Tag: ফেসবুকে

  • ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে বন্ধুকে অপহরণ/মুক্তিপণের চেষ্টা, গ্রেফতার ৩

    ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে বন্ধুকে অপহরণ/মুক্তিপণের চেষ্টা, গ্রেফতার ৩

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম : রুবেল ও সাহেদ দুজনই ফেসবুক বন্ধু। মো. রুবেল সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকার একটি স্টিল কোম্পানীতে বাবুর্চির কাজ করে অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. সাহেদ।

    বন্ধুত্ব বেশ চলছিলো। দুজনের মধ্যে আলাপ চারিতায় সাহেদ রুবেলকে জানাই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার তামাককুণ্ডি লেইনে। সে চট্টগ্রামেই থাকে। সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম আসলে রুবেল যেন তার সাথে দেখা করে।

    গতকাল ১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রুবেল শহরে আসে। তার কাজ শেষে বিকেলে মিউনিসিপ্যাল স্কুলের সামনে এসে সাহেদকে ফোন দেয় রুবেল। ফোন পেয়ে সাহেদ তার আরো ২ সহযোগীসহ রুবেলের সামনে আসে। তবে বন্ধু হিসেবে নয়, সাহেদ আসে ছিনতাইকারী ও অপহরণকারী রুপে।

    তিনজন মিলে রুবেলকে ছোরার ভয় দেখিয়ে নিয়ে যায় তামাকুমন্ডি লেইনস্থ আব্দুল লতিফ মার্কেট প্রকাশ লবণ মার্কেটের ৭ম তলায় ৭১৩ নং রুমে। তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল সেট ও নগদ ১৬শ’ টাকা। শুধু তাই নয়, রুবেলকে একটি রুমে বেঁধে রেখে তার বোনের স্বামীর মুঠোফোনে রুবেলের ফোন থেকেই ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা।

    ফেসবুকের বন্ধুত্বের আড়ালে ভয়ংকর এ ছিনতাইকারী ও অপহরণকারী গ্রুপটির মুখোশ উন্মোচন করেন নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তামাকুমন্ডি লেইন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃত তিন অপরাধী হলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা শুয়ার বাপের বাড়ীর আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সাহেদ (১৮), হাটহাজারী উপজেলার চিপাতলি সিকদার বাড়ির মো. মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (৩৫) ও চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া দিঘীর পাড়ের আব্দুল হামিদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৪)।

    আজ বুধবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়-চেষ্টার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    এসব মুখোশধারী অপরাধীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, রুবেলের সাহসিকতা ও ব্যবসায়িদের সহযোগীতায় আজ মুখোশধারী এ তিন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। রুবেল অপরাধীদের হাত থেকে পালিয়ে ওই মার্কেটের একটি শাড়ির দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং ঘটনার বিস্তারিত তাদের খুলে বলেন।

    ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে ওই তিন অপরাধীকে আটক করে ৯৯৯ তে ফোন করে পুলিশের কাছে আইনী সহায়তা চান। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিন অপরাধীকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল নিজে বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানায় ওসি মহসীন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস

    করোনায় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ || বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও থেমে নেই। দেশে এখন করোনা হটস্পট নারায়নগঞ্জ।

    দেশের মধ্যে এখন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। সর্বশেষ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ শতাধিক।

    সরকারি হিসাবমতে এখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। করোনার ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সিভিল সার্জন, চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক, ম্যাজিস্ট্রেট কেউই। মারা গেছেন ত্রাণ শাখার এক কর্মচারী।

    ইতিমধ্যে ১০ চিকিৎসকের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন জেলা প্রশাসনের তিন ম্যাজিস্ট্রেট, তাদেরই একজন নারায়ণগঞ্জের ই-সেবা কেন্দ্রের সহকারী কমিশনার তানিয়া তাবাসসুম তমা।

    বর্তমানে তিনি, তার স্বামী, মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরো দুইজন সহকারী কমিশনার।

    নিজের ১ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়েকে ঢাকায় মায়ের কাছে রেখে করোনা মোকাবেলায় কাজ করেছেন। তবুও প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে তাদের নানা সময়।

    গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে হোম আইসোলেশনে থাকা এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার ফেসবুক আইডি থেকে কোভিড-১৯ যুদ্ধ ও জনসেবায়না না অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তার টাইমলাইনে।

    স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ‘ কোভিড ১৯ যুদ্ধ ও জনসেবায় প্রশাসন। করোনার ভয়াল থাবা এসে পড়তে দেরী নেই, সবাই প্রস্তুত হও, সরকারের নির্দেশ। সরকারের কর্মচারী তাই পিছপা হবার সুযোগ নেই।

    দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধই প্রশাসনের চাকরির ধর্ম। অগত্যা ১ বছরের তাইফ আর ৩ বছরের নামিরাকে মায়ের কাছে ঢাকায় রেখে নারায়ণগঞ্জে থাকতে শুরু করলাম।

    নিয়মিত অফিস, মোবাইল কোর্ট, গণসচেতনতা কার্যক্রম, জরুরী ত্রাণ কাজ, কন্ট্রোল রুম ডিউটি, প্রতিদিনের রিপোর্টসহ প্রেস ব্রিফিং তৈরী, বেসরকারি ত্রান সংগ্রহ কার্যক্রম যখন যেটা সামনে পড়েছে করেছি।

    ভাবছেন এতো বলছি কেন, এসব তো প্রশাসনের কাজই। হ্যা, সেজন্যই ফটোসেশন, ফেসবুক পোস্ট বাহুল্য এড়িয়ে চলেছি। আমি খুব নিভৃতচারী তাই কাজকে প্রাধান্য দিয়িছি আগে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্রী ছিলাম বলে জীবাণু নিয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা রাখি বলে দাবী করি। জীবাণু ভীতিটাও তাই সরিয়ে রেখে কাজ করতে পেরেছি বোধ হয়।

    সারাদিনের চেষ্টা ক্লান্তি শেষে যখন দেখতাম লোকজন কথা শুনছে না, একই ব্যক্তি নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে আসছে, ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে ত্রাণ চাইছে আর প্রশাসনের সকল কাজ নিয়েই, যত দোষ নন্দঘোষ অপপ্রচার তখন শুধু নতুন উদ্যম হাতরে খুজে বেড়াতাম।

    কিন্তু খারাপ লাগা ঘিরে ধরত যখন ভিডিও কলে সন্তানের মুখ আর প্রিয় স্বরগুলো শুনতে পেতাম। নিজের চেয়ে বেশি ভাবতাম পরিবারকে নিয়ে। জানেন কতো রাতে ঘুমাতে পারিনি।

    শারীরিক মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বলও হয়ে পড়েছিলাম। তার মধ্যে সারা দেশে রি রি করে উঠলো প্রশাসন বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন নাকি পিপিই চোর।

    অথচ ডিসি স্যার নিজ উদ্যোগে আমাদের সেটা যোগাড় করে দিয়েছিলেন। পরে যতো বেসরকারি পিপিই পাওয়া গিয়েছিলো চিকিৎসকসহ অন্য সবাইকে দেওয়া হয়েছিলো জন স্বার্থে।

    যাইহোক নূন্যতম নিরাপত্তাটুকু নিয়েই কাজ চালিয়ে গিয়েছি, সকল প্রশাসন যোদ্ধারাও সারাদেশে তাই করছে। মুসলমান হিসেবে মৃত্যু ভয় মনে রাখিনি, প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণ বাঁচাতেই দৌড়ে বেড়িয়েছি।

    নিজ জেলা চাঁদপুর, কিন্তু কর্মস্থল দেশের সমৃদ্ধ একটি জেলা নারায়ণগঞ্জকে আজকে যখন লোকে বাংলাদেশের উহান বলছে তখন বুকটা মুচরে উঠে।

    আপনাদের সেবা করতে গিয়ে আজ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারি আক্রান্ত, ত্রাণ কাজের একজন পরিশ্রমী কর্মচারি মৃত্যুবরণ করেছেন।

    এখনও মনে পড়ছে শেষ যেদিন সন্ধ্যায় কাশিপুর, গোগনগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট করছিলাম মাইকে চিৎকার করে বলছিলাম প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী, এ জেলার অবস্থা আর কতো খারাপ হলে আপনারা সচেতন হবেন!

    আজ আমি, আমার পরিবার (স্বামী, মা), প্রশাসন পরিবার কোভিড ১৯ আক্রান্ত। আমাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়ার পর আত্মীয়, বন্ধু বিশেষ করে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন আমাকে যেভাবে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন মনে হচ্ছে এ যাত্রায় বেঁচে গেলে আল্লাহ যেন দ্রুত আবার সুস্থ্য করে দেন, দেশের সেবা করার তৌফিক দেন।

    তাদের সকলের নাম বলতে গেলে তালিখাটি দীর্ঘ হয়ে পোস্টটি আরো বড় হয়ে যাবে।

    অসংখ্য ধন্যবাদ সকলকে। ভালো থাকুক নারায়ণগঞ্জ, ভালো থাকুক প্রিয় দেশ। সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

    সাধারণ এ জীবনে বহু ঘাত প্রতিঘাত পার করেছি। সন্তান দুটো জন্ম দিতে গিয়ে দু দুবার মৃত্যুর মুখ থেকে আল্লাহ ফিরিয়ে দিয়েছেন ওদের ভাগ্যে। আবার যেন আমরা প্রিয় মুখগুলোর কাছে ফিরে যেতে পারি, আল্লাহ যেন সবাইকে তার রহমতের ছায়ায় রাখেন। আমিন।’

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • বোয়ালখালীতে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন-স্থগিত-বিলুপ্তির ঘোষণায় অসন্তোষ

    বোয়ালখালীতে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন-স্থগিত-বিলুপ্তির ঘোষণায় অসন্তোষ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে উপজেলা, পৌরসভা, কলেজ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন, স্থগিত এবং বিলুপ্তির ঘোষণা নিয়ে বিরাজ করছে অসন্তোষ।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে কাদাছোঁড়াছুড়ি। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এতোদিন ফেসবুকে নেতাদের সাথে সেলফি পোস্ট দিলেও হঠাৎ করে একে অপরের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে দিচ্ছে স্ট্যাটাস। সেইসব স্ট্যাটাসের কমেন্টে ঝড় তুলছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মিছিল
    দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মিছিল

    এনিয়ে গত ১৪ মার্চ সকালে ছাত্রলীগের একটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ২৭৬ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিনকে বোয়ালখালীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। বিকেলে পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা।

    আবার বিকেলে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ উপজেলা ছাত্রলীগ ও এর আওতাধীন সকল ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল করে। উভয়পক্ষ মূলত শক্তির জানান দিতেই এ কর্মসূচি পালন করেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

    উপজেলা ও এর আওতাধীন সকল ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করায় দক্ষিণ জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগের মিছিল

    জানা গেছে, গত ১১ মার্চ দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোনাফ মহিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রুবেল স্বাক্ষরিত একপত্রে বোয়ালখালী পৌরসভা এবং বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়।

    ওইদিন বিকেলে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের স্বাক্ষরিত আরেক পত্রে তা স্থগিত করা হয়। এ নিয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ মার্চ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত আরেকটি পত্রে পোপাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটি গঠন করলে পরদিন ১৩মার্চ দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণ দেখিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ এবং এর আওতাধীন শাখাগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করে।

    উপজেলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোনাফ মহিন জানান, উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটিকে না জানিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই নিয়ম বর্হিভূতভাবে পৌরসভা ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কমিটি স্থগিত করতে পারে না দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি।

    কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি ছাড়া উপজেলা কমিটি স্থগিত করে বিশালকায় ও বিরল দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি সাংগঠনিক নিয়ম ভঙ্গ করেছে। সে ছাত্রসেনা থেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। জাতির পিতার আর্দশের সৈনিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রাণের সংগঠন নিয়ে কোনো অনুপ্রবেশকারীকে চিনিমিনি খেলতে দেবে না।

    এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    ২৪ ঘন্টা/পূজন সেন/আর এস পি

  • সোহাগ পরিবহণে চবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর চেষ্টা! ফেসবুকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ছাত্রীর পোস্ট

    সোহাগ পরিবহণে চবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর চেষ্টা! ফেসবুকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ছাত্রীর পোস্ট

    চবি প্রতিনিধি : চলন্ত বাসে যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। বুধবার পটিয়া থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে চড়ে বহদ্দারহাট আসার সময় বাসটির সহকারীদের কাছে যৌন হয়রানির শিকারের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন ওই ছাত্রী।

    ফেসবুকে লেখা স্টাটাসে উল্লেখিত ঘটনার বিবরণে ছাত্রীটি বলেন, ‘পটিয়া গিয়েছিলাম বোনের বাসায় বেড়াতে…সাধারণত ট্রেনেই আসা যাওয়া করি আমি, বাসে ভমিটিং এর প্রব্লেম থাকার কারণে এমনিতে বাসে উঠা কম হয়। তবে দুলাভাই বলেছে তাদের মুন্সেফবাজারের বাসার গলি থেকে বের হয়ে নাকি টার্মিনাল বা নতুন ব্রিজের গাড়ি পাওয়া যায়।

    বাসা থেকে রিকশা নিয়ে প্রধান সড়ক পর্যন্ত এসে রিকশা থেকে নেমে দাড়াতেই ‍সোহাগ পরিবহণের একটি বাস দেখে হাত দেখালাম। বাসটি থামলো। চালকের সহকারী কন্ট্রাকটরকে জিঙ্গেস করলাম বহদ্দারহাট যাবে নাকি? উনি বলল যাবে। তাছাড়া বাসটি খালি দেখে উঠলাম। জানালার পাশের সিট খুঁজছিলাম, মানুষ কম থাকলেও সবাই মোটামোটি জানালার পাশেই বসে ছিলো। অতঃপর সিট না পেয়ে প্রথম থেকে ৩ নং চেয়ারে একটি আন্টির পাশে গিয়েই বসলাম আমি।

    বাস চলছে। কন্ডাক্টর ছিলেন দুইজন। একজন দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিলো আরেকজন টাকা তুলছিলো।কিছুক্ষণ পর একজন আসে, বলে ভাড়া দেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম কত? আবারো জিজ্ঞেস করে কই যাবেন? আমি বললাম: মামা আমি ২নং গেইট যাবো, কোথায় নামলে সুবিধে হয়, উনি বললেন টার্মিনাল। আমি বললাম তাহলে টার্মিনাল এর ভাড়াই নেন। উনি ৬০ টাকা নিলো, আর জিজ্ঞেস করলো একা কিনা, আমি বললাম জ্বি।

    ভেবেছিলাম হয়তো ভাড়ার জন্য, বা ভাড়া নেয়ার জন্য জিজ্ঞেস করেছে। এরপর থেকে উনি বারবার তাকাই ছিলো আমার দিকে, আমি অত পাত্তা না দিয়েই আবারো কানে হেডফোন গুঁজে বসে ছিলাম। আমার পাশের আন্টি নতুন ব্রিজ নেমে যায়, আমি জানালার পাশে গিয়ে বসি।

    এরপর বহদ্দারহাট কিনা জানিনা, একটা জায়গায় এসে বাস দাঁড়ায় এবং অনেকজন নেমে যায়, আমি উঠে নেমে যাচ্ছিলাম কন্ডাক্টর বলে আপনি না ২নং যাবেন? আপনাকে ওখানেই নামাই দিবো বসেন, আমি দরজার পাশে প্রথম সিটে আবারো বসলাম। বাস ড্রাইভার মিরর দিয়ে বারবার তাকাচ্ছিলো আমার দিকে, আমার সন্দেহ হতে থাকে, আমি পিছে তাকাই দেখি একটা মানুষ ও নাই।

    আমি বললাম ভাই আমাকে নামাই দেন আমি ২নং গেইট যাবো না। যিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন উনি দরজা টা খুব তাড়াতাড়ি আটকে দেয়। আমি চিল্লাই উঠে বললাম ড্রাইভার বাস থামান আমি নামবো, উনি এমন ভান করছিলো যেন উনি আমাকে শুনতেই পাচ্ছেনা।

    আমি ৯৯৯ টাইপ করছিলাম, এ সময় কন্ডাক্টর এসে আমার ব্যাগ নিয়ে নেয়, আমি ব্যাগ আটকানোর জন্য উনার সাথে টানাটানি করছিলাম আর সারাক্ষণ চিৎকার করছিলাম জানালা দিয়ে।

    কন্ডাক্টর আমাকে ধাক্কা দেয় আমি দরজার সাথে খুব জোরে বাড়ি খাই। আমি পা দিয়ে দরজায় লাথি মারছিলাম, আর চিৎকার করছিলাম। আমার হিজাব টানছিলো দুইজন কন্ডাক্টরের একজন। আমি কান্না করে করে লাথি মারছিলাম দরজায় আর নিজেকে বাচাঁনোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিলাম। রাস্তার কিছু মানুষ ব্যাপার টি হয়তো নোটিস করেছিলো, আমি জানিনা। ড্রাইভার বলে ছেড়ে দে,সুবিধা নাই।

    বাস থামায় আমি জিনিস নিয়ে নেমে পুলিশ বক্স খুঁজছিলাম ইভেন আমি চিনিওনা জায়গাটা। বাস এর নাম্বার দেখতে পারিনি সবকিছু ঝাপসা মনে হচ্ছিলো। একটা রিকশা নিলাম আর বাসায় আসলাম। আল-হামদুলিল্লাহ এখন আমি সুস্থ এবং আমার ক্ষতি কর‍তে পারেনি।

    জানিনা হয়তো সুবিধে পায়নি বলে এই যাত্রায় আমি বিথী বেঁচে গেছি কিন্তু অন্যদিন সুবিধে পেলে হয়তো অন্য একটি বোনের বা মায়ের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যাবে।এদেশে মেয়েদের অনেক সম্মান!অনেক বেশিই!!!! #আলহামদুলিল্লাহ_আমি_সুস্থ_আছি_।

    ‌এদিকে ঘটনায় পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা ভুক্তভোগী ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনের সহযোগীতা নেবো এবং শাস্তির আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এদিকে যৌন হয়রানির শিকার চবি শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।