করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আক্রামুজ্জামান।
রবিবার (২৮ জুন) সকাল ৬টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুন থেকে তিনি জ্বর-কাশিসহ অসুস্থতা বোধ করলে বাসায় চিকিৎসা নেন। ১৯ জুন শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সন্ধ্যায় সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে ছিলেন। গত দুই দিন থেকে তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন।
ফেনীতে তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এলেও ঢাকায় তার করোনা পজেটিভ আসে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এডভোকেট আক্রামুজ্জামান ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালের সভাপতি ও ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
এছাড়াও তিনি ফেনী জেলা রোটারি ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
তার মৃত্যুতে ফেনীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আকরামুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলার খবর : করোনা তুমি বুঝিয়ে দিলে নিষ্ঠুরতা কাকে বলে, করোনা তুমি দেখিয়ে দিলে কে আপন কে পর। এমনি এক নিষ্ঠুরতার শিকার চট্টগ্রামের একটি পেট্রলপাম্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত সাহাবউদ্দিন (৫৫)। স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন মেয়ে ও তিন জামাতা তার।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের হোসেন ডিলার বাড়ি তার পৈতৃক বসতঘর। সপ্তাহখানেক আগে গত ২৭ মে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে তার সেই ঘরেই ফেরেন।
তবে একটু স্বস্থির জন্য,শান্তির জন্যই ঘরে ফেরাটা লক্ষ্য হলেও জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়ি ফেরাটাই কাল হল সাহাবউদ্দিনের।
স্ত্রী সন্তানদের চরম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে ক্ষুধা ও তৃষ্ণা নিয়ে ছটফট করতে করতে রবিবার রাতের কোনো এক সময়ে বন্দি ঘরেই প্রাণ হারিয়েছে সাহাবউদ্দিন। এমনকি মৃত্যুর পরও এগিয়ে এল না কোন স্বজন।
দুই ছেলে কাজের সূত্রে গ্রামের বাইরে থাকলেও মৃত্যুর সময় অন্যরা সবাই বাড়িতেই ছিলেন। তবে সাহাবউদ্দিনের মৃত্যুর পর তাদের কাউকেই আর বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আহ! কী নিষ্ঠুর পরিবার! নিষ্ঠুর স্ত্রী-সন্তান!
সারাজীবন যাদের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন, সেই মানুষগুলোকে জীবন সায়াহ্নে পাশে তো পেলেনই না, এক চামচ পানিও না! অথচ তার করোনাভাইরাস কি-না সেটি তখনও নিশ্চিত না। স্ত্রী-সন্তানেরা এমন নিষ্ঠুরতা না করলেও পারতেন।
এমন না যে পরিবারের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলেই একে একে সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। এমন না যে ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর শরীরে স্পর্শ লাগামাত্রই আপনি আক্রান্ত হয়ে যাবেন! সাহাবউদ্দিনকে ঘরে আটকে রেখেছেন ভালো কথা, বাইরে থেকে তাকে খাবার তো দেওয়া যেত।
স্বামী-স্ত্রীর সহমরণের কত নজির রয়েছে। বাবার জন্য সন্তান, সন্তানের জন্যে বাবা নিজেকে বলিদানের কত নজির। কিন্তু এ কোন বাংলাদেশ দেখছি, যেখানে এতটা নিষ্ঠুর পরিবার স্ত্রী-সন্তানেরও দেখা মিলছে?
জানা যায়, গত ৩১ মে রোববার বিকালে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য সাহাবউদ্দিন নিজেই নমুনা দিয়ে আসেন। সেদিন রাতের কোন এক সময়ে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের নিজ বসতঘরের দ্বিতল ভবনের একটি কক্ষে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর মরদেহ রেখে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে বলেন, অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসা ছিল সাহাব উদ্দিনের ‘ক্ষমার অযোগ্য’ অপরাধ! এর শাস্তিস্বরূপ স্ত্রী-সন্তানেরা তাকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে সিটকিনি লাগিয়ে দেয়।
ভেতরে আটকে পড়া সাহাব উদ্দিনের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দরজা খোলার অনেক আকুতি জানান। প্রচণ্ড ক্ষুধায় খাবার চান। তৃষ্ণা মেটাতে পানি চান। কিন্তু তার ভুলটা এত বেশি যে, কোনো আবেদনই মঞ্জুর হয়নি। রবিবার রাতের কোনো এক সময়ে ছটফট করতে করতে প্রাণ হারান সাহাব উদ্দিন।
সরেজমিনে দেখা পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে ইউপি সদস্য ফেরদৌস রাসেল বলেন, ‘বাড়ির একটি কক্ষে সাহাব উদ্দিনকে রেখে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো ছিল। ছিটকিনি খুলে আমরা ভেতরে বিভৎস দৃশ্য দেখতে পাই।
সম্ভবত সাহাব উদ্দিনের শ্বাসকষ্ট উঠেছিল এবং তিনি তা সহ্য করতে না পেরে মাটিতে গড়াগড়ি করেছিলেন। তার পরনের কাপড় খোলা অবস্থায় পাশে পড়েছিল।’ পরে তারা দাফনের ব্যবস্থা করেন। পরিবারের কেউ আসেনি।
খবর পেয়ে মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু ইসলামি আন্দোলনের করোনা রোগে দাফন টিমের লোকদের খবর দেন। দাফন টিমের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) ও থানা থেকে মরদেহ রাখার জন্য একটি ব্যাগ সংগ্রহ করেন। রাত ১টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে সুনসান নীরবতা দেখা যায়।
গ্রামের মসজিদে রাখা লাশ বহনের খাট ব্যবহার না করার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয়রা। কবর খোঁড়ার কোদালও দিচ্ছেন না কেউ। মরদেহ গোসল করানোর জন্য সমাজের পর্দাও না দেয়ার ঘোষণা দেন সমাজপতিরা। অবশেষে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ ব্যবস্থায় রাত ২টার দিকে দাফন টিমের লোকজন মৃত ব্যক্তির জানাজা ও দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু জানান, নিজের টাকায় কাফনের কাপড় কিনে, সমাজপতি, গ্রামের লোকদের অনেকটা বুঝিয়ে খাট ও পর্দার কাপড় সংগ্রহ করা হয়। রাত ২টার দিকে গ্রাম পুলিশ ও ইসলামি আন্দোলনের লোকদের সঙ্গে নিয়ে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মৃত ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত সাহাবউদ্দিনকে শেষ বিদায় জানাতে পরিবারের সদস্য, স্বজন ও বাড়ির লোকজন কেউ এগিয়ে আসেননি। সবাই পালিয়ে গেছেন। অথচ মৃত লোকটি পেট্রলপাম্পে কর্মরত থেকে চার ভাইকে প্রবাসে পাঠিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনটি মেয়ে বিয়ে দিয়ে জামাইদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজেও বহু অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। টাকাপয়সা রোজগার করে সারা জীবনের উপার্জন দিয়ে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। অথচ মহান আল্লাহ তার এমন একটি মৃত্যু দিয়েছেন শেষ বিদায়ে কোনো স্বজন তার পাশে নেই। এর চেয়ে হৃদয়বিদারক আর কি হতে পারে?
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি কোনো শত্রুকেও যেন তিনি এমন মৃত্যু না দেন। এই মৃত্যু থেকে পৃথিবীর সব মানুষের শিক্ষা নেয়া উচিত। আসলে কার জন্য এই উপার্জন আর অর্থবিত্ত রেখে যাওয়া? করোনার এই মহামারীতে মানবতাও যেন আজ থমকে গেছে!
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎফল দাস জানান, করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তির কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ::: বিগত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের সরাইপাড়ায় আরও ১ জন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৭ এবং ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) গত ২৪ ঘণ্টায় ১১১টি নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১ জন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া ৩৪ গেছে জন।
চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি পাহাড়তলী থানাধীন সরাইপাড়ার স্থানীয় কাউন্সিলর মোর্শেদ আকতার চৌধুরীর বাড়ির নাইটগার্ড(৬৮) বলে জানা গেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার ১৭ জনের মধ্যে রামগঞ্জে ১৩ জন, কমলনগর ৩ জন ও সদর উপজেলা ১ জন। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরে মোট ১৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা নিউজ ডেস্ক || সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেনীর টুটুল ভুইয়া নামের একটি আইডি থেকে লাইভে এসে দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে স্বামী।
আজ ১৫ এপ্রিল বুধবার সোয়া ১টার দিকে ফেসবুকে নৃশংস ভিডিও ছড়িয়ে পড়লেও খুনের লাইভ ভিডিওটি ঘণ্টাখানেক পর আর টুটুলের প্রোফাইলে পাওয়া যায়নি।
তবে এমন ঘটনার অভিযোগ পেয়ে লাইভ ভিডিওকারী স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত ওই স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও মামলা হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত টুটুল ভুইয়ার বাড়ি ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়াঈপুর এলাকায়। টুটুল ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন এবং সন্তানদের নিয়ে তার স্ত্রী বাড়িতেই থাকতেন বলে জানা গেছে।
হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে টুটুল ভুইয়া বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন, আজকে আমার কারণে আমার পরিবার ধ্বংস। যার কারণে ধ্বংস আজকে তারে আমি এ মুহূর্তে ধ্বংস করে দিলাম। আমি চেষ্টা করছি, অনেক চেষ্টা করছি, পারি নাই।
আল্লাহর ওয়াস্তে সবাই আমাকে মাফ করে দেবেন। আমার এতিম মেয়েটার খেয়াল রাখবেন। আমার ভাইবোনগুলোর খেয়াল রাখিয়েন।
আমার পরিবার ভাইবোনগুলার কোনো দোষ নাই। কেউ এটাতে সম্পৃক্ত না। আমি আমার আজকের এ ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী।
প্লিজ সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার ভিডিওটা ভাইরাল করেন। যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। আর এ ঘটনার জন্য আমিই একমাত্র দায়ী। কেউ না।’
এরপর দা হাতে নিয়ে ছুটে যান টুটুল। এক কোপ, দুই কোপ, তিন কোপ এভাবে ৯টি কোপ দেন স্ত্রীকে। এরপর তার স্ত্রী লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, টুটুলের প্রোফাইলে লাইভ ভিডিও তারা পায়নি। তবে তার পোস্টগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। নিহতের স্বজনরা মামলা করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলায় একই পরিবারের ৫ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ সোমবার রাতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
জানা গেছে, সিলেট জেলার বড়লেখা উপজেলার গ্রামতলী গ্রামের মৃত দেবেন্দ্র চন্দ্র কর ও নটারানী করের ছেলে অনিল চন্দ্র কর বিগত ১৫ বছর পূর্বে দাগনভূঁঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের কামু ভূঞারপোলে মেসার্স এস কে রাইস মিলে সপরিবারে কাজ নেয়। দীর্ঘদিন রাইস মিলে চাকরি করার পর হঠাৎ মিলটি বন্দ হয়ে যায়।
পরবর্তীকালে অটোরিকশা চালিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে রাইস মিল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকেন অনিল চন্দ্র কর। এক সময় এলাকার মুসল্লিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর অনিল চন্দ্র করকে (৫০) ওসমান গনি, স্ত্রী মনি করকে (৩৬) বিবি আমেনা, নিখিল চন্দ্র করকে (২০) আবুল কালাম, উজ্জ্বল চন্দ্র করকে (১৮) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মেয়ে সোমা করকে (১০) বিবি ফাতেমা নাম দেয়া হয়।
ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন ফারুক জানান, কোর্ট অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্র’হণ করে ওই ৫ জন। নওমুসলিমদের সহযোগিতা করার জন্য বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
নওমুসলিম মোহাম্মদ ওসমান গনি জানান, আমরা স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। কেউ আমাদের ধর্মান্তরিত হতে প্ররোচনা দেয়নি। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি।
২৪ ঘন্টা ডেস্ক : ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ফুটেজ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় আইসিটি মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায় এটি।
বিচারক ওসি মোয়াজ্জেমকে মামলার ২৬ নম্বর ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া ২৯ নম্বর ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ডের এই টাকা ভুক্তভোগী নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২০ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওসি মোয়াজ্জেমকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। মামলাটিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
নুসরাত হত্যা মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায়ে ওসির বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করায় খুশি নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আখতার।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেনী সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের আট বছরের কারাদণ্ডাদেশ হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আজ রায় ঘোষণায় আমি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিচার বিভাগ, মিডিয়া এবং ব্যারিস্টার সুমনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়।
তদন্ত শেষে গত ২৭ মে পিবিআইর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই দিন ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় চলতি বছর ১৬ জুন ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার হন এবং ১৭ জুন ট্রাইব্যুনাল তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীকে দলের উপদেষ্টা মনোনীত করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জয়নাল হাজারীর কাছে পাঠানো হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় জয়নাল হাজারীকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করার কথা বলা হয়। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়নি।
তবে সোমবার ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘সালাম নেবেন। আনন্দের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে দেওয়া ক্ষমতাবলে আপনাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আশা করি আপনার শ্রম, মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে সংগঠনের নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত করতে সহায়তা করবে। আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি দূরভিসন্ধি করছে।
শনিবার ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, দেশের সকল দুর্নীতিবাজ সরকারের নজরদারিতে রয়েছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই রাষ্ট্রনায়ক, যিনি শুদ্ধি অভিযান করতে গিয়ে নিজের দলের লোকজনকে দিয়েই অভিযান শুরু করেছেন। দুর্নীতি-মাদক-টেন্ডারবাজিসহ যেকোন সেক্টরে যারা অপরাধ করছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
দুর্নীতি মামলায় এক সংসদ সদস্যের সাজা ও একাধিক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে চলমান মামলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না।নুসরাত হত্যার রায়ের মামলায় আসামিদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তাকেও অপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগে অপরাধীর কোন ছাড় নেই।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি দূরভিসন্ধি করছে।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলের নেতা ও স্বজনরা যে চিত্র তুলে ধরেন, চিকিৎসকদের অবজারভেশনের সাথে তার মিল নেই। তারা খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অসুস্থতা নিয়ে আন্দোলনের ইস্যু করতে চায়।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ফেনী ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী প্রমুখ।
বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মা ও বড় ভাইকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার তাদের এ হুমকি দেয়া হয় বলে নুসরাতের পরিবার জানিয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে নুসরাতদের বাড়ির ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার সকালে আমার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হুমকি দিয়েছে।
এছাড়া জুমার নামাজের আগে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে আমাকেও গালাগাল ও হুমকি দেয়া হয়। এরপর থেকে আমরা শঙ্কায় রয়েছি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাহমুদুল হাসান আরও জানান, বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়ির টেলিভিশনের ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ছয় ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে ডিশ লাইনের মালিক নতুন তার দিয়ে লাইন সচল করেন।
হুমকির বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর ডিশের লাইন বিচ্ছিন্ন করার কথা শুনে ডিশের মালিককে ফোন করে দ্রুত লাইনটি সচল করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, নুসরাতের বাড়িতে দুজন কর্মকর্তাসহ ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। একইভাবে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয়ও পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ বৃহস্পতিবার নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় আগামী ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফেজ আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে এবং রায় আগামী ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মামুনুর রশিদ।
আদালত সূত্র জানায়, ২৯ মে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-পিবিআই। চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
৩০ মে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১০ জুন আদালত মামলাটি আমলে নিলে শুনানি শুরু হয়। ২০ জুন অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। এরপর ২৭ ও ৩০ জুন মামলার বাদী ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর মোট ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
উল্লেখ্য, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। এই ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।