Tag: ফারাজ করিম চৌধুরী

  • মানবিক ছেলের বদৌলতে ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ফজলে করিম

    মানবিক ছেলের বদৌলতে ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ফজলে করিম

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে চারবারের এমপি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি। তাঁর সঙ্গে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন অ্যাডভোকেট শফিউল আজম। প্রার্থী আছে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামিক ফ্রন্টেরও। তবে ভোটারদের সব হিসাব-নিকাশ ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ফজলে করিম চৌধুরীকে ঘিরেই।

    ভোটাররা বলছেন, নৌকার প্রার্থী ফজলে করিম চৌধুরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক শালীনতা ভোটের মাঠে তাঁকে এগিয়ে রেখেছে। ‘মানবিক ছেলে’ ফারাজ করিম চৌধুরীর বদৌলতে তরুণ ভোটাররাও ফজলে করিমের পক্ষে। স্বতন্ত্রসহ আরও চার প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধানে থাকবে বিস্তর ফারাক। যদিও ভোটারদের কাছে সুযোগ চান অন্য প্রার্থীরাও।

    সরেজমিন দেখা যায়, রাউজানে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন নৌকার প্রার্থী ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি নিজে এবং তার বড়ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিদিন দুটি তিনটি পথসভা করছেন তারা। গেল ২০ ডিসেম্বর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ফজলে করিম। গত শনিবার রাউজান উপজেলা ডাবুয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নে একাধিক পথসভা করেন। গণসংযোগে ও পথসভায় সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে নৌকা প্রতীকে ভোট ও সমর্থন কামনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘রাউজানে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে আশা করি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিবে জনগণ।’

    রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাব বলেন, ‘রাউজানে সুপরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ভোটারদের আস্থার প্রতীক ফজলে করিম চৌধুরী। ১৯৯৬ সাল থেকে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানে ব্যাপক উন্নয়নকাজ করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন তিনি।’

    অন্যদিকে খুব একটা অবস্থান গড়তে না পারলেও প্রচার-প্রচারণায় সরগরম রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিউল আজম। গণসংযোগ, পথসভায় সমর্থকদের নিয়ে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তিনি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারেও যাচ্ছেন। জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট শফিউর আজম বলেন, ‘আমি নতুন প্রার্থী। জনগণ আমাকে একবার সুযোগ দিলে আমি জয়লাভ করতে পারব। তবে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক আমি মেনে নিবো।’

    এ ছাড়া ভোটের মাঠে আছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী (লাঙল) সফিউল আলম চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী (চেয়ার) শ.ম জাফর উল্লাহ।

  • ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫০১ টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু

    ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫০১ টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু

    রাউজান প্রতিনিধিঃ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের জন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ৩৫০ টি, কুড়িগ্রামে ১৫০ টি ও নেত্রকোণায় ১ টি ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে ঘর নির্মাণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

    এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনায় সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩৫০ টি ঘর নির্মাণের জন্য আজ ছুটে যান ফারাজ করিম চৌধুরী। ঘর নির্মাণের সামগ্রী হিসেবে ইতোমধ্যে ৭ হাজার পিস ঢেউটিন ও ৫ হাজার পিস বাঁশ সরবরাহ করেছেন তিনি।

    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব সামগ্রী তাহিরপুর নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবিরের নিকট হস্তান্তর করেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

    হস্তান্তর শেষে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রাম সহ বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বিধ্বস্ত ঘর পরিদর্শন করেন ফারাজ করিম চৌধুরী৷

    এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, “আমাদের এত বড় বড় সব মানবিক কার্যক্রম দেশের সাধারণ মানুষই করেছে। এখানে সাধারণ মানুষের টাকা রয়েছে, কোন ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ নয়৷ আমরা যাতে আগামীতে আরো বেশি কাজ করতে পারি এজন্য দোয়া চাই।”

    জানা যায়, ব্যক্তি উদ্যোগে এতো বেশি পরিমাণ ঘর নির্মাণের উদ্যোগ সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ইতোপূর্বে আর কেউ এতো বেশি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে নি। ফারাজ করিম চৌধুরীর এই উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ।

    উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকে পুরোদমে এগিয়ে আসা এই মানবিক তরুণ ইতোমধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণায় ৫০ হাজার পরিবারের নিকট ত্রাণ সরবরাহ করার পাশাপাশি পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১০০ টি গরু জবেহ করে ১০ হাজার মানুষের নিকট মাংস বিতরণ করেছেন। তার এই বৃহৎ কর্মসূচীতে খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

  • বানভাসি মানুষের জন্য ১০০ টি গরু ও নগদ ৪ লক্ষ টাকা সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করলেন ফারাজ করিম চৌধুরী

    বানভাসি মানুষের জন্য ১০০ টি গরু ও নগদ ৪ লক্ষ টাকা সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করলেন ফারাজ করিম চৌধুরী

    রাউজান প্রতিনিধি: সিলেট ও সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের জন্য পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১০০ টি গরু প্রদান করেছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী৷ ১০০ টি গরু জবেহ করে ১০ হাজার পরিবারের মাঝে ১ কেজি করে মাংস বিতরণ করা হবে৷ এই বৃহৎ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট ১০০ টি গরু হস্তান্তর করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

    এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার (৯ জুলাই) সিলেট সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহসিনুল হক কবিরের নিকট ২৭ টি গরু হস্তান্তর করেন তিনি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সেনানিবাসের ডিভিশন কমান্ডার মেজর সাবরিনা মমতাজ অনি, জালালাবাদ সেনানিবাসের স্কুল অব ইনফেন্ট্রি এন্ড টেক্টিস এর অধ্যাপক মেজর হাসান চৌধুরী, ৩৮ এস.টি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল কাদের (পিএসসি), ক্যাপ্টেন সুমাইয়া তাবাসসুম ও ক্যাপ্টেন মেহজাবীন তানজিম রাফা। গরুর মাংস বিতরণের জন্য আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ নগদ ৪ লক্ষ টাকা এসময় প্রদান করা হয়।

    এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিলেট ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক (এন.এস.ডব্লিউ.সি, পিএসসি)’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে মতবিনিময় করেন ফারাজ করিম চৌধুরী। পরবর্তীতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত জনপদে বানভাসি মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে আরো গরু পাঠানো হয়।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশ্বনাথ ক্যাম্পের জন্য দেওয়া ৮ টি গরু গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন ইমন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছাতক ক্যাম্পের জন্য দেওয়া ৫ টি গরু গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন ইমতিয়াজ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দোয়ারা বাজার ক্যাম্পের জন্য দেওয়া ৭ টি গরু গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন আবির। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টের জন্য দেওয়া ২৫ টি গরু গ্রহণ করেন মেজর সালাউদ্দিন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনামগঞ্জ ক্যান্টনমেন্টের জন্য দেওয়া ২৮ টি গরু গ্রহণ করেন মেজর আশিক।

    এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, “কোরবানির দিন ১০০ টি গরু জবেহ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের জন্য যদি সেনাবাহিনীকে ১০ টাকা দেওয়া হয় তবে সেই ১০ টাকা তারা যথাযথভাবে পাবে। সেনাবাহিনীর কর্মপরিধি ও কার্যক্ষমতার কারণে আমরা তাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করি এবং তারাও এ কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে।

    ইনশাআল্লাহ, আমরা সুনামগঞ্জের দিরাই, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ (সদর), তাহিরপুর, বিশ্বনাথ, ছাতক, দোয়ারা বাজার, শাল্লা ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও বালাগঞ্জে এসব গরু পৌছিয়ে ১০ হাজার পরিবার তথা ৪০ হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করবো।”

  • কুড়িগ্রামে নিজের নামে গ্রামের নামকরণ দাবী প্রত্যাখ্যান করলেন ফারাজ করিম

    কুড়িগ্রামে নিজের নামে গ্রামের নামকরণ দাবী প্রত্যাখ্যান করলেন ফারাজ করিম

    রাউজান প্রতিনিধিঃ সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত জনপদে বন্যাদুর্গত ১০ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করার পর এবার কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ৫ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ নিয়ে গেছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।

    আজ রবিবার (২৬ জুন) কুড়িগ্রামের উলিপুর, বেগমগঞ্জ, পাঁচগাছি ইউনিয়ন, যাত্রাপুর, চরযাত্রাপুর, পোড়ারচর, ওয়াপদা, ফরাজী পাড়া, ভাইটেল সহ বিভিন্ন এলাকায় ২ টি ট্রলারে করে বন্যাদুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেন তিনি। ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে একটি চর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের জন্য ১৫০ টি ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ফারাজ করিম চৌধুরী। এমন প্রতিশ্রুতি শুনে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সাড়া দেখা যায়।

    এসময় সেখানকার স্থানীয়রা খুশি হয়ে তাদের গ্রাম ফারাজ করিম চৌধুরীর নামে নামকরণ করার দাবী জানান৷ ফারাজ করিম চৌধুরী তাদের এই দাবী সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    এ প্রসঙ্গে কিছুক্ষণ আগে এক ভিডিও বার্তায় ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, “এরকম নামের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাস করি না। যদিওবা তারা আমাকে ভালবেসে এই কথা বলেছে৷ তবে আমি মনে করি এসব নাম দিয়ে নয়, বরং তাদের দোয়া আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

  • বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে ফারাজ করিম; দেড় কোটি টাকার সহযোগিতা

    বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে ফারাজ করিম; দেড় কোটি টাকার সহযোগিতা

    রাউজান প্রতিনিধিঃস্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।

    শনিবার (১৮ জুন) থেকে শুরু হওয়া তার এই মানবিক কার্যক্রমে দেশের আপামর জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন৷ তার গঠিত মানবিক তহবিলে প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ হয়েছে। এরমধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত জনপদে তিনি ১০ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ নিয়ে গিয়েছেন৷ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্যার স্রোতের মধ্যেই বন্যাদুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তিনি এসব ত্রাণ পৌছে দিয়েছেন। সুনামগঞ্জের সদর, পৌর এলাকা, জগন্নাথপুর, মইনপুর, হালুয়ার ঘাট, ধোপাখালী সুইস গেইট, সুরমা, দারাইর গাও, হাল্লরগাও, খাইনতর, দোয়ারা বাজার এলাকায় এসব ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়। বর্তমানে আরো ৫ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদে ছুটে গিয়েছেন তিনি৷ কাল কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবেন বলে জানা গেছে। সেখানেও বন্যাদুর্গত ২ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

    তার এই বৃহৎ মানবিক কার্যক্রমের সবচেয়ে সাহসী পদক্ষেপ হল, তিনি ১ কোটি টাকা খরচ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরমধ্যে সুনামগঞ্জের বন্যাবিধ্বস্ত তাহিরপুর উপজেলায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৫০ টি ঘর ও কুড়িগ্রামে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৫০ টি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ফারাজ করিম চৌধুরীর এই মানবিক কার্যক্রমে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।

  • চমেক হাসপাতালে ফারাজ করিমের উদ্যোগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান

    চমেক হাসপাতালে ফারাজ করিমের উদ্যোগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কন্টেইনার ডিপোতে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসংখ্য রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। যার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল ও হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় রোগীর স্বজন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। ফলশ্রুতিতে হাসপাতালের অভ্যন্তরে বাথরুম সহ হাসপাতালের বাইরে প্রচুর ময়লা-আবর্জনায় ভরে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী তরুণ অংশগ্রহণ করে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বাথরুমে নেই আলোর ব্যবস্থা। পানি ব্যবহারের জন্য পানির কল নষ্ট। পানির মগও নেই। সেখানে ফারাজ করিম চৌধুরীর স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যরা নির্দ্বিধায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে চলেছেন।

    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। তাছাড়া একজন তরুণ হিসেবে দেশের প্রতি ভালবাসা ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।

  • ২ হাজার মানুষের জন্য খাবার ও ওষুধ নিয়ে মানবতার ডেস্ক স্থাপন করলেন ফারাজ করিম চৌধুরী

    ২ হাজার মানুষের জন্য খাবার ও ওষুধ নিয়ে মানবতার ডেস্ক স্থাপন করলেন ফারাজ করিম চৌধুরী

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুন্ডে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে তরুণ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ মানবতার ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ এই ডেস্কের মাধ্যমে হাসপাতালে আগত রোগী, স্বেচ্ছাসেবক ও রোগীর স্বজনদের জন্য বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানি, খাবার সহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

    “এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী ফাউন্ডেশন” এর সার্বিক সহযোগিতায় রবিবার (৫ জুন) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সম্মুখে স্থাপিত মানবতার ডেস্কে ২ হাজার মানুষের জন্য রাতের খাবার ও ৩ হাজার বোতল পানি, রোগীদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য দুধ, ডিম, জুস, কলা, বিস্কিট, মুড়ি, হাতপাখা, বালিশ, পানির মগ, বালতি সহ বিভিন্ন ওষুধ সামগ্রী প্রদানের মধ্য দিয়ে এই ডেস্কের কার্যক্রম শুরু হয়।

    ফারাজ করিম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই সেবা কার্যক্রম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গতকাল রাত ১০ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত ফারাজ করিম চৌধুরীর পক্ষ থেকে একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুণ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় কাজ করছে। তারা মেডিকেলের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী ও রোগীর স্বজনদের নিকট খাবার পৌছে দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নিকট খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। ফারাজ করিম চৌধুরীর এমন মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • ফারাজ করিমের উদ্যোগ ; বিকাশ একাউন্ট খুললো ফিলিস্তিন দূতাবাস

    ফারাজ করিমের উদ্যোগ ; বিকাশ একাউন্ট খুললো ফিলিস্তিন দূতাবাস

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান প্রতিনিধি : ফিলিস্তিন জুড়ে ইসরাইলি আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে নিরীহ মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। এরই প্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাস ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা করেন তিনি।

    এসময় ফিলিস্তিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ করার আহবান জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে সকলের সহযোগিতা কামনা করে স্ট্যাটাস দেন। তার সেই স্ট্যাটাসে নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণকে সাহায্য করার জন্য অসংখ্য মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রবাসী সহ অনেকেই বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য মতামত দেয়। তাদের এই মতামত সম্পর্কে ফিলিস্তিন দূতাবাসকে অবহিত করেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

    তারা বিষয়টি বিবেচনা করে সম্মতি প্রদান করেন এবং ফিলিস্তিন দূতাবাসের দুটি ফোন নাম্বারে (৪১০৮১৩৮২, ৪০১৮০৮৪১) যোগাযোগ করে বিকাশ নাম্বার সংগ্রহ করে সহযোগিতা পাঠানোর অনুরোধ জানান।

  • রাউজানে ফারাজ করিম সহ মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজ হিতৈষীদের সম্মাননা প্রদান

    রাউজানে ফারাজ করিম সহ মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজ হিতৈষীদের সম্মাননা প্রদান

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের রাউজানে নৈতিক অবক্ষয় রোধ, মাদক নির্মূল ও করোনা মহামারীতে বিশেষ অবদানের জন্য রাউজানের সাংসদপুত্র, তরুণ সমাজ সংস্কারক ও উদীয়মান রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরীসহ মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজ হিতৈষীদের সম্মাননা প্রদান ও গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    ৫ মার্চ (শুক্রবার) বিকালে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে কদলপুর স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই সংবর্ধনা ও গণ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    প্রধান বক্তা ছিলেন রাউজান পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ,কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুসলিম উদ্দিন আহমেদ জয়নালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী (বাবুল),উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, কদলপুর স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইরফান আহমেদ চৌধুরী।

    সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হক চৌধুরী লাভলু, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান চৌধুরী লালু, মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন, লায়ন সাহাবুদ্দিন আরিফ,লায়ন সরোয়ার্দি সিকদার, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক হাছান মো. রাসেল, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মফজল হোসেন, এম. এ. সালাম, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সুমন দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, দপ্তর সম্পাদক তপন দে, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কমল চক্রবর্তী, ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, নাছির উদ্দিন, আলী আকবর, মুরাদুল হক চৌধুরী, আব্দুল করিম, আবু তৈয়ব চৌধুরী,যুবলীগ নেতা বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, সেলিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন পিবলু, উপজেলা ছাত্রলীগের দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, সহ সভাপতি মিজানুর রহমান তালুকদার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আরমান শাহ, মো.সুজন, একরাম হোসেন, সাইম উদ্দিন শাহ, মো. তামিম, তানভীর ইসলাম, মো. সালমান শাহ, ওয়াহিদুল আলম, মো. সাকিব প্রমুখ।

    সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী যেভাবে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মাঝে একটা জাগরন সৃষ্টি করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয়। ফারাজ করিম চৌধুরীর মতো তরুণরাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখছে।

  • হত দরিদ্র ও পথশিশুদের নিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেন রাউজানের সাংসদপুত্র

    হত দরিদ্র ও পথশিশুদের নিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেন রাউজানের সাংসদপুত্র

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : করোনাকালীন সময়ে এবার অন্যরকমভাবে পবিত্র ঈদ উল আযহা উদযাপন করেছেন চট্টগ্রামের রাউজানের সাংসদ, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ও তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।

    ১ আগস্ট (শনিবার) ঈদের দিন সকালবেলা রাউজানের গহিরাস্থ বক্স আলী চৌধুরী বাড়ীতে ঈদের নামাজ আদায় করে পশু কোরবানি দেন তিনি। এরপর রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

    দরিদ্র মানুষের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা করেন তিনি। সবশেষে রাউজান উপজেলা সদরের মুন্সির ঘাটায় অবস্থিত উদ্দীপ্ত তরুণ বিদ্যাপীঠ এর শিক্ষার্থী ও পথশিশুদের জন্য ঈদের উপহার বিতরণ করেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান উদ্দীপ্ত তরুণ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক দীপলু দে দীপু, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, সবুজ দে ভানু, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতী, রাউজান উদ্দীপ্ত তরুণ এর সভাপতি মুহাম্মদ রবিন, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ হিমু, মুহাম্মদ ইউসুফ, সংগঠনের সদস্য মাহাফুজ, সাগর, জনি, মহিম, মারুফ, সাকিব, শোহাব প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাউজানে সাংসদপুত্রের উদ্যোগে বহুল প্রতীক্ষিত আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন মঙ্গলবার

    রাউজানে সাংসদপুত্রের উদ্যোগে বহুল প্রতীক্ষিত আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন মঙ্গলবার

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
    চট্টগ্রামের রাউজানে বহুল প্রতীক্ষিত আইসোলেশন সেন্টারের যাত্রা শুরু হচ্ছে আগামীকাল ১৫ জুলাই মঙ্গলবার।

    টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে রাউজানবাসীর করোনাকালীন চিকিৎসা সেবার নব দিবগন্তের বার্তা নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাওয়া এই আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করবেন
    রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী (এম.পি)।

    রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে, রাউজানবাসীর সহযোগিতায় আইসোলেশন সেন্টারের কাজের সর্বশেষ প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ ১ মাসের ও বেশি সময় ধরে চলমান নানা প্রস্তুতির পর সুলতানপুর ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টার এখন পুরোদমে প্রস্তুত।

    ১৩ জুলাই সোমবার পরিপূর্ণ এই আইসোলেশন সেন্টারটি প্রস্ততির শেষ পর্যায়ের কাজের পর্যবেক্ষণ করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ, রাউজান পৌরসভার ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দীন পারভেজ, চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের রেজিস্টার ডা.ফজল করিম বাবুল সহ রাউজান উপজেলা উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগ এবং সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের নেতৃবৃন্দ।

    উল্লেখ্য করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে রাউজানসহ চট্টগ্রামে এই বৈশ্বিক মহামারির প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সারা দেশে প্রশংসিত হন রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী। সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় করোনা আক্রান্তরা যাতে নিজ এলাকায় সঠিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে উপজেলা সদরের সুলতানপুর ৩১ শয্যা হাসপাতালকে পরিপূর্ণ আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণে উদ্যোগ নেন সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।

    রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর দিক নির্দেশনায় দীর্ঘ এক মাসের প্রস্তুতি শেষে বহুল প্রতীক্ষিত এই আইসোলেশন সেন্টারটির আনুষ্টানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনামুক্ত হলেন রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী

    করোনামুক্ত হলেন রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : করোনামুক্ত হলেন রাউজানের সাংসদ, রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।

    সোমবার (১৩ জুলাই) নিজের ফেইসবুকে এক স্ট্যাটাসে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার সংবাদটি তিনি জানান।

    তিনি লেখেন, “কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম, মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় আমার করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ আমার শরীরে এখন আর করোনার অস্তিত্ব নেই। ইনশাআল্লাহ, কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফিরে আসবো এবং আমাদের চলমান কার্যক্রমে আবারো পুরোপুরিভাবে মনোনিবেশ করবো।”

    এর পূর্বে জ্বর ও হালকা কাশি থাকায় করোনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীতে ফারাজ করিম চৌধুরীর নমুনা সংগ্রহ করার পর ২৭ জুন শনিবার বিকেল চারটার দিকে ফারাজ করিম চৌধুরীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। জ্বর ও হালকা কাশি থাকলেও সাংসদপুত্রের অন্য কোনো উপসর্গ না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।

    সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করার পর থেকে রাউজানসহ চট্টগ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় শুরু থেকেই বেশ কিছু মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন ফারাজ করিম। শুরুতেই মাস্ক, ডেটল, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন উপকরণ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে বিতরণ করার পর রাউজানের প্রত্যন্ত জনপদে উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে এলাকার হত দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষসহ নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার সমূহের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। বিগত রমজান মাসে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর জন্য প্রতিদিন দুই হাজার করে মোট ৬০ হাজার প্যাকেট সেহেরির খাবার বিতরণ কর্মসূচি সারাদেশে প্রশংসিত হয়। রাউজানে করোনার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়তে থাকায় রাউজানের প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সুলতানপুর আইসোলেশন সেন্টারে ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়। বর্তমানে সাংসদপুত্রের উদ্যোগে সুলতানপুর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টার গঠনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।

    একজন সাংসদপুত্র হয়ে শুধু রাউজান নয় দেশের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বোচ্চার থাকেন তিনি।

    এছাড়া উপজেলায় মাদক, ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে হেল্পডেস্ক গঠন করে কার্যকর ভূমিকা রাখেন তিনি। দেশে চলমান করোনার প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুবরণকারী সকল ধর্মের মানুষের দাফন-কাফন ও সৎকার কাজের জন্য নিজ উদ্যোগে গঠন করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আশার আলো।

    মানবিক কাজে বরাবরের মতো প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করা উদীয়মান এই রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবকের করোনা পজেটিভ আসার পর সাংসদপুত্রের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অগুণিত মানুষ। রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন, রাউজানের প্রতিটি ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগে চলে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর