণে ৬ বছরের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান

    স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী তিন বছরের পরিবর্তে ৬ বছরের জন্য বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে(ইইউ) আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা প্রদানেরও অনুরোধ জানান তিনি।

    মঙ্গলবার বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, সফরের প্রথম দিন ইউরোপীয় কমিশনের বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে বৈঠক হয়। তিনি ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আগামীতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

    বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে ২০৩২ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত প্রবেশ দাবি
    তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অবরোধ ও পাল্টা অবরোধের কারণে অর্থনৈতিক অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশসহ অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশ। এসব দেশকে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী তিন বছরের পরিবর্তে ৬ বছরের জন্য বাণিজ্য সুবিধা ২০৩২ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে ইউরোপের দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছি।

    বৈঠকে ইইউ দেশগুলোকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী বাণিজ্য সুবিধার বিষয়ে আরও আলোচনার বিষয়ে মত দেন।

    প্রসঙ্গত, গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নিতে গত ২৪ অক্টোবর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বেলজিয়ামে যান প্রধানমন্ত্রী। গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ওই ফোরামে যোগ দেন তিনি। ফোরামের ফাঁকে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্র ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

    সফরকালে ২৫ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫ কোটি ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা, সাড়ে ৪ কোটি ইউরোর একটি অনুদান এবং একই খাতে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ ইউরোর অনুদান চুক্তি সই হয়।

    এছাড়া সামাজিক খাতের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে ৭ কোটি ইউরোর আরও পাঁচটি অনুদান চুক্তি হয়। ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। দুদিনের সফর শেষে ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

  • ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

    ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

    ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধ আমরা চাই না।

    সোমবার (৩০ অক্টোবর) সংসদে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবি যেন মেনে নেওয়া হয়। তাদের রাষ্ট্র যেন তারা ফেরত পায়। সেটা আমরা চাই। প্রধানমন্ত্রী এসময় ফিলিস্তিনে সেবাখাত খুলে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।

    ফিলিস্তিনে নারী ও শিশু সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সেখানে কী অবস্থা? আমরা মানবাধিকারের কথা শুনি। অনেক কিছু শুনি। আমাদের প্যালেস্টাইনের জনগণ যে অমানবিক জীবনযাপন করছে। সেখানে হাসপাতালকে নিরাপদ মনে করে মা তাদের সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী এয়ার অ্যাটাক করে। বোমা হামলা করে নারী-শিশুকে হত্যা করে। একটা জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। এর নিন্দার ভাষা নেই। হাসপাতালের মতো জায়গায় তা কী করে হামলা করতে পারল? মানুষ হত্যা করতে পারল?

    অতীতের হামলার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগেও কিন্তু এভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। নারী-শিশু, অন্তঃসত্ত্বা হত্যা করেছে। শিশুরা বড় হলে নাকি যোদ্ধা হয়ে যায় তাই তাদের হত্যা করছে। আমি যখন যে ফোরামে গিয়েছি এসব হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছি। এই ধরনের ঘটনা আমরা কখনো মেনে নিতে পারি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রতিবাদ করা একজন মানুষ হিসেবে, মা হিসেবে প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব। এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধ আমরা চাই না।

    বাংলাদেশ ফিলিস্তিনদের পক্ষে রয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যে ঔষধ, খাদ্য ও নারী-শিশুদের জন্য পণ্যসামগ্রী পাঠিয়েছি। কিন্তু সেটা সেটা ওখানে পৌঁছানোর সুযোগ নেই। আমরা মিশরে পাঠিয়েছি। তারা গ্রহণ করেছে। সেখান থেকে পৌঁছে দেবে। সব থেকে দুর্ভাগ্য যে সেখানে খাবার ঔষধ, কোনো কিছুই দিতে দিচ্ছে না। চারিদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বন্ধ করে রেখেছে। এটা কোন ধরনের কথা! যেকোনো যুদ্ধে নারী শিশু ও হাসপাতালের ওপর এভাবে হামলা হয় না। খাবার বন্ধ হয় না। কিন্তু আজকে সেখানে খাবার-পানি সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে অমানবিক যন্ত্রণা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে মানুষ হাহাকার করছে।

    এই ঘটনার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকতে। জাতিসংঘ থেকে যখন যে চেষ্টা হয় এবং কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাকাণ্ড হলে তার নিন্দা জানাই। এটাই আমাদের নীতি। আরবলীগের সঙ্গে আমরা স্পন্সর হয়ে জাতিসংঘে, যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছি। সেখানে ১২০ দেশ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। আমরা চাই অনন্ত সেবাখাত খোলা হোক। যাতে করে ওখানকার মানুষগুলো বাঁচতে পারে। সেই সেবাখাতটা বন্ধ করে কষ্ট দিচ্ছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যা ঘটাচ্ছে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।

    বাংলাদেশ ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কীভাবে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। ব্রাসেলস সফরে গিয়ে আমার ভাষণে এই বিষয়টি তুলেছি। সেখানে ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানে আমি বলেছি, আপনারা আর যাই করেন যুদ্ধ বন্ধ করেন। যুদ্ধ মানুষের মঙ্গল আনে না। অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করেন। অস্ত্র প্রতিযোগিতা মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে। নারী-শিশুদের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। অস্ত্র প্রতিযোগীদের টাকা শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসায় ব্যয় করেন। তাহলে বিশ্বের মানুষের কষ্ট থাকবে না।

    ফিলিস্তিনের আগে অনেক জায়গা ছিল কিন্তু তা দখল করতে করতে ক্ষুদ্র একটি জায়গা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বড় দেশ ছিল, ধীরে ধীরে তা দখল করতে করতে এখন ক্ষুদ্র একটি অংশ তাদের। তারপরও একটি প্রস্তাব ছিল টু স্টেট ফর্মুলা। এটাও তারা মানছে না।

    এর আগে, ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ঘটনায় জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব তোলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রস্তাবটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।

    গৃহীত প্রস্তাবটিতে বলা হয়, ‌‌‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মানবাধিকারের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এই সংসদ ফিলিস্তিনে মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বের সব বিবেকবান জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকরভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।’

  • কোনো ছেলে-মেয়ে যেন জঙ্গিবাদে জড়িত হতে না পারে

    কোনো ছেলে-মেয়ে যেন জঙ্গিবাদে জড়িত হতে না পারে

    ইমামদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশের কোনো ছেলেমেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক প্রভৃতিতে সম্পৃক্ত না হয়, সেদিকে আপনারা (ইমাম) খেয়াল রাখবেন। তাদেরকে সেভাবেই গড়ে তুলবেন।’

    সোমবার (৩০ অক্টোবর) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মদিনায় অবস্থিত মসজিদে-আন-নববীর ইমামুল খতিব শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, আমরা তার নিন্দা জানাই। আমি নিজেও এমনটি চাই না। আমরা চাই না আর কোনো শিশু প্রাণ হারাক।’

    ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আমি বলেছি, এই যুদ্ধ থামান। আমরা শান্তি চাই। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। আমরা যুদ্ধ চাই না।’

     

  • প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন মসজিদে নববীর ইমাম

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন মসজিদে নববীর ইমাম

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের মদিনার মসজিদে নববীর ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান। রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

    ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশকে ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান তার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, দুই দেশের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জনগণ ধর্মীয় বন্ধনের কারণে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল এবং উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

    শেখ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বুয়াজান প্রধানমন্ত্রীকে জানান, মসজিদে নববীতে কর্মরত খাদেমদের অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক। সারা দেশে নির্মিত মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে মসজিদে নববীর ইমাম বলেন, যারা মসজিদ নির্মাণ করে মহান আল্লাহ তাদের অনেক নেয়ামত দান করেন।

    বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় মসজিদে নববীর ইমামকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের জাতীয় ইমাম সম্মেলনে তার উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষকে ইসলামের প্রকৃত মর্মের প্রতি উৎসাহিত করবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে বেশ কয়েকবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল এবং তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছেন। হজ পালনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ১৯৮৪ সালে প্রথম হজ করেন এবং পরে তিনি তার বাবা বঙ্গবন্ধু ও মা বঙ্গমাতার পক্ষ থেকেও হজ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসির নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন।

    জবাবে শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান বলেন, তিনি মদিনার পবিত্র মসজিদে নববীতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রতীক্ষায় থাকবেন।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, অ্যাম্বাসেডর-এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ধর্মবিষয়ক সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইল উপস্থিত ছিলেন।