নিজস্ব প্রতিনিধি : ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি না করার জন্য ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্সে স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও তা মানছে না চট্টগ্রামের অধিকাংশ ফার্মেসি।
তাছাড়া অনুমোদনহীন ওষুধে ছেয়ে গেছে নগর। ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তির্ণ ওষুধ। এমন নানা অভিযোগে সঠিক ঔষধ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নের্তৃত্বে রবিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় নগরীর লালখান বাজারের চানমারী রোড এলাকায়।
অভিযানের শুরুতে মেসার্স পপুলার মেডিসিন সেন্টারে দেখা যায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত ঔষধের প্যাকেটের মধ্যে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রেখে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাণিজ্যিকভাবে নিষেধ থাকা সর্ত্তেও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন প্রতিষ্ঠানটি।
তাছাড়াও বিদেশী অননুমোদিত বিপুল ওষুধ পাওয়া যায় ফার্মেসিটিতে। এসব ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
একই এলাকায় একই অভিযানে মাঝুরী মেডিসিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি ও বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির অপরাধে এ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে লাইসেন্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাইকারীভাবে ওষুধ বিক্রি করে আসছিল। তাছাড়া গুদামের জন্য ঔষধ প্রশাসন এর কোনো অনুমতি না নিয়ে দুটি গুদামে ওষুধ রিজার্ভ করে রেখেছে।
মূলত খুচরার তুলনায় পাইকারিতে সরকারি বার্ষিক রাজস্ব ফি প্রায় ১০ গুন বেশি হওয়ায় রাজস্ব ফাঁকি দিতেই খুচরা বিক্রির লাইসেন্সে পাইকারী বিক্রি করছিলো প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়।
একই এলাকার আলম মেডিকেয়ারেও অভিযান চালায় মোবাইল কোর্ট। লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা কর হয় এবং লাইসেন্স করার জন্য ২০ দিন সময় নির্ধারন করে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান জানায়, নগরীর লালখান বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানীর ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত স্যাম্পল ও বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ বিনষ্ট করা হবে জানিয়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
অভিযানে ওষুধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব