Tag: প্রস্তাবিত বাজেট

  • পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সুবিধা দেওয়া চরম অনৈতিক: সিপিডি

    পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সুবিধা দেওয়া চরম অনৈতিক: সিপিডি

    সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, যারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে, দুর্নীতি করে অন্যায়ভাবে অর্থ নিয়ে গেছে, তাদের আবার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এটা চরম অনৈতিক। আমরা বলছি, এ থেকে আসলে কোনো অর্থ আসবে না।

    শুক্রবার (১০ জুন) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    এর আগে, বৈদেশিক মুদ্রা বাড়াতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া হয়।

    অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার (৯ জুন) নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে ৭ শতাংশ কর দিয়েই এসব অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার কথা জানান। তবে এই উদ্যোগের ফলে বিদেশ থেকে কোনো টাকাই ফেরত আসবে না বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি।

    এ বিষয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই ধরণের উদ্যোগ নৈতিকতা পরিপন্থি। যারা সৎ করদাতা তাদের নিরুৎসাহিত করা, নৈতিকভাবে তাদের ডিমোরালাইজড (নীতিভ্রষ্ট) করার একটা প্রচেষ্টা। অন্যদিকে, যারা অবৈধ উপায়ে অর্থ-সম্পদ বাইরে নিয়ে যায়, তাদের কিন্তু প্রকারান্তরে উৎসাহিত করা হয়েছে।

    সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অপ্রদর্শিত আয়ের বিষয়টি বহুদিন ধরে চলে এসেছে। সেক্ষেত্রেও আমরা তেমন একটা সাফল্য দেখতে পারছি না। যেই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেগুলো নৈতিকভাবে একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। সেই প্রচেষ্টার মাধ্যমে যদি অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালনার প্রচেষ্টা চালানো হয় তাহলে তা একেবারেই ভ্রান্ত ও অনৈতিক পদক্ষেপ হবে।

    আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমে যাবে সে বিষয়ে বাজেটে সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজেটে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির হিসাব কীভাবে এলো, এটা কীভাবে কমবে তা বলা হয়নি। সারাবিশ্বে অর্থনীতির অস্থিরতা চলছে। সেখানে আমাদের মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য বাড়বে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব সেটা বোধগম্য নয়।

    রাজস্ব খাত নিয়ে তিনি বলেন, রাজস্ব বোর্ডকে এমন লক্ষ্য দেওয়া হয়, যা আদায় সম্ভব হয় না।
    ২০২৩ সালে যেসব প্রকল্প শেষ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা ঠিক সময়ে শেষ হবে না বলে জানান তিনি।

    মিডিয়া ব্রিফিং এ সিপিডি চারটি সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো- নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কর তুলে নেওয়া, আমদানির ক্ষেত্রে ছোট ব্যবসায়ীদের কর সুবিধা, ভর্তুকিতে পর্যাপ্ত অর্থ রাখা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাত বাড়ানো।

  • দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে

    দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে

    আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফাা কামাল এ ঘোষণা দেন।

    তিনি বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় আমি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি যে, সরকার আগামী অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

    মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বয়স্ক জনগোষ্ঠির তুলনায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠির সংখ্যা অনেক বেশি, বিধায় একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালু করাটা এখন সময়ের দাবি। সরকার বয়স্ক ও দুঃস্থ জনগোষ্ঠির জন্য টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি নিশ্চিত করার জন্য ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা আইন,২০২২’ প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে, যা চলতি বছরই বিল আকারে সংসদে তোলা হবে।

  • ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ

    ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ

    বৈশ্বিক মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) পরবর্তী অর্থনৈতিক অভিঘাত সফলভাবে মোকাবলা করে চলমান উন্নয়ন বজায় রাখা ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব আজ সংসদে পেশ করা হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’ শ্লোগান সম্বলিত এ বাজেট পেশ করেন। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

    তিনি পাওয়ার পয়েন্টে প্রস্তাবিত বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ দিক, সরকারের পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব তুলে ধরেন।

    প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যন্য সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর বহির্ভূত ১৮ হাজার কোটি টাকা, কর ব্যতিত প্রাপ্তি ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

    সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে, যা জিডিপির ৫.৫ শতাংশ, চলতি বছরের বাজেটে ঘাটতি ছিল জিডিপির ৬.২ শতাংশ।

    এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক ঋণ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা আহরণ করার প্রস্তাব করা হয়। বৈদেশিক ঋণের মধ্যে ঋণ পরিশোধ খাতে ১৭ হাজার কোটি রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ৩৫ হাজার কোটি টাকা, ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা, এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা সংস্থানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

    প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এর আগে আজ দুপুরে সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রস্তাবিত বাজেটে অনুস্বাক্ষর করেন।

    এছাড়াও, অর্থমন্ত্রী আজ ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেট পেশ করেন। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

    ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের এ মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালেরও চতুর্থ বাজেট। আর বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট। বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু’টি বাজেটের পর এবার অর্থমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ আকারে বাজেট পেশ করেন। বাজেট পেশের সময় এবার সরকার ও বিরোধী দলের সব সংসদ সদস্য অধিবেশনে যোগ দেন।

    অর্থমন্ত্রী বিকেল ৩টায় দিকে বাজেট বক্তৃতার শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদ, চার জাতীয় নেতা, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা বোন এবং অন্যান্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি বৈশ্বিক মহামারি কোভিড- ১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংসদে প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে বাজেট বক্তৃতা শোনেন এবং অধিবেশন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।

    বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৩ অর্থ বছর ধরে দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির আঘাতে দেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও অর্থননৈতিক অগ্রযাত্রাকে যেভাবে বাধাগ্রস্ত করছে তা থেকে দেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জীবন ও জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সরকার দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় করোনা মহামারির ফলে আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। পাশাপাশি করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি এবং রাশিয়া ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধাবস্থায় বৈশ্বিকভাবে বিভিন্ন খাতে যে অভিঘাত শুরু হয়েছে তা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং কৌশল বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

    প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক অবকাঠামো খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৭.০৫ শতাংশ; এর মধ্যে মানবসম্পদ খাতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাত) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। ভৌত অবকাঠামো খাতে প্রস্তাব করা হয়েছ ২ লাখ ৮৬০ কোটি টাকা বা ২৯.৬২ শতাংশ; যার মধ্যে সার্বিক কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৮৬ হাজার ৭৯৮ কোটি; যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৭৯ হাজার ২৬ কোটি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৬ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। সাধারণ সেবা খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২২.৫৯ শতাংশ। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), বিভিন্ন শিল্পে আর্থিক সহায়তা, ভর্তুকি, রাষ্ট্রায়ত্ত, বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য ব্যয় বাবদ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৫৩ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৭.৮৪ শতাংশ; সুদ পরিশোধ বাবদ প্রস্তাব করা হয়েছে ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ১১.৮৫ শতাংশ; নিট ঋণদান ও অন্যান্য ব্যয় খাতে প্রস্তাব করা হয়েছে ৭ হাজার ৪১ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ১.০৪ শতাংশ।

    প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা, যোগাযোগ অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, কৃষি, মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

  • দাম বাড়বে ট্রেনের এসি টিকিটের

    দাম বাড়বে ট্রেনের এসি টিকিটের

    অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন । এর ফলে ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিটের ভাড়া কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

    বর্তমান সরকারের ২২তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট এদিন বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত আছেন।

    প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি মহান জাতীয় সংসদে নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা পেশ করছি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) সার্ভিসের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির রেলওয়ে সেবার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের প্রস্তাব করছি। এর ফলে এসি টিকিটের পাশাপাশি ট্রেনের চেয়ার কোচের টিকিটেও বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

    ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

    স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন ১৯৭২ সালে। সেই থেকে যাত্রা শুরু হয়ে আজ ৫১তম বাজেট পাচ্ছে বাংলাদেশ।

  • যেসব পণ্যের দাম কমবে

    যেসব পণ্যের দাম কমবে

    প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

    বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সংসদে তিনি বাজেট উত্থাপন শুরু করেন। বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী জানান, বাজেট ঘোষণার ওপরই বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠা-নামা শুরু হয়।এবারের প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় শুল্ক ও ভ্যাট ছাড় থাকবে। এ কারণে সার্বিকভাবে অনেক পণ্যের দাম কমতে পারে।

    স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেটের মূল স্লোগান কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন। যেখানে মূল লক্ষ্য সক্ষমতার উন্নয়ন।

    বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সঙ্গে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানোই এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য।

    যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে স্বর্ণালঙ্কারের দাম কমতে পারে।

    শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রের দাম কমতে পারে।

    হুইল চেয়ারে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১০ শতাংশ অগ্রিম কর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে হুইল চেয়ারের দাম কমতে পারে।

    এ ছাড়া শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পানির ফিল্টার, বিমানের জন্য ব্যবহৃত টায়ার, কাজু বাদাম ও পেস্তা বাদামে।ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

  • যেসব পণ্যের দাম বাড়বে

    যেসব পণ্যের দাম বাড়বে

    প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

    বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সংসদে তিনি বাজেট উত্থাপন শুরু করেন। বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় শুল্ক ও ভ্যাট ছাড় থাকবে।এসব কারণে সার্বিকভাবে অনেক পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও কমতে পারে।

    স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেটের মূল স্লোগান কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন। যেখানে মূল লক্ষ্য সক্ষমতার উন্নয়ন।

    যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমদানি করা পনির ও দইয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি পনির ও দইয়ের দাম বাড়তে পারে।

    সিগারেটের নিম্ন স্তরের দশ শলাকার দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এই পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে।

    আমদানি করা তৈরি পোশাকে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।ফলে বিদেশি পোশাকের দাম বাড়বে।

    দাম বাড়বে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপরিশোধিত আলকাতরা, বিদেশি পাখি, প্রিন্টিং প্লেট, ক্যাশ রেজিস্ট্রার, ফ্যান, মোটর, লাইটার, দুই স্ট্রোক ও ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিনের সিএনজি, কম্পিউটার প্রিন্টার ও টোনার, আমদানি করা মোবাইল চার্জার, কার্বন ডাই-অক্সাইড, আমদানি করা পেপার কাপ এবং প্লেটের।

    এ ছাড়া বিলাসবহুল গাড়ি, রিকন্ডিশন ও হাইব্রিড গাড়িতে ২০০০ সিসি থেকে ৪০০০ সিসিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।ফলে এসবেরও দাম বাড়বে।

  • এক নজরে প্রস্তাবিত বাজেট

    এক নজরে প্রস্তাবিত বাজেট

    ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য– ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি।

    চলতি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেট দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।

    এক নজরে বাজেট

    বাজেটের আকার : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা

    রাজস্ব আয় প্রাক্কলন : ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

    এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা : ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা

    এনবিআর বহির্ভূত কর : ১৮ হাজার কোটি টাকা

    করছাড় প্রাপ্তি : ৪৩ হাজার কোটি টাকা

    বৈদেশিক অনুদান : ৩ হাজার ২৭১কোটি টাকা

    বাজেট ঘাটতি : ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা

    এডিপিতে বরাদ্দ : ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা

    উন্নয়ন ব্যয়: ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা

    প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা : ৭ দশমিক ৫ শতাংশ

    মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা : ৫ দশমিক ৬শতাংশ

    ঘাটতি অর্থায়ন

    অভ্যন্তরীণ উৎস : ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা

    ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে : ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা

    ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ: ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা।

    সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ : ৩৫ হাজার কোটি টাকা

    বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ :৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা

    করমুক্ত বার্ষিক আয়সীমা : ৩ লাখ টাকা

  • প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এর আগে দুপুর ১২টার পর জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে অর্থমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।

    জানা গেছে, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বড় ব্যয়ের বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যেখানে বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন অর্থবছরের (২০২২-২৩) আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের আয়ের খাতগুলো থেকে কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।

    নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করা হবে। প্রত্যেকবারের মতো এবার সাধারণ জনগণকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার, তাই বাজেটেও সাধারণ জনগণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার দেশের তথা জনগণের সার্বিক উন্নয়নে নানাভাবে চেষ্টা করছে। কোভিড পরিস্থিতিতেও আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও চলমান। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের সরকার প্রধানের বিচক্ষণতায় অন্যান্য দেশের থেকে এখনও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। বৈশ্বিক এই চ্যালেঞ্জ নিয়েও এবারের বাজেটে দেশের তথা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের রূপরেখা থাকবে।

    তিনি বলেন, বাজেটের একটি বিরাট অংশ দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ব্যয় করা হবে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ এবার উন্নয়ন বাজেটের জন্য বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়েই ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের উন্নয়ন বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার, কোভিড-১৯ মোকাবিলা, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

  • সব সমালোচনাকে অসাড় প্রমাণিত করে এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হবে : তথ্যমন্ত্রী

    সব সমালোচনাকে অসাড় প্রমাণিত করে এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সব সমালোচনাকে অসাড় প্রমাণিত করে এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হবে।

    তিনি বলেন, ‘গত ১১ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাজেট বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশ এগিয়ে গেছে। দারিদ্রতা কমে অর্ধেকে নেমেছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ। জিডিপি গ্রোথ রেট পৃথিবীর অন্যতম বেশি গ্রোথ রেটের দেশে উন্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হবে।’

    হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাইফ পাওয়ার টেকের উদ্যোগে কোভিট-১৯ মোকাবেলায় এক’শ অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চান। সেজন্য তিনি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ নানা ধরণের ভাতা চালু করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা কখনো ভাবেনি স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা পাবেন, ইউরোপের দেশেও স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা পায় না। এইধরণের ভাতায় বর্তমানে ৮৮ লক্ষ সুবিধাভোগী আছে। এইবার আরো ১১ লাখ মানুষকে নতুন করে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। এই বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের জন্য গত বাজেটের তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯৫ হাজার ৫’শ ৭৪ কোটি টাকা।’

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই বাজেটে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন।
    পত্রপত্রিকায় দেখলাম এত বেশি লক্ষ্যমাত্রা কেন স্থির করা হলো তা নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। ক’দিন আগে আইএমএফ বলেছে যদি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব খুব সহসা কেটে যায়, এবং বৈশিক মন্দাও যদি সহসা কেটে যায় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নয় শতাংশের বেশি হতে পারে। এটি হচ্ছে আইএমএফ এর প্রাক্কলন। সুতরাং সেটি যদি বিবেচনায় নিই তাহলে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চয়ই উচ্চাভিলাষী নয়।”

    ড. হাছান বলেন, ‘উচ্চাভিলাষ থাকতে হয়, উচ্চাভিলাষ না থাকলে অভিলাষ পুরণে জাতীর কোন তাগাদা থাকে না। ব্যক্তি জীবনে যেমন অভিলাষ না থাকলে সেই মানুষের লক্ষ্যে পৌঁছানোর কোন তাগাদা থাকে না। রাষ্ট্রিয় জীবনেও লক্ষ্য থাকতে হয় অভিলাষ থাকতে হয়। তাহলেই জাতি এগিয়ে যায়। যেভাবে গত ১১ বছর ধরে সেই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে সমৃদ্ধি ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপুরণের পথে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রী একটি সাহসি বাজেট ঘোষণা করেছেন। পত্রপত্রিকায় অনেক মন্তব্য ও বিশ্লেষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। অনেক বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত দিচ্ছেন। এদের মধ্যে কিছু চিহ্নিত বিশেষজ্ঞ আছে। তারা সবসময় মতামত দেন। গত ১১ বছর ধরে যখনই বাজেট ঘোষণা হয়েছে ততবারই সিপিডি কোনদিন বাজেটের প্রশংসা করতে পারেনি। প্রতিবারই তারা বলেছেন এই বাজেট উচ্ছাকাঙ্খি,এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু গত ১১ বছরের আমরা যদি হিসেব নিয়ে থাকি তাহলে দেখতে পাব প্রতিবার বাজেটের ৯৩ থেকে ৯৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এবারও তাদের একই কথার ধারাবাহিকতা আমরা লক্ষ্য করছি। একইভাবে তারা সমালোচনা করছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে এধরণের উচ্চাভিলাষি বাজেট কেন দেয়া হলো। এধরণের কথাবার্তা তারা বলছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ১১ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল, সেই লক্ষ্য পুরণ করেই বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নিত করা সম্ভব হয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধিকরা সম্ভব হয়েছে। দারিদ্রহার যেটি ৪০ শতাংশের বেশি ছিল সেটি ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।’

    তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যখন সরকার গঠন করা হয় তখন ২০০৮-০৯ সালের বাজেট ছিল ৮৮ সহাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। ১১বছরে বাজেটের অংক সাড়ে ৬গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৬’শ ডলার। আজকে সেটি ২ হাজার ৮০ ডলারে উন্নিত হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়নের পর মানুষের জনপ্রতি উপার্জন হবে প্রতিবছর প্রায় ২ লক্ষ টাকা।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সমালোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কালো টাকা সাদা করার সিস্টেম চালু করেছিলেন বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান। তিনি নিজেও কালো টাকা সাদা করেছিলেন, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নিজেও কালো টাকা সাদা করেছিলেন। অর্থনীতির স্বার্থে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরণের অপ্রদর্শিত টাকাকে বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদের উচিৎ সেই তথ্য ও উপাত্ত যাচাই বাছাই করা এবং আয়নায় নিজেদের চেহারাটাও একটু দেখার জন্য বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে না এবং চিকিৎসা না দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে কোনভাবেই রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে এ নিয়ে কয়েকটি সমন্বয় সভা হয়েছে। কয়েকটি হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। তবে, শুধু চট্টগ্রামে নয় শুধু, সারাদেশ এবং পৃথিবী জুড়েই আইসিইউ সঙ্কট আছে। ইতালি-নিউইর্য়কের মতো দেশে বহু বয়স্ক মানুষকে আইসিইউ সেবা দিতে না পারার কারণে মৃত্যুবরণ করেছে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তবে, এভাবে রোগী ফেরত দেওয়া কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান এভাবে রোগী ফেরত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকার এটি ধর্তব্যের মধ্যে নিচ্ছে। সময়মত তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    শনিবার থেকে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট শুরু করবে। প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্সও বাতিল হবে বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে, যেসবের কমছে

    যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে, যেসবের কমছে

    করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর মধ্যে নতুন অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক ও করভার কমানোর পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়াতে বিলাস দ্রব্যসহ বেশকিছু পণ্যে শুল্ক ও করভার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

    এর মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ সামগ্রীতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতিসহ যেসব পণ্যে শুল্ক ও করভার কমানোর প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলোর দাম সঙ্গত কারণেই কমার কথা।

    অন্যদিকে প্রসাধন সামগ্রী, মোবাইল ফোন সেবা, গাড়ির নিবন্ধন মাশুল, প্রক্রিয়াজাতকৃত মুরগীর মাংসসহ যেসব পণ্যে শুল্ক-কর ভার বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে সেগুলোর দাম বাড়তে পারে।

    মহামারীর বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে অর্থনীতির ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বৃস্পতিবার জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

    নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩.২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭.৯ শতাংশের সমান।

    বিদায়ী অর্থবছরে মুস্তফা কামালের দেওয়া বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮.৩ শতাংশের সমান।

    দাম বাড়তে পারে যেসবের

    >> স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তথ্য-প্রযুক্তি খাতের লোডেড পিসিবি (প্রিন্টার সার্কিট বোর্ড), আনলোডেড পিসিবি এবং রাউটারের ওপর পাঁচ শতাংশ মূসক আরোপ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

    >> আসবাবপত্রের বিপণন কেন্দ্রের ওপর মূসক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাতে ৭ শতাংশ করায় সেখানে বিক্রিত পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

    >> শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ সার্ভিসের মূসক দ্বিগুণ করে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাড়তে পারে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের ভাড়া।

    >> কার ও এসইউভির নিবন্ধনসহ বিআরটিএর অন্যান্য মাশুলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকায় গাড়ি নিবন্ধনের খরচ বাড়বে। চার্টাড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়ার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ করার প্রস্তাব রাখায় এখাতেও ভাড়া বাড়তে পারে।

    >> সব প্রসাধন সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।

    >> মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাবে।

    >> সিরামিকের সিংক, বেসিন ইত্যাদি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করায় বেড়ে যাবে এসব পণ্যের দাম।

    >> সিগারেটের চারটি স্তরের মধ্যে তিনটি স্তরের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, একটি স্তরের দাম অরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ফলে বেশিরভাগ সিগারেটের দাম বাড়ছে। এছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন ও ফিল্টারযুক্ত বিড়ির সব স্তরের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে বাড়ছে বিড়ির দাম।

    >> পেয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।

    >> শিল্পের জন্য লবণ আমদানির ওপর শুল্কহার বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে বাড়বে এই পণ্যের দাম।

    >> প্রক্রিয়াজাত মুরগীর মাংসের অংশ বিশেষ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাবে এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

    >> আবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় যেমন- পেরেক, স্ক্রু ও ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাবে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

    >> তেলনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুৎসাহিত করতে ফার্নেস অয়েল আমদানিতে যে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হত তা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাড়বে ফার্নেস অয়েলের দাম।

    দাম কমতে পারে যেসবের

    >> করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানির ওপর আগাম কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ ‍শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সাধারণভাবে স্থানীয়ভাবে তৈরি সব পণ্যের দাম কিছুটা কমার কথা।

    >> কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা কিটের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে মূসক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পিপিই এবং ফেইস মাস্কসহ সার্জিক্যাল মাস্কের উৎপাদন ও ব্যবসা পযায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ নিরোধক ওষুধ আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসা পযায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে কমছে এসব পণ্যের দাম।

    >> দেশের টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশের জন্য পলিস্টার, রেয়ন ও অন্যান্য সব সিনথেটিক সুতার ওপর মূসক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে প্রতি কেজিতে সুর্নিদিষ্ট ৬ টাকা করা হয়েছে এবং সব ধরণের কটন সুতার ওপর কর প্রতি কেজিতে ৪ টাকা থেকে কমিয়ে ৩ টাকা করা হয়েছে।

    >> এসএমই শিল্পের পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ায় সেসব পণ্যের দাম কমবে।

    >> মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের জন্য সয়াবিন অয়েল কেক ও সয়া প্রোটিন কনসেনট্রেট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ায় এ দুটি পণ্যের দাম কমতে পারে।

    >> দেশের আলু দিয়ে পটেটো ফ্ল্যাকস তৈরির ওপর ১৫ শতাংশ মূসক কমিয়ে ৫ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করায় পণ্যটির দাম কমতে পারে।

    >> একইভাবে স্থানীয়ভাবে ভুট্টার গুঁড়ো (মেইজ স্টার্চ) তৈরির ওপর ১৫ শতাংশ মূসক কমিয়ে ৫ শতাংশে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এটির দাম কমতে পারে।

    >> স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সরিষার তেলের ওপর মূসক অব্যাহতি দেওয়ায় এর দাম কমতে পারে।

    >> কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন- পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, রোটারি টিলালের মত পণ্যে ব্যবসায়িক পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়ায় এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। কৃষিতে ব্যবহৃত দুই ধরনের স্প্রে করার যন্ত্রের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে দাম কমবে এই পণ্যেরও।

    >> সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধার্থে সোলার মেশিনের জন্য ৬০ এএমপি পর্যন্ত ব্যাটারি কেনার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    >> স্বর্ণ আমদানির ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কমতে পারে সোনার দাম।

    >> দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় রেফ্রিজারেট ও এয়ারকন্ডিশনারের কম্প্রেসার উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি এ দুটি পণ্যের দাম কমতে পারে।

    >> ডিটারজেন্ট শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল এলএবিএসএ-এর শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করায় এর দাম কমতে পারে।

    >> ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

    >> প্ল্যাস্টিক ও প্যাকেজিং শিল্পের ফটোগ্রাফিক প্লেটস আমদানিতে শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

    >> কাগজ উৎপাদন শিল্পের কাঁচামাল ওয়াশিং অ্যান্ড ক্লিনিং এজেন্ট আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে কমতে পারে দেশীয় কাগজের দাম।

    > গভীর সমুদ্রে জেলেদের মাছ ধরার অন্যতম প্রধান উপকরণ ইলেকট্রিক্যাল সিগনালিং ইক্যুইপমেন্ট আমদানিতে শুল্কহার কমানো হয়েছে। ফলে দাম কমবে এই পণ্যের।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ৩ লাখ টাকার উপর আয় হলে দিতে হবে কর

    ৩ লাখ টাকার উপর আয় হলে দিতে হবে কর

    ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা চলতি অর্থবছরের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। নতুন বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। আয় ৩ লাখ টাকার বেশি হলেই দিতে হবে আয়কর। চলতি বছরে যা আছে আড়াই লাখ টাকা।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব কথা বলা হয়েছে।

    বাজেটে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা। এর পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এর পরের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর দিতে হবে ১০ শতাংশ। পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ১৫ শতাংশ। পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ২০ শতাংশ। এর বেশি আয়ের ক্ষেত্রে মোট আয়ের ওপর কর ২৫ শতাংশ।

    চলতি অর্থবছরের বাজেটে সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকার পর প্রথম ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, এর পরের ৬ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ, আর পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার বিধান করা হয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ১০০ টাকা রিচার্জে মিলবে ৭৫ টাকার সেবা

    ১০০ টাকা রিচার্জে মিলবে ৭৫ টাকার সেবা

    ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

    নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ হলো। ফলে মোট করভার দাঁড়াবে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

    অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার কিছু বেশি। এতদিন তা ২২ টাকার মতো ছিল। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাবে।

    গত অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল।

    বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে স্থবির দেশের অর্থনীতি। এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা।

    বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর