Tag: ফারাজ করিম চৌধুরী

  • বাংলাদেশের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণার দাবী রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজের

    বাংলাদেশের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণার দাবী রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজের

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র, উদীয়মান সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।

    শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব নয়, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগও গ্রহণ করেছেন তিনি।

    বিগত কয়েকদিন পূর্বে করোনা ভাইরাস নিয়ে ‘‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন’ স্হগিত রাখার যৌক্তিক দাবী তুলে ধরে একটি স্ট্যাটাস দেন ফারাজ করিম চৌধুরী। যা বৃহত্তর চট্টগ্রামে সাড়া জাগিয়েছিল।

    এবার সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়েই আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হলেন সময়ের আলোচিত এই সমাজ কর্মী। এবার দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র আগামী ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন তিনি।

    নিচে ফারাজ করিম চৌধুরীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

    ‘‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য স্কুল বন্ধ দেওয়া হল। আর স্কুল বন্ধের কারণে এখন সবাই ফ্যামেলী নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছে, যা আমাদের সকলের জন্য বিপদজনক। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। একইভাবে আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করাও সম্ভব নয়।

    আগামী সপ্তাহ থেকে ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হোক। যদি আপনি আমার সাথে একমত হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই এই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করবেন।’’

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা/আর এসপি

  • বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে: ফারাজ করিম

    বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে: ফারাজ করিম

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান : বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ রাউজান ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঙ্গগলবার (১৪ জানুয়ারি) নোয়াপাড়া পথেরহাটস্থ ভারতশ্বরী প্লাজা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য, উদীয়মান রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরী।

    দ. রাউজান ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পূর্ব গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়া, পশ্চিম গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন সাহাব উদ্দিন আরিফ, উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়্যদ আব্দুল জব্বার সোহেল, পাহাড়তলী ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন, কদলপুর ইউপি চেয়াম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি ছিলেন সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের উপদেষ্টা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক এস এ এম হোসাইন, আজমান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সেলিম চৌধুরী, দক্ষিণ রাউজান পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ম্যালকম চক্রবর্তী।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠনটি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। মেধাবী নেতৃত্বের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে মাদকমুক্ত, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে আরো অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

    অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও দক্ষিণ রাউজান ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দক্ষিণ রাউজানের আওতাধীন সাতটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, আহবায়ক, ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিগণ বক্তব্য রাখেন।

    পরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কেক কাটেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

    প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ত্রিশজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপরকরণ দেওয়া হয়। বিকেলে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • রাঙ্গামাটিতে সেন্ট্রাল বয়েজ’র ৪র্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান, থাকবেন ফারাজ করিম

    রাঙ্গামাটিতে সেন্ট্রাল বয়েজ’র ৪র্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান, থাকবেন ফারাজ করিম

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান: মেধা ও মননের সংগঠন “সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান” এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান হবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙামাটিতে বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে। বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্টপোষক, উদীয়মান সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।

    ৪র্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে রাউজান মুন্সির মাস্টার দা সূর্যসেন কমপ্লেক্সস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা সংগঠনের সভাপতি সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতিসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
    প্রস্তুতি সভায় ৪র্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

  • দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী ইকরামের স্বপ্নপূরণ করলেন রাউজান সাংসদপুত্র ফারাজ করিম!

    দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী ইকরামের স্বপ্নপূরণ করলেন রাউজান সাংসদপুত্র ফারাজ করিম!

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।নেজাম রানা, রাউজান প্রতিনিধি : দারিদ্র্যের সাথেই শৈশব থেকেই বেড়ে উঠা ছেলেটির। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এক হত-দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী মো. ইকরামের লেখাপড়ার প্রতি ছিল অদম্য স্পৃহা। সব সময় স্বপ্ন দেখতেন একদিন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পার হয়ে ভর্তি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    সুযোগও হাতের মুঠোয় চলে চলো। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মতো দেশের স্বনামধন্য একটি শিক্ষা নিকেতনে অধ্যায়নের স্বপ্নপূরণের হাতছানি ইকরামের চোখেমুখে।

    কিন্তু চাইলেই কি আর সম্ভব ! তাইতো ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও আরেকটু হলে ফিকে হতে যাচ্ছিল তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন। ভর্তির ফি জোগার করতে না পারায় রীতিমতো টেনশনে নাওয়া-খাওয়াও টিকমতো করতে পারছিলনা ছেলেটি। হতাশা থেকেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন।

    ব্যস,! এই এক স্ট্যাটাসই যেন হয়ে উঠলো স্বপ্নপূরনের হাতিয়ার হিসেবে। মাত্র ১৫ হাজার টাকার অভাবে একটি দরিদ্র পরিবারের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হওয়ার উপক্রম দেখে মেধাবী ছেলেটির দিকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করলেন রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।

    ছেলেটির ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি দেখেই তার সাথে যোগাযোগ করেন সাংসদপুত্র ফারাজ করিম। তার সমস্যার কথা শুনে ছেলেটির লেখাপড়ার দায়িত্ব নিজে নেন উদীয়মান সমাজসেবক ফারাজ করিম।

    ছেলেটিকে এনে তার হাতে ফারাজ করিম চৌধুরীর পক্ষ থেকে ভর্তির প্রয়োজনীয় অর্থ তুলে দেন সেন্টাল বয়েজ অব রাউজান এর উপদেষ্টা এস.এ.এম হোসাইন।

    এ সময় সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি মো: সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতী, আবু বক্কর, মো: মিহানুর রহমান, মো: ফয়সাল, ফরহানুল ইসলাম, ইশতিয়াক কামাল রাকিব, নরুল আমিন অপুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী:প্রশ্ন ফারাজ করিমের

    উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী:প্রশ্ন ফারাজ করিমের

    সম্প্রতি প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পিতা সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম অন্তর্ভূক্ত সম্পর্কে নিজের ফেইসবুক ফেইজে মরহুম ফজলুল কবির চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এক তথ্যবহুল স্ট্যাটাস তুলে ধরেছেন ফজলুল কবির চৌধুরীর নাতি ও রাউজানের সাংসদপুত্র তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। ফারাজের স্ট্যাটাসটি ফেসবুকে এরইমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।

    ফারাজ করিম চৌধুরীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
    তবে কি একজন রাজাকারের বাড়িতে জাতির পিতার সরকার ৮ জন পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন এবং ৭২ এ তার মৃত্যুর পর লাশ স্পেশাল সেনা বিমান করে চট্টগ্রাম এনেছিল ? উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী ?

    রাজা আর তার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সেই গল্প শুনেছিলেন না? ঐ যে রাজা তার আবহাওয়া অধিদপ্তরের কথা শুনে মাছ ধরতে আসে আর তখন এক মূর্খ জেলে তাকে প্রশ্ন করে যে ‘জ’মহারাজা আপনি আজ কেন মাছ ধরতে এলেন? আজ তো বৃষ্টি হবে। রাজা তাকে গালি দিয়ে উত্তর দিয়েছিলো ‘মূর্খ, তুই কি জানোস, আমার আধুনিক আবহাওয়া অফিস আমাকে বলেছে আজ কোনো বৃষ্টি হবেনা’। তার কিছুক্ষন পর বৃষ্টি শুরু হয় আর রাজা ভিজে যায়। প্রচন্ড ক্ষেপা রাজা তখন আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান কে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় আর সেই মূর্খকে আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান বানিয়ে দেয়। আর সেই থেকেই নাকি দায়িত্ব শীল পদ গুলোতে মূর্খদের বসানোর সূত্রপাত হয়েছিল। যাইহোক অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলি। আজ যার সূত্র ধরে আমি এবং আমার পরিবারকে রাজাকার পরিবার আখ্যায়িত করেছেন তার সম্পর্কে তো আমাকে কথা বলতেই হয়।

    এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। যদি এক কথায় শুনতে চান তাহলে তাকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতেই আমি ব্যক্তিগতভাবে গর্ব করি। তবে পেশায় ছিল একজন রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন শাস্ত্রে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তাকে নিয়ে আমি গর্ব করি তার পদ পদবীর জন্য অথবা তার ভিআইপি স্ট্যাটাসের জন্য নয়। বরং তার ভিআইপি স্ট্যাটাস যাদের দ্বারা অর্জিত সেই ভিআইপির (পি) অর্থাৎ (পারসন) বা যদি বলি পিপল, যে জনগণের পক্ষে তার সীমাহীন ভালোবাসার জন্য। পার্লামেন্টের পুরনো বইগুলো যদি আপনারা দেখেন, তবে আপনারা অনেককিছুই জানতে পারবেন। ১৯৬২’র দিকে যখন বাংলাদেশ ছিল না, সেসময় পূর্ব-পাকিস্তানের স্বার্থ ও বাঙালীদের পক্ষে দাবী আদায়ে সংসদে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানকে প্রায় সময় চাপ প্রয়োগ করতেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় তিনি যে আওয়াজ তুলেছিলেন তাও এখানে প্রতীয়মান। আজ আপনারা দেখতে পান চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম নাইট কলেজ, চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এবং চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যেগুলোর প্রতিটার প্রতিষ্ঠার মধ্যে তার এবং চট্টগ্রামের আরো কয়েকজন গুণী ব্যক্তিত্বের অবদান রয়েছে। যদি প্রমান চান আমি তা তুলে ধরতে পারবো। জনাব চৌধুরী একক প্রচেষ্টায় ১৯৬৩ সালে রাউজান কলেজ এবং ১৯৬২ সালে রাউজানের গহিরায় শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী বেলজিয়ামের ডমিনিক পীয়ের অনুদানে প্রতিষ্ঠা করেন শান্তির দ্বীপ।

    ফজলুল কবির চৌধুরী, আলহাজ্ব খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরীর ও মাতৃকুল মধ্যযুগীয় মুসলিম মহিলা কবি রহিমুন্নেসার পৌত্রী বেগম ফাতেমা খাতুন চৌধুরীর ঔরশে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা (আজকের দিনে যেই পদের অধিকারী আমাদের দেশের বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রৌশান এরশাদ)। প্রাদেশিক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছিলেন এবং দু দু বার সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রথমে রাউজান রাঙ্গুনিয়া বোয়ালখালীর (১৯৬২) আর পরবর্তীতে রাউজান হাটহাজারীর (১৯৬৫)। কোন রাজনৈতিক দলও করতেন না, বরং স্বতন্ত্রভাবে অন্যান্য স্বতন্ত্র সদস্যদের একত্রিত করে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনি মুসলিম লীগের কেউ ছিলেন না। যেহুতু রাজনীতির সূত্রেই আজ আমার মরহুম দাদা কে তার মৃত্যুর প্রায় অর্ধ শতাধিক বছর পর অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক পরিচয় আমাকে তুলে ধরতেই হলো।

    বিজয়ের মাসে বিজয় দিবসের আগ মুহুর্তে, গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে রাউজান কলেজে আমি যাই যা অভিযুক্ত মরহুম এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেছিল। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাউজান কলেজের শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে বসে আমরা আওয়ামী পরিবার ও ছাত্রলীগের ভাইয়েরা সহ একত্রে রাউজানের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ গল্পগাঁথা শুনছিলাম। রাউজানে তাদের সেই যুদ্ধের পুরনো স্মৃতিগুলি বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর সাহেব বলেন, আজকে আমাদের মাঝে যে বসে আছেন তার দাদা ফজলুল কবির চৌধুরী

    ব্যাক্তিগতভাবে আমাকে ও আমার সহকর্মীদেরকে ১৯৬৫ সালে ফাতেমা জিন্নাহ’র পক্ষে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করায় জেল থেকে মুক্ত করে আনেন। সেসময় থেকে জনাব ফজলুল কবির চৌধুরী আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে থাকেন। এবং বিভিন্নভাবে আমাদের সুযোগ-সুবিধা করে দিতেন। যখন বাড়ী ফিরছিলাম, তখন খবর এলো আমার দাদা ফজলুল কবির চৌধুরী নাকি রাজাকার ছিলেন। এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আমার দাদার নাম তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে।

    যে মন্ত্রণালয় এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে শিখে নি, যে মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়ার সময় অভিযুক্ত ছিল, সেই মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করলে নিশ্চয় আমার কবিরা গুনাহ হয়ে যাবে না। অভিযোগ যেহেতু করেছেন, এখন তার প্রতিক্রিয়া শোনার সময় এসেছে।
    কল্পনা করা বা স্বপ্ন দেখা ভালো। তবে অবাস্তব কল্পনা, অবাস্তব চিন্তাভাবনা, বানোয়াট গল্প বলা ভালো নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বাড়ী ছিল চট্টগ্রামের পাথরঘাটায়। বাড়ির নাম ইকবাল ভিল্লা যা কিনা এই অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ী হিসেবে পরিচিত। কথা বলতে গেলে অনেক কিছু চলে আসবে আর লিখতে গেলে এই বাড়ীর অনেক ইতিহাস যা লিখে শেষ করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমার দাদা এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী পাথরঘাটার বাড়ীতে অবস্থান করতেন।

    তার ২য় পুত্রের নাম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, আমার বাবার বড় ভাই, আমার মেঝো চাচা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ২১। তাকে অনেকেই একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর বাঙ্গালীদের পক্ষে অবস্থান করে নিরীহ বাঙ্গালীদের রক্ষা ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। নালাপাড়ার হাজী আবদুর রহিমকে চিনেন কেউ ? চিনে থাকলে নিশ্চই জানবেন যে মেঝো চাচা ১৯৭১ সালের মার্চের শেষ দিকে গান পাউডার নিয়ে টেরীবাজার মিঠা গলিতে গিয়েছিলেন। এবং পরে সেই গান পাউডার ফিরিঙ্গি বাজারের মনাকে দিয়েছিলেন। সেই মনা কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬ দফার ৬ তারা বিশিষ্ট পতাকা ও টুপি ব্যবহার করতেন বলে বর্তমান কাজির দেওরির পাশে অবস্থিত নেভাল একাডেমীর ছাদ হতে আমার দাদার সেই ল্যান্ডক্রুসার গাড়ীটিকে (গাড়ী নং ৮১৪৭) লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পাকিস্তানী আর্মি। সেসময় আমার চাচার সাথে গাড়ীতে ছিলেন এ.কে. খানের জামাতা এম.আর. সিদ্দিকী।

    সেই ল্যান্ড ক্রুসার গাড়ী ছিল যার গাড়ী নং ৮১৪৭ ব্যবহার করে আমার চাচা ফজলে রাব্বি চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষক সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের তাদের নিজ বাসায় নিরাপদে নামিয়ে দিয়ে আসতেন। এই সকল ঘটনার সাক্ষী দিবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ জাহান খান রুশনীর ভাই জার্মান প্রবাসী রুমু। শুনেছি যুদ্ধের সময় চাচা একদিন চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় রিকসা নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ৪ জন নিরীহ বাঙালীকে ধরে পাকিস্তানী ৩ জন আর্মি ব্যাপক মারধর করছিল। সে সময় তিনি রিকসা থেকে নেমে পাকিস্তানী আর্মির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং নিরীহ সেই বাঙালীদের উদ্ধার করেন। এর কিছুদিন পর চট্টগ্রাম শহর থেকে রাউজান যাওয়ার পথে কয়েকজন হিন্দুকে পাকিস্তানী আর্মিরা ধরে নিয়ে যেতে দেখলে জনাব ফজলে রাব্বি চৌধুরী গাড়ী থেকে নেমে সেসব হিন্দুদের রক্ষা করে নিরাপদে বাড়ীতে পৌঁছে দেন। বলি শামসুর নাম অনেকেই শুনেছেন, বিশেষ করে যারা তৎকালীন ইতিহাস সম্পর্কে অবগত আছেন। বলি শামসুও আমার চাচার সাথে গাড়ীতে থাকতেন। তার ভাই মাহবুবও গাড়ীতে থাকতেন। তারা যুদ্ধ কালীন সময় আমার চাচার ভূমিকার সাক্ষী দিবেন যদি বেঁচে থেকে থাকে। চাচার কথা বলার পিছে কারণ আছে। চট্টগ্রামের মানুষ ভালো করে জানে যে আমাদের সেদিকে একটি সংস্কৃতি আছে। বাপ বিষ খেলে ছেলেও বিষ খেতে চাই। অর্থাৎ বাপ ছাড়া ছেলে এক পা দিতে অসঙ্গতি প্রকাশ করেন।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বীর বাঙালীর মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার আমার দাদাকে ৮ জন রাষ্ট্রীয় পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা প্রদান করতো। যেহেতু আমার দাদার আপন ছোট ভাইয়ের নাম ফজলুল কাদের চৌধুরী এর রেশ ধরে পরিবারের অন্য কারো যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে বেঙ্গল লিবারেশন ফোর্স সহ বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেন তখন কার সরকার। এই কথার প্রমান ও সাক্ষী দুটি আছে। রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরীর সন্তান সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করলে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরীর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় এবং এর আগে থেকেই পাকিস্তান সরকারের বাঙালীদের প্রতি নিপীড়ন ও শোষণমূলক আচরণের প্রতি ইংগিত করে জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী বলতেন, “শুধুমাত্র বন্দুকের নল দিয়ে দেশ শাসন করা যায় না, পাকিস্তানের নিষ্ঠুরতম আচরণের জন্য একদিন কঠিন মাশুল দিতে হবে।” তিনি পাকিস্তান সরকারের অন্যায়-শোষণকে কখনো মেনে নিতে পারেন নি।বাঙ্গালীদেরকে সবসময় তিনি সহযোগিতা করতেন। সেই সময় শ্রী শ্রী বর্মন নামে একজন হিন্দু ব্যক্তিকে তিনি পাথরঘাটার বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। যিনি ভারতের তৎকালীন একটি ব্যাংকে চাকরী করতেন।

    ফজলুল কবির চৌধুরী যদি রাজাকার হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, মন্ত্রী, মেয়র, দলের সাধারণ সম্পাদক, সরকারী-বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গুণী ব্যক্তিত্বরা, যারা কিনা অনেকে নিজেরাই মুক্তিযোদ্ধা, তারা কি রাজাকারের কবর জিয়ারত করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন এতদিন ? ফজলুল কবির চৌধুরী যদি রাজাকার হয়ে থাকে তবে কি একজন রাজাকারকে জাতির পিতার সরকার নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল ? তিনি যদি রাজাকার হয়ে থাকেন তবে কি একজন রাজাকারের লাশ জাতির পিতার নির্দেশে সেসময় সরকারের বিশেষ বিমান করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আনা হয়েছিল ?

    তবে কি মন্ত্রণালয়ের গেজেটেড ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার ছিল কারণ তার মেয়ে অন্য রাজনৈতিক দল করে বলে? তবে কি যেই ট্রাইবুনাল দ্বারা যুদ্ধ অপরাধের বিচার করলেন, সেই ট্রাইবুনালের কৌঁসুলি রাজাকার ছিল ? তবে কি বঙ্গবন্ধুর সাথে একই মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মুজিবুল হক ও রাজাকার ছিল ? তবে কি বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাই ও রাজাকার ছিল ? উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী ?

  • সমাজের অন্ধকার দূর করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই : ফারাজ করিম

    সমাজের অন্ধকার দূর করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই : ফারাজ করিম

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম): রাউজানের চিকদাইরে ইউনিয়নের বিভিন্ন পেশাজীবি কয়েক হাজার মানুষের সাথে মত বিনিময় কালে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র জ্যেষ্ঠ পুত্র, তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির গল্প থেমে না থাকলেও মানুষ আজ অনেকভাবেই বিপর্যস্ত। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে মানবিক শিক্ষা অর্জন বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পরেছে। সংবাদপত্রের কাগজে খুন, ছিনতাই, ধর্ষণ, ইভটিজিং, জায়গাজমি নিয়ে বিরোধের সংবাদ আমরা আর পড়তে চাই না।

    আমাদের আগামীর প্রজন্মকে একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের সকলকেই ত্যাগী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হলেও আমরা পরস্পর লিপ্ত রয়েছি দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিং নিয়ে। সমাজের এসব অন্ধকার দূর করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।”

    তিনি রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাউজানের চিকদাইর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বস্তরের মানুষের সাথে বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তরমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    ৩ নং চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ এর ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান বাবু প্রিয়তোষ চৌধুরী।

    ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ এর নির্বাহী সদস্য ইয়াসিন চৌধুরী সি.আই.পি, বাংলাদেশ তায়াকোয়ানডো ফেডারেশন এর টিম ম্যানেজার সুমন দে, রাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি.এম জসিম উদ্দিন হিরু, রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর জানে আলম জনি, রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, সোশ্যাল সার্ভিসেস ইউনিয়ন অব রাউজান এর আহবায়ক মহিউদ্দিন ইমন, যুগ্ন আহবায়ক দিদারুল আলম, উদ্দীপ্ত তরুণ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক দীপলু দে দীপু, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতী, চিকদাইর বন্ধু পরিষদ এর সভাপতি নোমান বিন আজিজি, জাহেদুল আলম জাহেদ, জানে আলম, আকতার হোসেন, আকরাম হোসেন, তারেক হোসেন প্রমুখ।

    বিশাল এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ হাজার মানুষের জনসমাগম ঘটে এবং ফারাজ করিম চৌধুরীর আগমনকে ঘিরে পুরো চিকদাইরে ব্যাপক উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।

  • রাউজানে পথশিশুদের জন্য স্থায়ী বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলা হবে: ফারাজ করিম চৌধুরী

    রাউজানে পথশিশুদের জন্য স্থায়ী বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলা হবে: ফারাজ করিম চৌধুরী

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান : রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র জ্যেষ্ঠ সন্তান রাউজানের উদীয়মান সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী বলেছেন, “শিশুদের জন্য সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ তৈরী করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

    আগামীর প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের দিকে সকলের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। রাউজানে পথশিশুদের জন্য স্থায়ী বিদ্যাপীঠ তৈরী করা হবে।”

    তিনি রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের মুন্সির ঘাটায় সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে গঠিত উদ্দীপ্ত তরুণ বিদ্যাপীঠ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় পথশিশুদের সাথে আনন্দমুখর সময় কাটান সাংসদপুত্র।

    সাংসদপুত্রের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভার ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এমেচার বক্সিং ফেডারেশন এর নির্বাহী সদস্য সুমন দে, উদ্দীপ্ত তরুণ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক দীপলু দে দীপু, রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, রাউজান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরমান শিকদার, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতী, উদ্দীপ্ত তরুণ এর সভাপতি মোহাম্মদ রবিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ তাসিম, জয় বর্ধন,, মঈন, হিমু, মারফ, আরিফ, সাকিব, সাগর, জোনায়েদ, আশরাফুল, মহিত, সাজিদ, আবির, মহিম, নিলয়, দীপ্ত, সোহাব, হানিফ, হামিম, মোরশেদ, বাবু, হামিম, আজম, পল্লব, পাপ্পু প্রমুখ।

    পরে বিদ্যাপীঠে অধ্যয়নরত সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ করেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

  • ফারাজ করিম চৌধুরী আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে: আনোয়ার চৌধুরী

    ফারাজ করিম চৌধুরী আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে: আনোয়ার চৌধুরী

    রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র সুযোগ্য সন্তান, যুক্তরাজ্যের সফল মেধাবী কৃতি ছাত্র ফারাজ করিম চৌধুরী সমাজের অপশক্তি বন্ধে ও আইনের শাসন প্রতিষ্টায় যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। এতে তিনি সমাজের উন্নয়নে ও অবহেলিত মানুষের কল্যাণে যে অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেছেন, তা তরুন সমাজের মাঝে নতুনভাবে উদ্দিপনা সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্য তার নেতৃত্বে উপজেলায় একাধিক অপরাধি সনাক্ত করে শাস্তি ভোগ ও সংশোধনের জন্য পথ খুজে নিয়েছে। তাই ভবিষ্যতে তিনি যেন তার সুযোগ্য পিতার অনুসারি হয়ে রাউজানবাসির সুখে দুখে সাথে থাকে সেই প্রত্যাশা করি।

    শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নস্থ রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা এডভোকেট এম.আনোয়ার চৌধুরীর নিজ বাসভবনে উপজেলার স্বনামধন্য সংগঠন সেন্ট্রাল বয়েজের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল বয়েজের প্রতিষ্টাতা সভাপতি মো.সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন জামাল চিসতি, বিজ্ঞাপন ও প্রযক্তি বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপ দপ্তর সম্পাদক তাজ নবী ইমন ও পূর্ব গুজরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সদস্য ও আ.লীগ নেতা সিরাজুল হক, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদাক মোহাম্মদ খালেদ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের নেতৃবৃন্দরা সাংসদ পুত্র রাজনীতিক ফারাজ করিম চৌধুরী প্রেরিত অভিনন্দন বার্তাটি নব নির্বাচিত রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা এডভোকেট এম.আনোয়ার চৌধুরীর হাতে তুলে দেন।

    এতে তিনি অভিনন্দন বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। এতে আপনার সু পরামর্শে রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ আরো বেগমান হবে। এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনি আরো অগ্রনী ভূমিকা রাখবেন।

  • রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি : বৃদ্ধের কারাদণ্ড

    রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি : বৃদ্ধের কারাদণ্ড

    রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোঃ রফিক(৬০) নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    ২৭ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ এই দণ্ডাদেশ দেন।

    মোঃ রফিক উপজেলার ৭ নং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বেপারী পাড়ার মৃত নবাব মিয়ার পুত্র।

    সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার স্কুল বন্ধের দিন এলাকার খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে স্কুল শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যান জনৈক স্কুল ছাত্রী। এ সময় মোঃ রফিক শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীটির শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে তার সাথে থাকা বান্ধবীটি চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন জড়ো হয়।

    পরে বিষয়টি স্থানীয়দের কেউ রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের হেল্পডেস্ক টিমকে বিষয়টির খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

    রবিবার সকালে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের হেল্পডেস্ক টিমের সদস্যরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষের কাছে বিষয়টির খোঁজ নেন।

    এ সময় স্থানীয় লোকজন বলেন, রফিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পরে হেল্পডেস্ক টিমের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করে রফিককে হাজির করে রাউজান থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের ভিত্তিতে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, মোঃ রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

  • বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে মেধাবী নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়-ফারাজ করিম

    বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে মেধাবী নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়-ফারাজ করিম

    রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ও সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর প্রতিষ্ঠাতা ফারাজ করিম চৌধুরী বলেছেন, বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে মেধাবী নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। আর এই মেধাবীরাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।

    তিনি বলেন, পুরনো দিনের সেই চিন্তাভাবনা নয়, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

    তিনি আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০ টায় রাউজান এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী অডিটোরিয়ামে রাউজানের ২৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার অংশগ্রহণে ৪র্থ আন্তঃস্কুল-মাদরাসা বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর ব্যবস্থাপনায় ও রাউজান উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতীর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মাসুম চৌধুরী।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সি.সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, নোয়াজিষপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সরোয়ার্দী সিকদার, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান, রাউজান পৌরসভার ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এমেচার বক্সিং ফেডারেশন এর নির্বাহী সদস্য সুমন দে। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম।

    এর আগে রাউজানের ২ টি শক্তিশালী বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ৪র্থ আন্তঃস্কুল-মাদরাসা বিতর্ক প্রতিযোগিতার এবারের আসরের সমাপনী প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে গহিরা এ.জে.ওয়াই.এম.এস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। রানার-আপ হয় রাউজান আর.আর.এ.সি মডেল সরকারি হাই স্কুল।

    সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয় গহিরা এ.জে.ওয়াই.এম.এস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২য় বক্তা নিপা দে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রাম এর সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরাফাত, সহ-সম্পাদক রিদোয়ান আলম আদনান ও সহ-সম্পাদক মুন্না মজুমদার।

    এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জানে আলম জনি, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জিল্লুর রহমান মাসুদ, মোহাম্মদ আসিফ, আরমান সিকদার, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, শাহরিয়ার হাসান সাকিব, তারেক হাসান, আবু বক্কর আরাফাত, মোহাম্মদ রিফাত, আরফান গণি ফাহিম, জুনাইদ উল্লাহ, তাজনবী ইমন, মিজানুর রহমানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।