Tag: প্রধান উপদেষ্টা

  • কপ২৯ সম্মেলনে আজ ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

    কপ২৯ সম্মেলনে আজ ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (১৩ নভেম্বর) কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস-২৯ (কপ২৯)-এ ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কপ২৯-এ ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।’

    আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কপ২৯ সম্মেলন শুরু হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে চার দিনের সফরে এখন বাকুতে রয়েছেন।

    অধ্যাপক ইউনূস মঙ্গলবার বাকুতে কপ২৯-এর উদ্বোধনী দিনে ব্যস্ত দিন পার করেন। ওইদিন তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ২০ জন শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা কপ২৯ ভেন্যুতে বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তুর্কি ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দেখা করেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি গভীর সংস্কার ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যাত্রায় বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। ড. ইউনূস তাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

    প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে বন্দি ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।

    এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের সঙ্গে দেখা করেছেন।

    অন্যদের মধ্যে তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, ঘানার রাষ্ট্রপতি, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রী, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রপতি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মন্টিনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিফা সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস আইওএম মহাপরিচালকের সঙ্গেও দেখা করেছেন।

  • তিন দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

    তিন দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

    কপ-২৯ সম্মেলনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেসিরোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে আজারবাইজানের দুই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এছাড়া কপ-২৯ সম্মেলনে লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    এর আগে সোমবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় আজারবাইজানের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়। জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকবেন।

    কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

  • আজারবাইজান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

    আজারবাইজান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

    আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) যোগ দিতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    স্থানীয় সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি বাকু পৌঁছান।

    এর আগে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় আজারবাইজানের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়।

    সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকবেন।

    তিনি জানান, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে- এসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।

    তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় সফর। তার প্রথম সফর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে, সেখানে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।

  • প্রবাসীদের জন্য বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

    প্রবাসীদের জন্য বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

    রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার আগে এ লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন তিনি।

    এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই লাউঞ্জ তাদের ভ্রমণকে সহজ করবে।’

    হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এটিই প্রথম প্রবাসী লাউঞ্জ। এখানে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য জায়গা এবং সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে। এতে ভর্তুকি দেবে সরকার।

    অনুষ্ঠানে আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় অধ্যাপক আসিফ নজরুল জন্মভূমির জন্য আত্মত্যাগ করা বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক এবং কোটি প্রবাসীর প্রতি গভীর জ্ঞাপন করেন।

    বাংলাদেশে নিযুক্ত আইওএম মিশনের ডেপুটি চিফ ফাতিমা নুসরাত গাজালি জানান, জাতিসংঘ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তা করতে লাউঞ্জটিকে স্পনসর করেছে।

    তিনি বলেন, ‘এটি প্রধান উপদেষ্টার একটি উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগকে সমর্থন করতে পেরে আনন্দিত।

  • আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

    আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

    কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

    আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে এবার কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    শফিকুল আলম বলেন, জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ১১-১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে সরকারি সফরে থাকবেন।

    তিনি জানান, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে- এসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।

    তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

    বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। তার প্রথম সফর ছিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন।

    এর আগে প্রধান উপদেষ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্ধোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা আমাদের মেহমান।

  • বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ চিন্তার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে

    বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ চিন্তার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে

    বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ তাদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন : ঢাকার উত্তরাধিকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।

    ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কি এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। এ নিয়ে গবেষণা চলছেই।

    “শুনেছি কার্জন হলে পঠন-পাঠনের কাজের ভেতরেই নবীন অধ্যাপক বসুর কাছে নতুন কোয়ান্টাম থিওরির শুরুর মধ্যে যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল, তার থেকেই ওই আবিষ্কারের চিন্তাটি তার মাথায় এসেছিল। অখ্যাত জায়গার অখ্যাত এই বিজ্ঞানীর এই অদ্ভুত আবিষ্কারের কথা দুনিয়ার কোন জার্নাল ছাপতে যাবে? কিন্তু নিজের কাজের ওপর অত্যন্ত আস্থাশীল বসু সোজা সেদিনের দুনিয়ায় সব থেকে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের কাছে জার্মানিতে পাঠিয়ে দিলেন এ আবিষ্কার নিয়ে তার ছোট্ট প্রবন্ধটি। সঙ্গে চিঠি দিলেন, নিজের পরিচয় দিলেন— আমি আপনার সরাসরি ছাত্র না হলেও, আপনার ভাব-শিষ্য, এই বলে। আইনস্টাইন চট করে বুঝে ফেললেন এ কোনো সাধারণ আবিষ্কার নয়। এর সঙ্গে নিজেরও একটি বাড়তি ধারণা যোগ করে এবং প্রবন্ধটি নিজের হাতে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে পদার্থবিদ্যার বিখ্যাত জার্নালে পাঠিয়ে দিলেন। সেই থেকে এটি বোস-আইনস্টাইন থিওরি।

    অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে, এর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারবো- যেমন আস্থা বসুর ছিল।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এবং কলকাতার সাবেক অধ্যাপক পার্থ ঘোষ প্রমুখ।

  • পরিবর্তন আনতে তরুণদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

    পরিবর্তন আনতে তরুণদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

    দেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের মনস্থির করে স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    রোববার তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আমি তরুণদের মনস্থির করতে, চিন্তা করতে ও স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করি। স্বপ্ন হলো পরিবর্তনের সূচনা। স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবে। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন তবে এটি কখনোই হবে না।’

    তরুণদের দিকে ইঙ্গিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘নিজেকে প্রশ্ন করুন আমি বিশ্বের জন্য কী করতে পারি? একবার আপনি কী করতে চান তা বুঝতে পারলে আপনি তা করতে পারবেন। কারণ আপনার সেই ক্ষমতা রয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম এখন সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। তারা যথেষ্ট স্মার্ট হওয়ার কারণে নয় বরং তাদের হাতে প্রচুর প্রযুক্তি রয়েছে বলে।’

    প্রযুক্তিকে আলাদিনের চেরাগ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি যদি ছাত্রবিপ্লবের দিকে তাকান, তবে এটি প্রযুক্তির বিষয়। তারা একে অপরের সঙ্গে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারত। তাদের কোনো কমান্ড কাঠামো ছিল না।’

    ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের তরুণ যুবকেরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। তরুণরা রাজনীতিবিদ নয় এবং কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টাও তারা করছে না। তবে তারা নিজেদের জন্য একটি নতুন দেশ চায়।

  • প্রথম বিদেশ সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

    প্রথম বিদেশ সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন থাইল্যান্ড। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর তিনি ব্যাংকক যাবেন।

    মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সফরকে সামনে রেখে সম্প্রতি থাইল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুর্শেদ কাজীকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে। তিনি ব্যাংকক পৌঁছেছেন।

    আগামী ২-৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সাত-জাতির আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের (বঙ্গোপসাগরীয় বহুমাত্রিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জোট) ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতসহ জোটের সব সদস্য শীর্ষ নেতারা যোগ দিচ্ছেন।

    মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৫ সেপ্টেম্বর ফিরবেন। ৪ সেপ্টেম্বর তিনি বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা করবেন।

    শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স চূড়ান্তপর্বে ভর্তির সুযোগ দিন : সুজন

    তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স চূড়ান্তপর্বে ভর্তির সুযোগ দিন : সুজন

    অনিশ্চিত শিক্ষাজীবন থেকে মুক্তি দিতে মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্তপর্বে ভর্তির সুযোগ দানের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    বুধবার (৪ মার্চ) জামালখানস্থ প্রেসক্লাব ভবনে মাস্টার্স ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জনাব সুজনের সাথে স্বাক্ষাত করতে গেলে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। স্বাক্ষাতের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য সম্বলিত একটি কপিও সুজনের নিকট হস্তান্তর করেন।

    এ সময় জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ করে একটি উন্নত জীবন গড়ার তাগিদে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও সেভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

    কিন্তু আমরা জানতে পারলাম যে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স চূড়ান্তপর্বে ভর্তির অনুমতি প্রদান করা হচ্ছে না। এতে করে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এ যাবত পর্যন্ত মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বিভিন্ন বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চূড়ান্তপর্বে ভতি হতে পারতো।

    হঠাৎ করে উক্ত নিয়ম চালু হওয়ার ফলে ঐসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে মূল্যবান একটি বছর ঝড়ে পড়বে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। বিশেষ করে ডিগ্রী পাশ করার পর থেকে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনে প্রবেশ করে। পাশাপাশি উন্নততর জীবনের আশায় কষ্ট করে হলেও লেখাপড়া চালিয়ে গিয়ে নিজের মনে মাস্টার্স পাশ করার স্বপ্ন বুনতে থাকে। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তাই এ সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করা আজ সময়ের দাবী।

    সুজন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনে থেকে মোবাইল ফোনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশীদ এর সাথে কথা বলেন এবং উক্ত সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনা করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।

    সুজন এ সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করার লক্ষ্যে শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর সাথেও কথা বলার আশ্বাস দেন। নাগরিক উদ্যোগ জনহিতকর কর্মকান্ডের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানেও সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিউলি আকতার, নিবেদিতা চৌধুরী, আলমগীর হোসেন, মেহেদী হাসান, মাইফুল জান্নাত, রুনা আকতার, মোঃ সাহেদ, মোঃ মাহবুব, নাগরিক উদ্যোগের উপদেষ্টা হাজী মোঃ ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোঃ সেলিম, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, অনির্বান দাশ বাবু প্রমূখ।

     

  • বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করুন : সুজন

    বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করুন : সুজন

    অবিলম্বে বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য সরকারের উর্দ্ধতন মহলের নিকট বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ সোমবার (২ মার্চ) উত্তর কাট্টলীস্থ তার নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হচ্ছে সল্টগোলা ক্রসিং থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, তেল শোধনাগার, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সিইপিজেড কেইপিজেডসহ বিভিন্ন ভারী এবং হালকা শিল্প কারখানা ঐ অঞ্চলে অবস্থিত।

    স্বাভাবিকভাবেই ঐ এলাকায় বিপুল সংখ্যক জনগনের বসবাস। তাছাড়া প্রায় ৫ লক্ষাধিকের অধিক নারী জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখানে বসবাস করে। এতো বিপুল সংখ্যক নারীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় নেই কোন প্রকার হাসপাতাল কিংবা মাতৃসদন।

    ফলত কোন অসুখ বিসুখ কিংবা সন্তান জন্মদানের জন্য ঐ অঞ্চলে বসবাসরত নারীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা নগরীর অন্য কোন বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রসূতি মা’দের রাস্তায় সন্তান প্রসবের মতো আস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখেও পড়তে হয়। দিনের পর দিন এ অবস্থা চলতে থাকলেও বস্তুত ঐ এলাকার জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য কার্যত কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নাই।

    অথচ সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি বিশাল বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে যা মোটেও কাম্য নয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বন্দর এলাকা হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত হাসপাতাল এলাকাটিতে সবসময় ট্রাফিক জ্যাম লেগেই থাকে।

    তাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নিকট সবিনয় আবেদন জানাবো অতিসত্বর উক্ত বাণিজ্যিক স্থাপনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট হস্তান্তর করা হোক। যাতে ঐ এলাকায় বসবাসরত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত স্বাস্থ্য সেবার সুফল পেতে পারে। তিনি মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় একটি মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ জানান।

    তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ২৫০০ আবাসিক এবং ১০০ বানিজ্যিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে কাঙ্খিত গ্যাস সংযোগ প্রদান করছে না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশে এল.এন.জি আমদানি করা হয়েছে।

    চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যাওয়া এল.এন.জি’র লাইনের মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়নের অধিক গ্যাস সারা দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হলে চট্টগ্রামবাসী গ্যাসের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতো। তিনি অতিসত্বর চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে আবাসিক এবং বানিজ্যিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান করার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ আহবান জানান।

    তিনি আরো বলেন, আমরা বারবার ওয়াসা কর্র্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানানোর পরেও এখনো ওয়াসার গড়বিল প্রদান বন্ধ হচ্ছে না। এতে করে গ্রাহকগণ ভোগান্তিতে পড়ছে। তিনি গ্রাহকদের সুবিধার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নগরীতে পূণরায় ওয়াসার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করার আহবান জানান।

    সুজন আরো বলেন, নগরবাসীর পক্ষে আমাদের একাধিকবার আবেদন সত্বেও বাংলাদেশের একটি অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সাকির্ট হাউস সংলগ্ন বর্তমান শিশু পার্কটি না সরিয়ে চালু করার পায়তারা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনি পূণরায় চসিক মেয়রকে সার্কিট হাউসের সামনে থেকে শিশুপার্কটি সরিয়ে ফেলার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। নচেৎ চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে শিশুপার্ক নামক জঞ্জালটি সরিয়ে ফেলার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করা হবে।

    এছাড়া নগরীতে লেখাপড়া ও জীবিকার তাগিদে বসবাসরত উপজাতিদের বসবাসের সুবিধার্থে নগরীতে একটি বিশাল ডরমিটরী চালু এবং সদরঘাট থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান জনাব সুজন।

    নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, শিশির কান্তি বল, শেখ মামুনুর রশীদ, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, অনির্বান দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, সোলেমান সুমন, সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।