Tag: ফেসবুক ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ

  • ‘অবৈধ ১১ হাজার বিদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে’

    ‘অবৈধ ১১ হাজার বিদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে’

    বাংলাদেশে অবস্থান করা প্রায় ১১ হাজার অবৈধ বিদেশি নাগরিককে শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এই অবৈধ বিদেশিদের নিজ খরচে তাদের দেশে ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ।

    বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

    মন্ত্রী বলেন, নাইজেরিয়া, তানজেনিয়াসহ আফ্রিকা এবং অন্যান্য দেশের ১১ হাজার অবৈধ বিদেশী এখন বাংলাদেশে রয়েছে, যারা বিভিন্ন কাজের জন্য বাংলাদেশে এসে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর ফেরত যাননি, তারা সবাই বাংলাদেশে নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত, তাদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার।

    এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছে। এসব নাগরিকদের নিজ দেশের দূতাবাসকে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সরকার থেকে অনুরোধ জানালেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলো। তাই সরকারি অর্থ বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের উদ্যোগেই তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী এসব নাকরিকের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সেন্টমার্টিনে ৫৫৫ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করলো টিওবি

    সেন্টমার্টিনে ৫৫৫ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করলো টিওবি

    বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপে দিন দিন পর্যটক সমাগম বাড়ছে। কিন্তু তাদের ফেলে রাখা বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে দ্বীপের পরিবেশ। তাই ৩৯ জন ভ্রমণপ্রেমী তিন দিনে ৯৪ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করছেন সেন্টমার্টিন থেকে। এগুলোর ওজন ৫৫৫ কেজি! তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি) গ্রুপের সদস্য।

    ২০১৮ সালেও টিওবি গ্রুপের ৫৫ জন সদস্য প্রায় ১৪০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেন। গত বছর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার ইচ্ছে থাকলেও ট্রলারে জায়গা না থাকায় তাদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। এবার আগে থেকেই ছিল বিশেষ প্রস্তুতি।

    গত ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেন ভ্রমণপ্রেমীরা। ৫৫৫ কেজি বর্জ্য সংগ্রহ করে রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে সেন্টমার্টিন থেকে ফেরেন তারা।

    সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেওয়া ভ্রমণপ্রেমীরা

    ৩৯ ভ্রমণপ্রেমী নিজ খরচে দ্বীপ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে এনেছেন। তাদের এই সেন্টমার্টিন পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ড্রিম নাইট রিসোর্ট।

    স্বেচ্ছাসেবীদের এতে থাকতে কোনও টাকা দেওয়া লাগেনি। শুধু নিজেদের খরচে আয়োজন করা হয়েছে খাবারের।

    স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন পরিষ্কার ও সচেতনতা বৃদ্ধির অভিযানের জন্য ৩৯ জন তিনটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করেছে। সবাই ময়লা সংগ্রহ করে সেইসব ব্যাগ জেটি ঘাটের কাছে জমা করতে থাকেন।

    সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

    ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি) গ্রুপের অন্যতম অ্যাডমিন নিয়াজ মোরশেদ বলেন, ‘আমাদের এই অভিযান দেখে যদি কেউ ব্যবহৃত পানির বোতল না ফেলে দিয়ে ফেরত আনে তাহলেই সার্থক মনে করবো। বছরে দুই-একবার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে সব বদলে যায় না। ধীরে ধীরে সবাই যদি ভাবতে শেখেন- আমার ফেলে আসা প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য কতটা হুমকি, তাহলেই একদিন ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।’

    প্লাস্টিক বোতলে কোমল পানীয়, চিপস ও বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বর্জ্য রি-সাইকেল ও সংগ্রহ করতে তহবিল রাখতে বাধ্য হয় সেজন্য জনস্বার্থে আদালতে রিট আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই স্বেচ্ছাসেবীরা।

    সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

    ভ্রমণপ্রেমী নিয়াজ মোরশেদের কথায়, ‘আমরা যত আবর্জনা সংগ্রহ করেছি তা দ্বীপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের ৫ শতাংশও না। জনস্বার্থে আদালতে একটি রিট আবেদন করতে চাই আমরা, যাতে কোমল পানীয় বোতল, চিপস, বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশ বিপর্যয় রক্ষায় বর্জ্য রি-সাইকেল ও সংগ্রহের জন্য তহবিল রাখতে বাধ্য হয়।’

    জানা গেছে, ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি) গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ১০ লাখ ভ্রমণপিপাসু। একযুগ আগে চালু করা গ্রুপটিতে ভ্রমণ আলোচনা আর পরিকল্পনা ছাড়াও নিয়মিতভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। দায়িত্বশীল ভ্রমণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গ্রুপ থেকে উৎসাহিত করা হয়।

    সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেওয়া ভ্রমণপ্রেমীরা

    সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধ করার কথা ভেবেছিল সরকার। এরপরই দ্বীপে পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। অনেকেই বলছেন, গত চার-পাঁচ বছর মিলিয়ে যত মানুষ দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপে বেড়িয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর তার চেয়ে বেশিসংখ্যক ভ্রমণপ্রেমীকে দেখা গেছে। এ কারণে প্লাস্টিক বোতল, চিপস, বিস্কুটের প্যাকেটে ভরে গেছে দ্বীপ। যদিও পরে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতে থাকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।