Tag: ফিলিপাইন

  • ১৭ দিন পরও রির্পোট আসেনি:করোনা লক্ষণ নিয়ে ফিলিপাইন নাগরিকের মৃত্যু

    ১৭ দিন পরও রির্পোট আসেনি:করোনা লক্ষণ নিয়ে ফিলিপাইন নাগরিকের মৃত্যু

    করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুয়েল এসত্রেলে কাতান (৫০) নামে ফিলিপাইনের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

    শুক্রবার (১৯ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে রুয়েল মারা যান বলে জানান চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম।

    তবে ওই বিদেশী নাগরিক করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিলেও গত ১৭ দিনেও ফল জানতে পারেনি। করোনা প্রাদুর্ভাবের পর চট্টগ্রামে এ প্রথম কোনো বিদেশী নাগরিক করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

    চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম সাংবাদিককের বলেন, ফিলিপাইনের একজন নাগরিক গত ১৬ দিন ধরে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনা পরীক্ষার জন্য ওনার নমুনা নেওয়া হয়েছিল। নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে রেজাল্ট এখনও আসেনি।

    জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাত প্রায় ১০টার দিকে মারা যাওয়া রুয়েল এসত্রেলে কাতান চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানামায় নিয়োজিত সাইফ পাওয়া টেক’র শিপ প্ল্যানার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর হাউজিং এলাকায় থাকতেন। তাঁর পরিবার ফিলিপাইনে বসবাস করেন।

    বেসরকারি ওই অপারেটর প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ করোনার লক্ষণ থাকায় গত ৩ জুন করোনা পরীক্ষার জন্য কাতানের নমুনা দেওয়া হয়। পরদিন তাঁকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এদিকে ওই বিদেশী নাগরিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। একাধিক সূত্র জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হয়।

    শুক্রবার বেসরকারি হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ছাড়া কোন হাসপাতালে কেবিন খালি নেই। হলিক্রিসেন্টে কেবিনের ব্যবস্থা হলেও কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে না। এ সময় অক্সিজেন সরবরাহের জন্য তাঁর কর্মস্থলের কাছে সহায়তা চাইলে তাঁরা এগিয়ে না আসার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল। সেখানে নেওয়ার আগে গতকাল রাত ১০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ফিলিপাইন নাগরিক রুয়েল এসত্রেলে কাতান মারা গেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা : লেবাননে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু

    করোনা : লেবাননে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু

    প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত বারনারডিতা কাটাল্লা। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

    ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের একটি হাসপাতালে বারনারডিতার মৃত্যু হয়েছে।

    বারনারডিতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে, লেবাননে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বারনারডিতা কাটাল্লা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন।’

    আলজাজিরা জানিয়েছে, করোনাঝুঁকির সময় ফিলিপাইনেই অবস্থান করছিলেন বারনারডিতা। সম্প্রতি তার দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। এর পর তাকে ফিলিপাইনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।

    উল্লেখ্য, লেবাননের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হওয়ার আগে কাটাল্লা হংকংয়ে ফিলিপাইনের কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    প্রসঙ্গত ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন ভেঙে কেউ রাস্তায় বের হলেই গুলির নির্দেশ দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। বুধবার শেষ রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক টেলিভিশন ভাষণে এমন নির্দেশ দেন রদ্রিগো।

  • ফিলিপাইনে লকডাউন না মানলে গুলির নির্দেশ

    ফিলিপাইনে লকডাউন না মানলে গুলির নির্দেশ

    ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দুতার্তে লকডাউন না মানলে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।

    গতকাল বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ নির্দেশ দেন তিনি।

    ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ এখন মানুন। কারণ পরিস্থিতি এখন জটিল।
    ঘরের বাইরে বের হয়ে কারো বিপদ ডেকে না আনার অনুরোধ করেছেন ফিলিপিন্স প্রেসিডেন্ট।

    তিনি বলেন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের কোনো ক্ষতি করবেন না। কারণ এটা গুরুতর অপরাধ। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, কেউ যদি ঝামেলা করে এবং অন্যের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়; তাহলে তাদের গুলি করে হত্যা করুন।

    এদিকে দুই সপ্তাহ আগে থেকে দেশটিতে শুরু হয়েছে লকডাউক। কিন্তু খাবার ও ত্রাণ না পাওয়ায় ম্যানিলার কুয়েজন সিটির একটি মহাসড়কে বস্তিবাসীদের তীব্র প্রতিবাদের পর দুতার্তে এ হুঁশিয়ারি দিলেন। গ্রামের নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিলেও শোনেনি অনেকে। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    এখন পর্যন্ত ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩১১ জন। মারা গেছেন অন্তত ৯৬ জন।