Tag: ফাঁসাতে

  • লামায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাগিনার মাথা ফাঁটালেন মামা!

    লামায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাগিনার মাথা ফাঁটালেন মামা!

    জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৩জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন-শফি আলম (৫৫), শফি আলমের স্ত্রী পারভীন বেগমা (৪৫) ও মা আয়না বেগম (৭৫)।

    শুধু তাই নয়, হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে প্রতিপক্ষ আপন ভাগিনার মাথা ফাটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করারও অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে পৌরসভা এলাকার হরিণঝিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মিথ্যা অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শফি আলম।

    অভিযোগে জানা যায়, লামা পৌরসভা এলাকার হরিণঝিরি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ফজু মিয়ার ছেলে শফি আলমের (৫৫) নামে ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার ৪২২নং হোল্ডিং মূলে ৪৪শতক ও ১৬৮নং খতিয়ন মূলে ৭০ শতক জমি রয়েছে। ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ২০০৬ সাল থেকে শফি আলম ওই জমি ভোগ করে আসছেন।

    সম্প্রতি পাশের বাসিন্দা মৃত কালু মিয়ার ছেলে ওসমান গণি, নুরুল আলম এবং মেয়ে রুছিয়া বেগম ওই জমি তাদের বলে দাবী করে বিভিন্নভাবে জবর দখলের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে শফি আলম উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। আগামী ৬ নভেম্বর মামলাটির শুনানির দিন ধার্য্য আছে।

    মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার কু মানষে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ ওসমান গণি, নুরুল আলম, রুছিয়া বেগম ও মো. ইছহাকসহ আরো ২-৩জন সংঘবদ্ধ হয়ে শফি আলমের পরিবারের ওপর হামলা করেন। এতে শফি আলম, শফি আলমের স্ত্রী পারভীন বেগমা ও মা আয়না বেগম আহত হন।

    এক পর্যায়ে শফি আলমগংদের ফাঁসাতে নিজের ভাগিনা ইছাহাকের (১৯) মাথা ফাঁটিয়ে দেন মামা ওসমান গণিসহ অন্যরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

    হামলার ঘটনায় আহত শফি আলম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ও সার্ভেয়ার সরেজমিন পরিদর্শন করে বিরোধীয় জমি আমার বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে ওসমান গনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন।

    তিনি বলেন, ওসমান গণিগংদের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। তারা অন্য জায়গার একটি হোল্ডিং দেখিয়ে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে মামলা হামলা করে চলেছে। এমনিক আমাদেরকে ফাঁসাতে তারা আপন ভাগিনার মাথা ফাঁটানোর মত জঘন্যতম কাজটিও করতে দ্বিধা করেনি। এখন বলে বেড়াচ্ছে আমরা নাকি ইছাহাকের মাথা ফাঁটিয়েছি।

    এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, শফি আলমগং কর্তৃক ইছহাকের মাথা ফাটানো ঘটনা তারা দেখেননি।

    অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ওসমান গণি ও রুছিয়া বেগম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শফি আলমগং হামলার সময় লাঠি দ্বারা আঘাত করে ইছহাকের মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছেন।

    লামা পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিল মিয়া ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শফি আলম ও ওসমান গণির মধ্যে তিন-চার মাস আগে থেকে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে ওসমান গণিগং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ভাগিনার মাথা ফাঁটানোর মত জঘন্য কাজ করেছেন।

    এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমিনুল হক বলেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে, হামলার ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিবারের সদস্যরাই তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে!

    প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিবারের সদস্যরাই তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে!

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গতরাতে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে বীভৎস কায়দায় খুন করা হয়। সোমবার দিনভর যারাই ঘটনাটি শুনেছেন তাদের মনেই নাড়া দিয়েছে শিশুটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে খবরটি। কারা এই শিশুটিকে এভাবে বীভৎস কায়দায় খুন করেছে তা নিয়ে সবার ভেতরে ছিল কৌতূহল।

    তবে প্রাথমিকভাবে এই খুনের পেছনে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা রীতিমত আঁৎকে ওঠার মতো। যাদের কাছে আশ্রয় পাওয়ার কথা তারাই শিশুটির খুনের সঙ্গে জড়িত। এমনকি তার বাবাও এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নির্মম ও বর্বর এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবারটি।

    সোমবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শিশু তুহিনকে কেন মারা হয়েছে, কীভাবে মারা হয়েছে, কয়জনে মেরেছে পুরো ঘটনা জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু তারা বলবেন না। ঘটনার পরপর তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে যাওয়া ছয়জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করবে সংস্থাটি।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডটি পূর্বশত্রুতার জের। যাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যেই তিন-চারজন জড়িত আছেন।

    এর আগে এই ঘটনায় তুহিনের বাবাসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তারা হলেন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

    তুহিন

    রবিবার মধ্যরাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে নৃশংস এই খুনের ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোরে গাছে ঝুলে ছিল শিশু তুহিনের লাশ। পেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল দুটি ছুরি। ডান হাতটি গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢুকানো ছিল। বাম হাতটি ঝুলে ছিলে লাশের সঙ্গে। কেটে নেওয়া হয় শিশুটির কান ও লিঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে ছিল রক্তে।

    সকাল ১০টায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

    স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তুহিন হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিতে দুই ব্যক্তির নাম লেখা ছিল। তারা হলেন ছালাতুল ও সোলেমান। তারা সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন শিশুটির বাবাসহ স্বজনরা।

    ঘটনাটি সুনামগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এর সঙ্গে জড়িত যারাই হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষেরা।