Tag: ফটিকছড়ি

  • ফটিকছড়িতে জেএসডির কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল

    ফটিকছড়িতে জেএসডির কমিটি গঠন ও ইফতার মাহফিল

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আওতাধীন ফটিকছড়ি উপজেলার ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন, ইফতার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৪ এপ্রিল বিকালে উপজেলার বারৈয়ারহাটের ম্যারেজ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কমিটির আহবায়ক মঈনুল, জসিম, জয়নাল আবেদীন, সাহাবউদ্দীন, রেজাউল করিম, আবদুল বাতেন বিপ্লব, মালেক গাজী, কাশেম, মৌলানা নুরুল আবছার, চট্টগ্রাম মহানগর জেএসডি’র যুগ্ম আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহেরসহ আরো অনেকে। পরে দেশ, জনগন ও দলের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন মৌলানা নুরুল আবছার।

    সভায় বক্তারা, জেএসডির কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে, বিশেষ করে দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, জাতীয় সরকারসহ দশ দফা বাস্তবায়নের দাবী জানান।

    সভায় মোহাম্মদ মুঈনুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক জসিমউল্লাহ চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক মাষ্টার জসিম, সদস্য মির্জা মোহাম্মদ আকবর, শেখ কামাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ ইয়াকুব, মোস্তফা শাহাবুদ্দিন, রেজাউল করিম, আবুল কাশেম, আবুল হাসেম মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আবু আহমেদ সিকদার, জাহাঙ্গীর আলম চৌধূরী।

  • ফটিকছড়িতে অবাধ্য পুত্রের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

    ফটিকছড়িতে অবাধ্য পুত্রের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়ে নানান নির্যাতনের স্বীকার হয়ে অবাধ্য পুত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক মা নুর জাহান বেগম (৬৫)।

    সোমবার দুপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কেঁদে কেঁদে তার ছেলে নুর মোহাম্মদ মনা কর্তৃক নির্যাতনের বর্ণণা দেন। এই রমজান মাসেও তিনি নিজ বসতঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে দাবী করেন। এ ব্যাপারে একাদিক মামলা দায়েরের কথাও জানান তিনি।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সম্প্রতি মালেয়শিয়া থেকে এসে নুর মোহাম্মদ তার পৈত্রিক বসতবাড়ি পুরোটাই নিজের নামে লিখে দিতে আমাকে চাপ প্রয়োগ শুরু করে। আমার মোট সাত সন্তান। একজনকে কিভাবে একতরফা সমস্ত সম্পদ লিখে দিবো? প্রশ্ন করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার বড় ছেলের বউ জহুরা বেগমকে মারধর করে এবং তাকে মোটরসাইকেল দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তার কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। এরপর আমাকে ও আমার নাতনী জেসমিনকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।

    তিনি দাবী করেন এই অবাধ্যপুত্র নুর জাহান ফটিকছড়ির কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রধিনিধির নামে ভয় ভিতি প্রদর্শন করে এলাকায় কাউকে পরোয়া করেনা। আমার অন্যপুত্রদেরও হুমকী দমকী প্রদর্শন করছে। তার ভয়ে আমিসহ আমার অন্যপুত্রও তাদের পুত্র বধুসহ এই রমজানের দিনেও এবাড়ি ওপাড়ি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সে থানা পুলিশের সাথে দহরম মহরম সম্পর্কের কথাও বলে বেড়ায়।

    তার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে নুর জাহান বেগম চীপ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে নুর জাহান বেগমের ছেলে আজাদ, ছেলের বউ জোহরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

  • কথিত সাংবাদিক ও মাদককারবারী সুব্রত’র চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন

    কথিত সাংবাদিক ও মাদককারবারী সুব্রত’র চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন

    ফটিকছড়িতে মাদককারবারীদের মূল হোতা সুব্রত’র হয়রানি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসি। সকালে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের হোসইন্যারখীল গ্রামে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় বক্তারা বলেন, আজকের সুর্যদয় নামের একটি অখ্যাত পত্রিকার কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে সুব্রত স্থানীয় গ্রামবাসিকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে একাধিক মামলার আসামী হয়ে সুব্রত দাঁতমারা ইউনিয়নের হোসইন্যারখীল গ্রামে আস্তানা গড়ে তোলে। সেখানে স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে সিন্ডিকেট করে নিরীহ গ্রামবাসীকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। এলাকার যুব সমাজ থেকে বৃদ্ধ যারাই মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করে তাদেরকে প্রশাসনের লোক দিয়ে কৌশলে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। এলাকায় বসবাসকারীদের কাছ থেকে নানাভাবে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হলে মাদক কারবারীদের দিয়ে এসব অপকর্ম করে আসছে সুব্রত।

    শুধু সাধারণ মানুষই নয় স্থানীয় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকজনও তার এই অপকর্ম থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। মতের বনিবনা না হলে প্রশাসনের লোকদের বিরুদ্ধেও তার অখ্যাত পত্রিকায় সংবাদ ছাপিয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে যেতে হয় সুব্রতকে। কিন্তু আইনের ফাঁকে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারো এলাকার লোকজনকে নানাভাবে হয়রানিসহ হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে তার এমন কর্মকাণ্ডে রীতিমত আতংকে দিন কাটছে স্থানীয় এলাকাবাসির। বক্তারা অবিলম্বে মাদক কারবারীদের হোতা কথিত সাংবাদিক সুব্রতকে আইনের আওতায় এনে এলাকাটিকে মাদকমুক্ত করার জোর দাবী জানান।

    এসময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাসুম, বাবুসহ অন্যরা।

  • ফটিকছড়িতে জাতীয় ভোটার দিবসের র‍্যালি ও আলোচনা সভা

    ফটিকছড়িতে জাতীয় ভোটার দিবসের র‍্যালি ও আলোচনা সভা

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: “ভোটার হব নিয়ম মেনে, ভোট দেবো যোগ্যজনে” প্রতিপাদ্য নিয়ে ৪র্থ জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে ফটিকছড়িতে।

    বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরে র‌্যালি শেষে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা। স্বাগত বক্ত্য রাখেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুন উদয় ত্রিপুরা। বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) এটিএম কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বশর, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ড. সেলিম রেজা, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসানুল কবির, উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান,
    জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রনবেম মহাজন, ফায়ার সার্ভিস অফিসার ডলার ত্রিপুরা, সমাজ সেবা অফিসার রনজিত,
    একাডেমিক সুপার ভাইজার আকরাম হোসেন, রিচার্স ইন্সট্রাক্টর হোসাইন মোহাম্মদ এমরান, শিক্ষিকা শিলা নন্দী, সাংবাদিক রফিকুল আলম।

    বক্তারা বলেন, যোগ্যজনে ভোট দিতে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রনয়নের দরকার। আর নির্ভুল ভোটার তালিকা হতে নিয়ম মেনে তথ্য প্রদান করা দরকার। সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এনআইডি সংশোধনের ধাপ সহজি করণের দাবীও জানান।

  • আ’লীগ বাধা তৈরী করে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে

    আ’লীগ বাধা তৈরী করে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ফটিকছড়ির বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পদযাত্রায় বাঁধা তৈরী করে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

    শনিবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচী শেষ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক সরোয়ার আলমগীর বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মতে দেশ ব্যাপী পদ যাত্রার অংশ হিসেবে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানার নিয়ে অবস্থান করে। ফলে প্রমাণ হলো তৃনমূল বিএনপি অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগ বাধা তৈরী করে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এটি লজ্জাজনক। আগামীতেও কেন্দ্রীয় ভাবে যে কর্মসূচী দেয়া হবে তা পুরো উপজেলায় পালন করা হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্তিত ছিলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি নেতা মনসুর আলম চৌধুরী,মুহাম্মদ শাহরীয়ার চৌধুরী শারু, মিয়া মোশরাফুল আনেয়ার মশু,ফয়েজ তারেক, নাজিরহাট পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোজাহারুল ইকবাল লাবলু, উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক মহিন উদ্দীন মেসি,যুগ্ন- আহবায়ক এম এ মাহফুজ, নজিবুল করিম, মুহাম্মদ জাবেদ ও ইউসুফ প্রমূখ।

  • ফটিকছড়িতে মসজিদের জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    ফটিকছড়িতে মসজিদের জমি দখল ও মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে মসজিদের জমি দখল ও প্রভাবশালীদের মিথ্যা মামলায় ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে সমিতির হাটের বাগিচা এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এলাকার চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী এরশাদগং কর্তৃক সমিতিরহাটের বাগিছা মসজিদে বহিরাগত সন্ত্রাসী মাস্তান এনে মসজিদের গাছ কর্তন করে, মক্তব ও টয়লেট ভেঙ্গে ফেলে। এ ব্যাপারে মসজিদের ভুমিদাতা এজাহার মিয়া বাদী হয়ে ফটিকছড়ি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত এ বিষয়ে স্থিতবস্থা (স্ট্যাটাসকো) জারি করে এবং
    ফটিকছড়ি থানা পুলিশকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার আদেশ দেন।

    নিরুপায় হয়ে দূর্ত প্রভাবশালী এরশাদ গং চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তা কামাল আব্বাস তদন্ত করেন। তদন্তকালে কোন সত্যতা না পেলেও তিনি প্রভাবশালী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা চার্জশীট দাখিল করেন।

    এ মিথ্যা মামলার কারণে আমাদের সামাজিক ও আত্ম মর্যাদার হানি ঘটে। এমতাবস্থায় প্রসাশনের নিকট মিথ্যা মামলাটি পূণ: তদন্ত ও সত্য উৎঘটনের জোর দাবী জানাচ্ছি।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব মোঃ মিয়া, এজাহার মিয়া তালুকদার, নুরুল আজিম খান, মোহাম্মদ সেলিম, আবুল হাশেম, নুরুল আবসার, ওসমান, জাফর, নেজাম উদ্দিন, লোকমান হোসেন, ইউসুফ, হাসান প্রমুখ।

  • ফটিকছড়ি জুড়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের হিড়িক

    ফটিকছড়ি জুড়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের হিড়িক

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে জুড়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন নদী,খাল ও জলাশয় থেকে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করছে দুর্বৃত্তরা। ফলে একদিকে যেমন পার্শ্ববর্তী রাস্তা ও জমিতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। ইজারা বহির্ভূত যত্রতত্র স্থান থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তেমনি ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে স্থানীয় পরিবেশ-প্রতিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।

    সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে জানা যায়, ড্রেজার মেশিন ও বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টরের বিকট শব্দে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। যত্রতত্র বালু উত্তোলন জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। রাত-দিন সবসময় চলে এই অবৈধ বালু পাচারের উৎসব। ফলে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, সেতু-কার্লভাট, নষ্ট হয়ে ক্রমান্বয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে ধুলোবালির স্তুপ এলাকার বায়ুদূষণসহ সার্বিক পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের জুগিনাঘাটা, বেড়াজালী এলাকার চম্পাপাড়া, শ্বেতকুয়া এলাকার গজ্জেম্মে টিলা এলাকা, কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের চেঙ্গেরকুল, ফরেস্টর অফিস, পাল্লান পাড়া ও চুরখাঁহাট এলাকা, ফটিকছড়ি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড উত্তর রাঙ্গামাটিয়া এলাকা, পূর্ব সুয়াবিল হালদাপাড়, ভূজপুর ইউনিয়নের হরিণাকুল, নারায়ণহাট ইউনিয়নের জুজখোলা ও দাঁতমারা, ধর্মপুর, খিরাম ইউনিয়নে, ধুরুং, হালদা ও সর্তাখালসহ বিভিন্ন নদী-খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে ট্রাক ও ড্রামট্রাকসহ ছোট-বড় গাড়ীতে করে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে একটি শক্তিশালী বালু ও মাটি সিন্ডিকেট।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের জুগিনাঘাটা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন ৭ নভেম্বর। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সক্যাভেটর ও একটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়। যা গত ১৪ নভেম্বর জব্দকৃত এক্সক্যাভেটর এর মালিক হাজির হয়ে দোষ স্বীকার করায় তাকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দন্ড করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বেশিরভাগ এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল যোগসাজশে এসব বালু উত্তোলন হয়। যার কারনে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ট হলেও প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পারছেন না। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ বারবার থেকে অভিযানের পরও থামছে না বালু উত্তোলন।

    স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) এক জায়গায় বালু তোলা বন্ধ করলে, বালু উত্তোলনকারী অন্য জায়গায় বালু তোলা শুরু করেন। আবার বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালিয়ে মেশিন বা সরঞ্জামাদি জব্দ করা হলেও, উত্তোলিত বালু বিক্রিতে বাধাগ্রস্ত হতে হয় না বালু উত্তোলনকারীদের। ফলে এক জায়গায় বালু তোলা বন্ধ করতেই তাঁরা অন্যস্থানে বালু তোলা শুরু করে। এসব বালু উত্তোলনকারীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন জায়গা থেকে বালু তোলেন এবং দিন রাতে ট্রাক, পিক-আপসহ বিভিন্ন গাড়িতে করে বিক্রি করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে ওই সব এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক স্থান থেকে দীর্ঘদিন বালু তোলার ফলে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

    ইউএনও কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৭ মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ১০ টি মামলায় সর্বমোট ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাব্বির রাহমান সানি। দিনে বা গভীর রাতে পরিচালিত এসব অভিযানে বালু উত্তোলন বা মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু এক্সক্যাভেটর, ড্রেজার মেশিন, ট্রাক্টর, পিক আপ ভ্যান জব্দ করা হয়। জব্দকৃত প্রায় সব সরঞ্জাম জরিমানা আদায় সাপেক্ষে অবমুক্ত করা হলেও এখনো একটি এক্সক্যাভেটর, একটি ট্রাক্টর ও কিছু ড্রেজার মেশিন রয়েছে জানা গেছে ।

    নদী ও খাল থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর কতটুকু প্রভাব পড়ছে তা জানতে চাইলে হালদা গবেষক ও চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নদী থেকে অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ কমে যায় ফলে নদীর ক্ষয় বেড়ে গিয়ে নদীর পাড় ভাঙ্গন ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশের বাস্তুতন্ত্র পরিবর্তন হয়ে যাবে । যার প্রভাবে তলদেশে বসবাসকারী উদ্ভিদ ও প্রাণিগোষ্ঠীর আবাসস্থল যেমন ধ্বংস হবে তেমনি ধ্বংস হয়ে যাবে এদের খাদ্যের উৎসসমূহ। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মৎস্য সম্পদের প্রজনন প্রক্রিয়ায়। অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে পানিদূষণসহ নদীগর্ভের গঠন প্রক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে যাবে এবং কমে যাবে নদী পাড়ের মাটির গুনাগুন ও কর্মদক্ষতা।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির রাহমান সানি বলেন, আমি ফটিকছড়িতে যোগদানের পর থেকে এমপি মহোদয় ও ডিসি স্যারের নির্দেশে অবৈধ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে একের পর এক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। পুরো উপজেলাজুড়ে অভিযান চলমান, অভিযোগ পেলে যেকোনো মূহুর্তে অভিযান পরিচালনা করা হবে।পরবর্তীতে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন এবং জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

  • মুড়ি বিক্রেতা থেকে স্বর্ণ চোরাকারবারী আবু আহাম্মদ

    মুড়ি বিক্রেতা থেকে স্বর্ণ চোরাকারবারী আবু আহাম্মদ

    মুড়ি বিক্রেতা থেকে স্বর্ণ চোরাকারবারী করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন আবু আহাম্মদ ওরফে সোনা আবু। হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণ চোরাকারবারী আবু আহাম্মদের সম্পদ অনুসন্ধান করে অবৈধভাবে প্রচুর সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ বিষয়ে সম্প্রতি আদালতে একটি চার্জশিট দিয়েছিল সিআইডি।

    তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আবু আহাম্মদ ফটিকছড়ির জাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়েজের ছেলে। এক সময় তার পিতার সিগারেটের দোকান ছিল। এরপর তিনি গ্রামে মুড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একপর্যায়ে দুবাইয়ে চলে যান তিনি। এরপর স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ে জড়িয়ে পরেন।

    নাম প্রকাশ না করে মামলার তদন্ত তদারকী সংস্থার পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এতে অবৈধভাবে অর্জিত ৭২১ কোটি ১৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে মোট ২১ জনেকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি চট্রগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের বাহার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তিনটি সিন্দুক থেকে ২৫০টি স্বর্ণবার ও ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আবু আহাম্মদ ও এনামুল হককে আসামি করে স্বর্ণ চোরাচালান মামলা দায়ের করে পুলিশ। সে বছর ২৮ জুন স্বর্ণ চোরাচালানের এ মামলায় আবু আহম্মদসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ।

    এরপর তাদের অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। পরে ২০২০ সালের মার্চে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অভিযুক্তরা হলেন- আবু আহাম্মদ, ইকবাল মোহাম্মদ, আবু রাশেদ, এসএম আসিফুর রহমান, মো. ওবায়েদুল আকবর, মো. রফিক, মোহাম্মদ জিয়া বাবলু, ইমরানুল হক মো. কপিল চৌধুরী, এমতিয়াজ হোসেন, মোহাম্মদ আলী, ফরিদুল আলম, মোহাম্মদ এরশাদল আলম, মো. হাসান, রুবেল চক্রবর্তী, মো. মিনহাজ উদ্দিন, সাগর মহাজন, দিনবন্ধু সরকার, মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মো. শাহজাহান, টিটু ধর। পরে তদন্তে খোরশেদ আলম নামের আরও একজনের সংশ্লিষ্টতা পায় সিআইডি।

    জানা গেছে, আবু আহাম্মদ হুন্ডি ব্যবসার জন্য নিজের নামে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ২১ টি ব্যাংক হিসাব খোলেন। এরমধ্যে রয়েছে- ফরহাদ ট্রেডিং, রিয়াল ট্রেডিং, নাইস টেলিকম সেন্টার, রুপা টেলিকমিউনিকেশন, রিয়েল ট্রেডিং, এমএস ওয়ার্ল্ড সেন্টার, ফরহাদ ট্রেডিং এবং এবি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযুক্তরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করেছেন।

    অভিযুক্ত খোরশেদ আলম সৌদি আরব থেকে দেশে টাকা পাঠাতে চায় এমন প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন। তার ছোট ভাই ফরিদুল আলম, আবু আহাম্মদের কাছ থেকে চেক নিয়ে টাকা উত্তোলণ করে খোরশেদ আলমের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে থাকা প্রবাসীদের আত্মীয়দের কাছে পৌছে দিতেন। আবু আহাম্মদ এভাবে খোরশেদ আলমের মতো অজ্ঞাতানামা একাধিক ব্যক্তিকে তার এই হুন্ডি ব্যবসায় যুক্ত করেছিলেন।

    এভাবে প্রবাসীদের টাকা রেমিটেন্স হিসেবে দেশে না পাঠিয়ে বিদেশে রেখে সেই টাকা অবৈধ স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করেছে। অর্থপাচার আইনে করা মামলার তদন্ত করেছেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেক আলী।

    অভিযুক্ত আবু আহাম্মদ দেশি বিদেশি মুদ্রা পাচার, স্বর্ণ চোরাচালান ও অন্যন্য চোরাই দ্রব্যের ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি চট্রগ্রাম শহর ও ফটিকছড়িতে একাধিক ভবন ও মূল্যবান জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকায় ৩৩ নম্বর প্লটে প্রায় ১৬ কাঠা জমির ওপর বাড়ি, পাঁচলাইশ হিলভিউ আবাসিক এলাকায় ছয়তলা ভবন, ফতেহনগর রাউজানে পল্লী কাকন ও পল্লী শোভা ম্যানশন নামে বাড়ি আছে তার। অবৈধ টাকায় দুবাইয়ে ৩ টি দোকান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

    এছাড়া আবু আহাম্মদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা রয়েছে। এ মামলায় ১০৫.৪০ কেজি ওজনের ৯০৪টি স্বর্ণের বার ও ৪৭ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার উদ্ধারের তথ্য রয়েছে। ডিএমপির পল্টন থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের অন্য একটি মামলায় ৬১.৫৩৮ কেজি ওজনের ৫২৮ টি স্বর্ণ বার ও ৩ কোটি ৫৮ হাজার সৌদি রিয়েল, ৫ কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধারের তথ্য রয়েছে।

    ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও নগদ অর্থ জব্দের পর সে মামলায় আবু আহাম্মদকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তিনি তথ্য গোপন করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে একই বছরের আগস্টে কারাগার থেকে বের হন। তারপর হাইকোর্টের দুই বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে স্বর্ণ চোরাচালান মামলার কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে একটি পিটিশন তৈরি করেন। সেটি ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের ফৌজদারি শাখায় প্রেরণ করা হয়। পরে তা বিচারিক আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। জালিয়াতির এ ঘটনাটি ধরা পড়ার পর হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ২০১৬ সালের নভেম্বরে আবু আহাম্মদসহ জড়িত আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানান সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা।

  • একটি ভাল নির্বাচনের খবর জাতিকে আশান্বিত করে: বিভাগীয় কমিশনার

    একটি ভাল নির্বাচনের খবর জাতিকে আশান্বিত করে: বিভাগীয় কমিশনার

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, একটি ভাল নির্বাচনের খবর জাতিকে আশান্বিত করে। ফটিকছড়ি নিশ্চই ভাল জায়গা। তাই সেখানে একটি ভাল পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে। একটি উপজেলায় ২৪/২৫টি বিভাগের লোকজন কাজ করে। ভাল জনপ্রতিনিধি হলে সবাই মিলে ভাল কিছু অবশ্যই উপহার দিতে পারে।

    তিনি গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্টানে বক্তব্য প্রদান কালে এ মন্তব্য করেন।

    এতে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন সহ ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাংবাদিক রফিকুল আলম, ২ নম্বর ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন আল রাকিব, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হেলাল উদ্দিন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল্লাহ চৌধুরী, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জহির উদ্দিন বাবর, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জসিম উদ্দিন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মৌলানা এহসানুল করিম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাপ মওলা গোলাপ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হাশেম কাউন্সিলর হিসেবে এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১,২,৩ নম্বর ওযার্ডে সেলিনা বেগম, ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফিরোজা বেগম এবং ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডে রোকেয়া বেগম শপথ নেন।

    এতে আরো উপস্তিত ছিলেন সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত সহকারী বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা।

    শপথ পাঠ শেষে মেয়র আলহাজ্ব মো. ইছমাইল হোসেন বলেন, ফটিকছড়ি পৌরসভার কাঙ্খিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অব্যাহত রাখতে তৃতীয় বারের মতো শপথ নিয়েছি। এটি আমার প্রতি ফটিকছড়ি পৌরবাসীর ভালবাসা ও আস্তার ফসল।

    পৌরসভার রাস্তা-ঘাট,ব্রিজ,কালভার্ট, শিক্ষা কমপ্লেক্স, মসজিদ, মন্দির, বিদ্যুতায়ন, সামাজিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সর্বোপরি অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। অচিরেই ফটিকছড়ি পৌরসভা কে “এ গ্রেড” মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।

  • নগরীতে ফটিকছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানকে হত্যা

    নগরীতে ফটিকছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানকে হত্যা

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম নগরীতে ফটিকছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান (৫৮) কে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর পাঁচলাইশ থানার নাজিরপাড়া নিজাম কলোনিতে গতকাল রাতে এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। এঘটনায় তার প্রথম স্ত্রী, সন্তানকে আটক করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আব্দুল মান্নান ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফটিকছড়ি শাখা মডেল কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার গ্রামের বাড়ী ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার বাঘমারা পুকুরের পূর্ব পাশ্বে গইজ্জার বলে জানা গেছে। তার দুই স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রী খাদিজা বেগম ও সন্তানরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

    পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে গতকাল গভীর রাতে স্ত্রী এবং সন্তানরা মিলে আব্দুল মান্নানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমরা তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তিনি বলেছেন তিনি নিজেই তার স্বামীকে হত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

  • হাইকোটর্টে প্রার্থীতা ফিরে পেলো ফারুক উল আজম

    হাইকোটর্টে প্রার্থীতা ফিরে পেলো ফারুক উল আজম

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: এখন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের ৭টি তথ্য সম্বলিত হলফনামা দাখিল করতে হবে, এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।

    ফটিকছড়ির ১৬নং বখতপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক উল আজমের প্রার্থিতা বৈধতা ঘোষণার রায়ে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম ও অ্যাডভোকেট মো. জাহেদ উল আনোয়ার।

    পরে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহেদ উল আনোয়ার বলেন, ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বক্তপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ফারুক উল আজমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করি। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট একই বছরের ৩১ অক্টোবর ফারুক উল আজমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী আপিল করেন। আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। সঙ্গে ইউপি নির্বাচনের গেজেট জারিও স্থগিত করে দেন। পরে আপিল বিভাগ গত ৬ মার্চ রুলটি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করে ফারুক উল আজমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেন।

    এই রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, অন্যান্য নির্বাচনে নমিনেশন পেপারের সঙ্গে ৭টি তথ্য সম্বলিত হলফনামা দেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা দেওয়া হয় না। যদিও ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ২৬(৩) এ হলফনামা দেওয়ার কথ বলা হয়েছে। কিন্তু ২০১০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিতে শুধুমাত্র প্রত্যায়নপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হলফনামা দেওয়ার কথা নেই।

    হাইকোর্ট বলেছেন, যেহেতু বিধিমালার ওপরে আইন প্রাধান্য পাবে সে কারণে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রার্থীদের হলফনামা দাখিল করতে হবে। এরপর থেকে সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলাদা ফরমে হলফনামার তথ্য দাখিল করতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

    প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে ফারুক উল আজম বলেন, আমি বখতপুরের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমার প্রার্থীতা বাতিল করতে নির্বাচন কমিশন ও আদালতে আরো এক বছর ঘুরে বখতপুরের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এখন আদালত রায় দিয়েছে। আমার প্রার্থীতা বহাল করেছে আদালত। এখন নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণেন আয়োজন করবেন।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • দুর্গম গ্রামে রুপাই ভ্যালীর কৃষি বিপ্লব

    দুর্গম গ্রামে রুপাই ভ্যালীর কৃষি বিপ্লব

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ কলেজ পড়ুয়া দুই বন্ধু আব্দুল হালিম ও ওসমান গণি। করোনার বন্ধে বাড়ি ফিরে বেকার। তারা ফটিকছড়ির দুর্গম সীমান্তবর্তী ১নং বাগান বাজার ইউনিয়নে চিকনেরখীল গ্রামের বাসিন্দা। আব্দুল হালিম অনার্স শেষ করে এখন মাস্টার্সের প্রাইভেট ছাত্র আর মো: ওসমান গণি অনার্সের ছাত্র।

    তাদের উদ্যোগের আজ সারা দেশেই ছিনে রুপাই ভ্যালী দেশ সেরা কৃষি উদ্যোক্তা। করোনা মহামারী কারো জন্য অভিষাপ হলেও তাদের জন্য আর্শীবাদ বলে মনে করছেন তারা।

    সম্প্রতি নির্বিষ সবজি উৎপাদনকারী সফল কৃষক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কৃষকের সন্মান – স্বীকৃতিও লাভ করেছেন তারা। চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়েও তারা সম্মাননা পেয়েছেন। লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকুরি বা প্রবাসীর স্বপ্ন ছুঁড়ে ফেলে এখন তাদের চোখে শুধু মাঠভরা সবুজ সবজি খেত তৈরী ও বাজারজাত করণের লক্ষ্য এবং মানুষকে নির্বিষ-নিরাপদ শাকসবজি খাওয়ানোই তাদের একমাত্র লক্ষ্য ও প্রচেষ্টার সংকল্প।

    ২০২০ সালে করোনার ছোবলে যখন সব কিছু অচল হয়ে পড়ে, তখন কলেজ ছেড়ে নিজ গ্রামে ফিরেন তারা। অলস-অবসর সময় কাটানোর চিন্তা থেকে মাথায় আসে চাষাবাদের । দুই বন্ধু মিলে গ্রামের কিছু এক ফসলী ধানিজমি লিজ নিয়ে শুরু করেন সবজি চাষ। সফলতার মুখ দেখে ধীরে ধীরে তারা গড়ে তুলেন ৫ একর জমিতে রুপাই ভ্যালি এগ্রো ফার্ম নামে দিগন্তজুড়া সবুজ সবজী খেত। লাউ, চিচিঙা, ঢেড়শ, তিতাকরলা, কাকরোল, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি সবজী ছাড়াও আছে পেঁপে বাগান। তিন বিঘা লাউ খেতের মাচায় দুলছে লাউ আর লাউ। নাইচ গ্রীণ জাতের বারোমাসি লাউয়ের ডগায় ডগায় ফুল আর ফল।

    আব্দুল হালিম জানান, এ পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে। গাছে আছে প্রায় ১০ হাজার লাউ। দুই বিঘা চিচিঙা খেতে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার চিচিঙা বিক্রি হয়েছে। দেড় বিঘা পেঁপে খেতের ৫০০ গাছে এ পর্যন্ত ১৫ টন পেঁপে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। গাছে আছে আরও প্রায় ১০টন পেঁপে।

    হালিম আরও জানান, তার প্রজেক্টে সবচেয়ে বেশী চাষ হয় কাকরোল। ৭ বিঘা জমিতে গত বছর ৭০-৮০ টন কাকরোল উৎপাদন হয়। যা বিক্রি হয় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এবছর আরও বেশী উৎপাদনের আশা তাদের। আগামী মাসেই ফসল তোলা শুরু হবে। ফেনী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়িরা এসে খেত থেকে সবজী কিনে নিয়ে যান। ফলে হাট-বাজারে নিয়ে বেচা-বিক্রি করতে হয় না।

    জানা গেছে, রুপাই ভ্যালি এগ্রো ফার্মে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য হলুদ পাতার ব্যবহার ও পেরোমোন জৈব পদ্ধতি এবং জৈব সার ব্যবহার করা হয়। এই দুটি বালাই দমন পদ্ধতির কারণে কীটনাশক ছাডাই পোকামাকড় দমন করা সহজ হচ্ছে। জৈব পদ্ধতিতে খরচও কম। কৃষি বিভাগ থেকেই নিরাপদ সবজী উৎপাদনের কলাকৌশল শেখানোসহ সব ধরণের পরামর্শ-সহায়তা দিচ্ছে।

    অপর উদ্যোক্তা মো: ওসমান গণি বলেন, এখন দূর দূরান্ত হতে প্রতিদিনই উৎসুক লোকজন তাদের ফার্ম দেখতে আসেন। জাতীয় সবজী মেলা’২০২২ উপলক্ষ্যে গত ২ মার্চ সেরা নিরাপদ সবজী উৎপাদনকারি কৃষক হিসেবে তারা শ্রেষ্ঠ জাতীয় পুরুস্কার পাওয়ার পর উৎসাহি লোকজন এবং সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও তাদের ফার্ম পরিদর্শনে আসছেন। অনেকে তাদের অনুপ্রেরণায় পরিকল্পিত সবজী উৎপাদন শুরু করেছেন।

    এদিকে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে স্মল হোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্টের (এসএসিপি) আওতায় বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০জন কৃষক গত শনিবার রুপাই ভ্যালি এগ্রো ফার্ম পরিদর্শনে আসেন। বিষ বা কীটনাশক প্রয়োগ না করে জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ সবজী চাষের কলাকৌশল দেখে তারা বেশ উৎসাহি হোন।

    পরিদর্শনে আসা দাঁতমারার কৃষক মোঃ রোকন উদ্দিন বলেন, জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদে সহজেই যে পোকামাকড় দমন করা যায় এখানে না আসলে বিশ্বাস করতাম না।

    পাইন্দং ইউনিয়নের কৃষক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানকার লাউ চাষের পদ্ধতিটি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।

    ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সরকার নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বেশ জোর দিয়েছে। এ অবস্থায় রুপাই ভ্যালি এগ্রো ফার্মের বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনের সফলতা সারাদেশের জন্য একটি সু সংবাদ। চাকুরির পিছে না দৌঁড়ে শিক্ষিত এ দুই তরুণ কৃষি ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী সফলতা অর্জন করেছেন তা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। আমরা উপজেলার অন্যান্ন কৃষক সমিতির নেতৃত্বগুলোকে রুপাই ভ্যালী পরিদর্শন করে অভিজ্ঞতা বিনিময়েও উৎসাহীত করছি।

    চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো: নাসির উদ্দীন চৌধুরী বলেন, শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তার রুপাই ভ্যালি এগ্রো ফার্মটি এখন হাতে-কলমের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কীটনাশক ছাড়াও যে জৈব পদ্ধতিতে বালাই দমন করে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা যায কৃষকরা এখানে এসে শিখছেন। তিনি আরও বলেন, এ ফার্মের সফল তরুণ উদ্যোক্তাদের আরও বেশী অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানোর উদ্যোগ রয়েছে কৃষি বিভাগের।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ