Tag: ফাঁসি

  • কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যায় ৩ আসামির ফাঁসি

    কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যায় ৩ আসামির ফাঁসি

    রাজধানীর কাকরাইলে তিন বছর আগে মা ও ছেলে হত্যা মামলায় তিন আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের স্বামী আবদুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই মো. আল আমিন ওরফে জনি।

    আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

    ঘটনার পর দিন শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন।

    মামলায় নিহতের স্বামী আবদুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই মো. আল আমিন ওরফে জনিসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

    তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর মো. আলী হোসেন আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

    চার্জশিটে ওই তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলায় গ্রেফতার হয়ে ওই তিন আসামিই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    এর পর ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তিন আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেয় ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।

    এ মামলার বিচারকালে অভিযোগপত্রের ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক। ১২ নভেম্বর তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

    এর পর ১৩ ডিসেম্বর দুপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শুরু হয়। গত ১০ জানুয়ারি এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সে দিনই আদালত রায়ের জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

  • চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যায় ১০ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

    চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যায় ১০ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন

    সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় ১০ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত।

    আজ রবিবার দুপুরে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হকের আদালত এই আদেশ দেন। মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ও চার্জশিট ভুক্ত আসামি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান চৌধুরী মারা যান।

    অন্য আসামিরা হলেন নেজাম উদ্দিন, মো. ইদ্রিস, জাহেদ, আবু মোহাম্মদ রাশেদ, ফারুক আহমদ, হারুনুর রশিদ, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক, ইমতিয়াজ প্রকাশ মানিক ও তাহের।

    এছাড়া রায়ে আরও ৪ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
    বাদীপক্ষের আইনজীবী এসইউএম নুরুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৯ সালে সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় প্রায় ২১ বছর পর ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

    আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি আদালতের এই রায় দ্রুত কার্যকর হোক এটাই চাই।

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর রাত ১২টায় সাতকানিয়া থানার মির্জাখীল বাংলাবাজার এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে কথা বলার সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করেন একদল দুর্বৃত্ত।

    হত্যাকাণ্ডের পর ২০ জনকে আসামি কওে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আক্তার। মামলার তদন্ত শেষে ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

    এরপর দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত মামলার রায় প্রদান করেন।

  • টিপু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ

    টিপু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ

    একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজশাহীর আবদুস সাত্তার ওরফে টিপু সুলতান ওরফে টিপু রাজাকারের প্রাণদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ রায় দেন।

    এর আগে আসামি টিপু সুলতানের উপস্থিতিতে গত ১৭ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার রায়ের দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।

    স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজশাহীর বোয়ালিয়া এলাকায় নিরিহ মানুষকে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটতরাজসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে টিপুর বিরুদ্ধে।

    ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, জাহিদ ইমাম ও সাবিনা ইয়াসমীন খান মুন্নী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

  • এমপি লিটন হত্যায় ৭ জনের ফাঁসি

    এমপি লিটন হত্যায় ৭ জনের ফাঁসি

    গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খানসহ ৭ আসামির প্রাণদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালত এ রায় দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এমপি লিটন হত্যায় যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়। রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে ছিলেন। অপর আসামি চন্দন কুমার রায় ভারতে পলাতক।

    এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ৮ জনকে। এদের মধ্যে সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তাই মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

    এর আগে ১৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন।

    এই মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানকে একই ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলার রায়ে গত ১১ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এই বিচারক। এছাড়া অস্ত্র মামলায় পৃথক এক ধারায় তাকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

    আলোচিত এ মামলার ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ৫৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ৩১ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চলতি বছরের ১৮ ও ১৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি শফিকুল ইসলাম শফিক। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালতের বিচারক।

    ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।

    এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী।

    তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

    ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতারের পর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

  • বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রী ও শিশু গৃহকর্মী খুনের মামলায় একজনের ফাঁসি

    বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রী ও শিশু গৃহকর্মী খুনের মামলায় একজনের ফাঁসি

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা বান্ডেল রোড এলাকায় ১০ বছর আগে ডাকাতি করতে গিয়ে বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রী ও শিশু গৃহকর্মীকে খুনের মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৩ অক্টোবর) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরীর আদালত এ রায় দেন।

    একই রায়ে পৃথক ধারায় দন্ডিত আসামী মো. সোলায়মানকে (৩২) ১০ বছরের কারাদন্ড ও অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। রায় ঘোষণার পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সোলায়মানকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২০০৯ সালের ১৮ আগষ্ট বিকেলে হত্যাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধ গৃহকত্রীর ছেলের দায়ের করা হত্যা মামলায় একবছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আসামি সোলায়মানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    একই বছর মামলার অভিযোগ গঠন করার পর থেকে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বুধবার আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেন আদালত।

    আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলে নগরীর কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড এলাকার তিনতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ঘর ভাড়া নেওয়ার নাম করে ঘরে ঢুকে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সোলায়মান। এসময় ঘরে ছিলেন বৃদ্ধ গৃহকত্রী নুরজাহান বেগম (৭০) ও শিশু গৃহকর্মী পপি (৭)।

    একপর্যায়ে তাদেরকে জিম্মি করে ঘরের মালামাল লুট করতে চাইলে বাধা দেন নুরজাহান বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে নুরজাহান বেগমকে হত্যা করে সোলায়মান। ঘটনাটি দেখে ফেলায় শিশু গৃহকর্মী পপিকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তিন ভরি আট আনা স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় সোলায়মান।

    নিহত গৃহকত্রীর ছেলে ফারুক রাতে বাসায় এসে মা ও গৃহকর্মীর লাশ দেখতে পান এবং থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আসামি সোলায়মানকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সোলায়মান।

  • রিশা হত্যায় আসামি ওবায়দুলের ফাঁসি

    রিশা হত্যায় আসামি ওবায়দুলের ফাঁসি

    রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এই মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হকের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।

    ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

    গত ১১ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

    ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুরে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে উদ্ধার করা হয়।

    স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন ২৮ আগস্ট সকালে রিশার মৃত্যু হয়।

    প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন একমাত্র আসামি ওবায়দুল হক।

    তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলের বৈশাখী টেইলাসের কর্মচারী ছিলেন।

    আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল বলেছিলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় যে সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা প্রত্যাশা করছি।