ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অত্র অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে এ বিদ্যালয়টি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে। গৌরবের ১২৫ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন একথা বলেন।
আজ শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২ দিন ব্যাপি আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রথম অধিবেশনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল কদর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল করিম,বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এইচ.বি.এফ.সি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সেলিম উদ্দিন,হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম. রাশেদুল আলম প্রমুখ।
এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রাক্তন বর্তমান শিক্ষার্থী,শিক্ষক স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন ।
মেয়র আরো বলেন, এ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এখন বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা এই চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করি। এ শহরের প্রতি আমাদের আলাদা ভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।এ শহরের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের।
বন্দর নগরী হিসেবে খ্যাত এ শহরকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে তিনি অত্র বিদ্যালয়ের প্রক্তান শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প প্রদান করে আসছেন।
তিনি বলেন, আমরা বাঙ্গালী বীরের জাতি। আমরা অনেক কিছু বুঝিনা বা জানিনা। আমাদের উচিত আমরা যা বুঝি, যা জানি তা অন্তরে ধারণ করতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হয়ে আমরা যদি আমাদের মানসিক সংকীর্ণতা পরিহার করতে পারি অচিরেই আমরা একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।
সিটি মেয়র সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জন মনে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অনুরোধে মেয়র অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হওয়ার ঘোষনা দিয়ে বলেন অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তাঁর সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রজনী কান্ত পাল ও বড়দা নন্দীর পক্ষে তাঁর স্বজনদের হাতে সম্মানণা স্মারক তুলে দেন মেয়র।