Tag: প্রাণনাশের হুমকি

  • মিরসরাইয়ের সাংবাদিক আশরাফকে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হত্যার হুমকি

    মিরসরাইয়ের সাংবাদিক আশরাফকে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হত্যার হুমকি

    মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাই প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিনকে মিরসরাইয়ের সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্যরা হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপার সাংবাদিক আশরাফ বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন।

    শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে মিরসরাই থানায় নিরাপত্তা চেয়ে ১৩৮০ নং জিডি নথি ভুক্ত করা হয়।

    সাধারণ ডায়েরীর বর্ণণায় জানা যায়, মিরসরাই প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিন দীর্ঘ এক যুগ ধরে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেট্রনিক ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে একজন সৎ, নির্ভীক,নির্লোভ সাংবাদিক হিসেবে অত্যান্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনসার্থে, সুস্থ সামাজিকতার স্বার্থে, মাদক কারবারী, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, দূর্ণীতি ও অপরাধ মুক্ত দেশ গঠনে সরকারের সহযোগীতার লক্ষে অত্যান্ত সাহসীকতার সাথে সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। এতে স্থানিয় সন্ত্রাসী, মাদক কারবারী, মোটরসাইকেল চোর মেহেরাজ চৌধুরী অনি সহ তার আন্তজেলা অপরাধ চক্রের অপরাধ প্রবণতা মারাত্মক ভাবে বাধা সৃষ্টি হয়েছে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারীতে রয়েছে। যার ফলে মেহেরাজ অনি জামিনে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ৯টার সময় মিরসরাই সদর জাহেদ ফার্মীসির সামনে সাংবাদিক আশরাফকে একা পেয়ে মেহেরাজ চৌধুরী অনি ও তার চক্রের রিয়াজ, সোহেল, মেহরাজ সহ ৮ জন চড়াও হয়ে মার মুখি আচরণ করে ও বিভিন্ন ভাবে হুমকিদেয়।

    এসময় সন্ত্রাসীরা বলে সাংবাদিক আশরাফ বিভিন্ন সময় যাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে তারা সবাই জোট বদ্ধ হয়েছে। সকল অপরাধীরা একে অপরারে সাথে যোগাযোগ করে তাকে উচিৎ শিক্ষা দিবে। এছাড়া গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিবিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রতকর ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে সামাজিক ভাবে সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।

    সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আশরাফকে সতর্ক করে বলে সময় থাকতে যেন সাবধান হয়ে যায় এবং আর কোন অপরাধের বিরুদ্ধে যেন সংবাদ প্রকাশ না করে। এর পরও সন্ত্রাসী মেহেরাজ অনী বা অন্য কারো বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের মাথায় রক্ত উঠে গেলে যে কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে এমনকি জানে মেরে ফেলার ভয়ও দেখায়। এসময় জাহেদ ফার্মীসির দুই কর্মচারী কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে আসতে চাইলে তাদেরওে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেয়।

    এমতাবস্থায় সাংবাদিক আশরাফ বলেন “আমি রাস্তায় চলাচল করার সময় চোরা গুপ্তা হামলার আশঙ্কা করছি। তাই নিরাপত্তার তাগিদে মিরসরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে তদন্ত পূর্বক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছি। ” এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তকর ও মিথ্যা মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে সম্মান ক্ষুন্ন কারার চেষ্টায়ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

    এব্যাপারে মিরসরাই প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে নিন্দা প্রকাশ করে অরাধীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।

    মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, মেহেরাজ অনি একজন চিহ্নীত মোটরসাইকেল চোর এছাড়া সে মাদক ব্যাবসায়, মহাড়সকে চুরি,ছিনতাই সহ ভিবিন্ন অপকর্ম করে আসছে। সাংবাদিক আশরাফ কে হুমকি ও হেনস্থায় ঘটনায় সাধারন ডায়েরী নথি ভুক্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসী মেহেরাজ চৌধুরী অনী সহ তার চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তাররের চেষ্টা চলমান আছে।

  • সাতগড় বনবিট কর্মকর্তাকে অফিসে গিয়ে দিনদুপুরে ইউপি মেম্বারপুত্রের প্রাণনাশের হুমকি : থানায় জিডি

    সাতগড় বনবিট কর্মকর্তাকে অফিসে গিয়ে দিনদুপুরে ইউপি মেম্বারপুত্রের প্রাণনাশের হুমকি : থানায় জিডি

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি বনরেঞ্জের সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজকে দিনদুপুরে অফিসে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে স্থানীয় চুনতি ইউপি মেম্বারপুত্র ফারুক। এ ব্যাপারে তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। যাহার নং- ৩১১।

    সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখ করেছেন, লোহাগাড়ার চুনতি বনরেঞ্জের সাতগড় বনবিটের আওতাধীন সাতগড় ব্লকের চুনতি মৌজার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গেজেটে আরএস দাগ নং ২৪৭ এবং বিএস দাগ নং ৭৯১৭ এর চুনতি হাতিবান্ধা (নলবুনিয়া) এলাকার ২০১৯-২০ সনে ২য় আবর্তে সৃজিত সামাজিক বাগান অবৈধভাবে জবর দখলের অপচেষ্টা করার দায়ে ধৃত আসামী চালান ও মামলা দায়ের করার কারণে ৭ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয় চুনতি ইউপি মেম্বার সৈয়দ মোক্তার আহমদ প্রকাশ লেদু মেম্বারের ছেলে বনবিট কর্মকর্তার দায়ের করা মামলার ১নং আসামী মো: ফারুক (৪৫) সিএনজি ভর্তি লোকজন নিয়ে সাতগড় বনবিট অফিস গেইটে এসে অফিসে সরকারী কাজে নিয়োজিত বন কর্মচারী মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী ও বাগান মালীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। অন্যথায় বাইরে ডিউটিতে গেলে তাকে খুন অথবা গুম করে মেরে ফেলার হুমকি দেন । এছাড়াও মহিলা দিয়ে হয়রানী করা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে বদলী করে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।

    এ প্রসঙ্গে সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন, কয়েকদিন আগে স্থানীয় চুনতি ইউপি মেম্বার সৈয়দ মোক্তার আহমদ লেদুর ছেলে ফারুকের নেতৃত্বে আমার বনবিটের আওতাধীন একটি সৃজিত বাগান জবরদখলের সময় হাতে-নাতে ২ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করি। এ সময় ফারুক কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে ধরতে পারিনি। তবে, ফারুক যেহেতু এ জবর-দখল কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে সেহেতু তাকে ওই মামলায় ১ নম্বর আসামী করা হয়েছে। মামলা দায়েরের কারণে আমার অনুপস্থিতিতে বিট অফিসের গেইটে লোকজন নিয়ে এসে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গেছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো: ফারুক বলেন, আমাকে মিথ্যে মামলা দিয়েছে। ঘটনার দিন আমি ছিলাম না। আমাকে কেন মিথ্যা মামলা দিয়েছে সেটা জানতে বিট অফিসে গিয়েছিলাম । তবে, তিনি বিট কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

    লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা মো: মাসুদ পারভেজকে হুমকির বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী নথিভূক্ত করা হয়েছে। একজন অফিসার বিষয়টি তদন্ত করছেন। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/আজাদ

  • চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি

    চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীতা করে বক্তব্য দেওয়া হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে প্রতিরোধের আন্দোলনে সক্রিয় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

    শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ২৬ মিনিটে +৮২৫১৫৪২ নম্বর থেকে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাকারিয়া দস্তগীর।

    তিনি বলেন, ‘হঠাৎ আমাকে ফোন করে অশ্লীল গালিগালাজ শুরু করেন এক ব্যক্তি। তিনি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমি ওনার পরিচয় জানতে চাই। জবাব দেন- উনি মালাকুল মউত।

    তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি আমাকে বলেন- ‘মামুনুল হক হুজুরের বিরুদ্ধে তুই ঝাড়ু মিছিল করছিস। যেখানে ঝাড়ু মিছিল করেছিস সেখানেই তোর লাশ পড়ে থাকবে। ‘

    হুমকির পর সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে বন্দর থানায় জিডি করেন জাকারিয়া।

    বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে জাকারিয়া দস্তগীর জিডি করেছেন। একটা অনলাইন নম্বর থেকে ফোন এসেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

    সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের হুমকি দেওয়ার পর চট্টগ্রামে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীর। এর মধ্যে শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে মামুনুল হকের অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়ার খবরে বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সমাবেশ করে তাকে প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

    শুক্রবার সকাল থেকে মামুনুল হকের চট্টগ্রামে আসার প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। জাকারিয়া দস্তগীর মনে করছেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

  • চাঁদাবাজির নিউজ করায় সাংবাদিক ফোরকানকে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি

    চাঁদাবাজির নিউজ করায় সাংবাদিক ফোরকানকে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি

    চট্টগ্রামে সকালের-সময় ডটকম এর সাংবাদিক মোহাম্মদ ফোরকানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

    জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর সকালের-সময় অনলাইন পত্রিকায় “বায়েজিদে চাঁদা না পেয়ে ঘর ভাংচুর, হামলায় কেয়ারটেকার আহত” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুল কাদের ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক মোহাম্মদ ফোরকানকে ০১৮৪২৮৪০৩৯৩ এই নাম্বার থেকে ফোন করে “তোর ভূয়া সাংবাদিকের গোষ্ঠী কিলায়, তুই যা লেখার লেখ” তুকে আমরা দেখে নিব” বলাসহ জীবননাশের হুমকি দেয়।

    এতে সাংবাদিক মোহাম্মদ ফোরকান তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরে এ বিষয়ে তিনি চট্টগ্রাম কতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নম্বর-৬৭৮।

  • হত্যার হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় ভিপি নুরের জিডি

    হত্যার হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় ভিপি নুরের জিডি

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে।

    সোমবার মধ্যরাতে মোবাইল ফোনে মেসেজ দিয়ে এই হুমকি দেয়া হয়েছে। ফলে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার শাহবাগ থানায় জিডি করেছেন নুরুল হক নুর।

    এর আগেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের পদধারী এক নেতা নুরকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তবে এবার ভিপি নুরের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

    মেসেজ দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন ভিপি নুর। সেখানে তিনি মেসেজের স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেন। তার সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আরো কয়েকজন নেতাকে হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও জানান ভিপি নুর।

    এ বিষয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক বলেন, এ পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন সময়েই হামলার শিকার হয়েছি। আর সেগুলো ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই করেছে। আমার মনে হয় এতদিন আমরা ছাত্র সংগঠন ছিলাম এখন রাজনৈতিক দলে পরিণত হচ্ছি। আর আমরা স্পষ্ট ভাষায়ই বলছি বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তারা ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার। ফলে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম তাদের বিরদ্ধেই। হয়তো বা এর পরিপ্রেক্ষিতেই ক্ষমতাসীন দলেই নেতা-কর্মীরাই এই ধরনের হুমকি ধামকি দিতে পারে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নুসরাতের পরিবারকে ফোনে হুমকি

    নুসরাতের পরিবারকে ফোনে হুমকি

    বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মা ও বড় ভাইকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    শুক্রবার তাদের এ হুমকি দেয়া হয় বলে নুসরাতের পরিবার জানিয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে নুসরাতদের বাড়ির ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার সকালে আমার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হুমকি দিয়েছে।

    এছাড়া জুমার নামাজের আগে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে আমাকেও গালাগাল ও হুমকি দেয়া হয়। এরপর থেকে আমরা শঙ্কায় রয়েছি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

    মাহমুদুল হাসান আরও জানান, বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়ির টেলিভিশনের ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ছয় ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে ডিশ লাইনের মালিক নতুন তার দিয়ে লাইন সচল করেন।

    হুমকির বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আর ডিশের লাইন বিচ্ছিন্ন করার কথা শুনে ডিশের মালিককে ফোন করে দ্রুত লাইনটি সচল করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

    তিনি আরও বলেন, নুসরাতের বাড়িতে দুজন কর্মকর্তাসহ ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। একইভাবে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয়ও পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ বৃহস্পতিবার নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

  • চবি শিক্ষার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি

    চবি শিক্ষার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মহসিন কটেজের মালিক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রাণাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে প্রশাসনের কর্মচারী বলে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট আটকানোরও হুমকি দেন তিনি।

    সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আগামী মাসে কটেজ ছেড়ে দিতে মুঠোফোনে ফোন করে অজ্ঞাত এক নাম্বার থেকে এ হুমকি দেন তিনি।

    অভিযুক্ত শরীফ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বলে জানা যায়। ছাত্রদের অভিযোগ সম্প্রতি কটেজের পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা দিলে শিক্ষার্থীরা তা নিরসন করার অনুরোধ করে। কিন্তু কটেজ মালিক শরিফ উদ্দিন উল্টো শিক্ষার্থীদের ভালো না লাগলে কটেজ ছেড়ে চলে যেতে বলে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে মেসে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও ও দুর্ব্যবহার করেন শরীফ।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে হুমকি প্রাপ্ত ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আরজু মিয়া বলেন, গতকাল রাত ১২ টার দিকে আমার মুঠোফোনে ফোন করে অজ্ঞাত এক নম্বর (০১৭৩৫৭৯৭৩২৮) থেকে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে কটেজ থেকে চলে না গেলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। শুধু আমাকে নয় গতকাল রাতে আরো কয়েকজনকে ওই নাম্বার থেকে হুমকি দেওয়া হয়।

    গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিক রাহাত বলেন, আগামী মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রত্যেক বিভাগে পরীক্ষা শুরু হবে। এমতাবস্থায় কটেজ ছেড়ে দিলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে আমাদের। তার উপর কটেজ ছেড়ে দিতে হুমকি দিচ্ছে কটেজ মালিক। এছাড়া আমাদের সার্টিফিকেটও সমস্যা করবে বলে তিনি হুমকি দেন।

    তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থী, আমরা ব্যাচেলার, আমরা পিতামাতাকে ছেড়ে এখানে শিক্ষার জন্য এসেছি। অহেতুক কটেজ মালিকের হুমকিতে আমরা এখন অনিরাপত্তায় ভুগতেছি।

    অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার কটেজে অনেক সমস্যা আছে। তাছাড়া সব সমস্যা সমাধান করতে যেই টাকার প্রয়োজন, সেটা আমার কাছে নেই এখন। তাই আমি তাদেরকে চলে যেতে বলেছি। যেহেতু তারা টাকা দিয়ে থাকছে, তাই তাদের উপর অবিচার হচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে চলে যেতে বলায় তারা আমার সাথে অশোভন আচরণ করেছে।