Tag: ফিলিস্তিন

  • গাজাবাসীর অসহায়ত্ব দেখে গলাটা বুজে আসে: জয়া

    গাজাবাসীর অসহায়ত্ব দেখে গলাটা বুজে আসে: জয়া

    দুই বাংলার শীর্ষ অভিনেত্রী জয়া আহসান কদিন আগেই ঘরে তুলেছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ৫ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গে পর পর দুটি সিনেমা অর্ধাঙ্গিনী ও দশম অবতার পেয়েছে ব্যবসায়িক সফলতা। এদিকে চলচ্চিত্র নিয়ে আগামীকাল সোমবার থেকে টানা আট দিন কাটাবেন গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। এত আনন্দের মাঝেও ভীষণ বিষণ্নতায় ডুবেছেন জয়া। নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য জানিয়েছেন সমবেদনা।

    আজ রোববার সকালে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য জয়া লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ। এ পর্যন্ত ১১ হাজার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে শিশু মারা গেছে ৪ হাজারের বেশি।’

    এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের পাশে না দাঁড়াতে পারার কষ্ট জয়াকে কষ্ট দিচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে।’

    বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বানের পাশাপাশি, প্রশ্নও রেখেছেন জয়া। তিনি লিখেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’

    গত দেড় মাসে ইসরায়েলি হামলায় ১২ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ বা অ্যাম্বুলেন্স কোনও কিছুই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটিকে (আল শিফা) ‘ডেথ জোন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

  • ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর

    ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর

    ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে পাঁচ সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ম বিশেষ ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে সম্প্রচারিত ভাষণে (পূর্বে রেকর্ডকৃত) এ পরামর্শ দেন তিনি।

    গত ৯ নভেম্বর থেকে রিয়াদে এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নৃশংস ও নজিরবিহীন আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের আমন্ত্রণে এই শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েল পরিচালিত জঘন্য একতরফা যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে ‘যুদ্ধবিরতি’ দরকার। এই যুদ্ধ অন্যায্য এবং এটি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্মম লঙ্ঘন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা জ্বলছে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতাল ও বেসামরিক অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ করছে এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত বিধ্বস্ত গাজার আটকেপড়া বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের অবিচ্ছিন্ন, দ্রুত এবং নিরাপদ সরবরাহের জন্য অবিলম্বে একটি মানবিক করিডোর খোলার প্রয়োজন রয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘বিরামহীন ইসরায়েলি বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার এ সময়ে মনে হচ্ছে- আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্য দেখে অচল হয়ে পড়েছি। অন্তত একটি নিরাপদ মানবিক করিডোরের জন্য দ্রুত কাজ করা দরকার।’

    শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়ত নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং বর্বর উপায়ে এলাকাগুলো উচ্ছেদ করায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। এই ধরনের জঘন্য কাজের শাস্তি হওয়া উচিত। যেন গাজায় যাদের বাড়িঘর রয়েছে তারা আবারও তাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে।

    তিনি বলেন, চতুর্থত জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোডম্যাপে সম্মত হওয়া সিদ্ধান্তগুলো পুনরায় দেখে নেওয়া এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। যা এই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে স্থায়ী শান্তি আনবে।

    পঞ্চম পরামর্শে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা (ফিলিস্তিনিরা) আমাদের ভাই ও বোন, যারা গত ৫৫ বছর ধরে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং নিজস্ব মাতৃভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এখন সময় এসেছে সবাই একসাথে তাদের পাশে দাঁড়াই।

    এ সম্মেলন আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বৈঠকটি ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ বন্ধের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।’

  • ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

    ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

    ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধ আমরা চাই না।

    সোমবার (৩০ অক্টোবর) সংসদে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবি যেন মেনে নেওয়া হয়। তাদের রাষ্ট্র যেন তারা ফেরত পায়। সেটা আমরা চাই। প্রধানমন্ত্রী এসময় ফিলিস্তিনে সেবাখাত খুলে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।

    ফিলিস্তিনে নারী ও শিশু সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সেখানে কী অবস্থা? আমরা মানবাধিকারের কথা শুনি। অনেক কিছু শুনি। আমাদের প্যালেস্টাইনের জনগণ যে অমানবিক জীবনযাপন করছে। সেখানে হাসপাতালকে নিরাপদ মনে করে মা তাদের সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী এয়ার অ্যাটাক করে। বোমা হামলা করে নারী-শিশুকে হত্যা করে। একটা জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। এর নিন্দার ভাষা নেই। হাসপাতালের মতো জায়গায় তা কী করে হামলা করতে পারল? মানুষ হত্যা করতে পারল?

    অতীতের হামলার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগেও কিন্তু এভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। নারী-শিশু, অন্তঃসত্ত্বা হত্যা করেছে। শিশুরা বড় হলে নাকি যোদ্ধা হয়ে যায় তাই তাদের হত্যা করছে। আমি যখন যে ফোরামে গিয়েছি এসব হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছি। এই ধরনের ঘটনা আমরা কখনো মেনে নিতে পারি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রতিবাদ করা একজন মানুষ হিসেবে, মা হিসেবে প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব। এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধ আমরা চাই না।

    বাংলাদেশ ফিলিস্তিনদের পক্ষে রয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যে ঔষধ, খাদ্য ও নারী-শিশুদের জন্য পণ্যসামগ্রী পাঠিয়েছি। কিন্তু সেটা সেটা ওখানে পৌঁছানোর সুযোগ নেই। আমরা মিশরে পাঠিয়েছি। তারা গ্রহণ করেছে। সেখান থেকে পৌঁছে দেবে। সব থেকে দুর্ভাগ্য যে সেখানে খাবার ঔষধ, কোনো কিছুই দিতে দিচ্ছে না। চারিদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বন্ধ করে রেখেছে। এটা কোন ধরনের কথা! যেকোনো যুদ্ধে নারী শিশু ও হাসপাতালের ওপর এভাবে হামলা হয় না। খাবার বন্ধ হয় না। কিন্তু আজকে সেখানে খাবার-পানি সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে অমানবিক যন্ত্রণা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে মানুষ হাহাকার করছে।

    এই ঘটনার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকতে। জাতিসংঘ থেকে যখন যে চেষ্টা হয় এবং কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাকাণ্ড হলে তার নিন্দা জানাই। এটাই আমাদের নীতি। আরবলীগের সঙ্গে আমরা স্পন্সর হয়ে জাতিসংঘে, যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছি। সেখানে ১২০ দেশ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। আমরা চাই অনন্ত সেবাখাত খোলা হোক। যাতে করে ওখানকার মানুষগুলো বাঁচতে পারে। সেই সেবাখাতটা বন্ধ করে কষ্ট দিচ্ছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যা ঘটাচ্ছে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।

    বাংলাদেশ ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কীভাবে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। ব্রাসেলস সফরে গিয়ে আমার ভাষণে এই বিষয়টি তুলেছি। সেখানে ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানে আমি বলেছি, আপনারা আর যাই করেন যুদ্ধ বন্ধ করেন। যুদ্ধ মানুষের মঙ্গল আনে না। অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করেন। অস্ত্র প্রতিযোগিতা মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে। নারী-শিশুদের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। অস্ত্র প্রতিযোগীদের টাকা শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসায় ব্যয় করেন। তাহলে বিশ্বের মানুষের কষ্ট থাকবে না।

    ফিলিস্তিনের আগে অনেক জায়গা ছিল কিন্তু তা দখল করতে করতে ক্ষুদ্র একটি জায়গা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বড় দেশ ছিল, ধীরে ধীরে তা দখল করতে করতে এখন ক্ষুদ্র একটি অংশ তাদের। তারপরও একটি প্রস্তাব ছিল টু স্টেট ফর্মুলা। এটাও তারা মানছে না।

    এর আগে, ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ঘটনায় জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব তোলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রস্তাবটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।

    গৃহীত প্রস্তাবটিতে বলা হয়, ‌‌‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল কর্তৃক পরিচালিত নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মানবাধিকারের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এই সংসদ ফিলিস্তিনে মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বের সব বিবেকবান জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকরভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।’

  • গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৫০০

    গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৫০০

    ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে কমপক্ষে ৫০০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

    এ হাসপাতালটিতে হাজার হাজার লোক চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারী বোমা হামলা থেকে বাঁচতে।

    প্রাথমিকভাবে যেটা জানা যাচ্ছে তা হচ্ছে গাজা ভূখন্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ব্যাপটিস্ট হসপিটালে এই ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রায় সব জায়গায় মানুষের তাজা রক্ত পড়ে আছে।

    গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের উপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

    বিবিসির সংবাদদাতা টম বেটম্যান আল আহলি আরব হাসপাতালে পৌঁছিয়েছেন। তিনি জানান, চার দিকে রক্তাক্ত, নিস্তব্ধ মানুষগুলো পড়ে আছেন। বিদ্যুৎ নেই, তাই অন্ধকারের মধ্যেই তাদের স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

    হাসপাতালের বাইরে লাশ পড়ে আছে, বিধ্বস্ত গাড়ি দেখতে পাচ্ছেন বিবিসি সংবাদদাতা।

    কিছু ভিডিও বিবিসির কাছে এসেছে, যেগুলো যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটা বিরাট বিস্ফোরণ হচ্ছে।

    স্থানীয়রা বলেছেন, হাসপাতালের একটা বড় হলে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক শ’ মানুষ।

    অসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েক শ’ মানুষ ধ্বংস্তূপে আটকিয়ে পড়েছেন।

    এ ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ-এর (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

    ইরান, তুরস্ক, কাতার, মিশর এবং জর্ডান আল-আহলি আল-আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা করেছে।

    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার নৃশংস কাজ বলে নিন্দা করেছেন।

    এর আগে জানা যায় যে গাজার একটি বিদ্যালয়ের ওপরেও ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়। জাতিসংঘ বলেছে, ওই হামলায় অন্তত ছয়জন মারা গেছেন যারা ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওই বিমান হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ।

    এ বিষয়ে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’ থেকে তামারা আল-রিফাই বলেছেন, ওই এলাকায় সরাসরি বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। অথচ এটা ছিল একটি শরণার্থী কেন্দ্র। এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অত্যন্ত দুঃখজনক লঙ্ঘন।’

    অপরদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এই অঞ্চলে ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে।

    এদিকে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা বলেছে, গাজায় মৃতদেহ রাখার জন্য পর্যাপ্ত বডি-ব্যাগ নেই।

    এর আগে সোমবার ইসরায়েলি ও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল যে সকাল ৯টা থেকে যুদ্ধবিরতি হবে। সেই সময় গাজা থেকে বিদেশিরা মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে বের হতে পারবেন এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছতে পারবে। তবে খবর প্রকাশের পর এমন তথ্য অস্বীকার করে ইসরায়েল।

    চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রস।

    ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর।

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের কারণে হাসপাতালগুলোতে ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি। আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো জ্বালানি মজুত আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্ব সংস্থাটির মানবিক দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘জেনারটরের ব্যাপকআপ না থাকায় হাজার হাজার রোগীর জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।’

    ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ গাজায় সুপেয় পানি ও ত্রাণ সরবরাহ পাঠানোর সুযোগ করে দিতে এর আগে অনুরোধ জানিয়েছিল একাধিক ত্রাণ সংস্থা।

  • গাজা দখল ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে, ইসরায়েলকে বাইডেনের সতর্কতা

    গাজা দখল ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে, ইসরায়েলকে বাইডেনের সতর্কতা

    ইসরায়েল গাজা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি ‘মস্ত বড় ভুল’ হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মানবিক করিডোর চালুকে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে ইসরায়েল। এর মাধ্যমে উপত্যকার একটি অংশ বড় আবারও দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

    তবে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ইসরায়েল যুদ্ধের নিয়ম মেনে চলবে।

    এসময় গাজায় খাদ্য-পানিসহ ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো এবং বিপদগ্রস্ত বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দিতে একটি মানবিক করিডোর চালুকে সমর্থন করেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

    সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না, হামাস ‘সব ফিলিস্তিনি জনগণের’ প্রতিনিধিত্ব করে এবং তিনি এই গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল দেখতে চান।

    গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন। আহত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।

    আর গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭০ জনে। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই শিশু। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

    গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

  • ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত

    ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত

    মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিনের নাবলুসে নতুন করে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আজ বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

    মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে ১০২ জন আহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আজ বুধবার নাবলুসে ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কথিত অভিযান চালাতে আসে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তখনই তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছোড়া হয়। খবর আলজাজিরার।

    নাবলুসে লায়ন্স ডেন নামের একটি সশস্ত্র দলের যোদ্ধা হোসাম ইসলিম এবং মোহাম্মদ আব্দুল ঘানিকে গ্রেপ্তার করতে আসে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দুজনই গুলিতে নিহত হয়েছেন।

    ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত
    এ হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চেকপয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

    এদিকে ২০২৩ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দখলকৃত স্থানগুলোতে ইসরায়েলিদের হাতে ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ জনই শিশু।

    গত বছর থেকে হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। ২০২২ সালে ইসরায়েলি দখলদারদের হাতে শুধু পূর্ব জেরুজালেমেই প্রাণ হারান ১৭১ জন ফিলিস্তিনি। ২০০৬ সালের পর যা ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর ছিল।

  • জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

    জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ

    মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল পাঁচ দশক ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল।

    এই অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে ইসরায়েল ‘কী ধরনের বিচারের মুখে পড়বে’ সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইজিসে) মতামত জানতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় জাতিসংঘে। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ।

    প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশসহ ভোট দিয়েছে মোট ৮৭টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ২৬টি দেশ। আর ভোটদানে বিরত ছিল ৫৩টি দেশ। ৮৭টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ায় এটি পাস হয়েছে।

    জাতিসংঘে এ প্রস্তাব পাস হওয়াকে নিজেদের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিন। তারা বলেছে, এর মাধ্যমে ইসরায়েলের অপরাধ উন্মোচিত হবে।

    তবে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত যে মতামত দেবে— গুরুত্বের বিচারে তা যথেষ্ট হলেও, সেই মতামত বা পরামর্শ বাস্তবায়নের ক্ষমতা আইসিজের নেই।

    বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিস্তিনের পক্ষে যেসব দেশ ভোট দিয়েছে

    আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাহামাস, বাহরাইন, বার্বাডোস, বেলজিয়াম, বেলিজ, বলিভিয়া, বসতওয়ানা, ব্রুনাই দারুসালাম, কম্বোডিয়া, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, জিবোতি, মিসর, এল সালভাদর, গ্যাবন, গ্রেনাডা, গিনি, গিনি-বিসাউ, গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকা, জর্ডান, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লাউস, লেবানন, লেসোতো, লিবিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মাল্টা, মরিশানিয়া, মরিশাস, মেক্সিকো, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নিকারুগুয়া, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, প্যারাগুয়ে, পেরু, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, রাশিয়া, সেন্ট কিটস-নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, সৌদি আরব, সেনেগাল, সিয়েরা লিয়ন, সিঙ্গাপুর, স্লোভেনিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো, তিউনিসিয়া, তুর্কি, তুর্কমেনিস্তান, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে।

    যেসব দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে

    যুক্তরাষ্ট্র, আলবেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, কোস্টারিকা, চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, গুয়েতেমালা, ইসরায়েল, ইতালি, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোওশেনিয়া, নাউরু, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, রোমানিয়া, যুক্তরাজ্য।

    যেসব দেশ ভোটদানে বিরত ছিল

    অ্যানডোরা, বেলারুশ, বসনিয়া, বুলগেরিয়া, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, আইভরি কোস্ট, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ডমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, ইরিত্রি, ইথিওপিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ঘানা, গ্রিস, হাইতি, হন্ডুরাস, আইসল্যান্ড, ভারত, জাপান, কিরিবাতি, লাটভিয়া, লিশচেনস্তেন, মালাই, মোনাকো, মন্তেনেগ্রো, মিয়ানমার, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পানামা, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, মলদোভা, রুয়ান্ডা, সামোয়া, সান মারিনো, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ সুদান, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডস, থাইল্যান্ড, তানজানিয়া, উরুগুয়ে এবং ভানুয়াতু।

  • করোনা: মা যতক্ষণ বাঁচলেন, হাসপাতালের জানালায় ততক্ষণ বসেছিল ছেলে!

    করোনা: মা যতক্ষণ বাঁচলেন, হাসপাতালের জানালায় ততক্ষণ বসেছিল ছেলে!

    মহামারী করোনাভাইরাসের ছোবলে দিশেহারা বিশ্ব। একের পর এক স্বজন হারাচ্ছে মানুষ। ভাইরাসটির সংক্রমণে থাকা রোগী বা মৃত কারো সঙ্গেই দেখা করতে পারছেন না স্বজনেরা। শেষ বিদায় হচ্ছে স্বজন ছাড়া।

    এর মধ্যে ঘটেছে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা।

    আইসিইউ-তে করোনা আক্রান্ত মা যতক্ষণ বাঁচলেন, ততক্ষণ হাসপাতালের জানালার পাশে বসেছিল ছেলে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিনে হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটেছে। যার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

    মায়ের সঙ্গে দেখা করার কোনো উপায় ছিল না। তাই দূর থেকেই মাকে বিদায় জানালো ছেলে।

    ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের কয়েকতলা উপরের কাচের জানালার পাশে বসে ভেতরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে এক ব্যক্তি। ৩০ বছরের যুবক কেন এমনভাবে হাসপাতালের জানালার পাশে বসে আছেন? সেই খবর নিতেই বেরিয়ে এলো হৃদয়বিদারক তথ্য।

    জানা গেছে, ওই যুবকের নাম জিহাদ আল সুয়াইতি।

    তার মা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। সরকারি হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি মাকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি স্বাভাবিকভাবে পায়নি ছেলে। তাই জানালার পাশে বসে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি।

    শেষ সময়েও মায়ের কাছ থেকে সরে যেতে চায়নি এ যুবক। জানালা দিয়েই মায়ের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া দেখেছে ছেলে। যতদিন মা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ততদিন রাতে ওই জানালার ধারে বসে থাকতেন এ যুবক। মহম্মদ সাফা নামে একজন ছবিটি শেয়ার করে এ ব্যাপারে লিখেছেন।

    আগে থেকেই লিউকোমিয়ার রোগী মায়ের শরীরে করোনা সংক্রমণ করে। পরে তাকে পাঁচদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল।

    যুবক জানান, তার অসহায় লাগতো। তাই হাসপাতালের জানালার পাশে বসে থাকতেন এবং মাকে দেখতেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ফিলিস্তিনের হেবরন শহরে বঙ্গবন্ধু সড়ক

    ফিলিস্তিনের হেবরন শহরে বঙ্গবন্ধু সড়ক

    ফিলিস্তিন তাদের হেবরন শহরের একটি সড়ক বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালকি আজ ১৮তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাকু কংগ্রেস সেন্টারে দ্বিপক্ষীয় বুথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন।

    তিনি এই সড়কের নামফলক উন্মোচনের জন্য প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানান।

    সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    পররাষ্ট্র সচিব বলেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের অনুরোধ জানান।

    তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিন্তিন ইস্যু উত্থাপনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।