Tag: ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস সপ্তাহ

  • নীলফামারী ও সৈয়দপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ শুরু

    নীলফামারী ও সৈয়দপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ শুরু

    নীলফামারীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৯ শুরু হয়েছে।

    ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে নীলফামারী ফায়ার স্টেশনে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

    এতে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। স্টেশন অফিসার রিফাত আল মামুনের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-সহকারী পরিচালক এনামুল হক। পরে অগ্নি নির্বাপনে প্রস্তুতি এবং প্রাণহানী রক্ষায় বিশেষ মহড়া প্রদর্শণ করেন নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

    অপরদিকে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ – ২০১৯ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ৬ নভেম্বর বুধবার সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহরের নতুন বাবুপাড়াস্থ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে “সচেতনতা, প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ , দুর্যোগ মোকাবেলার সর্বোত্তম উপায়” প্রতিপাদ্যের ওপর ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মাহমুদুুল হাসান।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস্ চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাসনাত খান, মকবুল হোসেন ট্রাষ্ট একাডেমীর অধ্যক্ষ আবু রায়হান আল-বেরুনী, সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাকির হোসন বাদল, ফায়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

    সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার মাধব চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি জাতীয় ও ফায়ার সার্ভিস পতাকা উত্তোলণের মাধ্যমে সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে প্রধান ও বিশেষ অতিথিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর একটি দল অভিবাদন জানান।

    পরে অগ্নিনির্বাপণ ও দূর্ঘটনা থেকে উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ব্যবহৃত আধুনিক বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদর্শন এবং অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পন থেকে উদ্ধার ও সেবা প্রদান বিষয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে একটি যান্ত্রিক র‌্যালী সৈয়দপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

  • উত্তরা ইপিজেড এ ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস সপ্তাহের উদ্বোধন

    উত্তরা ইপিজেড এ ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস সপ্তাহের উদ্বোধন

    “সচেতনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি- ভূমিকম্প মোকাবেলার সর্বোত্তম উপায়” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে উত্তরা ইপিজেড এ বাংলাদেশের দি লাইফ সেভিং ফোর্স ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ২০১৯ ইং সালের সার্ভিস সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা ও বিভাগিয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন উত্তরা ইপিজেড মহা-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এনামুল হক।

    এসময় তার সাথে ছিলেন ইপিজেড এর নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) একেএম মাহবুব-ই-সোবহানী ও উপ-সচিব (প্রশাসন) মোঃ মমিন উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাদশা মাসউদ আলম।

    আমন্ত্রিত অতিথিদের প্যারেটের মাধ্যমে অভিভাদন জানান ফায়ার সার্ভিসের চৌকশ দল।

    এরপর মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আরম্ভ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্টেশন অফিসার তরিকুল ইসলাম, দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন প্রতিনিধি দুলাল সরকার, নীলফামারী চিত্র বার্তা সম্পাদক শাহজাহান আলী।

    সঞ্চালনা করেন ফায়ারম্যান মোঃ রাসেল ও মোঃ খাইরুল। অনুষ্ঠানে আগতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের নানামুখী কর্মকান্ড নিয়ে প্রচারপত্র ও ম্যাগাজিন বিতরণ করা হয় এবং ভিডিও ডকুমেন্টরী প্রদর্শন করা হয়।

    প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আগুন আধুনিক তথা সভ্য সমাজের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য উপাদান। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আগুনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু এই আগুনই আবার জীবনহানীর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সামান্য অসাবধানতার কারণে আগুনের লেলিহান শিখায় ধ্বংস হয় জনজীবন, সম্পদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। এজন্যই প্রয়োজন সচেতনতা। আমরা যদি আমাদের প্রতিটি কর্মে সাবধানতা ও একাগ্রতার সাথে সম্পাদন করি তাহলে যেমন নিজে ক্ষতিগ্রস্থ হবোনা তেমনি দেশকে সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে পারবো।

    আলোচনা সভা শেষে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নির্বাপন, বহুতল ভবন থেকে ভিকটিমদের উদ্ধারসহ বিভিন্ন মহড়া পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় সাংবাদিক, ইপিজেড এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুলের শিক্ষার্থীসহ উত্তরা ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।