Tag: প্রধান শিক্ষক

  • ছাত্রী আত্মহত্যার প্ররোচনা: সেই প্রধান শিক্ষক সিরাজুল গ্রেফতার

    ছাত্রী আত্মহত্যার প্ররোচনা: সেই প্রধান শিক্ষক সিরাজুল গ্রেফতার

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥ আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় নীলফামারীর ডোমারের মাহিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    রোববার(৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের বাকডোকরা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

    বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহননকারী তৃষ্ণা রায়ের বাবা দুলাল চন্দ্র রায়ের মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    এরআগে একই দিনের সকালে ডোমার-চিলাহাটি সড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুদ্ধ সহপাঠীসহ এলাকাবাসী।

    উল্লেখ্যঃ চলমান এসএসসি পরীক্ষার আগেরদিন (২ ফেব্রুয়ারী) প্রবেশপত্র দেয়া হয় ওই ছাত্রীটিকে।বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী হয়েও প্রবেশ পত্রে বিভাগ পরিবর্তন হয়ে আসে তার প্রবেশ পত্রে। এনিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। সেদিন বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ছাত্রী তৃষ্ণা রায়।

    এনিয়ে জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবী করে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করে সহপাঠী সহ স্থানীয়রা। শিক্ষা বোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গঠন করা হয় পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটিও।

    ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তৃষ্ণার বাবার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • শিবচরে ইউএনও-চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর, আটক ২২

    শিবচরে ইউএনও-চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর, আটক ২২

    মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়র জনগণ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    সোমবার রাতে উপজেলায় কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

    এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২২ জনকে আটক করে।

    জানা যায়, এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়া, প্রবেশপত্র ও সনদ বিতরণের সময় টাকা নেয়া, নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

    সোমবার বিকালে কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় বসেন শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামানসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।

    এ সময় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে বর্তমান শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। রাতেই গাড়ি দুটি উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসা হয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করে।

    পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলিবর্ষণ করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে শিবচর থানার একটি সূত্র জানায়।

    এ ব্যাপারে কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন জানান, এলাকার কিছু লোকজন ও প্রাক্তন ছাত্ররা মিলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আন্দোলন করছে।

    শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ে যান। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে মাদারীপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব সহায়তায় রাতে অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত তিন দিন ধরে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। সোমবার বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে নিয়ে ওই এলাকায় যাই। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সমোঝতা করার চেষ্টা করি। কিন্তু শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী প্রশাসনের আশ্বাস মেনে নেয়নি। পরে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা আমাদের অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

    এর আগে গত শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থীরা। ওই সময় বিষয়টি ‘দেখার’ আশ্বাস দেন প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় সোমবার বিকালে ফের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

  • এমপিও ভুক্তির তালিকায় না থাকায় সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

    এমপিও ভুক্তির তালিকায় না থাকায় সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

    নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তাঁর কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতিষ্ঠানের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির নাম না থাকায় ২৪ অক্টোবর বৃস্পতিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটায় বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।

    খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা খুলে তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।

    এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে গত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটির নিম্ন মাধ্যমিক শাখা (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী) এমপিওভূক্ত হয়। এরপর বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শাখা (নবম-দশম শ্রেণী) এমপিওভূক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সকল শর্ত পূরণ করে ও নিয়মকানুন মেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে।

    আবেদনের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্তি হবে এমন আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।

    গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্তির ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত এমপিওভূক্তির তালিকায় সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম না থাকায় বিদ্যালয়ের এমপিওভূক্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশায় পড়ে এবং বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন।

    প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার যথারীতি শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাসে না গিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসে অবস্থান নেন। এর এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়ের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়ে তাকে তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

    এ খবর অল্প সময়ের মধ্যে গোটা সৈয়দপুর শহরে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ বিদ্যালয়ে ছুঁটে যান। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেও অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে ঘটনাটি সৈয়দপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ বিদ্যালয়ে পৌঁছে তালা খুলে প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়কে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে।

    বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্তকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল শর্তপূরণ পূর্বক যথাযথভাবে আবেদন করা হয়। আর এমপিওভূক্তি করার এখতিয়ার সম্পূর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এতে আমার কোন রকম গাফিলাতি কিংবা অবহেলা নেই। কিন্তু তারপরও শিক্ষক-কর্মচারীরা ভূল বুঝে অহেতুক আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন।

  • ব্যক্তি এক চাকুরি দুই প্রতিষ্ঠানে, গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক

    ব্যক্তি এক চাকুরি দুই প্রতিষ্ঠানে, গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক

    আনোয়ারা উপজেলার চুন্নাপাড়ার আব্দুল সাত্তারের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৩)। তিনি একাধারে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আবার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবও। যা সম্পূর্ণ সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে নীতিমালা লঙ্ঘন।

    সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি দুই জায়গায় চাকরি করতে পারেন না। তবে সরকারি এই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রফিকুল ইসলাম গত দেড় যুগ ধরে চট্টগ্রামের দুই উপজেলায় এমন অনিয়ম করে আসছেন। রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন নানা অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়ে হাতে নাতে প্রমাণও পায় দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা।

    অবশেষে একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার অভিযোগে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদক। (দুদক মামলা নং-৩(১০)১৯)। এ মামলায় রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

    দুদক ২-’র উপ সহকারি পরিচালক মু. জাফের সাদেক শিবলী গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।